editorialbd-logo

পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির আলাপ, কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিবাচক যাত্রা

বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা জাগছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক- উভয় বিষয়ে দুই দেশের বহু ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার সুযোগ আছে। যেসব পণ্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দেশটি থেকে সস্তায় পাবো, সেটি আমরা সেখান থেকে কিনব, তারাও আমাদের কাছ থেকে কিনবে।

ট্যাগিংয়ের রাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন

সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন শব্দ যুক্ত হয়েছে। তা হলো- ‘গুপ্ত রাজনীতি’। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনের ভেতরের কৌশল, বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির অবদান ইত্যাদি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এই ‘গুপ্ত’ শব্দটিও রাজনীতিতে আসতে থাকে।

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে যেভাবে চাঁদাবাজি হলো

মানুষ বলে, সব যুদ্ধ শেষ হয় আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু সাধারণত আক্রমণকারী রাষ্ট্র এমন জমি দাবি করে না যেটা তার দখলে নেই। যুদ্ধের সময় যা দখল হয়েছে, সেটা রাখা হবে নাকি ফেরত দেওয়া হবে, সাধারণত সেটিই আলোচনায় থাকে। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় এমন ভূখণ্ড দাবি করেছেন, যেটা তাঁর সেনারা সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ করেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগ

প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির আন্তঃসংযোগের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কোনো দেশ কার্যকর পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে পারে না। ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষা দেয়। তাই থিংকট্যাংকগুলোর এ নিয়ে গবেষণা করা এবং সরকারকে পরামর্শ দেয়া উচিত, যাতে সামগ্রিকভাবে জাতি হিসেবে আমরা উন্নত হতে পারি এবং প্রতিরক্ষা, পানিসম্পদ ও নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। তিনি ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ (এফএসডিএস) নামে গবেষণাধর্মী নতুন একটি ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরো বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য সুশাসন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় স্থিতিশীলতা অর্জনে সঠিক গবেষণাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহায়তা দেবো যাতে এটি দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস জাতীয় ঐক্যের ভিত সুদৃঢ় হোক

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয় এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। অসংখ্য মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ছিলাম এক অন্ধকার ও নৈরাজ্যের যুগে

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিবিসি খ্যাত সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।

মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ঐক্য

আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দিবস পালন করবে। যে কোনো জাতির জীবনেই স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। শুধু মানুষ নয়, কোনো প্রাণিই স্বাধীনতা হীনতায় বাঁচতে চায় না।

তাঁরা কারা হবেন? কোন বিশেষ যোগ্যতা তাঁদের? কেন তাঁরাই থাকবেন দলগুলোর পছন্দের তালিকায়? জনসমাজে কী কথা বলা হয় তাঁদের সম্পর্কে?

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ে আজ কথা বলা মানেই এক সূক্ষ্ম, কিন্তু জরুরি ঝুঁকি নেওয়া। এসব প্রতিষ্ঠান এমন এক ছায়াজগতের প্রতিনিধি, যাদের কার্যক্রম চোখে দেখা যায় না, কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার এমনকি ব্যক্তি জীবনেও তারা গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই এই সংস্থাগুলোর সংস্কার এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং এটি এক মৌলিক জাতীয় নিরাপত্তা প্রয়োজন।

ভারতে অবস্থানরত বর্তমান ‘দালাই লামা’ হলেন তিব্বতি বৌদ্ধ গুরুর পাশাপাশি তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান হওয়ার দাবিদার। তার প্রকৃত নাম তেনজিন গিয়াৎসো। তিনি তিব্বতিদের চতুর্দশ দালাই লামা। এটি একটি ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক পদ, যা তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিক নেতা ও শাসকদের প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমান দালাই লামার প্রকৃত নাম তেনজিন গিয়াৎসো। তিনি ১৯৪০ সালে চতুর্দশ দালাই লামা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৯৫৯ সালে তিব্বতে চীনা অভিযানের পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।

জুলাই সনদ : আপত্তি-বিপত্তি

ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা জুলাই সনদ নিয়ে আপত্তি ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। স্পষ্টত তিনটি দফায় আপত্তি আছে বিএনপির। এগুলো হচ্ছে- দুই, তিন ও চার নম্বর দফা। সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় বেশ কিছু অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। বিএনপির সর্বশেষ নীতিনির্ধারণী সভায় এসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে ঐকমত্য কমিশনকে জানাবে।

পরমতসহিষ্ণুতা : সভ্য রাজনীতির অপরিহার্য শর্ত

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে যে অশালীন স্লোগান ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের একটি উদ্বেগজনক চিত্র। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষার আসরে, যেখানে যুক্তি, জ্ঞান ও ভদ্রতাকে সর্বাধিক স্থান দেয়ার কথা, সেখানে অশ্রাব্য ও অপমানজনক স্লোগান উচ্চারণ শুধু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে না; বরং প্রজন্মের জন্যও একটি ভুল উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।

নির্বাচনে ইইউর কারিগরি সহায়তা প্রসঙ্গে

গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার ইইউর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে বৈঠক করে এই সহায়তার ঘোষণা দেয়। রাষ্ট্রদূত মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে রূপান্তরে ইইউ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।’ তিনি ভোটার শিক্ষা, কার্যকর পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তির মতো ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সহায়তার উল্লেখ করেন। এছাড়া, আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর সম্ভাবনাও তিনি উল্লেখ করেছেন, যা অন্তর্বর্তী সরকার ও ইসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। ইইউর সাথে ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্র্যাসির বিশেষজ্ঞরাও এতে জড়িত, যারা নাগরিক পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছেন।

শেখ হাসিনার দুঃশাসন ও বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি

কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায় এই ট্রানজিট দিয়ে কি বাংলাদেশ সত্যিই সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক বা দুবাইয়ের মতো সমৃদ্ধ হয়েছে? সোজা উত্তর—না, হয়নি। বরং, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার (৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ‘ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার ফলে ১৬ বছরে বাংলাদেশ আয় করেছে মাত্র ৩৭ লাখ টাকা, অথচ কেবল ট্রানজিটের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যয়েই খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।’ অর্থাৎ, যে ট্রানজিটকে উন্নয়নের সোনার হরিণ বলা হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিশাল আর্থিক ক্ষতি এবং জাতীয় স্বার্থ বিসর্জনের প্রতীক।

ইসলামপন্থীদের আনুকূল্য নিয়েই বিএনপিকে চলতে হবে

আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতে আগ্রহী না। তবে যদি দলীয় বিবেচনায় এবং জাতীয় প্রয়োজনে নির্বাচন করতে হয়, সে ক্ষেত্রে আমি নির্বাচন করব।

সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিস্ট কাঠামো বিলোপ হয়তো দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হবে

আমরা যে ধরনের নিরপেক্ষ দেশপ্রেমিক মানুষ চাইছি, সে ধরনের মানুষ খুঁজে বের করা এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতেও সময় লাগছে। আবার যারা রাজপথে আছেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। প্রথম থেকেই আমাদের কথা ছিল রাজপথেও আমাদের শক্তি থাকবে, আবার সরকারের ভেতরেও থাকবে।

আমাদের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র বেশি দিন আর টিকবে না

চব্বিশের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টার তিনটি দিক আছে—একজন মানুষ হিসেবে, একজন শিক্ষক হিসেবে ও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব। চব্বিশের জুলাইয়ে আমি ও আমাদের যে সহকর্মীরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আমার মনে হয়, তাঁরা এই তিন বিবেচনা দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তখন আসলে আমরা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

সাক্ষাৎকার : আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির নির্বাচনের আয়োজন হতে হবে জুলাই সনদের অধীনে

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানকে রেখে দেয়া কারো জন্য নিরাপদ নয়। জুলাই সনদের মধ্যে সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জুলাই সনদকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার হলো জনগণের অভিপ্রায়ের মাধ্যমে গঠিত সরকার।

বাংলাদেশের ওপর শুল্কঝড়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র–চীনের প্রতিযোগিতা

বরাবরের মতোই এবারও আমরা একটা দ্বিধাগ্রস্ত মনোভঙ্গি দেখতে পেলাম। দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার একটা প্রবণতা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আছে। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র এখন যে গুরুত্ব দিয়ে তার এই শুল্ক প্রকল্প নিয়ে সামনে এগোচ্ছে, আমরা ঠিক সেই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টাকে দেখিনি। পত্রপত্রিকার খবরে দেখেছি, সরকারের একটা ধারণা ছিল, এটা এক বছর পিছিয়ে যাবে, আমরা সময় পাব; কাজেই অতটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর প্রধান কারণ দুটি।

তত্ত্বাবধায়কের গঠন পদ্ধতিতে রাজি হয়নি বিএনপি-জামায়াত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে ফর্মুলা ঐকমত্য কমিশন দিয়েছে, তাতে রাজি হয়নি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলই চায় প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবে। তা সম্ভব না হলে আগের নিয়মে সাবেক প্রধান বিচারপতি হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

ট্রেন অলরেডি লাইনের বাইরে চলে গেছে

আমার প্রশ্ন হলো, বৃদ্ধি হবে না কেন? খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন আছে। আইনের উদ্দেশ্য হলো অপরাধীকে সাজা দেওয়া, যাতে অপরাধীরা অপরাধগুলো না করতে পারে। আইনের প্রয়োগ হলে অপকর্মগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

আমলাতন্ত্র ও রাজনীতির পুরোনো ধারাই শক্তিশালী হয়েছে

গত বছর জুলাইয়ে শুরু হওয়া গণ-অভ্যুত্থানে উমামা ফাতেমা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময় এই সংগঠনের মুখপাত্র হলেও সম্প্রতি সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, জুলাইয়ের চেতনা ও ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনজুরুল ইসলাম।

1

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে যেভাবে চাঁদাবাজি হলো

মানুষ বলে, সব যুদ্ধ শেষ হয় আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু সাধারণত আক্রমণকারী রাষ্ট্র এমন জমি দাবি করে না যেটা তার দখলে নেই। যুদ্ধের সময় যা দখল হয়েছে, সেটা রাখা হবে নাকি ফেরত দেওয়া হবে, সাধারণত সেটিই আলোচনায় থাকে। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় এমন ভূখণ্ড দাবি করেছেন, যেটা তাঁর সেনারা সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ করেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

2

নুরেমবার্গ থেকে ঢাকা: স্বীকারোক্তির আয়নায় স্বৈরাচার

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সবচেয়ে দুরূহ অধ্যায়টি হলো শীর্ষ নেতৃত্বের ‘অভিপ্রায়’ বা অপরাধমূলক উদ্দেশ্য প্রমাণ করা। রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারের শীর্ষ নির্বাহীরা সাধারণত সরাসরি হত্যার আদেশে স্বাক্ষর করেন না; বরং তাঁদের নির্দেশাবলি প্রায়ই প্রতীকী, অলিখিত বা গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা থাকে। ফলে নুরেমবার্গ থেকে হেগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালতগুলোকে প্রায়ই ‘সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স’, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য এবং বিক্ষিপ্ত নথিপত্র একত্র করে একটি অখণ্ড চিত্র নির্মাণ করতে হয়েছে।

3

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার ঠেকাতে হবে

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত একবছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কাক্সিক্ষত উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এর ফলে দেশের মানুষ চরম বিপাকে। একে সুযোগ হিসেবে ঢাকা-কোলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী ইউটিউভাররা যা ইচ্ছা তা তৈরি করে ছড়াচ্ছে, যা মুহূর্তেই ভাইরালও হয়ে যাচ্ছে।

4

সিরিয়ায় ‘ব্যর্থ’ আল-শারা, নির্বাচন কি শাপে বর হবে

মার্চ মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত গোষ্ঠীগুলো লাতাকিয়া ও টারতুস উপকূলীয় অঞ্চলে সরকারি বাহিনী এবং মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক; ১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের প্রেডিকশন

এই নির্বাচন শেষ পর্যন্ত বাঙ্গু স্যেকুলার এস্টাব্লিশমেন্ট হতে দেবে কিনা শেষ পর্যন্ত এটাই দুশ্চিন্তা।

পিনাকী ভট্টাচার্য ১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না

‘১৫ আগস্টে কোনো শোক মিছিল করতে দেওয়া হবে না। ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার অভিমুখে যেই মহাপুরুষই আসুক বা আসার চেষ্টা করুক, পরিণতি ভালো হবে না। মাইন্ড ইট। ঢাকা শহরকে আরেকটা যুদ্ধক্ষেত্র বানাইয়েন না। মেহেরবানি করে।’

বসু আবার বলবে নাতো- খেলবো না?

মেঘমল্লার বসু আর সাদিক কাইউম ডাকসুতে ভিপি ইলেকশন করুক।

মিজানুর রহমান আজহারী সকল জুলুমের অবসান হোক! মুক্তি পাক সকল মজলুম

‘হে আল্লাহ, আমাদের এই দেশকে আপনি হেফাজত করুন। সকল স্বৈরাচার থেকে হেফাজত করুন, আমিন।’ ‘ইনশাল্লাহ, এই দেশ থেকে জুলুমের অবসান হবে’, লিখেছেন অপর একজন মন্তব্যকারী।

পিনাকী ভট্টাচার্যের ইংরেজী ভার্সন ভিডিও আসছে

আমার ইংরেজি চ্যানেলের প্রথম ভিডিও। এটা আমার আলাদা চ্যানেল। এইখানে শুধু ইংরেজি কন্টেন্ট

পাঁচ দশকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশে ১৯৭৬ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পর পর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায়। সে হিসাবে পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ব্যবধানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বে-টার্মিনাল নির্মাণ ২৬৭ একর সংরক্ষিত বন চায় চট্টগ্রাম বন্দর, বন বিভাগের আপত্তি

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) মেগা প্রকল্প বে-টার্মিনাল। চলতি বছরই এর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর কথা রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার একরের ওপর টার্মিনালটির নকশা করা হলেও ২৬৭ একর জমির মালিক বন বিভাগ।

ঐকমত্যে আটকে আছে জনপ্রশাসন সংস্কার কার্যক্রম

আমলাতন্ত্রকে অতিমাত্রায় দলীয়করণের মধ্য দিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে গড়ে তোলা হয় পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন। তার ওপর ভর করেই দীর্ঘায়িত হয় তাদের শাসনকাল। তাই এ প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। নানা বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চার মাস পর তাদের প্রতিবেদন জমা পড়ে। সরকারকে জনমুখী করতে জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। তবে এখনো বৃহৎ পরিসরে সেগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এমনকি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

শিল্পে বছরের পর বছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগেও সাড়া মেলেনি

২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে অর্থায়নের উৎস ও পণ্য উৎপাদন বিষয়ে বিনা প্রশ্নে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল সরকার।

শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংস হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল

এতো বছর আমরা একটা জালিম শাসনের অধীনে ছিলাম। উনি (হাসিনা) এতো বছর ধরে পিলখানায় শহীদ সেনা অফিসারদের নৃশংসহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাই করেছেন। আমরা তো পিলখানায় ছিলাম, অনেক সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। কেউ জেলে আছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, বিচার। কারণ নিরপরাধ সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে।

1

বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেন মক্কেলতন্ত্রের জন্ম হয়

৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এ দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হতে পারেনি। এ পরিস্থিতিকে কেউ কেউ ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যারি ব্লেয়ার ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে ‘বাংলাদেশ প্যারাডক্স’ নামে দীর্ঘ নিবন্ধও লিখেছেন।

2

রাজনৈতিক কর্মসূচি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ করতে হবে

চার ইউনিয়নের বিএনপির সম্মেলনের জন্য মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনের জন্য একই আঙিনায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠান বক্সগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, বক্সগঞ্জ আলিম মাদ্রাসা ও বক্সগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল।

3

হাসিনার পতনে গ্রামেগঞ্জে প্রভাব ও আওয়ামী কর্মীদের ভাবনা কী

মাঠ ঘুরে এলাম ৯ থেকে ১০ দিন। রাজশাহী শহর, শহরসংলগ্ন উপকণ্ঠ এবং গ্রাম। সরেজমিন দেখলাম, স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মীরা কেমন আছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ হলো। নেতাদের দেখা পাইনি। কর্মী আর সমর্থকদের পেলাম। নেতারা বেশির ভাগ দেশছাড়া। অধিকাংশই ভারতে। পলাতক নেতারা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজখবর নেন। কিন্তু তাঁরা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, সেই সম্পর্কে কিছুই জানান না। শুধু কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

4

জাতীয় উন্নয়নে নির্মোহ শাসক প্রয়োজন

পৃথিবীতে যত দেশ উন্নয়নের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে সেসব দেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- দেশের উন্নয়নে যত না জনগণের অবদান, তার চাইতে বেশি অবদান একজন নির্মোহ শাসকের। একজন সৎ, যোগ্য, আমানতদার শাসক।

1

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের গন্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর রীতিমত দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসাবেই নিজেকে জাহির করতে শুরু করেছেন। নতুন মার্কিন প্রশাসন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে গণহারে ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে সরকারি নথিপত্রে ।

2

কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের

বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।

1

দূষণে কমে আসছে ইলিশের উৎপাদন

উপযোগী আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদন হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে স্রোতশীল নদীতে আসে ইলিশ।

1

স্বাগত মাহে রমযান

রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির মাস পবিত্র রমযানুল করিম সমাগত। আহলান্ সাহলান্ মাহে রমযান। মুসলিমদের কাছে এই ।

1

ইসরায়েলিরারা যে কারণে গাজার শিশুদের হত্যা করছে

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থ ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১শ’ শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল।

2

ফিলিস্তিনে ট্রাম্পের ভূমিকা মুসোলিনি-হিটলারের মতো

বর্তমানে গাজায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি চলছে। সেই জায়গায় আরব দেশগুলোর একটা শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান অনেকের মতো আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তো দূরের কথা, কোনোভাবেই আলাদাভাবে শুধু কয়েকটি দেশ ছাড়া সৌদি আরব, কাতারসহ অনেক দেশ এ জায়গায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করছে না। এটা দুঃখজনক ব্যাপার।

1

যন্ত্র সৈনিক-রোবোটিকস প্রযুক্তি শিল্পের সফল যাত্রা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ—এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। জাতীয় নীতিমালা, দক্ষ জনবল, অবকাঠামো, শিক্ষা-গবেষণা ও উদ্ভাবন, বাজার তৈরি, যথাযথ অর্থায়ন এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন–আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত বাস্তবায়ন সম্ভব। আর একুশ শতকের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির এ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় ধরে জাতির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ প্রচেষ্টায় দেশের আইটি সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।