editorialbd-logo

আমার পৃথিবী

আজ ৬ জুলাই মহিমান্বিত ও পবিত্র আশুরার দিনে অর্থাৎ ১০ মহররম প্রিয়ভাজন আবদাল আহমদের একটি ছোট পোস্ট থেকে জানতে পারলাম আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মমতাময়ী মা এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে, তার একমাত্র প্রিয় পুত্রের ভালোবাসার বন্ধন চিরদিনের জন্য ছিন্ন করে বিদায় নিয়েছেন।

৩৬ মিনিট আগে

বিবেচনায় নিলে কল্যাণ তারুণ্যের ভাবনা

তারুণ্য চায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে আমূল সংস্কার। সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশন এইডের জরিপে এ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। জুলাই গণ আন্দোলন-পরবর্তী প্রায় এক বছর সময়কালে দেশে রাজনৈতিক, শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা নিয়ে এ জরিপের ফলাফল সোমবার প্রকাশ হয়।

১ ঘন্টা আগে

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগ

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কোনো দেশ কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষা দেয়। তাই থিংকট্যাংকগুলোর এ নিয়ে গবেষণা করা এবং সরকারকে পরামর্শ দেয়া উচিত, যাতে সামগ্রিকভাবে জাতি হিসেবে আমরা উন্নত হতে পারি এবং প্রতিরক্ষা, পানিসম্পদ ও নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। তিনি ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ (এফএসডিএস) নামে গবেষণাধর্মী নতুন একটি ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরো বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য সুশাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় স্থিতিশীলতা অর্জনে সঠিক গবেষণাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহায়তা দেবো যাতে এটি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস জাতীয় ঐক্যের ভিত সুদৃঢ় হোক

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয় এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। অসংখ্য মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ছিলাম এক অন্ধকার ও নৈরাজ্যের যুগে

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ঐক্য

আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন করবে। যে কোনো জাতির জীবনেই স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। শুধু মানুষ নয়, কোনো প্রাণিই স্বাধীনতা হীনতায় বাঁচতে চায় না।

যাত্রাবাড়ীতে ‘সাধারণ আলেম সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে মাওলানা রিদওয়ান হাসানের নেতৃত্বে এই সমাবেশে মাওলানা মূসা আল-হাফিজ, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-মাসউদ, মাওলানা উসামা সিরাজসহ অনেক আলেম জালেমের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন। এই সমাবেশ থেকে মিছিল বের হয়, যা কাজলা থেকে কুতুবখালী খাল পার হয়ে এগিয়ে যায়। ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তারা ‘গাশত কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন। ফারসি ‘গাশত’ (মার্চ) শব্দের মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদের স্বাতন্ত্র্য প্রকাশিত হয়।

আজ ৬ জুলাই মহিমান্বিত ও পবিত্র আশুরার দিনে অর্থাৎ ১০ মহররম প্রিয়ভাজন আবদাল আহমদের একটি ছোট পোস্ট থেকে জানতে পারলাম আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মমতাময়ী মা এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে, তার একমাত্র প্রিয় পুত্রের ভালোবাসার বন্ধন চিরদিনের জন্য ছিন্ন করে বিদায় নিয়েছেন।

শ্বেতপত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, চীন বলেছে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তার মূল ভিত্তি হলো রাজনৈতিক নিরাপত্তা। সহজ করে বললে, সিপিসির নেতৃত্বই তাদের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি। এই নেতৃত্বই চীনকে একটি অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

রাসপুটিন, জার নিকোলাস ও আমাদের রাজনীতি

রাসপুটিন কোনো অভিজাত বা রাষ্ট্রীয় অমাত্য ছিল না। সে ছিল এক নিম্নবর্গীয় কৃষক, যার দাবি ছিল তান্ত্রিক ও সম্মোহনবিদ হওয়ার। সাধুর বেশ ধারণ করলেও তার অন্তরালে লুকিয়ে ছিল এক মদ্যপ, লম্পট ও কামুক চরিত্র। সে রাজপ্রাসাদে ঢুকেছিল এক ট্র্যাজিক দুর্বলতার সুযোগেÑ জার নিকোলাস ও জারিনা আলেকজান্দ্রার একমাত্র পুত্র ও ভাবী উত্তরাধিকারী প্রিন্স আলেক্সির দুরারোগ্য হিমোফিলিয়া রোগ। চিকিৎসাবিজ্ঞান ব্যর্থ হয়েছিল শিশু রাজকুমারের যন্ত্রণাদায়ক রক্তক্ষরণ ও জ্বর নিরাময়ে। রাসপুটিন, তার সম্মোহন ক্ষমতা দিয়ে, অদ্ভুতভাবে আলেক্সির উপসর্গ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই ‘অলৌকিক’ সাফল্য জারিনা আলেকজান্দ্রাকে রাসপুটিনের প্রতি একান্তভাবে দুর্বল ও নির্ভরশীল করে তোলে।

ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন বিলুপ্তি অপরিহার্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে জারি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো নির্দেশনা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ। এটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার মাধ্যমে একটি স্বায়ত্তশাসিত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজেই তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা।

ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন বিলুপ্তি অপরিহার্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে জারি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো নির্দেশনা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ। এটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার মাধ্যমে একটি স্বায়ত্তশাসিত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজেই তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা।

কাতার ও আল জাজিরা কেন ইসরাইলি মিডিয়ার টার্গেট?

ইসরাইলি কলামিস্টের এই বয়ানের লক্ষ্য হচ্ছে, কাতারের সফ্‌ট পাওয়ার চর্চাকে হেয় এবং আল জাজিরার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সুনামকে ক্ষুণ্ণ করা। আঞ্চলিক বিভিন্ন বিরোধ মীমাংসায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে কাতার ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। দেশটির এই ভূমিকা পালনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে আল জাজিরা। এই মিডিয়াটির মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চার কারণে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোর অনেক স্পর্শকাতর তথ্যই জনসমক্ষে উঠে এসেছে। ফলে কেবল ইসরাইল নয়, এই অঞ্চলের কিছু মুসলিম দেশও ক্ষুব্ধ কাতার ও আল জাজিরার ওপর।

একই দিনে ২৩টি চাকরির পরীক্ষা কেন

যানজট ও দূরত্বের কারণে একই দিনে দুটি পরীক্ষা দেওয়াও কষ্টকর হয়ে ওঠে। অথচ বিসিএস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যদি বিভাগীয় শহরে হতে পারে, তবে অন্যান্য পরীক্ষাও সেখানে আয়োজন করা সম্ভব।

শরণার্থীর সঙ্গে সংহতি

যেখানে সংঘাত, দারিদ্র্য এবং জলবায়ুর পরিবর্তন খুব তীব্র, সেখানে অভ্যন্তরীণ উৎখাত ঘটে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দরিদ্রতম এবং প্রান্তিকতম জনগোষ্ঠীই এতে আক্রান্ত হন। সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, ফিলিস্তিন, সুদান ও ইউক্রেনের মতো দেশ এবং ভূখণ্ডগুলোতে সংঘাত ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সংখ্যা বর্তমানে আফগানিস্তান, কলাম্বিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বিপুলসংখ্যক উদ্বাস্তুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বিরাট সংখ্যার জন্ম দিয়েছে। নানা দুর্যোগ মানুষের আবাসন এবং জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে বহু লোক এখনো সেসব ক্ষেত্রে কেন স্থায়ী সমাধান পায়নি এবং বছরের শেষে তারা এখনো উদ্বাস্তু।

শিক্ষা হয়ে পড়েছে বৈষম্য বাড়ানোর অস্ত্র

মনজুর আহমদ: দুর্গতি কাটেনি। আসলে শিক্ষা কখনোই রাজনৈতিক অগ্রাধিকারে স্থান পায়নি। কথায়-কথায় হয়তো হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। আমাদের অনেক আশা ছিল যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন কিছু উদ্যোগ দেখব, কিন্তু সেটা আমরা দেখিনি।

সাক্ষাৎকারে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার শ্রমজীবী মানুষ

শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ। আশির দশকজুড়ে তিনি ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন-আইটিইউসিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসেরও নির্বাহী পরিচালক। মহান মে দিবস উপলক্ষে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুর রহমান তপন।

ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক অক্ষুণ্নতায় সংকট তৈরি করতে পারে

সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া: নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যদের বিষয়ে কয়েকটি বিষয় চোখে পড়েছে, যেমন চল্লিশোর্ধ্ব নারীর আধিক্য। ২০-৩০ বছর আগের নারী অধিকার আন্দোলন আর আজকের নারী অধিকার আন্দোলনের পার্থক্য অনেক। তরুণ প্রজন্মের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ আগের প্রজন্ম থেকে অনেক আলাদা।

একান্ত সাক্ষাৎকার ফ্যাসিবাদকে এডজাস্ট করার মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে কথাটা চালু হয়েছে এটা এই কারণেই হয়েছে যে, আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাঠে ছিলাম, এই ছয় সাত মাসের ব্যবধানে বক্তব্যের মধ্যে কিছু ভিন্নতা শোনা যাচ্ছে।

সামরিক-বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি’ (ডিএআরপিএ) সামরিক আর সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য অনেক নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে। আজকের ইন্টারনেট বা জিপিএস তারই উদাহরণ। চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা আর মহাকাশ গবেষণায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো তাদের সরকার সামরিক আর বেসামরিক খাতকে মিলিয়ে কাজ করার একটি শক্ত কাঠামো তৈরি করেছে।

ফিলিস্তিনে ট্রাম্পের ভূমিকা মুসোলিনি-হিটলারের মতো

বর্তমানে গাজায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি চলছে। সেই জায়গায় আরব দেশগুলোর একটা শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান অনেকের মতো আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তো দূরের কথা, কোনোভাবেই আলাদাভাবে শুধু কয়েকটি দেশ ছাড়া সৌদি আরব, কাতারসহ অনেক দেশ এ জায়গায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করছে না। এটা দুঃখজনক ব্যাপার।

1

দেশ কাঁপানো ৩৬ দিন

সেই বিশ্ববিদ্যালয় আবার জেগে উঠেছিল। কিন্তু আমি, একজন নির্বাসিত শিক্ষক, দূর থেকে অনুভব করছিলাম- এই জাগরণ কেবল ছাত্রদের নয়, আমারও এক ধরনের পুনর্জন্ম। খবরে, ভিডিওতে, ছাত্রদের মুখে শুনছিলাম- টিএসসিতে কিছু ছাত্র দাঁড়িয়ে গেছে নিঃশব্দে। কারও হাতে লেখা পোস্টার : ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এই একটি বাক্যে যেন সারা দেশের হতাশা, জ্বালা, আশা- সবকিছু মিশে ছিল।

2

ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় জেতা যে কারণে অসম্ভব

একসময় ইসরায়েলের গল্প বা ভাষ্যগুলোকে পশ্চিমা মিডিয়ার সম্পাদকীয় নীতিমালা আর ইতিহাসগত অপরাধবোধ রক্ষা করত। কিন্তু স্মার্টফোনের কারণে এখন সেই রক্ষাকবচ ভেঙে গেছে। এখন আমরা আর ইসরায়েলের ব্যাখ্যা শুনে বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করি না। কারণ, গাজার মানুষই তাদের বাস্তব অবস্থা আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে।

3

ইরান এবার বড় যুদ্ধের জন্য যেভাবে প্রস্তুত হবে

ইরানও এই যুদ্ধে বিজয় দাবি করেছে। ১৯৮০-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষে যেমন করে ইরান বিজয় দাবি করেছিল, এবারের ঘটনাটি অনেকটাই তার সঙ্গে মিলে যায়। সেই যুদ্ধ ছিল বিশ শতকের অন্যতম দীর্ঘ প্রথাগত যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনও বিজয় দাবি করেছিলেন।

4

এনসিপির জুলাই পদযাত্রা: যা দেখছি, যা শুনছি, যা বুঝছি

আত্মপ্রকাশের পর থেকেই এনসিপি নানা ধরনের মন্তব্য, সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। টিএসসিকেন্দ্রিক দল, ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতি—এমন নানা তকমায় এনসিপিকে জর্জরিত করা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের ঠিক আগের দিন আত্মপ্রকাশ করা দলটি রমজানের পুরো মাস কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে পারেনি বললেই চলে। এরপর আড়াই মাসের ব্যবধানে এসেছে দুটি ঈদ।

মিজানুর রহমান আজহারী সকল জুলুমের অবসান হোক! মুক্তি পাক সকল মজলুম

‘হে আল্লাহ, আমাদের এই দেশকে আপনি হেফাজত করুন। সকল স্বৈরাচার থেকে হেফাজত করুন, আমিন।’ ‘ইনশাল্লাহ, এই দেশ থেকে জুলুমের অবসান হবে’, লিখেছেন অপর একজন মন্তব্যকারী।

পিনাকী ভট্টাচার্যের ইংরেজী ভার্সন ভিডিও আসছে

আমার ইংরেজি চ্যানেলের প্রথম ভিডিও। এটা আমার আলাদা চ্যানেল। এইখানে শুধু ইংরেজি কন্টেন্ট

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কোন্নয়নের প্রত্যাশা

গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক হয়। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল, ২০১০ সালে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জসীম উদ্দিন জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান ঐতিহাসিক অমীমাংসিত বিষয়গুলো বৈঠকে উত্থাপন করা হয়েছে।

সরকার অনির্বাচিত : ডিসেম্বরেই নির্বাচন

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে বৈঠক শেষে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

"হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রথম আলোর প্রশ্ন"

প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে "হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন"। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি।

পাঁচ দশকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশে ১৯৭৬ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর পর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায়। সে হিসাবে পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ব্যবধানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বে-টার্মিনাল নির্মাণ ২৬৭ একর সংরক্ষিত বন চায় চট্টগ্রাম বন্দর, বন বিভাগের আপত্তি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনাল। চলতি বছরই এর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর কথা রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার একরের ওপর টার্মিনালটির নকশা করা হলেও ২৬৭ একর জমির মালিক বন বিভাগ।

ঐকমত্যে আটকে আছে জনপ্রশাসন সংস্কার কার্যক্রম

আমলাতন্ত্রকে অতিমাত্রায় দলীয়করণের মধ্য দিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে গড়ে তোলা হয় পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন। তার ওপর ভর করেই দীর্ঘায়িত হয় তাদের শাসনকাল। তাই এ প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। নানা বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চার মাস পর তাদের প্রতিবেদন জমা পড়ে। সরকারকে জনমুখী করতে জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। তবে এখনো বৃহৎ পরিসরে সেগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এমনকি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি

২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার।

শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংস হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল

এতো বছর আমরা একটা জালিম শাসনের অধীনে ছিলাম। উনি (হাসিনা) এতো বছর ধরে পিলখানায় শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংসহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই করেছেন। আমরা তো পিলখানায় ছিলাম, অনেক সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। কেউ জেলে আছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, বিচার। কারণ নিরপরাধ সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে।

1

হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী

মাঠ ঘুরে এলাম ৯ থেকে ১০ দিন। রাজশাহী শহর, শহরসংলগ্ন উপকণ্ঠ এবং গ্রাম। সরেজমিন দেখলাম, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মীরা কেমন আছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ হলো। নেতাদের দেখা পাইনি। কর্মী আর সমর্থকদের পেলাম। নেতারা বেশির ভাগ দেশছাড়া। অধিকাংশই ভারতে। পলাতক নেতারা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজখবর নেন। কিন্তু তাঁরা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, সেই সম্পর্কে কিছুই জানান না। শুধু কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

2

জাতীয় উন্নয়নে নির্মোহ শাসক প্রয়োজন

পৃথিবীতে যত দেশ উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে সেসব দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- দেশের উন্নয়নে যত না জনগণের অবদান, তার চাইতে বেশি অবদান একজন নির্মোহ শাসকের। একজন সৎ, যোগ্য, আমানতদার শাসক।

3

মোদির নতুন চাল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনীতিতে এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন যেগুলো যতটা না সরকার পরিচালনা, তাঁর চেয়ে বেশি নিজের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের কৌশল বলে মনে হয়। সাম্প্রতিক ওয়াক্‌ফ সংশোধনী বিল তাঁর সর্বশেষ চেষ্টার একটি দৃষ্টান্ত। এর সাংবিধানিক তাৎপর্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর রাজনৈতিক ইঙ্গিতও গভীর।

4

পাহাড়ে আবার নতুন চক্রান্ত

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তবে এ এলাকার মানুষ কাক্সিক্ষত শান্তি ও সমৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত। এর পেছনে রয়েছে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। ১২ এপ্রিল মুদ্রিত একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান শিরোনাম হলো-

1

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের গন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর রীতিমত দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসাবেই নিজেকে জাহির করতে শুরু করেছেন। নতুন মার্কিন প্রশাসন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে গণহারে ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে সরকারি নথিপত্রে ।

2

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

1

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

1

স্বাগত মাহে রমযান

রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাস পবিত্র রমযানুল করিম সমাগত। আহলান্ সাহলান্ মাহে রমযান। মুসলিমদের কাছে এই ।

1

ইসরায়েলিরারা যে কারণে গাজার শিশুদের হত্যা করছে

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থ ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১শ’ শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল।

2

ফিলিস্তিনে ট্রাম্পের ভূমিকা মুসোলিনি-হিটলারের মতো

বর্তমানে গাজায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি চলছে। সেই জায়গায় আরব দেশগুলোর একটা শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান অনেকের মতো আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তো দূরের কথা, কোনোভাবেই আলাদাভাবে শুধু কয়েকটি দেশ ছাড়া সৌদি আরব, কাতারসহ অনেক দেশ এ জায়গায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করছে না। এটা দুঃখজনক ব্যাপার।

1

যন্ত্র সৈনিক-রোবোটিকস প্রযুক্তি শিল্পের সফল যাত্রা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ—এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। জাতীয় নীতিমালা, দক্ষ জনবল, অবকাঠামো, শিক্ষা-গবেষণা ও উদ্ভাবন, বাজার তৈরি, যথাযথ অর্থায়ন এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন–আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত বাস্তবায়ন সম্ভব। আর একুশ শতকের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির এ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ধরে জাতির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ প্রচেষ্টায় দেশের আইটি সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।