সিন্ডিকেটের কারসাজি থেকে বাচতে চাই
Share on:
দেশের বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়া রোধে সরকারের পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব রয়েছে। চালের বাজারে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কিছুদিন সংযত ছিলেন। এখন তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এদের থামাতে হলে দ্রুত পদক্ষেপে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমানে দেশের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি। বিজ্ঞজনের মতে, এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র সক্রিয়। সীমাহীন জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলাজলে মাছ শিকারের দুরভিসন্ধি রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল-ইয়েমেন সংঘাত, লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হামলা, আন্তর্জাতিক বাজারে উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পণ্য সরবরাহের বিঘ্ন সৃষ্টির অজুহাতে মজুতদার সিন্ডিকেট কূটকৌশল অবলম্বন করছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে অনৈতিক সিন্ডিকেটের পদচারণায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। পণ্যের চাহিদা-সরবরাহের দোলাচলে অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফার লোভ শুধু অরাজক পরিস্থিতি নয়, দেশব্যাপী ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়ক হচ্ছে। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে নিত্যপণ্যের যে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দুর্বৃত্তায়নে সিদ্ধহস্ত কিছু ব্যবসায়ীর কারণে বারবার দুর্ভোগে পড়ছে দেশের নিু-আয়ের মানুষ। আইনকে ন্যূনতম সমীহ না করে বছরের পর বছর তারা নিজেদের ইচ্ছামতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে এবং কমাচ্ছে।
এসব দুষ্টচক্রের কারণে দেশবাসীর জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণের ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়িয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কারসাজি চক্রের লাগাম টানতে সরকার মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনাসহ নানা পদক্ষেপ নিলেও থেমে নেই অসাধু চক্রের বেপরোয়া মনোভাব। ফলে পণ্য ক্রয়ে জনমনের আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি অনস্বীকার্য যে, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজারে কোনো ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তৎক্ষণাৎ মূল্য বাড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতা যেন বেড়েই চলেছে। পক্ষান্তরে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যমূল্য কমানোর ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ-অভিযানে দাম কিছুটা কমালেও তা বৃদ্ধির তুলনায় অতি নগণ্য। ক্ষেত্রবিশেষে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রিতেও ব্যবসায়ীদের গড়িমসি লক্ষ করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে আকস্মিকভাবেই বাড়তে শুরু করে চালের দাম। বিভিন্ন অজুহাতে ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও চালের হঠাৎ এ মূল্যবৃদ্ধির জন্য খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, সরবরাহ কমিয়ে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে।
কিন্তু মিল মালিকরা অভিযোগ করছেন অবৈধ মজুতদারির বিষয়ে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে স্টক বিজনেসের নামে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য মজুত করছেন। মিল মালিকরাই এসব ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে আরও বেশি দামে ধান কিনছেন। চালের দাম বেশি হওয়ার এটাই মূল কারণ। তাছাড়া মিল মালিকদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে।’ ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেশির ভাগ বাজারে মানভেদে চালের দাম ২ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সরু চালের দাম। এরপর আছে মাঝারি ও মোটা চাল।
কৃষি অর্থনীতিবিদদের মতানুসারে, ‘দেশের বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়া রোধে সরকারের পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব রয়েছে। চালের বাজারে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কিছুদিন সংযত ছিলেন। এখন তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এদের থামাতে হলে দ্রুত পদক্ষেপে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।’ বাজারসংশ্লিষ্টরা আমদানি করা পণ্যের সঙ্গে দেশের উৎপাদিত পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য মূলত বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন। তাদের মতে, ‘নানা উদ্যোগ নিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কথা ছিল সরকারের, কিন্তু সেটি চলে গেছে সিন্ডিকেটের দখলে। সরকারের দায়িত্বরত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর জোরালো ভূমিকা পালনে অদৃশ্য দুর্বলতার কারণে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। তারা নানা অজুহাতে যখন-তখন পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে।’
গত ১৭ জানুয়ারি ধান-চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি রোধে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করে চারদিনের মধ্যে দাম আগের পর্যায়ে নিয়ে আসতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়াবেন, এটা তো মানা যায় না। যেভাবে চারদিনে দাম তুলেছেন, সেভাবেই চারদিনে কমিয়ে স্ব-স্থানে নিয়ে আসবেন। অবৈধ মজুতকারী কিংবা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দেওয়া ব্যবসায়ী কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। বিনা লাইসেন্সে যারা ধান মজুত করছেন, তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবেন না।’ এছাড়াও গত ২১ জানুয়ারি দেশের খোলাবাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘নিত্যপণ্যের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত মজুত আছে। কতিপয় ব্যক্তি কারসাজির চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে সরকার সতর্ক আছে। আর কারসাজি ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সভাশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কয়েকটি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসেছে, এটি একটি সদিচ্ছার প্রকাশ। নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। কিছু সময়ে কারসাজির কারণে পণ্যে ব্যত্যয় ঘটেছে; কিন্তু সে ব্যত্যয় যেন না ঘটে এজন্য পদক্ষেপগুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, বাজারে পণ্যের সংকট নেই। কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ও মতলববাজ ব্যবসায়ী আছে, তারা কারসাজি করছে। সেই শ্রেণির কারণে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের কারণে মাঝেমধ্যে আমরা বিপদে পড়ি। আপনারা আশ্বস্ত হতে পারেন, আমরা যেসব কঠোর পদক্ষেপ নেব, শিগ্গির আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। কারা কারসাজি করছে তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র বাতিল করা হবে।’ বিশ্লেষকরা নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি কমাতে এবং নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বাজারে ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদারে ইতোমধ্যে পাশ হওয়া মজুতবিরোধী আইনের বিধি প্রণয়ন করে তা দ্রুত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত নতুন সরকার নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য দেশের সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে দ্রুত সাতটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সংগতি প্রতিষ্ঠা, যেসব পণ্যের বাজার দেশীয় উৎপাদন ও সরবরাহকারীর ওপর নির্ভরশীল, সেগুলোর ন্যায্যমূল্য প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা, পণ্যমূল্য কমাতে উৎপাদন ব্যয় হ্রাসকরণে উন্নত প্রযুক্তির লভ্যতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা উৎসাহিত করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধে নিয়ে আসা, মুদ্রা সরবরাহ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়-উপকরণ হিসাবে নীতি সুদহার ব্যবহার করা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অর্থাৎ নতুন পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে শুল্কহার রেয়াত ও প্রণোদনা পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়া ইত্যাদি।এ ছাড়া রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমানো এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ২২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকে তিনি কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধিমূলক মজুত করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে দেওয়া হবে। মজুতদারি-কালোবাজারি কেউ যাতে কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ অস্বাভাবিক মজুতদারির সন্ধান পেলে খবর দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব। এখানেই আঘাত হানতে হবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের দেশে একটা শ্রেণি আছে, যাদের কোনোকিছুই ভালো লাগে না। দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাদের ভালো লাগে। ইনশাআল্লাহ দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেই আমাদের দেশকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলব।’
বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতিতে সব ধরনের সিন্ডিকেট ও দুর্বৃত্তকে স্বমূলে উৎপাটন করে দেশবাসীর সামগ্রিক স্বার্থরক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এসব সিন্ডিকেট ও দুর্বৃত্তকে অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে সুযোগসন্ধানীরা অধিকতর উৎসাহিত হবে। সিন্ডিকেট কারসাজির বিরুদ্ধে কোনো নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি নয়; দেশ ও জনগণের সার্বিক স্বার্থ নিশ্চিতকরণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অতীব জরুরি।
সুত্র: দৈনিক যুগান্তর