প্রাণীর প্রতি অবহেলা করোর কাম্য নয়
বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে—এই প্রবাদবাক্য কে না জানে। বনের পশুপাখিকেই আবার চিড়িয়াখানায় বন্দী করে রেখে বিনোদন খোঁজে মানুষ। পর্যটনকেন্দ্রেও সেগুলোর ব্যবহার করা হয় পর্যটকদের আনন্দের জন্য।
যে চার কারণে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা
দেশের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার অনেকগুলো উপজেলা আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন
অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে আটটি জেলায় ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। মারা গেছেন দুজন।
বন্যার বড় কারণ ত্রিপুরা রাজ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টি
এবারের বন্যার একটি বড় কারণ হচ্ছে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে লঘুচাপের কারণে এবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের মুহুরী, ফেনী, গোমতী নদীর মাধ্যমে (যাদের ক্যাচমেন্টের বেশির ভাগ অংশ ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত) ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ব্যাপক বন্যা হচ্ছে।
অস্বাভাবিক বন্যায় দায় কার?
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় দেখা দিয়েছে এক অস্বাভাবিক বন্যা। বিশেষত ফেনীর মুহুরী নদী ৭২ ঘণ্টা ধরে বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। ত্রিপুরার বেলোনিয়ার কাছে নদীটি ১৮ আগস্ট দুপুরেই বিপৎসীমা পার করেছে। বেলোনিয়া পরশুরামের উত্তরে।
বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলার কিছু এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার অতিবৃষ্টিজনিত দুর্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বন্যা।
সারশিল্পকে বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সার কারখানাগুলোর উৎপাদন স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দ্রুত আমলে নেওয়ায় আমি তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এবার পাহাড়খেকোদের থামান
গত কয়েক দশকে চট্টগ্রাম নগর অনেকটা পাহাড়শূন্য হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও উন্নয়ন এবং বেপরোয়া দখলবাজির শিকার হয়েছে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারে উদ্যোগ নিন
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ স্থগিত ঘোষণা করে ১৮ আগস্ট এক আদেশে বলা হয়, এ আইনের অধীনে সকল প্রকার নেগোসিয়েশন, প্রকল্প বাছাই বা প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে।
নদী সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয়
বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নদীর প্রতি কতটা আগ্রহী, দেড় দশক আগে লিখেছিলেন ‘নদী’ নামে আমার সম্পাদিত পানি ও প্রবাহ বিষয়ক বর্ষপত্রে।
পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কবে কার্যকর হবে?
পলিথিনের ব্যবহার কোনোভাবে থামাতে দিচ্ছে না। পলিথিন সামগ্রি জনগণের হাতে হাতে। পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে এই পণ্যের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনে আছে, পলিথিনের উৎপাদনকারীর জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার তালিকায় নদীও যুক্ত হোক
নদী আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের শারীরবৃত্তীয় ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার জন্যও নদীর ভূমিকা অপরিসীম।
ওয়াসার অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে পানির দাম কমানো হোক
ওয়াসার প্রধান কাজ সুপেয় পানি নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিতান্তই পানির ‘দাম বাড়ানো’ একটি স্বেচ্ছাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তবে কেবল দামই নয়, ব্যয় বাড়ানো আর একই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়াদ বাড়ানোও হয়ে উঠেছিল এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কাজ।
ওয়াসার পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের সুবিধা গ্রাহক কবে পাবে!
রাজধানী ও চারপাশের নদী, খাল ও জলাশয়গুলোর পানি কতটা দূষিত, তা নগরবাসী জানেন। রাজধানীবাসীর পয়ঃবর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে শোধন করতে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প তৈরি করে ঢাকা ওয়াসা।
গ্যাসসঙ্কট ও বিদ্যুৎখাত
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই তীব্র গ্যাস সঙ্কট চলছে। মূলত, গ্যাস সেক্টরে লাগামহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গত কারণে জনজীবন যেমন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, একই সাথে কলকারখানায় উৎপাদনে নেমেছে বড় ধরনের ধস।
আতশবাজির অসুস্থ প্রতিযোগিতা কী ক্ষতি করছে?
আতশবাজি শুধু মানুষের জন্যই নয়, এটি পশুপাখির জন্যও ভয়ংকর ক্ষতির কারণ। ২০২১ সালে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানোর কারণে ইতালির রোম শহরে কয়েক হাজার পাখি মরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এই পাখিগুলো হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল আতশবাজির বিকট শব্দের কারণে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে, ভয়ে বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়েছে অনেক পাখি। এতে পাখিদের স্বাভাবিক জীবনক্রিয়া ব্যাহত হয়।
হঠাৎ কেন গ্যাস সংকট
বিশেষজ্ঞদের মতে তাৎক্ষণিক সংকট মেটাতে জ্বালানি আমদানি করা ছাড়া উপায় নেই তবে সেটিও নির্ভর করছে ডলারের মজুদ, বিশ্ববাজারে দাম এবং দেশের আর্থিক সক্ষমতার ওপর ।
ঔদাসীন্যের অবসান চাই
জাতীয় বিল্ডিং কোড, তৎসঙ্গে নির্মাণকালীন নিরাপত্তা নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নে দ্রুত রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সকলে তৎপর হবেন। সচেতন নাগরিকরাও আলোচ্য বিষয়ে সোচ্চার থাকবেন বলে আমরা মনে করতে চাই। অন্যথায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট অথবা নির্মাণসামগ্রিক পড়ে, ঢাকনাবিহীন রাস্তার গর্তে পা পিছলে পতিত হয়ে কিংবা অন্যভাবে মানুষের অমূল্য জীবনের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটতেই থাকবে।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তির ফাঁকফোকর
জলবায়ু সঙ্কটের ভয়াবহতা অনুধাবনের পর থেকে অভিযোগের আঙুল জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে; তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা। সব গুঁতাগুঁতি ওখানে। আদর্শগত দ্বন্দ্ব কেবল জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আধিক্য।
পরিবেশ বিপর্যয় ও বাংলাদেশ
পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য গঠিত লস্ট অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে সহায়তা নেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে এর সূচকগুলোর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে
ভূ-উপরিস্থ জলাধারে ময়লা-আবর্জনা ও রাসায়নিক ক্ষতিকর পদার্থ ফেলা বন্ধের মাধ্যমে দূষণ রোধ করে এর পানি পানযোগ্য করে তুলতে হবে।
দরকার বিশুদ্ধ পানির
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে দেশে অবকাঠামো নির্মাণ দরকার। একদিকে প্রাকৃতিক উৎসগুলোকে যতটা পারা যায় আর্সেনিকমুক্ত রাখতে হবে, সেগুলোকে সংরক্ষণ বা নিরাপদ করার যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
এসডিজি বাস্তবায়ন চিত্র
এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বহু ঝুঁকি ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব মোকাবিলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। বস্তুত এসডিজি বাস্তবায়নে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার।