#দৈনিক নয়াদিগন্ত

38 posts in this tag

মুখ থুবড়ে পড়া শিক্ষাব্যবস্থাকে দ্রুতই স্বাভাবিক ট্র্যাকে তুলতে হবে

বিগত ১৫ বছরে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিম্নস্তরে চাপিয়ে দিয়েছে পাবলিক পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে ঠেলে দিয়েছে চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে।

ইসলামী শিক্ষার অভাবেই অপরাধ ও অপকর্মের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় রাষ্ট্র

একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকারের দলকানা পদধারী রাজনীতিক, অসাধু ব্যবসায়ী ও পদলেহনকারী সরকারি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মদদে চৌর্যবৃত্তি-ঘুষ-দুর্নীতি-লুণ্ঠন-বেহায়াপনাসহ নানা অপরাধ ও অপকর্মের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

শহীদ জিয়ার রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য ও আজকের উদ্দীপ্ত বিএনপি

আজকের বিশ্বে রাজনৈতিক দল হচ্ছে শাসন কাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু। ‘আধুনিক গণতন্ত্র রাজনৈতিক দলের কাছে অকল্পনীয়ভাবে নিরাপদ।’ (স্কাটস্নাইডার : ১৯৪২ : ১) শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দল অপরিহার্য।

উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক অর্থনীতির নীলনকশা

ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের যুগে সুবা বাংলায় ব্যবসায় ও বসতি স্থাপনের সুযোগে ব্রিটিশরা স্থানীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে নানা ষড়যন্ত্রে যোগ দেয় এবং ফলত ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাবকে পরাজিত করে। অতঃপর বাংলার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কার্যত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়। দেওয়ানি অধিকারের ফলে কোম্পানি রাজস্ব আদায় ও দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা অর্জন করে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দাম্ভিকতা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রেখে গেছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ ৩৫টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করা এবং ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন।

‘পাপে পাপ আনে, পুণ্যে আনে সুখ’

বাংলা ভাষায় বহুল কথিত প্রবাদ বাক্য, ‘পাপে পাপ আনে, পুণ্যে আনে সুখ’। কথাটির মর্মার্থ হলো, কেউ যদি পাপ অর্থাৎ- অন্যায়-অত্যাচার ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে, সেটি তার জন্য অবশেষে দুঃসহ বেদনা ডেকে আনে।

দীর্ঘ বুকফাটা হাহাকারের পর ‘প্রজন্মের স্মরণীয় বিপ্লব’

দীর্ঘ ১৭ বছরের বুকফাটা হাহাকারের পর, আমাদের সন্তানদের অসীম অপরিসীম ত্যাগ এবং প্রাণের বিনিময়ে, রক্ত ঢালা পথে অর্জিত হয়েছে বিপ্লব ’২৪। আধিপত্যবাদের তাঁবেদার ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনার হিংস্র থাবার নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা।

অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে আইন-শৃঙ্খলা ফেরানোর পর দ্বিতীয় প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনীতিতে স্থিতি ও গতি ফেরানো। বৈদেশিক খাতে মৌলিক কিছু সমস্যায় আগে থেকে অর্থনীতি ধুঁকছিল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে এসে ঠেকছিল। বিনিময় হার ছিল তীব্র চাপের মুখে।

জুলুমবাজের পতন এবং কাণ্ডারির হুঁশিয়ার

৫ আগস্ট সমস্ত বিশ্ববাসী দেখেছে এক আশ্চর্য, অকল্পনীয় ছাত্র গণজাগরণ। এরকম ঘটেছিল ঊনসত্তরে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে, যা জন্ম দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় খেলাপি ঋণ বিপর্যয় দূর করতে হবে

বাংলাদেশের দুই ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এর একটি হলো রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং অন্যটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলধনের জোগানদাতা সরকার।

সময় আর অসময় নিয়ে যতকথা

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গিয়েছিলেন। সেখানে তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিল ভারতের খ্যাতনামা ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’।

সমাজ ও অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নে বিভাজনের দেয়াল টপকাতে হবে

মতৈক্য আর মতানৈক্যের মাঝখানে বিভেদের যে দেয়াল সে দেয়াল ভালো ও মন্দ উভয়েরই জন্য সঙ্কট সৃষ্টি করে। ভালোকে ভালো থাকতে না দেয়া আর মন্দকে আরো মন্দ হতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে এই সঙ্কটের সুনাম সুবিদিত।

‘রেল ট্রানজিট ইস্যু’ ভারতের ভূরাজনীতির ভয়ঙ্কর মায়াজাল!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভীষিকা ও সফলতার নিচে চাপা পড়ে গেছে রেল ট্রানজিট ইস্যু। সত্যিকারার্থে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের আধিপত্যবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়।

স্বৈরাচারের পরিণতি এমনই হয়, বহু দেশে এর নজির বিদ্যমান

শত শত নাগরিক হত্যার পর বোন শেখ রেহানাসহ নিজের ও পরিবারের সদস্য ছাড়া সবার সর্বনাশ করে পালালেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। গোটা দেশ, দল, প্রশাসন ও পরিবারের বাইরে প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ফেলে গেছেন অনিরাপদ করে।

স্রোতের বিরুদ্ধে বুক ফুলিয়ে কথা বলার দিনগুলো ভুলবার নয়

আগস্ট মাসের ৭ তারিখ বিকেলে এই নিবন্ধ লিখছি। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের ঘটনাপুঞ্জ আমাকে কতটা বিপর্যস্ত করে তুলেছে তা আমি আপনাদেরকে বলে বা লিখে বোঝাতে পারব না।

অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হয়েছে। নোবেলবিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস একে বলেছেন ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’। সরকার পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক প্রথা ও প্রক্রিয়া পরিত্যক্ত হওয়ার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে গণবিপ্লবে বিদায় নিতে হলো।

দেশের বিষাক্ত পুঁজ বেরিয়ে গেছে

শেখ হাসিনা অবশেষে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে গদি আঁকড়ে থাকার প্রাণান্ত চেষ্টায় সমস্ত রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ক্ষমতার বেপরোয়া প্রয়োগ করেছেন তিনি। নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে নির্মম নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবু শেষ রক্ষা হয়নি।

যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে শিশু সংগঠন অপরিহার্য

আজকের শিশু ভবিষ্যতের নাগরিক। এর আলোকে বিভিন্ন দেশ নিজস্ব আঙ্গীকে নিজ ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বলয়ে ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বৈচিত্র্যধর্মী সৃজনমুখী কার্যক্রম নেয় শিশুদের জন্য। উদ্দেশ্য একটাই- দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক ধারা, নীতি-নৈতিকতা ধর্মীয় জীবনবোধ ও জীবনাচারের আলোকে ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গড়ে তোলা।

সংবিধানের অজুহাতে সংবিধানের অবমাননা নিকৃষ্ট স্বেচ্ছাচারিতা

সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। একটি রাষ্ট্রের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ কিভাবে গঠিত হবে, এদের গঠন ও ক্ষমতা কি হবে, জনগণ রাষ্ট্র প্রদত্ত কী কী অধিকার ভোগ করবেন, একটি সরকারের মেয়াদঅন্তে কার অধীনে ও কী পদ্ধতিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে, সংবিধানে এ সব বিষয়ের সবিস্তারে উল্লেখ থাকে।

এটা কোন গণতন্ত্র, কোথায় আমাদের সংবিধান!

স্পষ্ট করেই বলতে চাই, আইনকানুন ও সংবিধান নিয়ে কথা বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজ্ঞদের জ্ঞানগত অবস্থান শিখরস্পর্শী। এমনকি নবীন আইনবিদদের কেশাগ্র স্পর্শ করাও আমার জন্য দুঃসাধ্য ও দুঃসাহসের ব্যাপার।

একের পর এক ব্যতিক্রম কর্মসূচি, কোন পথে যাচ্ছে দেশ!

প্রতি মুহূর্তে নিত্যনতুন ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রায় সব ঘটনাই আমরা টের পাচ্ছি ঘটে যাওয়ার পর। প্রতিটি ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা যাই ঘটছে, তার বেশির ভাগ ঘটছে আমাদের মন-মস্তিষ্কজাত সহজাত বুদ্ধি কিংবা কল্পনা অথবা আশা-আকাঙ্খা অথবা আতঙ্কের সীমার বাইরে।

ডিজিটাল কারফিউ

প্রায় এক সপ্তাহ গৃহবন্দিত্বের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে কর্মস্থলে এসে পৌঁছালাম। আজ মানে ২৪ জুলাই, ২০২৪ সালে বসে যখন এই নিবন্ধ লিখছি তখন চিন্তাচেতনায় আমি এক ভিন্ন জগতের মানুষে পরিণত হয়ে গেছি। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও আমি এমনটি ছিলাম না। গত বৃহস্পতিবার ছিল জুলাই মাসের ১৮ তারিখ। রাত ৮টা পর্যন্ত আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ হয়ে গেল।

শান্তি ও মুক্তির পথ

বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন। কবি শামসুর রাহমানের ভাষায়, ‘অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’। সেই একই কথার প্রতিধ্বনি লক্ষ করা যাচ্ছে এখন। স্বাভাবিক অবস্থায় কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তা অস্বাভাবিক অবস্থায় পর্যবসিত হয়।

বেনজীর-মতিউরের দায় কার?

‘এই দুর্নীতিবাজদের যদি খতম করতে পারেন তা হলে বাংলাদেশের মানুষের শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ দুঃখ চলে যাবে। এত চোরের চোর, এই চোর যে কোথা থেকে পয়দা হয়েছে তা জানি না। পাকিস্তান সব নিয়ে গিয়েছে কিন্তু এই চোর তারা নিয়ে গেলে বাঁচতাম। এই চোর রেখে গিয়েছে। কিছু দালাল গিয়েছে, চোর গেলে বেঁচে যেতাম।’

বিলম্বের কোনো সুযোগ নেই

শাসকদল আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে বেশ কিছুকাল থেকে, বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘কথিত নির্বাচনের’ পর ভ্রাতৃঘাতী যে লড়াই শুরু হয়েছে তাকে দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলার অবনতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করে সহজ সমীকরণে পৌঁছার কোনো অবকাশ নেই।

খোদায়ি গজব

অসহায় এবং মজলুম জনতা দুই হাত তুলে দুর্নীতিবাজ এবং চোর-ডাকাত-তস্কর প্রকৃতির রাজা এবং রাজকর্মচারীর বিরুদ্ধে অবিরত অভিসম্পাত করতে থাকে। ফলে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে যখন দুর্নীতিবাজদের ওপর খোদায়ি গজব এসে পড়ে তখন আর জনগণকে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয় না

হামাসের কাছে হেরে গেছে ইসরাইল

জেনারেল ইসাক বারাক তার নিবন্ধে লেখেন, আমরা হামাসের সাথে যুদ্ধে হেরেছি এবং আমাদের মিত্রদেরও দ্রুত হারাচ্ছি। হামাসকে ধ্বংস করার ইসরাইলের লক্ষ্য এজেন্ডা থেকে ছিটকে গেছে এবং আমরা এখন গাজা থেকে বন্দীদের ফিরিয়ে আনাকে লক্ষ্য করছি কিন্তু সেটিও পারিনি।

ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট

ভুয়া ও বেনামি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের ঋণ আদায় কমে গেছে। এজন্য ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ আদায়ে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ঋণ আদায় বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে অধিকাংশ ব্যাংক। নগদ টাকার হাহাকার কমাতে ঋণের সুদ হারের চেয়ে বেশি হারে আমানত সংগ্রহ করছে কয়েকটি ব্যাংক, যা ব্যাংক খাতের জন্য বিপজ্জনক।

মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হোক

সরকার নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসে গেছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি নেই। এই অবস্থায় বিরোধীদের ওপর দমন পীড়নের প্রয়োজনীয়তা নেই। সাধারণ জীবনযাপনে বাধা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা মনে করি, এ ধরনের হিংসাত্মক নীতি থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।

পরোক্ষ নির্বাচন সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী

সংবিধান রাষ্ট্র এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। সংবিধানের এমন অবস্থানের ব্যত্যয়ে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের অধীন কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যদি পরোক্ষ নির্বাচনের কথা ভাবা হয় সেক্ষেত্রে তা যে সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী এ বিষয়ে কারো মধ্যে কোনো ধরনের সংশয় থাকার কথা নয়।

আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম

রোম শহর পুড়ে যাওয়া আর নিরোর বাঁশি বাজানোর সাথে নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং সিইসির ঘুমের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু এখানেই, রোম শহরটি পুড়ে ছাই হয়েছিল, আর সিইসির ঘুমের মধ্যে ১৭ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে একটি একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার আয়োজন চলছিল।

কেবল সুদহার বৃদ্ধিভিত্তিক মুদ্রানীতি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী

মুদ্রানীতির সাথে রাজস্বনীতির সমন্বয় থাকতে হবে। একদিকে বেসরকারি খাতের উৎপাদন কাজের ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করে, বিনিয়োগ কমিয়ে উৎপাদন কমানো হয়। অন্যদিকে, সরকার নিজে মোটা অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করে।

সরকার নিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে নড়াচড়া

পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া শুধু বিবৃতিতেই সীমিত থাকবে? এর তলে তলে অন্য কিছু থাকতে পারে, সেটা অপেক্ষার বিষয়। কিন্তু, আপাতদৃষ্টিতে সরকার নির্ভার। কোনো ঝুটঝামেলাই ধরা পড়ছে না সরকারের চশমায়।

ডাণ্ডাবেড়ি সভ্য সমাজে চলতে পারে কি

বাংলাদেশের চলমান সঙ্কটের পিছনের মূল কারণ হলো গণতন্ত্রের মোড়কে একটি চরম স্বেচ্ছাচারী সরকারব্যবস্থা

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা : করণীয় কী?

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাপদ্ধতিও এ ক্ষেত্রে সফল প্রমাণিত। ইতালি, স্পেন, কিউবা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে বহু করোনা রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়েছেন।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তির ফাঁকফোকর

জলবায়ু সঙ্কটের ভয়াবহতা অনুধাবনের পর থেকে অভিযোগের আঙুল জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে; তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা। সব গুঁতাগুঁতি ওখানে। আদর্শগত দ্বন্দ্ব কেবল জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আধিক্য।

পরিবেশ বিপর্যয় ও বাংলাদেশ

পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য গঠিত লস্ট অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে সহায়তা নেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে এর সূচকগুলোর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা প্রয়োজন।

চিকিৎসাবর্জ্য এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি

চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। দরকার এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনসাধারণের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে সমন্বিত ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।