5 posts in this tag
বিপ্লবের বীজধান এবং শহীদদের আত্মকথা!
বাংলাদেশের মাটি উর্বর। কারণ শত শত বছর ধরে এখানে বারবার গণহত্যা হয়েছে। দুর্ভিক্ষেও মারা গেছে কোটি কোটি লোক। সেইসব অগণিত লাশ মাটিতে মিশে গিয়ে মাতৃভূমির বুকে নাইট্রোজেনের জোগান বাড়িয়ে গেছে। নেপোলিয়নীয় যুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন ময়দানে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরে দেখা গেছে, ওইসব যুদ্ধের মাঠের মাটি ব্যাপক উর্বর। কী মর্মান্তিক এ উর্বরতা!
আগে অর্থনীতির ধস ঠেকানো দরকার, রাজনীতি পরে হোক
শহীদের রক্তের দাগ শুকায় নাই, কিন্তু আপনারা রাস্তা অচল করছেন, সচিবালয় ঘিরেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনেও চলে গেছেন। অথচ আমাদের এখন দেশে প্রশাসন চালু করা দরকার, লুটপাটে ছিবড়া হওয়া অর্থনীতির ধস ঠেকানো দরকার।
মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ এবং প্রজন্মের নতুন বাংলাদেশ
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রাত। পাড়ার দুই শ্রমজীবী মানুষের আড্ডার সংলাপ কানে এলো, ‘তুই তো দেশের মাটিত কবর হওয়ার সুযোগটাও একেবারে হারালু রে। তুই দ্যাশ ছাড়লু ক্যা?’ এমন ভাষা দেশবাসী শুনেছিল বীর আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পরে। এরা যেন সেই একই মায়ের ছাও, যে মা বলেছিল, ‘হামার ব্যাটাক মারলু ক্যানে।’
দেয়ালের লিখনে পাল্টাবে কি কপালের লিখন?
ছাত্রছাত্রীদের শত্রু বানিয়ে দেশ চালানো যায় না। ওরা সারাদেশের দেয়ালে যা লিখে রেখেছে, তা সকলেরই পড়তে পারা দরকার। পুরাতন রাজনৈতিক বাগধারা দিয়ে এই পরিস্থিতি বোঝা কঠিন। বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ভূমিকম্প চলমান। শিকড় আলগা হয়ে গেছে যেসব বড় গাছের, দমকা বাতাসও তাদের জন্য বিপজ্জনক।
কোটার কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত
চার পেয়ে প্রাণীরা দৌড়বাজ হয়। যেমন হরিণ, চিতা বা ঘোড়া। সরকারি চাকরির দৌড়ে আপনাকে চারটি পায়ের মালিক হতে হবে। দুটি জন্মগত পায়ের সাথে লাগাতে হবে কোটাজাত আরও দুটি পা। যত মেধাবীই আপনি হোন, রাত জেগে যত তথ্যই মুখস্থ করুন, হেরে যাবেন। কোটার কাঁটায় পা রক্তাক্ত হবে, দৌড়াতে হবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।