‘বাংলাদেশ/মিয়ানমার: রোহিঙ্গা বিদ্রোহের ঝুঁকি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’ (আইসিজি)। গত বুধবার প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বাংলাদেশে শরণার্থীশিবিরের চলমান অবস্থা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশঙ্কা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ, আরাকান আর্মিসহ সব পক্ষের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুই পর্বের লেখার আজ শেষ পর্ব প্রকাশিত হলো।
আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধী চক্র। ধর্মের নামে নানা বক্তব্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এক দিকে রোহিঙ্গাদের থেকে নিজেদের সদস্য সংগ্রহ করছে, অন্যদিকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিদ্রোহের উসকানি দিচ্ছে।
বিদেশি তহবিল ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার প্রভাব
মাস কয়েক আগেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার অর্থায়ন দৃঢ় ও স্থিতিশীল ছিল। ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যে বার্ষিক অর্থসহায়তার আবেদন করেছিল, তা সাধারণত লক্ষ্যমাত্রার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ হতো। এটা অন্যান্য অনেক মানবিক আবেদনের তুলনায় অনেক বেশি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৭০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল।
কিন্তু গত কয়েক বছরে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও মানবিক সংকট বেড়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গা সংকটের জন্য অর্থ সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২৪ সালে প্রতিশ্রুত তহবিল কমে দাঁড়ায় ৫৫ কোটি ডলারে, যা লক্ষ্যের মাত্র ৬৫ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার নিজেদের নীতিতে পরিবর্তন আনে এবং ধীরে ধীরে সহায়তা সংস্থাগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় নতুন প্রকল্প শুরুর অনুমতি দিতে শুরু করে। যেমন আরও টেকসই আবাসন এবং জীবিকা অর্জনের সুযোগ তৈরি করা।
এ বছর আচমকা এই তহবিলেও ব্যাপক টান পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে প্রথমে আন্তর্জাতিক সহায়তা তহবিল সাময়িকভাবে স্থগিত করেন, পরে ব্যাপক কাটছাঁট করা হয়। এরই মধ্যে কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরের ওপর ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের গভীর প্রভাব পড়েছে; রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অর্ধেকেরও বেশি অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আসত।
তহবিল কাটছাঁটের প্রভাবে শরণার্থীশিবিরে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে শুরু করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা—প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম হয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, না হয় উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত করা হয়েছে। আশ্রয়শিবিরে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওগুলো বহু রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের ছাঁটাই করেছে। ফলে শরণার্থীদের জন্য আয়ের দুর্লভ উৎসও বন্ধ হয়ে গেছে।
যদিও মার্চের শেষ দিকে খাদ্যসহায়তায় বড় ধরনের কাটছাঁট অল্পের জন্য এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যে তহবিল নিশ্চিত হয়েছে, তা দিয়ে কেবল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সহায়তা বিশেষ করে খাদ্যসহায়তা কমে যাওয়ায় শরণার্থীদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হবে। পরিবার ও নিজেদের টিকিয়ে রাখতে তরুণ পুরুষদের জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠী বা অপরাধী চক্রে যোগ দেওয়া একটি অবলম্বন হয়ে উঠতে পারে।
এ ছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে নারীদের, এমনকি কিশোরী মেয়েদের বিয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর্থিক চাপের কারণে পারিবারিক হতাশা বাড়তে থাকায় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনাও বাড়ছে। উপার্জনক্ষম পুরুষেরা তাঁদের সঙ্গীদের শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন।
একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্রাইসিস গ্রুপকে বলেন, শিবিরে অনেক তরুণই শিক্ষা বা কাজের মধ্যে নেই। যারা তাদের টাকা, ক্ষমতা ও সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা তাদের জন্যই কাজ করবে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এখন ঠিক এ সুযোগই নিচ্ছে। এ কারণেই অনেক নিরক্ষর ও বেকার তরুণ তাদের দলে যোগ দিচ্ছে, যদিও শিক্ষিত মানুষ জানে—এসব গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য কিছুই করতে পারবে না।
সহায়তা কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থানেও পরিবর্তন আসার ঝুঁকির কথা ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ করে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে।
পরিণতির পূর্বাভাস
রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিদ্রোহ শুরু করার পরিকল্পনা করছে কি না, কিংবা তারা এ ধরনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে শিবিরে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও নিয়মিত সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম, পাশাপাশি শরণার্থীদের মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি মনোভাবের পরিবর্তন সীমান্ত অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করছে। কারণ, এসব কর্মকাণ্ড আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সম্পর্ক, রাখাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের চেষ্টা এবং মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সংকট সমাধানে যেভাবে অগ্রসর হওয়া যায়
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও আরাকান আর্মির মধ্যে আরও সংঘাত রোহিঙ্গা জনগণ, বাংলাদেশ বা আরাকান আর্মি কারোরই কাম্য হতে পারে না।
আরাকান আর্মির সামরিক শক্তি বিবেচনায়, রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র সংগ্রাম সফল হবে না; বরং আরও বিপর্যয়কর পরিণতি নেমে আসতে পারে। কারণ, বর্তমানে আরাকান আর্মি কার্যত রাখাইন রাজ্যের সেসব অঞ্চলের অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণ করছে, যেখানে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা বসবাস করছে এবং যেখানে প্রত্যাবাসনের পর শরণার্থীদের বসবাসের কথা রয়েছে।
তাই সব পক্ষের উচিত রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষ যাতে তীব্র না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া। রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনো তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে। যদিও নভেম্বরের রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে করা সমঝোতা চুক্তি আগের অবস্থায় নেই। দুই পক্ষের অবস্থানের কারণে চুক্তি দুর্বল হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সদস্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে শরণার্থীশিবিরগুলোয় সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি উসকানিমূলক যেসব ভাষণ দিচ্ছে এবং বিদ্রোহ দানা বাঁধার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা প্রতিরোধ করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে ক্রাইসিস গ্রুপ সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা সংকটকে তাদের প্রধান বৈদেশিক নীতিবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল মানবিক চাহিদার ব্যাপকতার কারণে ঢাকা ও আরাকান আর্মির মধ্যে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ার তুলতেও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। এসব বাস্তবতা মাথায় রেখে ঢাকার উচিত আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া, যার মধ্যে মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রাখা।
আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের হুমকির চেয়ে রোহিঙ্গাদের প্রণোদনার প্রতি সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই পটভূমিতে বাংলাদেশের করার মতো অনেক কিছুই আছে, বিশেষ করে মানবিক সহায়তা ও সীমান্ত বাণিজ্যের মতো উদ্যোগ। বাংলাদেশ শুধু খাদ্যপণ্য নয়, বরং নির্মাণসামগ্রী ও কৃষি উপকরণও পাঠাতে পারে। জান্তা সরকারের অবরোধের কারণে রাখাইন রাজ্যে যেগুলোর ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
রোহিঙ্গারা ঐতিহ্যগতভাবে এই বাণিজ্যের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হতে পারে। এ ধরনের বাণিজ্য শুধু উত্তর রাখাইনের মানুষের জন্য পণ্যসামগ্রীর মূল্যস্ফীতি কমাতেই সাহায্য করবে না, বরং রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও স্থানীয় আরাকান আর্মি নেতাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্কও বৃদ্ধি করতে পারবে।
বৈদেশিক সহায়তা বৃদ্ধির সুপারিশ
ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানো নিয়েও কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে সম্ভাব্য বিদ্রোহের ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শরণার্থীরা মূলত খাদ্য, আশ্রয়, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সহায়তার জন্য বিদেশি দাতাদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
অনেক রোহিঙ্গার মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে তারা আর আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর আর নির্ভর করতে পারবে না, তা বাংলাদেশে টিকে থাকার জন্য হোক বা মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবিতে হোক। এই হতাশা তাদের মধ্যে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি সমর্থনকে আরও উসকে দিচ্ছে। বিদেশি সহায়তা ও সেবায় কাটছাঁট রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধী চক্রকে সদস্য সংগ্রহে আরও সুযোগ করে দেবে।
ক্রাইসিস গ্রুপ মনে করে, যদি যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে তহবিল কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। অবশ্য এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল কাটছাঁটের ঘাটতি পূরণ করা কঠিন হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো, পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান ও তুরস্কের মতো প্রধান দাতাদের আরও সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
আরও উন্নয়ন সহায়তা, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এবং উপসাগরীয় ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মতো অপ্রচলিত বা নতুন দাতাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া গেলে এই সংকটের প্রভাব কমাতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও অন্য দাতারা তাদের অবদান বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রত্যাহারে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা কঠিন হবে।
জাতিসংঘের সংস্থা ও দাতাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে কাজ করা জরুরি বলেও প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। যেমন শুরুতে শরণার্থীশিবিরে ছোট ব্যবসা চালুর অনুমতি দেওয়া; যদিও অনেক ব্যবসা ইতিমধ্যে অবৈধভাবে চলছে। আইনগত স্বীকৃতি পেলে সেখানে আরও বেশি ব্যবসা গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে এবং সরবরাহ আদান–প্রদান সহজ হবে।
অনেক রোহিঙ্গা বিশেষ করে পুরুষেরা, শিবিরের বাইরে অবৈধভাবে কৃষি, নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। তাঁদের জন্য বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাও অত্যাবশ্যক। তবে বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই পদক্ষেপের ফলে জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে খাদ্যসহায়তা কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। আইনিভাবে সিম কার্ড ও মোবাইলে অর্থ আদান–প্রদানের অনুমতি দিলে অপচয় কমবে এবং নিরাপত্তাও বাড়বে। এ ছাড়া অন্যান্য সুবিধাও পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, এখনো সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশ, আরাকান আর্মি এবং এর বাইরে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সামনে এখনো কিছুটা আশার আলো ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। তাদের সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কারণ, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিদ্রোহ রোহিঙ্গা জনগণের স্বার্থরক্ষার চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি ডেকে আনতে পারে।