গাজা যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকে কেন্দ্র করে আরব শাসকদের ভূমিকা এবং প্রতিক্রিয়া ইতিহাসের এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায়।

গাজা যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকে কেন্দ্র করে আরব শাসকদের ভূমিকা এবং প্রতিক্রিয়া ইতিহাসের এক গভীর বেদনাদায়ক অধ্যায়। গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে আরব রাষ্ট্রগুলো ফিলিস্তিনী প্রতিরোধকে পরাজিত করতে কার্যত ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আরব নেতাদের দিক থেকে বারবার এরকম প্রবঞ্চনার কারণে আরব রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতাও এখন অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। আর সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আরব দেশগুলো নির্লজ্জতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং গাজায় গণহত্যার ব্যাপারে নীরব ও নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তা আরব নেতাদের ওপর আস্থার কফিনে শেষ পেরেকটিও যেন ঠুকে দিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরাইলের একটি পত্রিকা জানিয়েছিল, সৌদি আরব গাজার জন্য একটি পরিকল্পনা দিয়েছে যার মূল দাবি হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং গাজার ক্ষমতা থেকে দলটিকে সরিয়ে দেওয়া। ইসরাইলের হায়োম পত্রিকাকে আরব এবং আমেরিকান সূত্রগুলো তখন আরো জানিয়েছিল যে, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা পুনর্গঠনের জন্য কোনো আর্থিক বা ব্যবহারিক সহায়তা দেবে না যদি না নিশ্চিত করা যায় যে, হামাস অস্ত্র ছেড়ে দেবে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা শাসনে কোনো ভূমিকাই রাখবে না। এরপর মার্চ মাসে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছিল, জর্ডান একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করছে যেখানে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করা এবং প্রায় ৩,০০০ হামাস সদস্যকে গাজা থেকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তারপর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, আব্বাস হামাসকে হুমকি দেওয়ার কয়েকদিন আগেই, মিসর কায়রোতে একটি হামাস প্রতিনিধি দলের কাছে একটি “যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব” দেয়। সেখানেও হামাসের নিরস্ত্রীকরণের শর্তও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি হামাসের ৩,০০০ সদস্যকে গাজা থেকে নির্বাসনে পাঠানোর পরিকল্পনাও তখন গোপনে আলোচিত হয়েছিল।

হামাসের প্রতি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কখনোই সহানুভূতিশীল ছিলেন না। গত মাসে তিনিও হামাস যোদ্ধাদেরকে কুকুরের সন্তান বলে গালি দিয়েছিলেন। চলতি মাসে আরব লীগের সম্মেলনেও তিনি একই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। আব্বাস ও প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্রগুলোর এমন হামাস বিরোধী অবস্থান এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান একটি বৃহত্তর শত্রুতা ও অবিশ্বাসের নিদর্শন- যা গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধে আরব রাজনৈতিক ব্যবস্থার মনোভাবেরই বহি:প্রকাশ। এ পরিস্থিতি আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সামনে দাঁড় করায়: দখলকৃতদের কি দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার অধিকার নেই? যদি আরব শাসকরা এবং বিশ্বের বড় অংশ এভাবেই নীরবে সব অন্যায় মেনে নেয় তাহলে কি কখনো দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে? গাজা কখনো অবরোধমুক্ত হবে? গাজার নিরস্ত্রীকরণের দাবিগুলো ফিলিস্তিনীদের সাথে আরবদের বারবার বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

এ বিশ্বাসঘাতকতা কেবল অক্ষমতা নয়, বরং অত্যাচারীদের সাথে পরিকল্পিত এক ধরনের সহাবস্থানের দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করে। আরব শাসকেরা যেন ধরেই নিয়েছেন যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অবাস্তব আর দখলদারিত্বকে পরাজিত করাও অসম্ভব। সে সাথে তাদের আরেকটি আশংকা হলো একটি স্বাধীন, লড়াকু ফিলিস্তিন অঞ্চল গঠিত হলে তারা এত বছর ধরে যে আঞ্চলিক রাজতন্ত্র নির্ভর শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, তা হুমকির মুখে পড়বে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জায়োনিস্ট উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগ্রামে আরব সরকারগুলো ঐতিহাসিকভাবেই বহুবার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা এ সুযোগ নষ্ট করেছে এবং ফিলিস্তিনীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিশেষ করে তিনটি বিশ্বাসঘাতকতার কথা না বললেই নয়।

১৯৪৮ সালের নাকবার সময়ে ফিলিস্তিনী নেতা আব্দুল কাদির আল-হুসাইনি দামেস্কে গিয়ে আরব লীগের কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছিলেন। জায়োনিস্ট মিলিশিয়ারা যখন আল-কাস্তাল গ্রাম দখল করে নিচ্ছিল, তখন হুসাইনি আরব নেতাদের বলেন: “আমি যুদ্ধ করতে যাচ্ছি, আর যুদ্ধে যদি মারাও যাই, তবুও আমি চাই না যে ফিলিস্তিন ইহুদিদের দখলে চলে যাক।” কিন্তু তার ডাকে আরব লীগ কোনো সাড়া বা সহায়তা দেয়নি। হুসাইনি নিহত হন, আল কাস্তাল গ্রামটিই বিশ্ব মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায় এবং এর পরদিন দেইর ইয়াসিনেও ইসরাইল নারকীয় গণহত্যা পরিচালনা করে। অনেক আরব ইতিহাসবিদ কাস্তালের যুদ্ধকে ১৯৪৮ সালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করেন। কেননা, এ গ্রামের অবস্থান ছিল জেরুজালেমের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর উপরে। কাস্তালের পতন ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট আগ্রাসনের পথ প্রশস্ত করেছিল। এ কারণেই আরব শাসকদের এ বিশ্বাসঘাতকতা এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও লজ্জাজনক। ইসরাইলী পত্রিকা হারিতজ আল কাস্তাল যুদ্ধে আরব বিশ্বের বিশ্বাসঘাতকতার কথা উল্লেখ করে একে ফিলিস্তিনের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ২৪ ঘণ্টা বলে অভিহিত করে।

এরপর আসা যাক মিশরের বিশ্বাসঘাতকতা প্রসঙ্গ। ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যেখানে সিনাই উপত্যকা ফিরে পাওয়ার বিনিময়ে মিশর ফিলিস্তিনীদের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে এবং ইসরাইলের সাথে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায়। এর ফলে জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা ইসরাইলের দখলে রয়ে যায়। চুক্তির ফলশ্রুতিতে মিশর আরব-ইসরাইলের সংঘাত থেকে বেরিয়ে যায়। ইসরাইলী লেখক উরি আভনেরি ২০০৩ সালে লিখেছিলেন, “সাদাত ফিলিস্তিনীদের বিক্রি করে আলাদা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন শুধুমাত্র আমেরিকার দয়া ও অর্থ পাওয়ার জন্য। মিশরের এ বিশ্বাসঘাতকতা দখলদারদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেয়। এ চুক্তি কোনো স্থায়ী শান্তি আনেনি, বরং দীর্ঘ সময় ধরে ইসরাইলের সাথে আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সূচনা হয় এই চুক্তির বদৌলতেই। শুধু তাই নয়; এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরপরই লেবাননে ইসরাইল একটি নির্মম আগ্রাসন চালায়, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এবং একটার পর একটা লেবানিজ শহর ধ্বংস করে।

ইসরাইলের লেবানন আক্রমণের সময় সৌদি আরব, মিশরসহ অধিকাংশ আরব রাষ্ট্র নীরব ও প্রতিক্রিয়াহীন ছিল। উল্টো আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইয়াসির আরাফাত ও পিএলও নেতাদের সে সময়ে লেবানন ছাড়তে বাধ্য করা হয়। প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে, শরণার্থী ক্যাম্পের ফিলিস্তিনীরা সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাবরা ও শাতিলা ক্যাম্পে নারকীয় গণহত্যা চালায় ইসরাইল। এতে ৩,৫০০ জন নিহত হন, এর মধ্যে অনেককেই কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, শিশুর মাথা পাথরে ঠুকে ফেলা হয়। জাতিসংঘ এই হত্যাকান্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

৪৩ বছর পর গাজায় আবারও সে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, আমিরাত এবং ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ গাজার প্রতিরোধকে এড়িয়ে যেতে চায়, ক্রমশ প্রতিরোধ প্রয়াসকে দুর্বল করতে চায়। হামাস যেন আত্মসমর্পণ করে, অস্ত্র ফেলে, নেতারা গাজা ছেড়ে চলে যায়। সৌদী-সমর্থিত মিডিয়া এবং নেতাদের মাধ্যমে এ দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে ভাইরাল করা হচ্ছে। গাজার বর্তমান যুদ্ধ ও হত্যাযজ্ঞ শুধু ফিলিস্তিনী জনগণের জন্যই নয়, আরব বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্যও একটি আয়না তুলে ধরেছে। এ আয়নায় দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রশক্তি আর জনতার চিন্তাধারার মধ্যকার বিপুল ফারাক। একদিকে রাষ্ট্রগুলো স্বৈরাচারীভাবে ইসরাইলপন্থী অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে আরব জনগণ বড় এক গণজাগরণে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রতিবাদ মিছিল এবং বিভিন্ন উদ্যোগে তারা গাজার পাশে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। এ দ্বন্দ্ব রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবধান তৈরি করেছে। গাজার রক্তাক্ত ছবি দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে, কিন্তু সরকারগুলো জাতিসংঘে ন্যূনতম মানবিক অবস্থান নিতেও দ্বিধাবোধ করছে। কিছু দেশ তো গোপনে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করছে। গাজা পরিস্থিতিকে তারা এখন রীতিমতো একটি উটকো ঝামেলা হিসেবে দেখছে। তারা গাজা সংকটের দ্রুত সমাপ্তিও চায় কিন্তু তা ফিলিস্তিনীদের প্রাপ্তিহীন আত্মসমর্পণের মাধ্যমে।

গাজায় হামলার সময় অনেক আরব সরকার শুধুমাত্র হালকা বিবৃতি দিয়েছে, বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফিলিস্তিনের পাশে নিরবচ্ছিনভাবে ছিল কেবলই ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা। অন্যদিকে, মার্কিন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের নতুন বই থেকে জানা যায় যে, কিছু আরব কর্মকর্তা মার্কিন নেতাদের গোপনে আশ্বস্তও করেছিলেন যে, ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ ধ্বংসে ইসরাইলকে তারা নি:শর্তভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। গাজার চলমান ট্র‍্যাজেডি আরব শাসকদের নৈতিক ও কাঠামোগত দেউলিয়াত্ব জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে। এটি নিশ্চিত যে, ফিলিস্তিনীরা যেখানে ক্রমাগত গণহত্যার ভিকটিম হয়ে যাচ্ছে সেখানে কেবল জোট তৈরি করে, দমননীতি চালিয়ে কিংবা তেলসম্পদ দিয়ে আরব রাজতন্ত্রগুলো নিজেদের দীর্ঘকাল টিকিয়ে রাখতে পারবে না।

আরব শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র সুবিধাবাদী আচরণই নয় বরং এটি একটি গভীর ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রাম আরব নেতাদের জন্য এক ধরনের আতঙ্ক, কারণ এ প্রতিরোধ সংগ্রাম তাদের দেশের জনগণকেও রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন পরিচালনায় উৎসাহিত করতে পারে। হামাস হোক কিংবা অন্য যেকোনো সংগঠনÑফিলিস্তিনীরা যখনই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, আরব রাজতন্ত্রগুলো বরং সে সংগ্রামকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবেই গণ্য করে। আরব নেতাদের চোখে প্রতিরোধ মানেই সন্ত্রাসবাদ, প্রতিবাদ মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এমন বয়ান তারা নিজের দেশের জনগণের ওপরও প্রয়োগ করে। সে কারণে তারা ফিলিস্তিনী প্রতিরোধকে শুধু চুপ করাতে চায় না, বরং দমন করতে চায়।

দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, ইসরাইলকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র ইসরাইল নিজেই নিচ্ছে নাÑআরব নেতৃত্বের একটি অংশও এ দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় সাহায্য করছে, ফিলিস্তিনীদের ন্যায্য দাবিকে চরমপন্থা বা সহিংসতা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থান যে কেবলই রাজনৈতিক নয়, বরং নৈতিকভাবে আরব নেতাদের বড়ো ধরনের দেউলিয়াত্ব। চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর অনেক আগেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসন যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে, তখন ট্রাম্পের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর শুধুমাত্র একটি কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক উদ্যোগই ছিল নাÑবরং এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। এ সফরের মধ্য দিয়ে আরব শাসকগোষ্ঠী এবং পশ্চিমা পরাশক্তির মাঝে গোপন সমঝোতা আবারও দৃশ্যমান হয়েছে।

গাজায় এখন ধ্বংসযজ্ঞ আর দুর্ভিক্ষ চলছে। বোমা আর ক্ষুধার আঘাতে সেখানে প্রতিদিন গণহত্যা চলছে। অথচ ইসরাইলের পরম মিত্র ও পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে হাতের নাগালে পেয়েও আরব নেতারা ফিলিস্তিনের সাথে চলমান এই অন্যায়ের অবসান ঘটানোর কোনো চেষ্টা করলেন না। এ জন্য পূবসূরীদের মতোই এ প্রজন্মের আরব নেতৃবৃন্দকেও ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

সূত্র, সংগ্রাম