তাদের হাতে পৌঁছায়নি নতুন বই
Share on:
নতুন শিক্ষাক্রমের অষ্টম ও নবম শ্রেণির চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি পেতে দেরি হয়ে যায়। গত বছরের মতো সমালোচনা যাতে না হয় এজন্য চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি নিয়েই কাজে হাত দেয় প্রেসটি।
বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বঞ্চিত হয়েছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি নতুন বই। এখনো বাকি রয়েছে ২০ লাখ বই প্রস্তুতের কাজ। ছাপাখানাগুলোর ভাষ্য দুই-তিন দিনের মধ্যে এসব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
এনসিটিবি’র উৎপাদন ও বিতরণ শাখা সূত্র জানিয়েছে, মোল্লা প্রিন্টিং প্রেসে কারিগরি স্তরের প্রায় ২ লাখ বই এখনো বাকি রয়েছে। টেন্ডারের শর্তানুযায়ী আগামী ২৪শে জানুয়ারি পর্যন্ত ছাপাখানাগুলো বই দিতে পারবে। এসব বইয়ের বেশির ভাগই ছাপা হলেও বাঁধাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে।
দেরি হবার কারণ হিসেবে প্রেসটি জানায়, নতুন শিক্ষাক্রমের অষ্টম ও নবম শ্রেণির চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি পেতে দেরি হয়ে যায়। গত বছরের মতো সমালোচনা যাতে না হয় এজন্য চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি নিয়েই কাজে হাত দেয় প্রেসটি। মোল্লা প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী মিন্টু মিয়া বলেন, কয়েকটি লটে পাওয়া ১ কোটি ৬০ লাখ বই পাঠিয়ে দিয়েছি। অল্প কিছু বাকি রয়েছে।
দু-এক দিনের মধ্যেই তা পাঠিয়ে দেবো। এবার মাধ্যমিকের বইয়ের পাণ্ডুলিপি হাতে পেতেই দেরি হয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়সহ কয়েকটি জেলায় কিছু বই এখনো পাঠানো যায়নি। এগুলো দ্রুত চলে যাবে। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বই পাঠানোর সময় আছে। এরপর আমরা নিম্নমানের বইয়ের বিষয়ে যেসব অভিযোগ পেয়েছি, তার ওপর ভিত্তি করে যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি বই ছাপার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির বই ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির বই ৫ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি। এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ৩১ কপি, ৫ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই এবং শিক্ষকদের জন্য ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ ছাপানোর সিদ্ধান্ত হয়।