#দৈনিক সংগ্রাম

62 posts in this tag

এখন আমাদের ‘মানুষ’ হওয়ার চ্যালেঞ্জ!

পৃথিবীতো এখন রাজনীতির পৃথিবী। পৃথিবীতে রাজনীতি হয়, হয় অপরাজনীতিও। এ কারণেই নানা সংঘাত ও সংকটে বিভক্ত হয়ে পড়েছে আমাদের প্রিয় এই পৃথিবী। এমন বাস্তবতায় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম বার্ষিক অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক।

‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’ ইতিহাসের দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করুন

জাতি হিসেবে আমাদের পুরনো ইতিহাস স্মরণে রাখার মানসিকতা কম। আমরা সারাদিনই ইস্যুর সাগরে ডুবে থাকি। তাই গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু চলমান ইস্যুর চাপে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা বা সামাজিক অনেক কার্যক্রমে আমরা বেশিরভাগই খুব হালকা ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত থাকি।

'সার্ক' এর সূচনা ক্রমবিকাশ ও সাফল্য-ব্যর্থতার পর্যালোচনা

পরে ১৯৯৬ সালে সার্ক ফান্ড ফর রিজিওনাল প্রজেক্টস (SFRP) ও সার্ক রিজিওনাল ফান্ড (SRF) একীভূত করে এসডিএফ গঠন করা হয়। সার্ক দেশগুলোর গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বিশেষ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নের জন্যই এসডিএফ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং পরীক্ষায় অটোপাস

পাবলিক পরীক্ষায় অটোপাস বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেমন একটা না দেখা গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে তা বেশ ব্যাপকতা লাভ করেছে। এই অটোপাস নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। কারণ, মেধাবী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা এতে সন্তষ্ট নন। পক্ষান্তরে স্বল্প মেধা সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎফুল্লই বলা চলে।

ষড়ন্ত্রের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশের ‘পোশাক শিল্প’

৫ আগস্ট স্বৈরশাসক পতন হওয়ার পর নতুন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই দাবি আদায়ের হিড়িক দেখা যায়। সবাই নিজ নিজ দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে। যারা বিগত ১৫ বছর স্বৈরশাসকের শাসনামলে কোন দাবি উত্থাপন করেননি, তারাও এখন দাবি উত্থাপন করছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের বিপর্যয়, মারাত্মক ঝুঁকির দিকে দেশ!

পৃথিবীতে বর্তমানে ৮০০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এর অভিঘাতে বিশ্বব্যাপী মরুময়তা, খরার ঊষ্ণতা, দাবদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ধরাবাহিকতায় পৃথিবী ধীরে ধীরে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ক্ষয়, ক্ষরা, মরুময়তার কারণে জীববৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

ডিম-মুরগীর বাজারে নৈরাজ্য!

ডিম ও মুরগীর বাজারে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে। কোনভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বরং দিনের পর দিন পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে। ফলে দেশের নি¤œ আয়ের মানুষ রীতিমত বেকায়দায় পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করেন, তাদের আবাসন সংকট খুবই তীব্র। রীতিমতো অমানবিকভাবে তাদেরকে বসবাস করতে হয়। এ বিষয়গুলো একদিনের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা তাদেরকে অবহেলায় রেখেছি।

তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের উদ্যোগ নিন

অনেক দিন আগে একটি মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এসেছিল। তারা উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশে কি পরিমাণ তেল-গ্যাস আছে তার নিরূপন করার জন্য। বিশেষ করে গ্যাসর সম্ভাব্য মজুদ নির্ধারণ করার জন্য তারা চেষ্টা করে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের ‘কৃতকর্মের ফসল’

মানুষ আল্লাহ তায়া’লার সৃষ্টির মধ্যে সেরা জীব। দুঃখ আর সুখের সংমিশ্রণেই মানুষের জীবন।জীবনে কখনো সুখের সময় আসে আবার কখনো দুঃখ ও কষ্টের কঠিন সময় আসে। এটাই দুনিয়ার বৈশিষ্ট্যও বটে। নশ্বর এই পৃথিবীতে এমন কোনো মহা মানবের আগমন ঘটেনি যিনি তার পুরোটা জীবন শান্তি আর আনন্দে কাটিয়েছেন। এমনকি নবীগণও এমন ছিলেন না।

দুর্নীতিবাজদের ‘ইচ্ছে পূরণ প্রকল্প’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার দেশকে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। সে কাজকে নির্বিঘ্ন ও বৈধতা দিতেই সংসদ সদস্যদের ‘ইচ্ছে পূরণের প্রকল্প’ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পটি বাতিল হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

কালের বিবর্তনে ও সময়ের প্রয়োজনে সভ্যতার ক্রমবিকাশ

মানবসভ্যতা ক্রমবিকাশমান। কালের বিবর্তনে ও সময়ের প্রয়োজনেই সভ্যতার ক্রমবিকাশ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠেছে। কালের পরিক্রমায় মানবসভ্যতার যেমন ক্রমবিবর্তন ঘটেছে, তেমনিভাবে সংঘাতও হয়ে উঠেছে অনিবার্য। এই সংঘাতই অনেক ক্ষেত্রে সভ্যতাকে বিচ্যুত, বিবর্ণ, কুৎসিত ও রক্তাক্ত করে তুলেছে।

চাঁদাবাজদের ‘খুঁটির জোর’ কি রাজনীতির মোড়কে?

চাঁদাবাজি এক ভয়ংকর আতঙ্কের নাম। একটি মারাত্মক অপরাধ। এ অপরাধের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ঠিক ঘুষের মতোই। নীরবে নিভৃতে চলছে চাঁদাবাজি। তবু প্রতিরোধ সেভাবে করা যাচ্ছে না। সরকার পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না। কারণ শুধুমাত্র চেহারার পরিবর্তন হয়। আগে চাঁদা নিত যদু। আর এখন নেয় মধু। অর্থাৎ যার নাম ভাজা চাল, তার নাম মুড়ি।

সকল পর্যায়ে সংস্কার ও দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

যে কোনো দেশের নীতি বাস্তবায়নে সচিবরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও তাঁদের রয়েছে মহাকর্তব্য। আর বাংলাদেশের এখন যে অবস্থা, অর্থাৎ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়নের পর দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে সংস্কার শব্দটিই বেশি শোনা যাচ্ছে।

প্রজন্মের চোখে স্বপ্নের বাংলাদেশ

বাংলাদেশ স্বপ্নের দেশ। এ দেশ আমরা গড়ে তুলেছি স্বপ্ন দিয়ে। ১৯৭১ সালের লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ গড়তে হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক শাসক এসে এই সোনার বাংলাকে তারা নিজস্ব আয়ত্তে রাখতে চেষ্টা করেছে।

ভারতে হাসিনার অবস্থান, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েনের শঙ্কা!

আমরা অর্থাৎ সমগ্র জাতি অত্যন্ত ক্রুশিয়াল সময় পার করছি। এই সময় যেমন পলিটিশিয়ান ও বুদ্ধিজীবীদেরকে অত্যন্ত মেপে কথা বলতে হবে, তেমনি আমরা যারা কলাম লিখি তাদেরকেও খুব হিসেব করে লিখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস সম্পর্কে জনগণের কৌতূহল অপরিসীম। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি প্রথমে একজন অধ্যাপক ছিলেন। এরপর মানুষ তাকে চেনে প্রথমে গ্রামীন ব্যাংকের মাধ্যমে। তারপর গ্রামীন টেলিফোনের মাধ্যমে।

বিজয় মুমিনকে বিনয়ী হতে শেখায়

আল্লাহ আমাদেরকে মানুষ বানিয়ে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তারপর আবার মুসলমান করে ধর্ম হিসেবে ইসলামকে দিয়ে দিয়েছেন। আমরা জানি ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এমন কোনো বিষয় নেই, যার নির্দেশনা ইসলামে নেই। এই নির্দেশনা গুলো পরিপূর্ণ পালনের মাধ্যমেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা।

১৫ বছরে ব্যাংক খাতে চলেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মহোৎসব

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে লাগামহীন হরিলুট চলেছে। নানাভাবে জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে চলেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মহোৎসব। বিগত ১৫ বছরে ঋণের জামানত হিসেবে জমি আর ফ্ল্যাটের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ব্যাংক খাতে মহালুটপাট হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে সম্প্রতি।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে

অবশেষে বহুল বিতর্কিত অপ্রদর্শিত অর্থ হিসেবে বিবেচিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বাছ-বিচারহীন মামলায়, ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয়!

রাজনৈতিক বিরোধ, পারিবারিক বিরোধ, সামাজিক বিরোধ কিংবা অন্য কোন বিরোধে মানুষের হয়রানি হওয়ার ঘটনা নতুন না; বরং খুবই পুরাতন। তবে যে কোন ধরনের মামলা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আইনের চাহিদা অনুসারে মামলা করতে হবে। যেন ন্যায়বিচার ব্যাহত না হয়।

৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশীর শাস্তি মওকুফ, সুখবর এভাবেই আসতে থাকুক

বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে স্পর্শকাতর একটি সেক্টর হলো প্রবাসী বাংলাদেশীগণ। এই মানুষগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশে রেমিটেন্স প্রেরণ করেন, যার ওপর ভিত্তি করে দেশের অর্থনীতি গতি পায়। আবার প্রতিটি পরিবারে দু একজন মানুষ বিদেশে থাকার কারণে প্রবাসী মানুষগুলোর সাথে এ দেশের মানুষগুলোর ভাগ্যও অনেকাংশে জড়িত।

‘ছাত্র অভ্যুত্থানের কথা আমরা কোনোদিন ভুলব না’

রাজনীতি কি কোনো রঙ্গমঞ্চের বিষয়, নাকি সঙ্গত সমাজ গঠনের সাধনা? অধিকার সচেতন মানুষতো মানবিক জীবনযাপনের লক্ষ্যেই সমাজবদ্ধ হয়েছিল। মানবিক হতে হলো তো ন্যায়কে মানতে হয়, অপরকে জানতে হয় এবং সংযত ও সহিষ্ণুতার সৌন্দর্যে মন্ডিত হতে হয়।

পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দানে আল্লাহর সুন্নাত

এই বিশ্বজাহান পরিচালনার ক্ষেত্রে আল্লাহপাকের একটি নিয়ম রয়েছে কিন্তু তিনি নিজে সেই নিয়মের অধীন নন। আল্লাহপাক সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। তিনি যা ইচ্ছা করেন সেটিই ঘটে। শুধু বলেন, হও-তাৎক্ষণিক হয়ে যায় এবং এই বিশ্বে সাগর-মহাসাগর, গ্রহ-নক্ষত্র ও সকল সৃষ্টি আল্লাহর ইচ্ছার প্রকাশ। সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর দেয়া নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এই অর্থে সবাই মুসলিম।

এমন নজিরবিহীন স্বাধীনতার পুনরুদ্ধার, দুনিয়াবাসী যা আর কখনো দেখেনি

এমন নজিরবিহীন নজির দুনিয়াবাসী আর কখনোই দেখেনি। হিংস্র-হায়েনাসম তস্করের দখলে চলে যাওয়া আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ত দিয়ে উদ্ধার করেছে আমাদের নাতি-নাতনিসম নিরস্ত্র যুবসমাজ, যাদের পেছনে পাথুরে পর্বতের মতো সুদৃঢ়ভাবে অবন্থান নেয় পুরো দেশবাসী।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রত্যাবর্তন ঠেকাতেই হবে

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যাদের দম্ভে ও অহংকারে এতদিন আকাশ বাতাসও যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, তাদের বিদায় ঘটেছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট নির্মূলে করণীয়

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে একটি গভীর সংকট রয়েছে, তা হলো শিক্ষার্থীদের কেবল চাকরি পাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়, কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয় না।

‘লেজুড়বৃত্তিমুক্ত সংস্কৃতি অঙ্গন চাই’

‘লেজুড়বৃত্তিমুক্ত সংস্কৃতি অঙ্গন চাই’, শিরোনামটি দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো। ১৭ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বন্ধ।

ক্ষমতা ও সম্মান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত

পৃথিবীর সর্বময় ক্ষমতা, সম্মান ও কর্তৃত্বের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা, সম্মান দান করেন আবার যার থেকে ইচ্ছা এসব কেড়ে নেন। ক্ষমতা ও সম্মান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বিশেষ অনুগ্রহ। অনুগ্রহ পেয়ে কখনো অহংকার করতে হয় না।

‘ভারতীয় হস্তক্ষেপ চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহি অপরাধ’

সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমি কোনোদিন গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করিনি। অনেকেই তাকে গুরুত্ব দেন, কারণ তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পুত্র।

অন্তর্বর্তীকালীন নাকি বিপ্লবী সরকার?

দীর্ঘ পনেরো বছর যাবৎ জগদ্দল পাথরের ন্যায় জনগণের কাঁধে চেপে বসে থাকা নিকৃষ্ট স্বৈরাচার অবশেষে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে।

পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কবে কার্যকর হবে?

পলিথিনের ব্যবহার কোনোভাবে থামাতে দিচ্ছে না। পলিথিন সামগ্রি জনগণের হাতে হাতে। পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে এই পণ্যের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনে আছে, পলিথিনের উৎপাদনকারীর জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

নতুন গভর্নরের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি একজন পরিচিত ও প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ।

ইসলামে নারী শিক্ষার গুরুত্ব

শিক্ষা ছাড়া আল্লাহকে জানা বুঝা যাবে না বিধায় শিক্ষা অর্জন করা প্রথম ও প্রধান ফরজ। এই ফরজ কাজ থেকে বিরত থাকা মানেই সকল ক্ষেত্রে ধ্বংস ডেকে আনা। মানবতার ইহ-পরকালীন শান্তির একমাত্র পথ হচ্ছে শিক্ষা।

আওয়ামী লীগের ‘সংখ্যালঘু’ খেলা কবে বন্ধ হবে?

৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজাগরণ শুধু বাংলাদেশ নয়; গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে। এ গণজাগরণের বাধার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পদত্যাগ করার কয়েকদিন আগেও তিনি বলেছিলেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন না।

বিপদসীমা অতিক্রমকারীর পরিণতি কখনো ভালো হয় না

কত সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। নেতারাই তো দেশের নেতৃত্ব দেবেন। তবে নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত আছে, সংবিধান আছে, সুশাসনের প্রশ্ন আছে।

আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না

আল্লাহ ছাড় দেন : আল্লাহ তা’আলা পরম সহিষ্ণু ও মহাধৈর্যশীল। তাই তিনি ছাড় দেন, যাতে মানুষ সত্য ও সঠিক কর্মনীতিতে ফিরে আসে। আল্লাহ তা’আলার দু’টো গুণবাচক নাম হলো ‘আল হালীম’ অর্থাৎ মহাসহিষ্ণু ও আস সাবুর অর্থাৎ মহা ধৈর্যশীল।

ব্যাংকিং খাত উপশমে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দেশ এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশের জনবিপ্লবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে উদ্যোগ নিন

ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব এবং দেশ ছেড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশে ও বিদেশের মিডিয়ায় বাংলাদেশ আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ছিল।

ছাত্র-জনতার বিপ্লব, হাসিনার পলায়ন ও আমাদের করণীয়

গত ৫ আগস্ট কোটি কোটি ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ-বিপ্লব ও অভ্যুত্থানের মুখে জালেম শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার এই পালানোর খবর পরিবেশন করতে গিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক এই বিপ্লবকে লাল বসন্ত বলে আখ্যায়িত করেছে।

স্বৈরাশাসক পালালেই ‘অন্ধকার’ কেটে যায় না

মানবিক ও গণতান্ত্রিক সমাজ মানুষের কাম্য। কারণ, এমন সমাজে মানুষের মৌলিক অধিকার পূর্ণ হতে পারে। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, মতবাদ নির্বিশেষে সব নাগরিক স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে পারে।

অনলাইন জুয়ার দৌরাত্ম্য এবং শেষ পরিণতি

কদিন আগে বাড়িতে ফেরার জন্য অটোভ্যানের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম নিমগাছী বাজারে এক পান-সিগারেট দোকানের পাশে।

‘চাই জনবান্ধব পুলিশ’

স্বৈরাচারের পতনের পর রাষ্ট্রের সংকটগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়েছে পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ড’। টানা তিনদিন বন্ধ ছিল পুলিশের সব কার্যক্রম।

সকলের হৃদয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন

ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে অনেকে বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিপ্লবের অনেক উপাদানই এই অভ্যুত্থানে আছে। তবে ছাত্র-জনতা সুযোগ থাকার পরও কোনো বিপ্লবী সরকার গঠন করেননি।

ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার সময় এখন

গণমানুষের কল্যাণকামিতা থেকে রাজনীতির পথচলা শুরু। আর এই কল্যাণকামিতা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের ধারণার সৃষ্টি। আর্ত-মানবতার কল্যাণ গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরমই হচ্ছে রাজনৈতিক দল।

‘সেই তো পালালি, শুধু শুধু লোক হাসালি’

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত বিষয় হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। নিকট অতীতেও আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিল।

তুরস্কে ইসলামী আন্দোলন পর্যবেক্ষণ ও কৌশল অধ্যয়নের সমীক্ষা

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি সমীক্ষা দল তুরস্কে ইসলামী আন্দোলন পর্যবেক্ষণ তার দাওয়া ও তরবিয়াতি কাজের নীতি কৌশল অধ্যয়ন এবং বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়াবলী নিরূপণের লক্ষ্যে তুরস্ক সফর করি।

নির্বাহী আদেশের সীমা কত দূর?

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ২৬(১)-এ বলা হয়েছে- এই বিধানাবলীর সাথে অসামঞ্জস সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এই সংবিধান-প্রবর্তন হতে সে সকল আইনের ততখানি বাতিল হয়ে যাবে, (২) রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সাথে অসমঞ্জস কোন আইন তৈরি করতে পারবে না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হলে তা এই ভাগের বিধানের সাথে যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি বাতিল হয়ে যাবে।

বিবেক বিক্রির যতকথা

ছোট বেলা থেকে ইসলামী আবহে বড় না হলেও কীভাবে যেন আমার মধ্যে “সদা সত্য কথা বলিব” এই নীতিবাক্য মানার প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে। অধিকাংশ সময় সত্য বলতে বলতে এখন এমন হয়ে গেছে যে আমি পাশে থাকলে অনেকে ভয় পায় যে মুখ ফসকে কখন কোন সত্য না বলে ফেলি !

অসহযোগ আন্দোলন ও সরকারের পদত্যাগ

প্রস্তুতি ছিল জামায়াত-শিবির বেআইনী ঘোষণার উপর বিশ্লেষণধর্মী একটি নিবন্ধ লিখার। পাঠকরা নিশ্চয়ই জানেন যে সরকার গত পয়লা আগস্ট তাদের তৈরি ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও উন্নত চরিত্রের প্রতীক ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বেআইনী ঘোষণা করেছে।

প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না

‘প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। অপরাধ কখনো লুকানো যায় না। অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই। প্রাকৃতিক নিয়মেই তাকে তার পাপের প্রায়াশ্চিত্য করতে হয়’- এই কথাগুলো আমার বা বিশেষ কোন ব্যক্তির নয় বরং তা খুবই বাস্তব ও নির্মম। আর এই কথাগুলো প্রকাশ পেয়েছিল এক দায়রা জর্জের উপলব্ধি থেকে।