বিপ্লবোত্তর সময়ে বা দেশের গভীর সংকটের সময়ে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে নতুন এক সামাজিক চুক্তি বা বন্দোবস্ত জরুরি প্রয়োজন হিসেবে অনুভূত হতে পারে। কিন্তু সে ধরনের সামাজিক চুক্তির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মত ঐকমত্য প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। সংবিধান বনাম সনদ–বিতর্কের ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে লিখেছেন এম এম খালেকুজ্জামান
রাজনৈতিক কিংবা শাসনতান্ত্রিক নৈরাজ্য থেকে সংবিধান রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করতে পারে, অনেক সংবিধানবিশেষজ্ঞের এমন ধারণা রয়েছে। কিন্তু খোদ সংবিধানই যদি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তকবলিত হয়ে সাংবিধানিক নৈরাজ্য (কনস্টিটিউশনাল অ্যানার্কি) সৃষ্টি করে, তাহলে উত্তরণের পথ অবশিষ্ট থাকে কি?
‘লিটমাস টেস্ট’ এমন একটি পরীক্ষা, যা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্ধারণী ভূমিকা পালন করে। এই শব্দজোড় এমন একটি নির্ধারক কারণ বা ঘটনাকে বোঝায়, যা একটি নির্দিষ্ট গুণ বা সত্যের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি নির্দেশ করে; রাসায়নিক পরীক্ষাগারে ঠিক যেমন লিটমাস পেপার অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব নির্দেশ করার জন্য রং পরিবর্তন করে। ‘লিটমাস টেস্ট’ একটি পরীক্ষা বা পরিস্থিতি, যা ব্যক্তি বা ধারণা বা কৃতকর্ম সম্পর্কে সামগ্রিকভাবে রায় দেওয়ার জন্য একটি মানদণ্ড বা গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করে।
কনস্টিটিউশনালিটি বা সাংবিধানিকতা আসলে একধরনের লিটমাস টেস্ট। শাসনতান্ত্রিক প্রয়োজনে সংসদে পাস করা কোনো আইন বা বিধি কিংবা সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়। সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে এসব বিষয় সাংবিধানিক আদালতে ফয়সালা হয়ে থাকে। আমাদের অনেক আইন ও সংবিধানের সংশোধনী উচ্চ আদালত কর্তৃক অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়া হয়েছে।
২.
জুলাই সনদের খসড়া রূপরেখা, প্রস্তাব ইত্যাদি রাজনৈতিক বাহাসে বাংলাদেশ এখন ব্যস্ত। জুলাই ঘোষণা আর জুলাই সনদ নিয়ে জনপরিসরে কিছু অস্পষ্টতা আছে। ‘“জুলাই ঘোষণাপত্র” ও “জুলাই জাতীয় সনদ” কী’ শিরোনামে প্রথম আলো এক্সপ্লেইনারের লেখাটি পাঠকদের ধারণা পরিষ্কার করতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।
জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো জুলাই সনদেও চব্বিশের অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার বিতর্ক এখন সবচেয়ে বড় জায়গা দখল করে আছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, এই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
অঙ্গীকারনামার দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, ‘এই সনদের সকল বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।’
কিন্তু খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার প্রস্তুতি পর্বে দেখা যাচ্ছে, নতুন দুটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিষয়গুলো মূলত জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় প্রস্তাব করা হয়েছে।
অঙ্গীকারনামার চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে, বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এই অবস্থানকে অনেকে ব্যাখ্যা করছেন জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য দেওয়া হিসেবে।
সংসদে প্রণীত আইন কিংবা পাস হওয়া সংশোধনী যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে তার সঠিকতা বা বৈধতা পরীক্ষা করা হয় জুডিশিয়াল রিভিউ বা বিচারিক পর্যালোচনার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় গত কয়েক দশকে বেশ কয়েকটি সংশোধনীও বাতিল বলে রায় দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উচ্চ আদালত পঞ্চম সংশোধনী ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল বলে রায় দিয়েছিলেন।
এর কারণ হলো, এই সংশোধনীগুলো সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে, সাংবিধানিকতা যাচাইয়ের পরীক্ষা পাস করতে পারেনি। কিন্তু জুলাই সনদ বা জুলাই ঘোষণা সংসদ কর্তৃক পাস হয়নি, তথাপি তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না।
সংবিধানবিশেষজ্ঞ আইনজীবী ড. কাজী জাহেদ ইকবালের মতে, সংবিধানকে সনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার এমন বালখিল্যতা এর
আগে দেখা যায়নি।
৩.
জাতীয় সনদ বা সামাজিক চুক্তির উদাহরণ বিশ্বের ইতিহাসে বিরল নয়। যুদ্ধ, বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভক্ত সমাজকে একত্রীকরণে এমন সনদ বা চুক্তি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ‘গণ–ঐক্যের ঘোষণা’; ফ্রান্সেও একই রকম উদাহরণ আছে, যখন বিপ্লবের পর রাজতন্ত্র বিদায় করে নাগরিকতন্ত্রে উত্তরণের পথ তৈরি হয়েছিল।
বিপ্লবোত্তর সময়ে বা দেশের গভীর সংকটের সময়ে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে নতুন এক সামাজিক চুক্তি বা বন্দোবস্ত জরুরি প্রয়োজন হিসেবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশেও কি চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর কোনো সামাজিক চুক্তি বা সনদ স্বাক্ষরের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?
সামাজিক চুক্তির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মত ঐকমত্য প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আমলযোগ্য জনসমর্থন আছে—এমন রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংস্কার ও সনদের সাংবিধানিক বৈধতা দান ইস্যুতে আড়াআড়ি অবস্থানে রয়েছে।
৪.
সংবিধান একটি রাষ্ট্রের ‘গ্র্যান্ড ম্যানুয়াল’। এটি রাষ্ট্রের এক বা একাধিক আইনসংবলিত একটি রূপরেখা। সংবিধানকে রাষ্ট্রের পরিচলন নীতি কাঠামোর নাভিমূল বিবেচনা করা হয়, যেখানে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক বিধি, নিয়মকানুন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রের লক্ষ্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সম্পর্কে উল্লেখ থাকে। সংবিধানে রাষ্ট্রের আবহমান প্রত্যাশা অর্জনের পথরেখা লিখিত থাকে, যে কারণে সংবিধানের প্রাধান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কনস্টিটিউশনাল সুপ্রিমেসি বা সংবিধানের প্রাধান্য বলতে বোঝায়, সংবিধানই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। অন্য সব আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে; তা না হলে আইনের সম্পূর্ণ অংশ বা যতটুকু অংশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততটুকু অংশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
সাংবিধানিক শ্রেষ্ঠত্ব—এ ধারণা মার্কিন সংবিধানে প্রোথিত এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনচিন্তক ও বিচারকদের চর্চার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হয়েছে। ধারণাটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে মূলত ভূমিকা রেখেছে মার্কিন আইনি ঐতিহ্য। তা ছাড়া বিভিন্ন দেশের সংবিধান ও আইনশাস্ত্রে এর আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তিও একটি অনুঘটক, যেমন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যে লিখিত সংবিধান নেই, তবে কিছু সাংবিধানিক কনভেনশন রয়েছে। কোডিফায়েড বা লিখিত সংবিধান না থাকায় দেশটির সংসদ সার্বভৌম এবং সেখানে সংবিধানের প্রাধান্য নয়; বরং সংসদীয় প্রাধান্যের ধারণাটি প্রচলিত।
‘সাংবিধানিক প্রাধান্য’ ধারণাটি লিখিত সংবিধানের দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত—এসব দেশের লিখিত সংবিধান আছে এবং ‘সংবিধানের প্রাধান্য’ বিষয়টি সংবিধানেই উল্লেখ করে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫.
বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে ‘সংবিধানের প্রাধান্য’ কথাটি স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ আছে। অনুচ্ছেদ ৭(২)–এ বলা হয়েছে, ‘জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।’
এ ছাড়া সংবিধানের ৭ক ও ৭খ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শক্তি প্রদর্শন ও প্রয়োগের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধান সংশোধন, পরিবর্তন, রহিতকরণ বা বাতিল করে, তবে সেটি রাষ্ট্রদ্রোহী বলে গণ্য হবে এবং এ জন্য শাস্তি পেতে হবে (রাষ্ট্রদ্রোহী সম্পর্কে দণ্ডবিধির ১২৪ক ধারায় বিধান বর্ণিত আছে)।
সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬ ও ১০২ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে করণীয়–সম্পর্কিত বিধানেও সুস্পষ্টভাবে আছে। সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়নের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৬৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সংবিধানের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে সংসদ আইন প্রণয়ন করবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও মানদণ্ড হবে সংবিধান।
বাংলাদেশের সংবিধান নমনীয় প্রকৃতির বলে ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধান সংশোধনের কথা বলা হলেও ৭খ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধানের কাঠামো ক্ষুণ্ন করা যাবে না। অর্থাৎ ৭খ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত বিধানাবলি, যেমন প্রথম-তৃতীয় ভাগের বিধান সংশোধন করা যাবে না।
এভাবে স্পষ্ট যে সংবিধানের বিভিন্ন বিধানে সংবিধানের প্রাধান্যকে নিশ্চিত করার অভিপ্রায় সুস্পষ্ট।
৬.
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা একধরনের অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে। দলগুলোর মতভিন্নতা এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
জুলাই সনদের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না যাওয়ার মনোভাব দেখাচ্ছে। তারা বলেছে, জুলাই সনদ চূড়ান্ত না করে ভোটের রোডম্যাপ ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল’।
সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়া এবং আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না ইস্যুতে বিএনপি যৌক্তিকতা ও সাংবিধানিক প্রাধান্য বিবেচনায় আপত্তি জানিয়ে রেখেছে।
মনে রাখা দরকার, আওয়ামী লীগ পঞ্চদশ সংশোধনী করে এমন প্রশ্নহীনতার বাতাবরণ তৈরি করেও শেষ রক্ষা হয়নি।
সংশোধনী সংবিধানের প্রায় এক–তৃতীয়াংশকে ‘মৌলিক বিধান’ হিসেবে উপনীত করে, যার অর্থ এটিকে আর সংশোধন করা যাবে না। এটা স্পষ্টভাবে মৌলিক কাঠামোর সাংবিধানিক ক্ষমতাকে লঙ্ঘন করেছে।
সংবিধানবিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংসদ উত্তরসূরিকে আবদ্ধ করতে পারে না।’ (বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইন, তৃতীয় সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৩১)।
পঞ্চদশ সংশোধনী হওয়ার আগের সংবিধানের গণভোটের বিধান ছিল। এতে যেসব বিধান সংশোধন করা হয়েছে, সে জন্য গণভোটের প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু সেটি অনুসরণ করা হয়নি। তাই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলযোগ্য; যদিও পঞ্চদশ সংশোধনী ছিল অথরিটারিয়ান পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট (স্বৈরাচারী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত)। এই রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আওয়ামী লীগের জন্য আত্মঘাতী হয়েছে।
কনস্টিটিউশনাল অ্যানার্কি, অর্থাৎ সাংবিধানিক নৈরাজ্য নিয়ে ততটা আলাপ হয় না, যতটা হয় সংবিধান নিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের আজকের এই পরিস্থিতি কি সাংবিধানিক নৈরাজ্যের কারণে নয়?
রাজনৈতিক সরকারগুলো নানা কায়েমি স্বার্থে সংশোধনী পাস করে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এখন জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর স্থান দিলে নৈরাজ্যের সাংবিধানিকীকরণ (কনস্টিটিউশনালাইজিং অ্যানার্কি) হতে পারে। এর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ কি কারও কাছে আছে?
এম এম খালেকুজ্জামান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, দ্য কনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ: সার্চ ফর আ জাস্ট সোসাইটি বইয়ের লেখক ও সহসম্পাদক
*মতামত লেখকের নিজস্ব