স্বাস্থ্যসেবার হাল ধরবে কে?
Share on:
সারা দেশের জেলা, উপজেলার হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে তাকালেই দেখা যায়, একশ্রেণির ডাক্তার সরকারি দায়িত্ব পালন না করে কীভাবে হাসপাতালের আশপাশে নিজেরাই ব্যক্তিগত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে সেসব স্থানে রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছেন; সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিজেদের হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যেতে কীভাবে দালাল লাগিয়ে রেখেছেন! আর যুগ যুগ ধরে এসব ঘটনা চালু থাকলেও আজ পর্যন্ত সে ক্ষেত্রে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি।
আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকার কর্তৃক যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়, যথাযথভাবে তা জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবায় লাগানো গেলে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হতেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগও দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত। কিন্তু তা যে সম্ভব হচ্ছে না, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা স্বাস্থ্য বিভাগের দিকে একটু দৃষ্টি দিলেই তার প্রমাণ মেলে। সারা দেশের জেলা, উপজেলার হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে তাকালেই দেখা যায়, একশ্রেণির ডাক্তার সরকারি দায়িত্ব পালন না করে কীভাবে হাসপাতালের আশপাশে নিজেরাই ব্যক্তিগত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে সেসব স্থানে রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছেন; সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিজেদের হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যেতে কীভাবে দালাল লাগিয়ে রেখেছেন! আর যুগ যুগ ধরে এসব ঘটনা চালু থাকলেও আজ পর্যন্ত সে ক্ষেত্রে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। কারণ, যেসব ডাক্তার এসব কাজে সম্পৃক্ত, রাজনৈতিকভাবে তারা শক্তিশালী। রাজনৈতিক খুঁটির জোরেই তারা এসব করে থাকেন। পেশাগত সংগঠনকে রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করে তারা ব্যবসা চালিয়ে যান। ফলে আজ পর্যন্ত কোনো সরকারের পক্ষেই ডাক্তার নামধারী এসব ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিকদের কবজা থেকে স্বাস্থ্য খাতকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া আলাদা আরও একশ্রেণির রাজনৈতিক ব্যক্তি, যারা ওষুধ ব্যবসা বা সরকারি হাসপাতালগুলোর ওষুধ সরবরাহকারী ঠিকাদার, তাদের হাতেও দেশের স্বাস্থ্য খাত জিম্মি। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারি ব্যবসার নামে অনেকে যা করেন, সেসব ঘটনাও রীতিমতো বিস্ময়কর। কত টাকার ওষুধ সরবরাহ করে তারা কত টাকার বিল তুলে নিয়ে যান অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করেন, নিকৃষ্ট চিকিৎসাসামগ্রী গছিয়ে দিয়ে বিলের টাকা তুলে নেন, সেসব ঘটনাও অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। অথচ এসব ঘটনা স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সবাই জানেন। কারণ, বিষয়টি ওপেন সিক্রেট! করোনাকালীন এসব ঘটনার দু-একটি জনসমক্ষে এলেও এবং সে সময়ে এসব নিয়ে দু-একটি মামলা হলেও স্বাধীনতার পর থেকেই এসব ব্যবসা চালু ছিল এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। ফলস্বরূপ স্বাস্থ্য খাতটি দেশের দুর্নীতির বড় একটি ক্ষেত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে; কিন্তু এত কিছু জানা সত্ত্বেও বিড়ালের গলায় কেউ ঘণ্টা বাঁধেননি বা বাঁধতে পারেননি। এ অবস্থায় নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে যিনি দায়িত্ব পেয়েছেন, এসব নিয়ে তিনি কী করেন, তা দেখতে আমাদের কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ১৭ কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যেসব হাসপাতাল রয়েছে, সেসব স্থানে মানুষ সুচিকিৎসা না পেয়ে বা এসব হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের প্রতি আস্থা হারিয়ে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি লোক চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন করেন এবং এসব রোগীর অধিকাংশই চিকিৎসার জন্য ভারত চলে যান। আবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী, যাদের সামর্থ্য আছে, তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে গিয়েও চিকিৎসা করান। আর এসব শ্রেণির রোগীর মধ্যে মন্ত্রী-মিনিস্টার, এমপি থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা ইত্যাদিসহ অনেক নিম্নবিত্ত মানুষও আছেন, যারা বাধ্য হয়ে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান; কিন্তু প্রশ্ন হলো, চিকিৎসার জন্য দেশের ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষকেই কেন বিদেশ ছুটতে হবে? আর দেশে চিকিৎসা করানো ছাড়া যাদের কোনো উপায় নেই, সেসব অসহায়-নিরুপায় মানুষকেই বা কেন আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অপচিকৎসার শিকারে পরিণত হতে হবে? একটি শিশুকে সামান্য খতনার মতো অপারেশনের ক্ষেত্রেও কেন প্রাণ দিতে হবে; বড় একটি নামিদামি হাসপাতালের পক্ষেও কেন এমন একটি অপারেশন-পরবর্তী জটিলতা নিয়ন্ত্রণ করে শিশুটির প্রাণ রক্ষা করা যাবে না।
দেশের একজন নাগরিক হিসাবে বা একজন রোগী হিসাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে যদি বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বা ডাক্তার-নার্সের গাফিলতি আছে, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য বিভাগই বা এসব প্রশ্নের কী জবাব দেবেন? তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য বিভাগ যে জবাবই দিন না কেন, এসব হাসপাতাল-ক্লিনিক সম্পর্কে আমাদের নিজেদেরও কিন্তু অনেক কিছু জানা আছে। আমি নিজেও রোগী হিসাবে এসব হাসপাতালের কোনো কোনোটিতে গিয়ে তাদের আচার-আচরণ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে এবং পরিশেষে ব্যবস্থাপত্র পেয়ে বুঝতে পেরেছি, সেসব স্থানে মানুষ কতটা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমার নিজের দুটি অভিজ্ঞতা এখানে তুলে ধরতে চাই।
১. আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখা গেল, আমার কিডনি দুটির শেপ-এ কিছুটা পরিবর্তন হয়ে আকার কিছুটা ছোট হয়ে এসেছে। এ অবস্থায়, দেশের স্বনামধন্য একজন নেফ্রোলোজিস্টের কাছে গেলে, আগ থেকেই তার সহকারী আমার কাছ থেকে ফি নিয়ে ভেতরে ঢুকালে দেখা গেল, তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছেন এবং একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট তার কক্ষে দাঁড়িয়ে আছেন। এ অবস্থায় তিনি তার রুমে দাঁড়িয়ে থাকা মেডিকেল ছাত্রটির হাতে আমার রিপোর্টগুলো দিতে বলে আবার ফোনে কথা বলতে থাকলে আমি আগে তার সঙ্গে একটু কথা বলে রিপোর্ট দিতে চাওয়ায় তিনি রাগান্বিত হয়ে আমাকে আগে ছাত্রটির হাতে সব পেপার দিতে বললেন। আমি বললাম, রিপোর্ট দিতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু সামান্য কথায় আপনি রাগান্বিত হলেন এবং এখন উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন, এ অবস্থায় আপনিতো স্বাভাবিকভাবে আমার চিকিৎসা করতে পারবেন না, সুতরাং, আমি আপনাকে দেখাব না। বলা বাহুল্য, এ কথা বলে সেদিন আমি আমার টাকা ফেরত নিয়ে চলে এসেছিলাম।
২. ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির অমর একুশের বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একাডেমির জীবন সদস্য হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে গিয়ে যে আসনটিতে বসেছিলাম, তার পাশেই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাহেব বসেছিলেন এবং আশপাশের অনেকেই তার কাছে চোখের সমস্যার কথা বলায় তিনি কাগজ-কলম নিয়ে তৎক্ষণাৎ কাউকে কাউকে দু-একটি ওষুধ লিখে দিচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানস্থলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কিছু আগে আমরা আসন গ্রহণ করায় এবং ভিসি মহোদয় একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ায় অন্যদের সঙ্গে আমি নিজেও আমার চোখের সমস্যার কথা তাকে বলেছিলাম এবং তিনিও আমাকে হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেছিলেন। অতঃপর তার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষাৎ করায় আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সারাজীবন তা মনে রাখার মতো। আমি যখন সেখানে উপস্থিত হই, ভিসি সাহেব তখনো আসেননি; কিন্তু ইতোমধ্যেই তার চেম্বারের সামনে লোকজনের ভিড় জমে বসার জায়গার অভাবে বারান্দা পর্যন্ত জায়গা রোগীতে পূর্ণ হয়ে আছে। সেখানে আগত লোকজনের মধ্যে ১০/১২ জনই ছিলেন ডাক্তার। অতঃপর তিনি এলে আমি পূর্ব সূত্র ধরে কথা বলায় আমাকে একজন ডাক্তার দেখিয়ে তার সঙ্গে যেতে বললেন। কিন্তু আমি যেতে চাইলেও সেই ডাক্তার সাহেব অনড়। কারণ ভিসি সাহেবের সঙ্গে তার কাজ আছে; হয়তো চেষ্টা-তদবির! এ অবস্থায় বার কয়েক অনুরোধ করার পর তিনি আমাকে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতে বলায়, আমি সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে যখন চলে আসব ভাবছি, সেই মুহূর্তে বয়সে তরুণ সেই ডাক্তার সাহেব অনেকটা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে আমাকে নিয়ে ছুটলেন অন্য একটি ফ্লোরে। তারপর সেখানে নিয়ে একটি টুলের ওপর বসিয়ে মেশিন দিয়ে আমার চোখ পরীক্ষা করে অবশেষে চোখের পাওয়ার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। মেশিন হতে বের হওয়া সেই প্রিন্ট কপি হাতে নিয়ে বের হয়ে ভাবলাম, কী আশা করে এসেছিলাম আর কী পেলাম! যে রুমে বসিয়ে আমার চোখ পরীক্ষা করা হলো, দেওয়ালের রং চটা সেই রুম, রুমের আসবাবপত্র, মেশিন ইত্যাদি সবই অত্যন্ত পুরোনো ধাঁচের। অথচ আমি ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার নিশ্চয়ই আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছেন, যা দিয়ে আমার চোখ পরীক্ষা করা হবে, কিন্তু হা হতোস্মি! আমার ক্ষেত্রে সেই মান্ধাতা আমলের যন্ত্রপাতি দিয়েই চোখ পরীক্ষা করা হলো। জানিনা আধুনিক যন্ত্রপাতি সেখানে আছে কিনা; থাকলেও আমার ভাগ্যে তো তা জুটল না।
সাধারণ মানুষের ভাগ্যে সরকারি হাসপাতালে যে কী ধরনের চিকিৎসা মেলে, সেদিন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখ দেখাতে গিয়ে আমি হাড়ে হাড়ে তা টের পেয়েছি। আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রেও যে অপরাজনীতির থাবা বিস্তার লাভ করেছে, সে কথাটিও বুঝতে পেরেছি। কারণ সেখানে যে দৃশ্য দেখে এসেছি, তাতে মনে হয়েছে, চিকিৎসার পাশাপাশি সেখানে রাজনীতিও জমজমাট। সকাল থেকেই যেভাবে চিকিৎসা বাদ দিয়ে ডাক্তার সাহেবরা ভিসি সাহেবের কামরা এবং বারান্দায় ভিড় করে থাকেন, তা দেখেও ঘটনা কিছুটা আঁচ করা যায়। বহুদিন আগে একবার সকাল ১০টায় একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখেছিলাম, বিভিন্ন তদবির নিয়ে শতাধিক নারী-পুরুষ ডাক্তার সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। অথচ সে সময়ে তাদের স্ব স্ব ডাক্তারি পেশায় ব্যস্ত থাকার কথা।
এ অবস্থায় দেশের মানুষ যাদের সামর্থ্য আছে, তারা তো বটেই, এমনকি যাদের সামর্থ্য নেই তারাও ভিটেমাটি বিক্রি করে হলেও অনেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমান। বিশেষ করে লাখ লাখ লোক ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। যেমন, অবশেষে আমিও ভারতের হায়দরাবাদের এলভি প্রসাদ আই হাসপাতালে চোখের এবং সেখানকার কেয়ার হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসা করিয়েছি এবং সেখানে অনেক বাংলাদেশি রোগীর সাক্ষাৎ পেয়েছি। আবার ফেরার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে শতাধিক বাংলাদেশি রোগীকে দেখেছি। চেন্নাই, ভেলোর ইত্যাদি স্থান থেকে চিকিৎসা শেষে দিল্লি হয়ে দেশে ফেরায় সেদিন আমরা ভারতের একটি প্লেনের সম্পূর্ণটাই বাংলাদেশি যাত্রীতে ঠাসা ছিলাম। এ অবস্থায় ভারতীয় হাসপাতালের পাশাপাশি সেখানকার রেল, বিমানসহ বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিও প্রচুর লাভবান হচ্ছে।
লেখাটির উপসংহার টেনে বলতে চাই, বেশ কিছু দিন আগে ঢাকার সিটিজেন রাইটস্ মুভমেন্ট নামের একটি নাগরিক সংগঠন মানববন্ধন করে যে প্রশ্নটি তুলেছিলেন তা হলো, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না করে রাজনৈতিক নেতাদের বিদেশে চিকিৎসা করানোর কোনো অধিকার নেই। আমাদের হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান না বাড়িয়ে এরা বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন!
আমার মনে হয়, সংগঠনটির প্রশ্ন, মন্তব্য বা বক্তব্যটুকু যথার্থ। কারণ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে ডাক্তারদের রাজনীতির আখড়া বানিয়ে, স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি ব্যয় বরাদ্দ রাজনৈতিক লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়ে এভাবে দেশের অর্থ, তথা জনগণের অর্থ অপচয় করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এবং চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষের বিদেশ গমন রোধ করে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ করাও সম্ভব নয়। সুতরাং, কালবিলম্ব না করে দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে রাজনীতির করালগ্রাসমুক্ত করাই হবে এখন সময়ের কাজ।
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর