editorialbd-logo

সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে

জনগণ এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছে না—দলগুলোর অবস্থান তাদের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে কতটা মেলে এবং কোন দল সত্যিকারে দেশের শাসনক্ষমতা নিয়ে একটি সম্ভাবনাময় সরকার গঠন করতে পারবে। তবে অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বেশির ভাগ মানুষ এখনো দলগত সমর্থনে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জনগণ তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-পাওয়ার উপাদানগুলোকে দলগুলোর সঙ্গে মেলাতে চেষ্টা করছে।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কি টিকবে

এরপর উভয় পক্ষ থেকে চুক্তিভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এলেও এখনো তা বহাল আছে। গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ৪৭ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই সংখ্যা ৮০–এর বেশি।

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগ

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কোনো দেশ কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষা দেয়। তাই থিংকট্যাংকগুলোর এ নিয়ে গবেষণা করা এবং সরকারকে পরামর্শ দেয়া উচিত, যাতে সামগ্রিকভাবে জাতি হিসেবে আমরা উন্নত হতে পারি এবং প্রতিরক্ষা, পানিসম্পদ ও নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। তিনি ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ (এফএসডিএস) নামে গবেষণাধর্মী নতুন একটি ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরো বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য সুশাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় স্থিতিশীলতা অর্জনে সঠিক গবেষণাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহায়তা দেবো যাতে এটি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস জাতীয় ঐক্যের ভিত সুদৃঢ় হোক

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয় এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। অসংখ্য মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ছিলাম এক অন্ধকার ও নৈরাজ্যের যুগে

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ঐক্য

আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন করবে। যে কোনো জাতির জীবনেই স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। শুধু মানুষ নয়, কোনো প্রাণিই স্বাধীনতা হীনতায় বাঁচতে চায় না।

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

জনগণ এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছে না—দলগুলোর অবস্থান তাদের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে কতটা মেলে এবং কোন দল সত্যিকারে দেশের শাসনক্ষমতা নিয়ে একটি সম্ভাবনাময় সরকার গঠন করতে পারবে। তবে অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বেশির ভাগ মানুষ এখনো দলগত সমর্থনে স্থায়ী বা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জনগণ তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়া-পাওয়ার উপাদানগুলোকে দলগুলোর সঙ্গে মেলাতে চেষ্টা করছে।

হাসিনা আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ধর্মচর্চার সুযোগ পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল কিংবা কোরআন তিলওয়াতের মতো কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা পেয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন, এমনটি নয়। তারা নিজেরাই অতি-উৎসাহের সঙ্গে এসব সিদ্ধান্ত নিতেন। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের মানসিক নিপীড়নের সঙ্গে শুধু চিহ্নিত আওয়ামী শিক্ষকরা এমন আচরণ করছেন, তা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি শিক্ষকরা একই কাজ করেছেন।

গাজা নিয়েও বিপদে ভারতীয় মুসলমান

হিন্দুত্ববাদীরা মুসলমানদের ‘অপর’ হিসেবে উপস্থাপনের পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রধান প্রধান হিন্দু উৎসব এখন বার্ষিক ভিত্তিতে আধিপত্য প্রদর্শনের অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। সমাজের অগোচরেই ধর্মীয় ভক্তির ভাষা ঘৃণার ভাষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। বহু বছরের চেষ্টায় ‍হিন্দুত্ববাদীরা সমাজে এই পরিবর্তন এনেছে। তারা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে এখন ক্ষোভ আর বিদ্বেষের মঞ্চে পরিণত করেছে।

জুলাই সনদ নিয়ে বিপরীতধর্মী অবস্থান

চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি জনপ্রিয়, অথচ নেহাত নির্বিষ আন্দোলন কীভাবে এত অল্প সময়ে দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল এবং সব শ্রেণির মানুষকে এতে যুক্ত করে ফেলল, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হবে।

তালেবানকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত

ভারতের কর্মকর্তারা খুবই সতর্ক ছিলেন। মুত্তাকিকে তারা ‘আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তালেবান সরকারের নাম তারা একবারও নেননি। বৈঠকের কক্ষে অফিশিয়াল পতাকাও ছিল না। পুরোনো আফগান প্রজাতন্ত্রের পতাকা বা তালেবানদের সাদা ব্যানার—কোনোটাই সেখানে ছিল না।

জুলাই বিপ্লব, ডাকসু এবং ভারতের খুশি–অখুশি

জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো ছিল খুবই স্পষ্ট—যদিও সেটির উত্থান ছিল কোটা সংস্কার দিয়ে। তবে এই কোটা সংস্কারের মূলে আরো অনেক সংস্কার ছিল, যা পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দাবি হয়ে উঠে আসতে থাকে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, দখলদারিত্ব, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ছিল এ আন্দোলনের নেপথ্য আকাঙ্ক্ষা। সেই স্রোতের মধ্যে দেখা যায়, তরুণদের ভেতর থেকে এক ধরনের ‘জাতীয় আত্মমর্যাদা’র আবার আবিষ্কার। এটি শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়; বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের চাপ ও প্রভাবের বিরুদ্ধেও একটি সোজা ‘না’ বলা।

প্রশাসন ও পুলিশের দুর্বল অবস্থার কারণে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখি

জুলাই সনদ স্বাক্ষর, আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনে জোট গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের।

বালু লুটের মহোৎসব

এখনো রাতের আঁধারে নদীতে ইজারাবহির্ভূত স্টিলবডির নৌকা দিয়ে নিয়মিত চলছে বালু লুট। জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা শ্যালো ও পরিবেশবিধ্বংসী বোমা মেশিন ব্যবহার করে অবাধে বালু উত্তোলন করার ফলে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশ্রয়ণ প্রকল্প, বসতবাড়ি, ফসলি জমি এবং রাস্তাঘাটসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং সরকার হারাচ্ছে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব।

ইসলামপন্থীদের আনুকূল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে

আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে আগ্রহী না। তবে যদি দলীয় বিবেচনায় এবং জাতীয় প্রয়োজনে নির্বাচন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে আমি নির্বাচন করব।

সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ হয়তো দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হবে

আমরা যে ধরনের নিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক মানুষ চাইছি, সে ধরনের মানুষ খুঁজে বের করা এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতেও সময় লাগছে। আবার যারা রাজপথে আছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। প্রথম থেকেই আমাদের কথা ছিল রাজপথেও আমাদের শক্তি থাকবে, আবার সরকারের ভেতরেও থাকবে।

আমাদের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র বেশি দিন আর টিকবে না

চব্বিশের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টার তিনটি দিক আছে—একজন মানুষ হিসেবে, একজন শিক্ষক হিসেবে ও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব। চব্বিশের জুলাইয়ে আমি ও আমাদের যে সহকর্মীরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আমার মনে হয়, তাঁরা এই তিন বিবেচনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তখন আসলে আমরা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

সাক্ষাৎকার : আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির নির্বাচনের আয়োজন হতে হবে জুলাই সনদের অধীনে

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানকে রেখে দেয়া কারো জন্য নিরাপদ নয়। জুলাই সনদের মধ্যে সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জুলাই সনদকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হলো জনগণের অভিপ্রায়ের মাধ্যমে গঠিত সরকার।

বাংলাদেশের ওপর শুল্কঝড়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র–চীনের প্রতিযোগিতা

বরাবরের মতোই এবারও আমরা একটা দ্বিধাগ্রস্ত মনোভঙ্গি দেখতে পেলাম। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার একটা প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আছে। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র এখন যে গুরুত্ব দিয়ে তার এই শুল্ক প্রকল্প নিয়ে সামনে এগোচ্ছে, আমরা ঠিক সেই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টাকে দেখিনি। পত্রপত্রিকার খবরে দেখেছি, সরকারের একটা ধারণা ছিল, এটা এক বছর পিছিয়ে যাবে, আমরা সময় পাব; কাজেই অতটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর প্রধান কারণ দুটি।

তত্ত্বাবধায়কের গঠন পদ্ধতিতে রাজি হয়নি বিএনপি-জামায়াত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে ফর্মুলা ঐকমত্য কমিশন দিয়েছে, তাতে রাজি হয়নি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলই চায় প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবে। তা সম্ভব না হলে আগের নিয়মে সাবেক প্রধান বিচারপতি হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

1

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কি টিকবে

এরপর উভয় পক্ষ থেকে চুক্তিভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এলেও এখনো তা বহাল আছে। গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই ৪৭ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই সংখ্যা ৮০–এর বেশি।

2

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ : ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বাস্তবায়ন কাম্য

তবে এ প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জও কম নয়। সুপারিশে গণভোট আয়োজনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রয়েছে, যা ইতোমধ্যে কিছু মহলে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, এমন একটি সিদ্ধান্ত দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। কিছু দল আবার স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে সুপারিশে নতুন কিছু যুক্ত করার অভিযোগও তুলেছে। এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রয়োজন হবে অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতা। তাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি সর্বজনীন হয় এবং কোনো পক্ষ যেন কোণঠাসা অনুভব না করে। ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছিল বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাই সনদের বাস্তবায়ন যেন সেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়।

3

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলি কতক্ষণ টিকবে

পাকিস্তান যেন ভূরাজনীতির হাওয়া ঠিকঠাক ধরতে পেরেছে। গত মাসে পাকিস্তান সৌদি আরবের সঙ্গে এক প্রতিরক্ষাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সাহসী চুক্তিতে বলা হয়েছে, একজনের ওপর আক্রমণ উভয়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে।

4

গাঠনিক ক্ষমতাই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ

এই ঐতিহাসিক সমঝোতা বাস্তবায়নের পথে চ্যালেঞ্জ আছে। প্রথমত, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিভিন্ন প্রস্তাবে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কয়েকটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি। তৃতীয়ত, সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান বিষয়ে দ্বিধাবিভক্তি আছে। চতুর্থত, গণভোটের রূপরেখা নিয়ে আছে মতান্তর। কী প্রশ্ন করা হবে, কতটি প্রশ্ন থাকবে, এর ব্যাখ্যা কী হবে—এসব নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ভয়ানক অপপ্রচার চলছে

প্রফেসর ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে একটা ভয়ানক অপপ্রচার চলছে। কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, শাতানিয়াহুর বক্তৃতার সময় প্রফেসর ইউনূস, তাসনীম জারা, আখতার হোসেন ও মির্জা ফখরুল ওয়াকআউট না করে বসে বসে বক্তৃতা শুনেছে।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের প্রেডিকশন

এই নির্বাচন শেষ পর্যন্ত বাঙ্গু স্যেকুলার এস্টাব্লিশমেন্ট হতে দেবে কিনা শেষ পর্যন্ত এটাই দুশ্চিন্তা।

পিনাকী ভট্টাচার্য ১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না

‘১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না। ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার অভিমুখে যেই মহাপুরুষই আসুক বা আসার চেষ্টা করুক, পরিণতি ভালো হবে না। মাইন্ড ইট। ঢাকা শহরকে আরেকটা যুদ্ধক্ষেত্র বানাইয়েন না। মেহেরবানি করে।’

বসু আবার বলবে নাতো- খেলবো না?

মেঘমল্লার বসু আর সাদিক কাইউম ডাকসুতে ভিপি ইলেকশন করুক।

মিজানুর রহমান আজহারী সকল জুলুমের অবসান হোক! মুক্তি পাক সকল মজলুম

‘হে আল্লাহ, আমাদের এই দেশকে আপনি হেফাজত করুন। সকল স্বৈরাচার থেকে হেফাজত করুন, আমিন।’ ‘ইনশাল্লাহ, এই দেশ থেকে জুলুমের অবসান হবে’, লিখেছেন অপর একজন মন্তব্যকারী।

পাঁচ দশকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশে ১৯৭৬ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর পর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায়। সে হিসাবে পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ব্যবধানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বে-টার্মিনাল নির্মাণ ২৬৭ একর সংরক্ষিত বন চায় চট্টগ্রাম বন্দর, বন বিভাগের আপত্তি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনাল। চলতি বছরই এর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর কথা রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার একরের ওপর টার্মিনালটির নকশা করা হলেও ২৬৭ একর জমির মালিক বন বিভাগ।

ঐকমত্যে আটকে আছে জনপ্রশাসন সংস্কার কার্যক্রম

আমলাতন্ত্রকে অতিমাত্রায় দলীয়করণের মধ্য দিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে গড়ে তোলা হয় পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন। তার ওপর ভর করেই দীর্ঘায়িত হয় তাদের শাসনকাল। তাই এ প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। নানা বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চার মাস পর তাদের প্রতিবেদন জমা পড়ে। সরকারকে জনমুখী করতে জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। তবে এখনো বৃহৎ পরিসরে সেগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এমনকি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি

২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার।

শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংস হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল

এতো বছর আমরা একটা জালিম শাসনের অধীনে ছিলাম। উনি (হাসিনা) এতো বছর ধরে পিলখানায় শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংসহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই করেছেন। আমরা তো পিলখানায় ছিলাম, অনেক সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। কেউ জেলে আছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, বিচার। কারণ নিরপরাধ সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে।

1

নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারিতেই, সম্ভব হলে আরও আগে

জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হবে কি না, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না; কিন্তু বর্তমান সময়ের রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনের ‘খেলার’ এক ঘুঁটিতে পরিণত হয়েছে এই ইস্যু। তাই ঘুঁটি নয়; বরং ‘খেলাটা’ নিয়ে আলোচনা করা এবং বোঝা জরুরি।

2

বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেন মক্কেলতন্ত্রের জন্ম হয়

৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এ দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে পারেনি। এ পরিস্থিতিকে কেউ কেউ ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যারি ব্লেয়ার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ নামে দীর্ঘ নিবন্ধও লিখেছেন।

3

রাজনৈতিক কর্মসূচি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ করতে হবে

চার ইউনিয়নের বিএনপির সম্মেলনের জন্য মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনের জন্য একই আঙিনায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠান বক্সগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ আলিম মাদ্রাসা ও বক্সগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল।

4

হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী

মাঠ ঘুরে এলাম ৯ থেকে ১০ দিন। রাজশাহী শহর, শহরসংলগ্ন উপকণ্ঠ এবং গ্রাম। সরেজমিন দেখলাম, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মীরা কেমন আছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ হলো। নেতাদের দেখা পাইনি। কর্মী আর সমর্থকদের পেলাম। নেতারা বেশির ভাগ দেশছাড়া। অধিকাংশই ভারতে। পলাতক নেতারা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজখবর নেন। কিন্তু তাঁরা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, সেই সম্পর্কে কিছুই জানান না। শুধু কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

1

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের গন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর রীতিমত দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসাবেই নিজেকে জাহির করতে শুরু করেছেন। নতুন মার্কিন প্রশাসন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে গণহারে ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে সরকারি নথিপত্রে ।

2

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

1

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

1

স্বাগত মাহে রমযান

রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাস পবিত্র রমযানুল করিম সমাগত। আহলান্ সাহলান্ মাহে রমযান। মুসলিমদের কাছে এই ।

1

ইসরায়েলিরারা যে কারণে গাজার শিশুদের হত্যা করছে

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থ ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১শ’ শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল।

2

ফিলিস্তিনে ট্রাম্পের ভূমিকা মুসোলিনি-হিটলারের মতো

বর্তমানে গাজায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি চলছে। সেই জায়গায় আরব দেশগুলোর একটা শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান অনেকের মতো আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তো দূরের কথা, কোনোভাবেই আলাদাভাবে শুধু কয়েকটি দেশ ছাড়া সৌদি আরব, কাতারসহ অনেক দেশ এ জায়গায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করছে না। এটা দুঃখজনক ব্যাপার।

1

যন্ত্র সৈনিক-রোবোটিকস প্রযুক্তি শিল্পের সফল যাত্রা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ—এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। জাতীয় নীতিমালা, দক্ষ জনবল, অবকাঠামো, শিক্ষা-গবেষণা ও উদ্ভাবন, বাজার তৈরি, যথাযথ অর্থায়ন এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন–আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত বাস্তবায়ন সম্ভব। আর একুশ শতকের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির এ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ধরে জাতির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ প্রচেষ্টায় দেশের আইটি সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।