আইন ও সংবিধানকে উপেক্ষা কেন
কোনো নাগরিক যেমন আইনের ঊর্ধ্বে নন, তেমনি রাষ্ট্র যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরাও আইনের ঊর্ধ্বে যেতে পারেন না। অথচ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছয় সমন্বয়কের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, সেটি চরমভাবে আইনের লঙ্ঘন। এই ছয় সমন্বয়কের কাউকে পাঁচ দিন, কাউকে তিন দিন ধরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দপ্তরে আটকে রাখা হয়েছে।
এ কেমন এফআইআর
‘গুলিতে ঝাঁঝরা সাঈদের বুক, পুলিশ বলছে উল্টো কথা’ -এটি ২৮ জুলাই পত্রিকান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম।
সাংবাদিকদের মধ্যে এত ক্ষমতার ক্ষুধা কেন?
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা: মায়া-প্রপঞ্চ’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। যাঁরা সাংবাদিকতাকে নিরপেক্ষ বা বস্তুনিষ্ঠ পেশা হিসেবে দেখতে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য প্রবন্ধটি চোখ খুলে দেওয়ার মতো।
দমন পীড়নের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি
ড. নাওমি হোসাইন যুক্তরাজ্যের সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের গ্লোবাল রিসার্চ প্রফেসর। কাজ করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগসহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টেবিলিটি রিসার্চ সেন্টারে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাতকারটি নিচে তুলে ধরো হলো
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মেধাহীনতার অপবাদ কেন?
যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের এত বড় সর্বনাশ হয়ে গেল, সেই কোটাব্যবস্থায় মোট ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে ছিল ৩০ শতাংশ সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনি। কিন্তু বাস্তব প্রয়োগ কি তাই হয়েছে? মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হলেও স্বাধীনতার সৈনিকদের জীবদ্দশাতেই শুধু কোটা নয় বরং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে অনেকেই প্রকাশ্যে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার সাহস দেখিয়ে চলেছেন।
মিছিলের এত মানুষ, মাঠে নেই না কেন?
কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনটি যেভাবে সব রকম প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে সফল হলো, তা নিঃসন্দেহে যে কোনো রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের কাছেই দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ এক বিষয়। এ দেশে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সব সফল ছাত্র আন্দোলনেই নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজনৈতিক ছাত্র নেতৃত্ব।
ডিজিটাল কারফিউ
প্রায় এক সপ্তাহ গৃহবন্দিত্বের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে কর্মস্থলে এসে পৌঁছালাম। আজ মানে ২৪ জুলাই, ২০২৪ সালে বসে যখন এই নিবন্ধ লিখছি তখন চিন্তাচেতনায় আমি এক ভিন্ন জগতের মানুষে পরিণত হয়ে গেছি। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও আমি এমনটি ছিলাম না। গত বৃহস্পতিবার ছিল জুলাই মাসের ১৮ তারিখ। রাত ৮টা পর্যন্ত আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ হয়ে গেল।
কেন সংকট বাড়ানো হচ্ছে
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার খিলগাঁও থেকে ৭৫ বছর বয়সী এক ভদ্রলোক টেলিফোন করে বললেন, তাঁদের এক ভাই বিএনপি করেন বলে তাঁকে না পেয়ে আরেক ভাই, ভাইয়ের ছেলে, ভাগনে ও এক ভগ্নিপতিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে গেছে। তাঁরা বলেছেন, বিএনপি করা ভাইকে ধরিয়ে দিলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
শান্তি ও মুক্তির পথ
বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন। কবি শামসুর রাহমানের ভাষায়, ‘অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’। সেই একই কথার প্রতিধ্বনি লক্ষ করা যাচ্ছে এখন। স্বাভাবিক অবস্থায় কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তা অস্বাভাবিক অবস্থায় পর্যবসিত হয়।
নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১ বছর। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নেই। বাবা-মা ও বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন, পাশবিকতার কথা শুনেছি। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, সেতু ধ্বংসের কথা শুনেছি।
আওয়ামী লীগের জন্ম যেভাবে
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। পাকিস্তান হওয়ার পর এ দেশে কোনো বিরোধী রাজনীতি থাকবে বা থাকতে পারে, এ রকমটি ভাবা যাচ্ছিল না।
তিস্তা নিয়ে ভারতে কী হলো?
শেখ রোকন : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুন ভারত সফরের মধ্য দিয়ে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাগত পরিস্থিতি তাহলে কী দাঁড়াল? ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামের মতো সত্যিই দিল্লি কি ‘কনুই মেরে’ বেইজিংকে ঢাকার কাছ থেকে সরিয়ে দিয়েছে? (ইন্ডিয়া এলবোস আউট চায়না ফ্রম রিভার কনজারভেশন প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ, ডেকান হেরাল্ড, ২৩ জুন ২০২৪)। নাকি, এবারও ভারত তিস্তার পানি বণ্টনে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে না পারায় নদীটির সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে চীন এক ধাপ এগিয়ে গেল?
শেখ হাসিনার ভারত সফর: একটি মূল্যায়ন
আসিফ আরসালান: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরের ফলাফল নিয়ে রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিক সমাজে বিরাট গুঞ্জন এবং ধোঁয়াসার সৃষ্টি হয়েছে। তার সফরের ৪/৫ দিন আগে ভারতের মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে নানান রকম জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি হয় এবং বেশ কয়েকটি এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই
শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে বেশ কিছুকাল থেকে, বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘কথিত নির্বাচনের’ পর ভ্রাতৃঘাতী যে লড়াই শুরু হয়েছে তাকে দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলার অবনতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করে সহজ সমীকরণে পৌঁছার কোনো অবকাশ নেই।
ফাকা মাঠের ভোটে অস্বাভাবিকতা
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা নির্বাচনের কারণেই কেন্দ্র ফাঁকা থাকছে। ইসির কর্তারা অবশ্য বলছেন, কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব তাদের নয়।
খোদায়ি গজব
অসহায় এবং মজলুম জনতা দুই হাত তুলে দুর্নীতিবাজ এবং চোর-ডাকাত-তস্কর প্রকৃতির রাজা এবং রাজকর্মচারীর বিরুদ্ধে অবিরত অভিসম্পাত করতে থাকে। ফলে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে যখন দুর্নীতিবাজদের ওপর খোদায়ি গজব এসে পড়ে তখন আর জনগণকে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয় না
বিএনপির ব্যর্থতা নয় বরং কাদের মদদে নির্বাচন হলো সেটির সুলুক সন্ধান করুন
বন্ধুপ্রতীম শক্তির সমর্থনের আশ্বাস পেয়ে আওয়ামী লীগের গত নির্বাচনের বিস্তারিত রণকৌশল প্রণীত হয়। তাই দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর বিএনপির ১০ লক্ষ লোকের সভায় হেভি পুলিশী ক্র্যাকডাউন। ২৮ অক্টোবর রাত থেকেই একই সঙ্গে শুরু হয় সারা দেশব্যাপী ব্যাপক ধরপাকড়। হাজার হাজার বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী আজও মাঠে ঘাটে প্রান্তরে রাত কাটাচ্ছেন।
নির্বাচনে কতটা ভোট পড়েছে, সেটা গবেষণার বিষয়: ড. আসিফ নজরুল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল একাধারে একজন কলাম লেখক, ঔপন্যাসিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্লাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। দৈনিক যুগান্তরকে দেয়া সাক্ষাতকারটি নিচে তুলে ধরা হলো।
একক কর্তৃত্বের ওপর সবাই নির্ভরশীল
আমাদের দেশের পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো আর স্বতন্ত্রভাবে সক্রিয় থাকতে পারছে না। একক কর্তৃত্বের ওপর সবাই নির্ভরশীল। এসব আমরা পত্রিকা এবং মন্ত্রীদের বক্তব্যের মধ্য দিয়েও বুঝতে পারি। যেমন কোথাও অপরাধ বা দুর্নীতি বা কেউ খুন হোক বা কোনো বড় ঘটনা, তখন আমরা শুনি মন্ত্রী বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন’, ‘প্রধানমন্ত্রী নজর রাখছেন’ ইত্যাদি। যেন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ না দিলে মন্ত্রীদের কোনো চলনশক্তি নেই।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয়
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিজয় সত্ত্বেও দেশের জনগণ আজ তাদের বিরুদ্ধে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ। এ পরিস্থিতিতে জনগণও চায় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এক নতুন নির্বাচন। এদিক দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিজয় সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। এই পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি হতোদ্যম না হয়ে নতুন নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামে, তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় ঘুরবে।
মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হোক
সরকার নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসে গেছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি নেই। এই অবস্থায় বিরোধীদের ওপর দমন পীড়নের প্রয়োজনীয়তা নেই। সাধারণ জীবনযাপনে বাধা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা মনে করি, এ ধরনের হিংসাত্মক নীতি থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।
পরোক্ষ নির্বাচন সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী
সংবিধান রাষ্ট্র এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। সংবিধানের এমন অবস্থানের ব্যত্যয়ে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের অধীন কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যদি পরোক্ষ নির্বাচনের কথা ভাবা হয় সেক্ষেত্রে তা যে সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় থাকার কথা নয়।
আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম
রোম শহর পুড়ে যাওয়া আর নিরোর বাঁশি বাজানোর সাথে নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং সিইসির ঘুমের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু এখানেই, রোম শহরটি পুড়ে ছাই হয়েছিল, আর সিইসির ঘুমের মধ্যে ১৭ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে একটি একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার আয়োজন চলছিল।
লগি-বৈঠার তাণ্ডবে লাশের ওপর নৃত্যকারী বাপ্পাদিত্য প্রতারণা মামলায় কারাগারে
এই ধরনের সমাজবিরোধী ব্যক্তিদেরকে আওয়ামী ঘরানার একশ্রেণীর মানুষ, যারা বাম রাজনীতির দিকে ঝুঁকে আছে, তারা এদেরকে হিরো বানাতে চাইলেও এরা যে লুটেরা এবং প্রতারক সে বিষয়টি হাইলাইট করে না। অর্থঋণ মেরে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে কারাদন্ড দেওয়া হয়। গত ১৬ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সরকার নিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে নড়াচড়া
পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া শুধু বিবৃতিতেই সীমিত থাকবে? এর তলে তলে অন্য কিছু থাকতে পারে, সেটা অপেক্ষার বিষয়। কিন্তু, আপাতদৃষ্টিতে সরকার নির্ভার। কোনো ঝুটঝামেলাই ধরা পড়ছে না সরকারের চশমায়।
ডাণ্ডাবেড়ি সভ্য সমাজে চলতে পারে কি
বাংলাদেশের চলমান সঙ্কটের পিছনের মূল কারণ হলো গণতন্ত্রের মোড়কে একটি চরম স্বেচ্ছাচারী সরকারব্যবস্থা
দুর্নীতি বন্ধ ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হোক
সঠিকভাবে দুর্নীতি দমন করতে না পারলে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার রোধ করতে না পারলে, দেশে সঠিকভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষকে সুশাসন উপহার দিতে না পারলে, হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুফল জনসাধারণ ভোগ করতে পারবেন না
ডাণ্ডাবেড়ি পরে জানাজার সংস্কৃতি
বাংলাদেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে। পুলিশ ও কারা প্রশাসনের তোড়জোড় দেখে মনে হতে পারে; রাজনীতি করা ‘মহাপাপ’।
গণতন্ত্র ও সাম্প্রতিক নির্বাচন
গত কয়েক বছরের মতো বাংলাদেশ এবারও হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিভাগে রয়েছে। এই বিভাগে রয়েছে সেসব দেশ যেগুলোর স্কোর ১০-এর মধ্যে ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে। বাংলাদেশ এই বিভাগে রয়েছে সবার ওপরে। সবার নিচে রয়েছে মৌরিতানিয়া। সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৮তম, স্কোর ৪ দশমিক শূন্য ৩। এই বিভাগের অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান, ইউক্রেন, উগান্ডা, নেপাল ও পাকিস্তান। দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ৮৪তম, ৮৭তম, ৯৯তম, ১০১তম, ১০৭তম।
গণতন্ত্র-মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অনুপস্থিতিসহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বেশি দিন থাকবে না
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মুক্ত গণমাধ্যমের ভূমিকা শক্তিশালী করতে হবে। সংবাদ অবাধে প্রচার করতে না পারলে দেশ ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্থ হয় এবং সরকারের পক্ষে জনগণের সমস্যাগুলো জানা সম্ভব হয় না। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের কাজ হলো সমাজের সমস্যাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা। সরকারকে সচেতন করা। তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা। অন্যদিকে দেশে কি ধরনের কাজ হচ্ছে বা না হচ্ছে তা সবাইকে জানানো।