editorialbd-logo

কলাম

আমলাতন্ত্রের পরিবর্তন হয় না কেন

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের কর্তৃত্ববাদবিরোধী অঙ্গীকার আশা দেখালেও বাস্তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ (সংশোধিত), ২০২৫’ নিয়ে সচিবালয় অবরোধ কর্মসূচি। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর: যাহা পাই তাহা চাই না

দেশপ্রেম মানুষের একটা সেন্টিমেন্ট। উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা তার অনুষঙ্গ। উন্নয়ন না হলে দেশের দরকার কী। মানুষের এই সেন্টিমেন্ট নিয়ে হাডুডু খেলে পাকা খেলুড়েদের কতিপয় সিন্ডিকেট। তারা ঘাড়ে-গর্দানে স্ফীত হয়। তারা অনেকেই টেম্পো ছেড়ে বিএমডব্লিউ চড়ে। এক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আরেক সিন্ডিকেট আশার বাণী শোনায়। আমরা পাঁচ-দশ বছর আগের কথা ভুলে যাই। আবারও ছুটি মরীচিকার পেছনে।

ইরানে ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধের ছক যেভাবে বদলে দিল

ইসরায়েল তাদের এ হামলাকে আগাম ‘আত্মরক্ষা’ বলে বর্ণনা করেছে। তাদের দাবি, একটি কার্যকর পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা থেকে ইরান মাত্র কয়েক সপ্তাহ দূরে ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদন—কোথাও এমন প্রমাণ মেলেনি।

ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন হতাশ রোহিঙ্গারা কি সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেবে

আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধী চক্র। ধর্মের নামে নানা বক্তব্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এক দিকে রোহিঙ্গাদের থেকে নিজেদের সদস্য সংগ্রহ করছে, অন্যদিকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিদ্রোহের উসকানি দিচ্ছে।

চার মাস ধরে কেন অচল কুয়েট

এরপর ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। শুধু তা–ই নয়, নতুন শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও তাঁদেরও ক্লাস শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সম্প্রতি এক সভা শেষে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি না হলে ক্লাসে না–ফেরার কথা আবার জানিয়ে দিয়েছে (সূত্র-সমকাল)।

ক্বাদ নাজালা ইয়াজুজু ওয়া মাজুজু ফি বাংলাদেশ

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলের দ্বিতীয়ার্ধে মধ্যপ্রাচ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি বাজারে ব্যাপক ধস পরিলক্ষিত হয়। তখন তার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী-সচিবরাও বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন এবং তারা সংশ্লিষ্ট সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে বাজার খুলে দেওয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি পেলেও কার্যত এসব সফরের ফলাফল ছিল শূন্য।

উপদেষ্টা ও ‘শপথবিহীন’ মেয়রের বিরোধ কী বার্তা দেয়

ইউনূস-তারেকের এমন ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের পরে সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার বড় ধরনের উন্নতি হবে—তেমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। এ ক্ষেত্রে বাধা বা ঝামেলার কারণ হতে পারে, সে রকম কোনো কিছু এড়িয়ে যাওয়া হবে কিংবা বিরোধপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হবে—সেটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ইশরাক হোসেনের কর্মকাণ্ড দেখে তেমনটা প্রতীয়মান হয়নি। এ রকম প্রেক্ষাপটেই কয়েক দিন আগে একটি দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিল, ‘লন্ডন সাফল্য ইশরাকে ম্লান’ (আমার দেশ, ১৭ জুন ২০২৫)

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যোগ দিলে যে ৩টি বড় ঘটনা ঘটতে পারে

ইউরোপীয়রা আরেকটি বড় মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে চায়। কারণ, ইতিমধ্যে ইরাক-সিরিয়া যুদ্ধের পরিণতিতে লাখ লাখ শরণার্থীর স্রোত পুরো ইউরোপীয় কল্যাণরাষ্ট্রের বন্দোবস্তকেই নড়বড়ে করে দিয়েছে। ইরানের ৯ কোটি মানুষের স্রোত ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। এমন সব কারণে ইউরোপীয়রা যুদ্ধ বন্ধে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কাজ করবে কি না, তা নির্ভর করবে ইসরায়েল ও আমেরিকার ডিপস্টেটের ওপর।