প্রতিটি বিষয়েরই নিজস্ব কিছু Terminology বা পরিভাষা থাকে। বিজ্ঞানের যেমন আছে তেমনি আর্টসেরও আছে। অনুরূপভাবে অর্থনীতিতে কিছু পরিভাষা থাকে। তেমনি রাজনীতিরও কিছু পরিভাষা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, মাঝে মাঝে কিছু রাজনীতিক শালীনতা এবং ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে যান। এটি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। আসিফ আরসালান প্রতিটি বিষয়েরই নিজস্ব কিছু Terminology বা পরিভাষা থাকে। বিজ্ঞানের যেমন আছে তেমনি আর্টসেরও আছে। অনুরূপভাবে অর্থনীতিতে কিছু পরিভাষা থাকে। তেমনি রাজনীতিরও কিছু পরিভাষা আছে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, মাঝে মাঝে কিছু রাজনীতিক শালীনতা এবং ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে যান। এটি মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। বহুদলীয় রাজনীতিতে বহু দল যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে বহু মত। তা না হলে গণতন্ত্রের বিউটি থাকে না। কিন্তু এ বহু মত প্রকাশের ভাষা হতে হবে অবশ্যই পরিশীলিত। ফ্যাসিবাদ এবং কর্তৃত্ববাদে শালীন ও অশালীনের প্রশ্ন নেই। সেখানে বিরোধী মতই সহ্য করা হয় না। বিরোধী মত প্রকাশ করার চেষ্টা করলে তার কন্ঠ রোধ করা হয়। গত বছরের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিলো যার যার রাজনৈতিক মত বা দর্শন তা অবাধে প্রচার করবেন। শেখ হাসিনা শুধুমাত্র তার নিজের ঘরানা ছাড়া অন্য সমস্ত রাজনৈতিক বা ভিন্ন মতের টুঁটি চেপে রেখেছিলেন ১৫ টি বছর। শেখ হাসিনার বিতাড়নের পর দীর্ঘদিনের বন্ধ দুয়ার খুলে যায়। গল গল করে পানি বেরিয়ে আসার মতো সকলেই স্বাধীনভাবে যার যা বক্তব্য ছিলো বলা শুরু করেছেন। আমার ব্যক্তিগত অবজারভেশন মতে বিগত ৫৪ বছরে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এমন অবারিত দেখিনি, যা গত বছরের ৫ আগস্টের পর দেখছি। দুঃখের বিষয় হলো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ স্বাধীনতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি গত ২০ মে এমনি একটি ভিডিও দেখলাম যেখানে বিএনপির অন্যতম সিনিয়র নেতা শামসুজ্জামান খান দুদু নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপির এক নেতার বিরুদ্ধে এমন অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন যা কল্পনারও অতীত। যতক্ষণ এটি সামাজিক মাধ্যমে ছিলো ততক্ষণ আমি এসম্পর্কে লেখার চিন্তা করিনি। কিন্তু গত ২২ মে বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে সে খবরটি দেখলাম। ঐ দৈনিকটির শেষ পৃষ্ঠায় ডাবল কলামে শামসুজ্জামান দুদু এবং এনসিপি নেতা সারজিস আলমের ছবিসহ নিউজটির শিরোনাম নিম্নরূপ : “প্রস্রাব ভাসানো এ কেমন রাজনীতি?” খবরে বলা হয়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অশ্লীলতার ঢিল ছুঁড়েছিলেন এনসিপি নেতার দিকে; জবাবে পাটকেল খেয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেছেন, “আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকা খেয়ে বিএনপি চলে।” এটি একটি রাজনৈতিক অভিযোগ। এ অভিযোগের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বিএনপির। তবে ভালো হতো, জনাব দুদু যদি হাসনাত আব্দুল্লাহর এ বক্তব্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে তিনি অশ্লীল ভাষায় এর জবাব দিয়েছেন। বলেছেন “বিএনপি নেতারা যদি একত্রে প্রস্রাব করেন, তাহলে এ প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বা। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। বিএনপির সম্পর্কে যে অভিযোগ করছো, সে অভিযোগের জবাবে বিএনপি যদি শুধু থু থু ফেলে, সে থুথুর মধ্যে তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।” (দৈনিক ইনকিলাব ২২ মে ২০২৫)। শামসুজ্জামান দুুদু আরো বলেছেন, এমন কথা বলো না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না। এরপর আলোচ্য পত্রিকাটি প্রশ্ন করেছে, “প্রশ্ন হচ্ছে শামসুজ্জামান দুদু নিজে কি দায়িত্বশীল বক্তব্য দিয়েছেন? তিনি কি চিন্তাভাবনা করে কথা বলেছেন? প্রবাদ রয়েছে ‘ব্যবহারে বংশের পরিচয়’। তাহলে সাবেক এমপি দুদুকে মানুষ কিভাবে মূল্যায়ন করবে? শামসুজ্জামান দুদুর দেওয়া ঐ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এনসিপির নেতা সারজিস আলম বলেছেন, ‘ঢাকায় মুষলধারে যেটা হচ্ছে সেটা বৃষ্টি নাকি দুদু ভাইয়ের দেওয়া কর্মসূচি? কনফিউজ! এর আগে আরেক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এতকিছু না করে বিগত ১৬ বছরে দুদু ভাই একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচির ডাক দিলেই পারতেন! কেমন জবাব পেলেন বিএনপর নেতা? ॥ দুই ॥ গত সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অকস্মাৎ প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছিলো। এমনিতেই গত বছরের ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকেই যেখানে শান্তি ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা ছিলো সেখানে বিগত সাড়ে ৯ মাস ধরে অস্থিরতা লেগেই আছে। এ সাড়ে ৯ মাসের প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো দাবি নিয়ে রাজপথ কোনো না কোনো সংগঠন গরম করেছে। কার কথা বলবো যারা এ গরম করার মধ্যে নেই? জাস্টিস ওবায়দুল হাসান এবং জাস্টিস এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, আনসার ও ভিডিপি, সচিবালয়ের অফিসার ও কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত অফিসারবৃন্দ-সকলেই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে রাজপথ গরম করেছেন। এসব দাবি এবং আন্দোলন ড. ইউনূসের ইন্টারিম সরকার ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দিয়েছেন। মাথা গরম করে পুলিশ বা র্যাবকে দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করেননি, কাউকে গ্রেফতার করেননি বা কাউকে অনর্থক হয়রানি করেননি এবং এসব দাবি দাওয়া ও আন্দোলন নিয়ে তেমন বড় কোনো সংকট হয়নি। কিন্তু গত সপ্তাহে এ অস্থিরতা একটি বড় সংকটে পরিণত হয়েছিলো। বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণের মেয়র নির্বাচনে সাবেক মেয়র শেখ হাসিনার কাজিন শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে, ঐ সরকার অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করবে না। যারা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির এ সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কেউ কেউ হাসিনার ভুয়া নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়। তেমনি ইশরাকও তাপসের বিরুদ্ধে ইলেকশনে প্রার্থী হন এবং যথারীতি ২ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। হেরে যাওয়ার পর ইশরাক নির্বাচন কমিশনে মামলা করেন। গত ৩/৪ সপ্তাহ আগে নির্বাচন কমিশন তাপসের বিজয়কে অবৈধ ঘোষণা করে এবং ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। হাসিনা সরকারের অধীনে ইলেকশনে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইশরাকের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছিলো কি না সেটা জানা যায় নি। ॥ তিন ॥ যাহোক, ইলেকশন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইশরাক মেয়র হিসাবে শপথ গ্রহণের আগেই হাইকোর্টে ইলেকশন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। ফলে ইশরাকের শপথ গ্রহণ ঝুলে যায়। ইশরাককে দ্রুত শপথ পাঠ করানোর জন্য বিএনপি রাজপথে নেমে আসে। অন্যদিকে গত ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলের সাহিত্য সম্পাদক ছাত্রদল সদস্য সাম্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং ঘাতকদের গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে আসে। ইশরাক ও সাম্যের ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা এক সপ্তাহ ধরে শাহবাগ এবং কাকরাইল মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে এ ৭ দিন সারা ঢাকা মহানগরীতে তীব্র যান জটের সৃষ্টি হয়। যতোই দিন যাচ্ছিলো ততোই পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে পড়ে। যেকোনো মুহূর্তে রাজপথে একটি বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হয় গত ২২ মে ২০২৫। হাইকোর্ট ঐ রীট পিটিশন খারিজ করে দেয়। ফলে ২২ মে ইশরাক কেন্দ্রিক রাজপথ অবরোধ এবং সাম্য হত্যা কেন্দ্রিক রাজপথ অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে জনগণও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। ॥ চার ॥ এর মধ্যে আর একটি ঘটনা ঘটে। গত ২০ মে প্রধান উপদেষ্টা দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার এজেন্ডা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও নৌ, সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণ। এ মিটিং সম্পর্কে সরকারের বা সশস্ত্র বাহিনীর তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু পরদিন অর্থাৎ ২১ মে বুধবার সেনাবাহিনীর সমস্ত সদস্যকে কম্ব্যাট ড্রেস পরে, অর্থাৎ যুদ্ধের পোশাক পরে সভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মফস্বলের সেনা সদস্যগণ অনলাইনে যুক্ত হন। এই সভায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের বক্তৃতার সার সংক্ষেপ এবং সভার কার্যবিবরণী বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের সভাকে দরবার বলা হয়। ২১ মে রাত থেকে ২২ মে সারাদিন এবং রাতে ভারতের প্রায় সবগুলো প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ দরবারের খবর তাদের নিজস্ব এ্যাঙ্গেল থেকে প্রচার করে। তাদের এ প্রচার বা সম্প্রচারে এমন সব উক্তি করা হয় যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২১ তারিখ রাত থেকে ২২ তারিখ রাত পর্যন্ত ভারতের অনেক ইংরেজি ও বাংলা দৈনিক এবং প্রায় ৭টি ইউটিউব চ্যানেলের কন্টেন্ট দেখেছি ও শুনেছি। প্রায় সবগুলো ভারতীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং ইউটিউব চ্যানেলের কন্টেন্টগুলোর একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ছিলো। সেটি হলো, বাংলাদেশের বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের মধ্যে একটি গণ্ডগোল লাগিয়ে দেওয়া। তাদের প্রচারণায় এমন বিষবাষ্প ছিলো যে, যে কোনো অসচেতন ব্যক্তি বিভ্রান্ত হতে পারেন। ওদের কনসার্টেড সুপরিকল্পিত বিষাক্ত প্রচারণার টার্গেট ছিলো ঐ বিভাজন যাতে করে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ২০০৯ সালের বিডিআর ম্যাসাকারের মতো আবার পঙ্গু হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও শেখ হাসিনার প্রায় ১০ মিনিটের মারাত্মক অডিও ক্লিপ বাংলাদেশে প্রচারিত হয় কিভাবে? শেখ হাসিনার সময় বিএনপি নিষিদ্ধ ছিলো না। তারপরেও বাংলাদেশের মিডিয়ায় তারেক রহমানের বক্তব্য সম্প্রচার অথবা ছবি দেখানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো। গত বছরের ৫ আগস্ট তারেক রহমান অবমুক্ত হন। তাহলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও শেখ হাসিনার ছবিসহ অডিও ক্লিপে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার হয় কিভাবে? কিভাবে প্রচার হয় হাসিনার সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাতের উস্কানিমূলক সাক্ষাৎকার? বাংলাদেশের এক ভদ্রমহিলা ইউটিউব চ্যানেলে ড. ইউনূসকে আক্রমণ করা ছাড়াও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার এবং ক্যান্টনমেন্ট পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রতিদিন দিয়ে যাচ্ছেন। আমি জানি না, এ ভদ্রমহিলা এগুলো কি বাংলাদেশ থেকে ছড়াচ্ছেন? নাকি ইন্ডিয়া থেকে? আরেক ভদ্রমহিলা তার ইউটিউব চ্যানেলে ভারতের চিকেন নেক, বাংলাদেশের তার ভাষায় ফেনী নেক, ডিফেন্সের দৃষ্টিতে ফেনী নেকের ভালনারিবিলিটি ইত্যাদি হাইলি ইনফ্লেমেটরি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব বক্তব্য শুধুমাত্র উস্কানিমূলকই নয়, রীতিমতো দেশদ্রোহিতা। ওদের নাম আমি নিলাম না। কারণ তাহলে ওদেরকে আরও পাবলিসিটি দেওয়া হয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন, টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় কী করছেন? এগুলো এ্যালাও করছেন কেনো? মনে হচ্ছে, দেশটা যেনো এখন ফ্রি ফর অল।
Email: [email protected]