Browsing category:

অর্থনীতি

যানবাহনে টোল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবনা কী?

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকার আট লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ছয় লেনের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের সময় টোল আদায় করা যায় কিনা– ভাবছিল। জনগণ ধরে নিয়েছিল, সরকার যে কোনোদিন এ ব্যাপারে আদেশ জারি করবে। এরই মাঝে বিশাল পট পরিবর্তন ঘটে গেল এবং গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নিল।

‘এস আলম’ আসলে কার?

উইকিপিডিয়ায় এস আলমের পরিচিতিতে লেখা হয়েছে এস আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক। তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ। প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর ২১১৯, আছদগঞ্জ, চট্টগ্রাম। এস আলম এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কর্মীসংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার।

কারখানা বন্ধ করে দাবি পূরণ কাম্য নয়

বাংলাদেশের অর্থনীতির তিন প্রধান চালিকা শক্তির একটি তৈরি পোশাকশিল্প। যেকোনো কারখানায় বেতন–ভাতা নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ থাকতে পারে এবং সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। শ্রমিক অসন্তোষ ও বহিরাগতদের হামলার কারণে কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, সেটা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।

শিল্প খাতের বিকাশে উদ্যোগ নিতে হবে

দেশের শিল্প খাত পুরোপুরি ব্যক্তিনির্ভর একটি খাত। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ ব্যতীত এ খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কঠিন। বিগত সরকারের আমলে দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনা, ঋণখেলাপি, রিজার্ভ সংকট ও বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত নতুন সরকারের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ এখন চারটি: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

আগে অর্থনীতির ধস ঠেকানো দরকার, রাজনীতি পরে হোক

শহীদের রক্তের দাগ শুকায় নাই, কিন্তু আপনারা রাস্তা অচল করছেন, সচিবালয় ঘিরেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনেও চলে গেছেন। অথচ আমাদের এখন দেশে প্রশাসন চালু করা দরকার, লুটপাটে ছিবড়া হওয়া অর্থনীতির ধস ঠেকানো দরকার।

ব্যাংক খাত উন্নয়নে কর্ণপাত করেনি কেউ

বাংলাদেশের ব্যাংকিং তথা আর্থিক খাত যে মহা দুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতল খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, সে বিষয়ে দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদ, সচেতন নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে ক্রমাগত সতর্কবাণী উচ্চারণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের তাগাদা দিলেও বছরের পর বছর সেদিকে কর্ণপাত করেনি কেউ।

বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংস্কার আনতে হবে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত। বরং দেশের অলিগার্ক গোষ্ঠী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের স্বার্থ বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে।

অর্থনীতি এখনো সংকটে, নতুন গভর্নরের যত প্রত্যাশা

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক এই কর্মকর্তার নিয়োগকে স্বাগত জানাই। তিনি অর্থনীতিরই মানুষ।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিন

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষ দাবি জানাচ্ছে। এই দাবি পথ-প্রান্তর থেকে সামাজিক মাধ্যমে বেশি হচ্ছে।

বিশ্বে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী, বাংলাদেশে কেন উচ্চমুখী?

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছর সাত মাস শাসনের শেষ দুই বছর দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আর্থিক নীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যে সমন্বয়হীনতা, শক্তিশালী বাজার সিন্ডিকেট, সুদের হার বেঁধে রাখা, কয়েকটি আমদানিকারক গোষ্ঠীর বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এ দুই বছরের প্রায় প্রতি মাসেই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে রেকর্ড তৈরি করে।

বৈদেশিক শ্রমবাজার বিকাশে উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি বৈদেশিক শ্রমবাজার থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়। এ দুই আয়ের উত্থান-পতনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তাই এ দুই খাতকে বলা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা।

নতুন গভর্নরের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রখ্যাত অর্থনীতিবীদ আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি একজন পরিচিত ও প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতি কমানোর বিকল্প নেই

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। বিবিএসের হিসাবে, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাত উপশমে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষিতে দেশ এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে হবে

জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সেবা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। বিগত সরকারের ভুল পরিকল্পনা ও গোষ্ঠী স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়ায় তা সম্ভব হয়নি। আবার ভর্তুকির চাপ সামলাতে সরকার বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে চাপ আরো বাড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে যোগ্যতা ও আত্মমর্যাদাবোধের অভাব

রবীন্দ্রনাথের এ গান পূজা পর্যায়ের হলেও এর উপপর্যায় হচ্ছে ‘বিরহ’। সেই বিরহ এখন পেয়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। ডেপুটিরাসহ গভর্নর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এগুলোর কোনটি গৃহীত হবে আর কোনটি হবে না সেটি পরের বিষয়।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় খেলাপি ঋণ বিপর্যয় দূর করতে হবে

বাংলাদেশের দুই ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। এর একটি হলো রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং অন্যটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলধনের জোগানদাতা সরকার।

সমাজ ও অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নে বিভাজনের দেয়াল টপকাতে হবে

মতৈক্য আর মতানৈক্যের মাঝখানে বিভেদের যে দেয়াল সে দেয়াল ভালো ও মন্দ উভয়েরই জন্য সঙ্কট সৃষ্টি করে। ভালোকে ভালো থাকতে না দেয়া আর মন্দকে আরো মন্দ হতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে এই সঙ্কটের সুনাম সুবিদিত।

অর্থনীতি চাঙা করতে দুর্নীতি ও পুঁজি পাচার রোধ করতে হবে

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে গেড়ে বসা শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।

তথ্যের গরমিলের কারণে অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র অজানা

অর্থনৈতিক নীতি তৈরির প্রাথমিক শর্তই হলো সঠিক তথ্য, যেটা কিনা সরকারের জন্যই সবচেয়ে বেশি দরকারি। আবার আমরা যারা বাইরে থেকে অর্থনীতির দিকে নজর রাখি, বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করি, অর্থনীতিকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যার খাতিরে আমাদেরও প্রকৃত তথ্যের প্রয়োজন।

জুয়াড়িনির্ভর পুঁজিবাজারের লাগাম টানবে কে?

আওয়ামী লীগের শাসনের ১৫ বছরে দেশের পুঁজিবাজার যে অচল হয়ে গিয়েছিল, তা নয় বরং তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। এর জন্য প্রধান দায়ী বলা যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতির ‘হৃৎপিণ্ড’ ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা কবে ফিরবে?

দেশের ব্যাংক খাত অর্থনীতির ‘হৃৎপিণ্ড’ হিসেবে পরিচিত। গত ১৫ বছরের আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দেশের ব্যাংক খাত নাজুক হয়ে পড়ে।

প্রবাসী আয়ে ছন্দপতন, আরও কত তলানীতে নামবে?

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা এবং সংশ্লিষ্ট অনেক জরিপের তথ্যমতে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবাসী রেমিট্যান্সের আকার ৪০ থেকে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজেই বলেছিলেন, এই সম্ভাব্য রেমিট্যান্সের শুধু ৫১ শতাংশ অফিশিয়াল বা বৈধ চ্যানেলে আসে।

নতুন সরকারের হাত ধরে দেশ ও অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসুক

শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়, সরকারহীন হয়ে পড়ে।

‘ক্রান্তিকাল উত্তরণে’ নতুন বিজয় উদ্যম ও সাহস জোগাবে

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পরিসংখ্যানে পদ্ধতিগত কারণে স্বল্পমাত্রার ব্যবধান বরাবরই থাকে। জনসংখ্যা, খানা জরিপ, আমদানি-রফতানি, জিডিপি, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স এমনকি রাজস্ব আয়ের তথ্যগত হিসাবেও টেকনিক্যাল ফারাক বা সীমাবদ্ধতা থাকে।

বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি

দুই বছর ধরেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। গত এক বছরে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও অনেক বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ অত্যন্ত কষ্টে জীবনযাপন করছে। কেননা পণ্যের দাম বাড়লেও সেই অনুপাতে আয় বাড়ছে না।

অর্থনীতির ক্ষত সারাতে সংঘর্ষ নয়, শান্তি প্রয়োজন

টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার ভেতরে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। লাখ লাখ মানুষ রাজপথে আনন্দ মিছিল করেছে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুরবস্থা, সংকট উত্তরণে সজাগ হোন

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দুরবস্থা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিদেশে অর্থ পাচার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো আমাদের অর্থনীতিকে চাপের মধ্যে রেখেছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ জরুরি

দুই বছর ধরেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দেশের মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ অত্যন্ত কষ্টে জীবন যাপন করছে। গত এক বছরে দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আরো বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকারের নানা পদক্ষেপেও মূল্যস্ফীতি কমেনি।