মতামত/কলাম প্রকাশনার সময়: মঙ্গলবার ২৩, জানুয়ারী ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রাহুমুক্ত হবে কবে?

Share on:

আজ ক্ষমতাবান সরকারযন্ত্র নিজ রাজনীতির শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক সৌন্দর্যে কালিমা লেপন করছে প্রতিদিন। এ সুযোগে শক্তি সঞ্চয় করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কয়েকটি প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে নানামুখী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছে।


এগারো শতকের মাঝপর্ব থেকে শুরু করে বারো শতকজুড়ে বাংলার শাসন ক্ষমতায় ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক থেকে আসা ব্রাহ্মণ সেন শাসকরা। বৌদ্ধ পাল রাজাদের অধীনে সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে এসেছিলেন সেনরা। শেষ দিকের পাল রাজাদের দুর্বলতার সুযোগে তারা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বাংলার রাজক্ষমতা কেড়ে নেন। অন্যায়ভাবে রাজসিংহাসন দখল করায় শুরু থেকেই শাসকরা ভীত ছিলেন গণমানুষকে নিয়ে। প্রতিবাদী বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিনা এ দুশ্চিন্তা তাদের পেয়ে বসে। বাঙালিকে হীনবল করে দেওয়ার জন্য সমাজকে চার বর্ণে বিভাজন করে ফেলেন। সাধারণ বাঙালিকে কোণঠাসা করে ফেলেন শূদ্র অভিধা দিয়ে। সব ধরনের অধিকারবঞ্চিত করেন শূদ্রদের। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করেও স্বস্তি পাননি শাসকগোষ্ঠী। বুঝেছিলেন গৌরবময় ঐতিহ্য থেকেই প্রতিবাদের শক্তি খুঁজে নেবে বাঙালি। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষকে শিক্ষাবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছেন সেন রাজারা। প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় লেখা ধর্মগ্রন্থ পাঠ শূদ্রদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ধর্মগ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ। চতুষ্পাঠী ও উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র টোলে শূদ্রের অধিকার নিষিদ্ধ হয়। অর্থাৎ শাসকগোষ্ঠী ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন জাতিকে। এভাবে অন্ধত্বের পর্দা টানিয়ে নিশ্চিন্তে শাসন করতে চেয়েছিলেন শাসকরা। কিন্তু এতে করে শেষ রক্ষা হয়নি। বিক্ষুব্ধ বাঙালি বিদেশি মুসলমান আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি নিজ ধর্মের শাসকদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়।

অতঃপর সুলতানি ও মোগল শাসন মিলিয়ে প্রায় ছয়শ বছর মুসলমান শাসন অব্যাহত ছিল। এ বিদেশি শাসকরা কর্ম ভূমিকায় যেন এদেশি হয়ে গিয়েছিলেন। সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণ অবারিত করে দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক অধিকারও ফিরে পেয়েছিল সাধারণ মানুষ। শিক্ষা অবারিত ছিল বলেই বাংলাভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ ঘটে মধ্যযুগে। দেশের সমৃদ্ধিও উচ্চতায় ওঠে। ঔপনিবেশিক শাসন যুগেও বাঙালি শিক্ষার অধিকার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। কিন্তু নতুন করে সংকট তৈরি হয় পাকিস্তানি শাসকদের সময়। শোষক চরিত্র থাকায় পশ্চিমা শাসকরা বাঙালিকে ঐতিহ্যবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে। তাই চেয়েছে বাংলাভাষা ও সাহিত্যচর্চা বিচ্ছিন্ন করতে। বাংলা বাতিল করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রাণান্ত চেষ্টা ছিল এ দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রকাশ। একই ধারাবাহিকতায় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন করার নানা কূটকৌশল আরোপ করতে চেয়েছে। প্রতিবাদ করেছে বাংলার মানুষ। ভাষা আন্দোলন ছিল এরই বহিঃপ্রকাশ।

মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশের শাসকরা ভিনদেশি না হয়েও নিজেদের শাসন নিষ্কণ্টক রাখতে বাঙালিকে ঐতিহ্য-বিচ্ছিন্ন রাখতে চেয়েছে যেন। তাই নানামুখী শিক্ষা বহাল রেখে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যচর্চাকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। ক্ষমতাবানরা নিজ সন্তানদের নিরাপদ দূরত্বে রেখে দেশের শিক্ষাকাঠামো দুর্বল করেছে ক্রমাগত। গোলমেলে কারিকুলাম চাপিয়ে দিতে চেয়েছে বারবার। রাজনীতি চর্চার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমে দুর্বল করে ফেলতে চেয়েছে। ফলে একটি লাগসই শিক্ষানীতি কার্যকর হয়নি এ দেশে। নানা নিরীক্ষায় আমাদের শিক্ষা কাঠামো ক্রমাগতভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে সবচেয়ে কম গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর ব্যবস্থাপনা। সবকিছু রাজনীতি দিয়ে দেখতে গিয়ে উচ্চ শিক্ষাঙ্গন বিপজ্জনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক শক্তির আখড়া বানাতে গিয়ে আমলাতন্ত্রকে যেমন দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলা হয়েছে, তেমনি অপরাজনীতির ক্ষেত্রভূমি বানিয়ে ক্যাম্পাসগুলোকে করে ফেলা হয়েছে অস্থিতিশীল। দলীয়করণের অশুভ ছকে দুর্বল হয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন। দলীয় শিক্ষকরাজনীতি যুক্তি-বুদ্ধির আবহ নষ্ট করে ফেলেছে। বড়দাগে বললে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ছাত্ররাজনীতি আর দলীয় শিক্ষকরাজনীতি আদর্শের ঐতিহ্য ভুলে পথহারা হয়ে পড়েছে। স্ব স্ব দলের নেতারাও আর ঐতিহ্যের সন্ধান দেননি। বরং চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী আর নিজেদের লাঠিয়াল বানানোটাই লাভজনক মনে করেছেন। অনেক সময় এদের স্থানীয় পরামর্শক হয়ে যাচ্ছেন দলীয় রাজনীতির কোনো কোনো শিক্ষক। মেধা আর গুণবিচার অচেনা হয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শিক্ষক নিয়োগ সব ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয় আর অর্থ পরিচয় প্রধান হয়ে যাচ্ছে। এসব কিছুর কুপ্রভাব ম্রিয়মাণ করে ফেলেছে সামগ্রিক শিক্ষাযাত্রা।

বিধি যেভাবেই থাকুক, বেশিরভাগ স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হন সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি সাহেবদের ইচ্ছাতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সভাপতি হন এমপি সাহেবদের øেহভাজন কেউ, যাদের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেমানান। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটে শিক্ষিত সভাপতি হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার অভিজ্ঞতা নেই। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা থাকলে তাদের কাছ থেকে যথার্থ দিকনির্দেশনা পাওয়া যেত। আমার এক সহকর্মী আক্ষেপ করে বললেন, ‘আমাদের উত্তরবঙ্গে হাতেগোনা দু-চারটে নামি বেসরকারি স্কুলের একটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এমপি সাহেবের কাছের একজন তালবেলেম। রাজনীতিতে যুক্ত থাকা ছাড়া তার আর কোনো যোগ্যতা নেই। স্কুলের গণ্ডি না পেরোনো এ ভদ্রলোক মাঝে মাঝে স্কুলে এসে হেডমাস্টার সাহেবের চেয়ারে বসে শিক্ষকদের ওপর নানা হম্বিতম্বি করে চলে যান। ঠিকমতো ক্লাসপরীক্ষা হচ্ছে কিনা, পরীক্ষার ফল কতটা ভালো হচ্ছে বা হচ্ছে না, এসব তদারকির চিন্তা তার নেই। অথচ এ স্কুলের সাবেক ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়নে ভূমিকা রাখার যথেষ্ট যোগ্যতা তাদের রয়েছে। কিন্তু তাদের কথা কখনো মনে করেন না এমপি সাহেবরা।’ আমরা মনে করি এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন রাজনীতির নামাবরণে আস্তাকুঁড়ে পরিণত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে তরুণ-তরুণীরা বেরোচ্ছে, তাদের অনেকেরই কর্মসংস্থানের পথ মসৃণ নয়। এ অবস্থায় শুনতে পাই জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হবে। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক যাত্রা শুরুও হয়েছে। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে খুঁজে খুঁজে দলীয় অধ্যাপক বের করে বা তদবিরে উপাচার্যও নিয়োগ হয়ে গেছে। এখনো প্রশাসনিক এবং একাডেমিক বিল্ডিং তৈরি হয়নি। কাছের কোনো কলেজে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা পড়াবেন, কী পড়াবেন তা নিয়ে সচেতন মহল চিন্তিত আছেন। আর এতসব ডিগ্রিধারীদেরই বা কী উপায় হবে সে এক বড় প্রশ্ন। অনেক বছর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক সরকারি কলেজে কোনো কোনো বিষয়ে অনার্স খোলা হয়েছিল। নানা অব্যবস্থাপনায় এসবের করুণ দশা নিয়ে বেশ আলোচনা রয়েছে। এর মধ্যে আবার রাজনৈতিক প্রয়োজনে জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ খোলারও হুজুগ চলছে। এখানে দক্ষ শিক্ষক কোথায় মিলবে! চিকিৎসাশাস্ত্রের মতো তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনা কতটা করা সম্ভব, এসব বিবেচনায় রাখা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই।

বাস্তবতার নিরিখে আমাদের মনে হয় নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি ছাত্ররাজনীতি সংশ্লিষ্ট মানুষ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির সম্যক খবর দেশবাসী জানে। বর্তমান সময়ে তো ছাত্ররাজনীতির ভয়ংকর চিত্র ক্যাম্পাসবাসী আর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আতঙ্কের সঙ্গে লক্ষ করেন। তাই অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার ধারকর্জ করে, জমি বিক্রি করেও সন্তানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ১৯৯০-এর পর থেকে ছাত্ররাজনীতি অনেক বেশি দুর্বিনীত হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে ক্ষমতা আর সুযোগপিয়াসী শিক্ষকদের অংশ দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে যুক্ত ছাত্রদের শক্তি জোগাতে থাকেন। এখন তো ক্যাম্পাসবাসী বিশ্বাস করেন হলে প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর থাকলেও হল প্রশাসন চলে ছাত্রলীগ নেতাদের হুকুমে। নির্মাণকাজে অর্থ পাওয়ার ব্যবস্থা নাকি প্রশাসনই করে দিতে বাধ্য থাকে। শিক্ষক থেকে কর্মচারী নিয়োগে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয় অনেকটা প্রকাশ্যেই। দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ পাওয়া অনেক শিক্ষকই নাকি রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা মেনে সময় দিতে গিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা করার তেমন সময় পান না। এমন বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমে নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে।

অথচ গত শতকের আশির দশকেও এমন পরিবেশ ছিল না। সে সময় ছাত্ররাজনীতি তেমন আসুরিক অবস্থায় ছিল না। মেধার বিচারেই শিক্ষক নিয়োজিত হতেন। সর্বজনবিদিত শিক্ষাবিদ পণ্ডিত অধ্যাপকরা উপাচার্য হতেন। ১৯৮৪ সালে আমার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার গল্প শুনে এ সময়ের তরুণ শিক্ষক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে থাকেন। আমার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন বিখ্যাত অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী স্যার। ছাত্র নেতাদের সে সময় পূর্বানুমতি নিয়ে ভিসির সঙ্গে দেখা করতে হতো। সে সময় শিক্ষক হওয়ার যোগ্য মেধাবী ছাত্রদের মনে মনে শিক্ষক হিসাবে নির্বাচন করে রাখতেন বিভাগের মুক্তমনা শিক্ষকরাই। আমি অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করি। বিভাগে পদ না থাকায় বিজ্ঞাপন হচ্ছিল না। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। আমার শিক্ষক বিভাগের সভাপতি ভিসি স্যারের কাছে এ সংবাদটি নিয়ে যান। সিদ্দিকী স্যার শুনেই আমাকে আটকে দিলেন। একটি এডহক নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। অচিরেই মঞ্জুরি কমিশন থেকে পদ সৃষ্টি করে আমার নিয়োগ স্থায়ী করেছিলেন। এজন্য আমার কারও কাছে ধরনা দিতে হয়নি, তদবির করতে হয়নি। এমনই ছিল সে সময়ের বাস্তবতা।

আজ ক্ষমতাবান সরকারযন্ত্র নিজ রাজনীতির শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক সৌন্দর্যে কালিমা লেপন করছে প্রতিদিন। এ সুযোগে শক্তি সঞ্চয় করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কয়েকটি প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে নানামুখী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছে। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে উঠে যাচ্ছে অনেকটা উচ্চতায়। যেহেতু শিক্ষার চেয়ে নষ্ট রাজনীতির গ্রাস বড় হয়ে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, তাই ক্রমে মানুষের আশ্বাসের জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন দুর্দশা কি কারও কাম্য? অনেক হারিয়েছি আমরা। আর হারাতে চাই না। নষ্ট রাজনীতির ঘেরাটোপে না থেকে সরকারকেই ভাবতে হবে ক্যাম্পাসে কীভাবে শোভন, সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়। আমরা প্রতিদিনই রাহুমুক্তি ঘটিয়ে তেমন সুন্দর সকালের জন্য অপেক্ষা করি।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর