মতামত/কলাম প্রকাশনার সময়: সোমবার ১২, অগাস্ট ২০২৪

সময় আর অসময় নিয়ে যতকথা

Share on:

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গিয়েছিলেন। সেখানে তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিল ভারতের খ্যাতনামা ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’।


পত্রিকার স্বনামধন্য কূটনৈতিক প্রতিবেদক সুহাসিনী হায়দারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বিগত ১৬ বছরে যারা স্বঘোষিত ও স্বনির্বাচিত শাসকদের যত ‘সুকর্মের’ জেরে এই জনপদের ৯০ শতাংশ মানুষের জীবন কিভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল, অত্যন্ত পরিশীলিত ভাষায় খুব সংক্ষিপ্তভাবে তার একটি বর্ণনা দেন। তিনি ‘দ্য হিন্দুকে বলেছিলেন, বিদ্যমান সঙ্কট উত্তরণে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনের কথা। এ নিয়ে বাংলাদেশের সেই স্বঘোষিত শাসকদের গায়ে জ্বালা ধরে গিয়েছিল। তারা প্রফেসর ইউনূসকে অশিষ্ট শুধু নয়, চরম অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। এমনকি তাকে দেশদ্রোহী পর্যন্ত আখ্যায়িত করে। প্রকৃত অর্থে স্বঘোষিত সেই শাসকরা কখনোই বিবেকের দ্বারা পরিচালিত হয়নি।

তাদের বাচনভঙ্গি ও দেহভঙ্গি সবসময়ই ছিল অশালীন। অন্য দিকে লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ দলটি নির্বাচন নিয়ে অতি উৎসাহ দেখিয়েছে। দুই পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি আচরণ কেউই কিন্তু ভালোভাবে নেয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে সবই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, সরকারের প্রতিপক্ষের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল যেসব বোদ্ধা, আলোকিত মানুষ এবং সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে দলটির এই মুহূর্তের চাহিদাকে একেবারেই অসময়োচিত বলে মনে করছে। অপর দিকে লীগের নির্বাচন নিয়ে গা জ্বালাকে নিন্দনীয় বলে মনে করে। পক্ষান্তরে সদ্য কারামুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে সবাইকে এখন শান্ত থাকা, ধৈর্য ধরার যে আহ্বান জানিয়েছেন, মানুষ সেটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে, জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান যে কথা বলেছেন, সেটিও প্রশংসা পাওয়ার মতো। তিনি অকপটে মোবারকবাদ জানিয়েছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে। স্বীকার করেছেন, সেটি ছাত্র-জনতাই ঘটিয়েছে। তাদের কথা শুনতে হবে। এ দিকে জামায়াত এখনই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি। নীরব থেকেছে বটে, নিষ্ক্রিয় নয় জামায়াত। এই দলের ভূমিকা নিয়ে কেউই চোখ বন্ধ করে নেই। এটিই বিজ্ঞোচিত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা বলেছেন, প্রয়োজনের বেশি এক মুহূর্তও তারা থাকবেন না। এটাই যুক্তিযুক্ত কথা

এ দিকে সদ্য পতিত লীগ কখনোই তাদের দোষ-ত্রুটি, ভুলভ্রান্তি নিয়ে সব সময় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও থলের কালো বিড়াল কিন্তু বেরিয়ে এসেছে। সব ক্ষেত্রেই তারা যা বলেছে এবং করেছে, সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে চোখ বন্ধ করে সহিহ শুদ্ধ বলে রায় দিয়েছে। অথবা কখনোই মুদ্রার যে অপর একটি পিঠ আছে, সেটি স্বীকার করেনি। সে জন্যই শেষে নৌকা ডুবে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, লীগ গেলেও তাদের সব সুবিধাভোগীরা কিন্তু বসে নেই। তার আলামত সব দিক থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এই প্রতিবিপ্লবীদের আইনের আওতায় নিতে হবে।

আগেই বলা হয়েছে, একটি প্রধান দল এই মুহূর্তে (তথা ৯০ দিনের মধ্যে) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে কথাটি যৌক্তিক বা সময়োচিত একথা বলা সম্ভব নয়। কথাটি দ্বিতীয়বার উচ্চারণ করা হলো এ জন্য যে, আরো একটু সময় দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর এই সময়কে সবাই ইউজ করুক। এতে কল্যাণ হবে সবারই।

একটু ব্যাখ্যা করে বলি, গত ১৬ বছরে লীগ সরকারের নির্মমতায় সব দলের কোমর ভেঙেছে, হাত পা অকেজো করেছে, মামলা-হামলায় নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করেছে। দলগুলোর নেতাকর্মীদের মানসিক পীড়ন, আর্থিক বুনিয়াদ ও শারীরিক সক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে। তাদের একটু গুছিয়ে নেয়ার সময় দরকার। সে জন্য একটু ওয়েট করা তো যেতেই পারে। নির্বাচনী যুদ্ধে নামার জন্য অনেক প্রাণশক্তির দরকার। সেই সাথে যাচাই-বাছাই দরকার। নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই তো সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে সামনের নির্বাচন একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাদের কাছে মানুষের পাওয়ার আবদারটাও বহু গুণ বেশি হয়। এখন তো রাষ্ট্রের কোষাগার খালি, নির্বাচনের টাকা দরকার। সেটা কোথায়। ব্যাংকগুলো এখনো শুধু বিশৃঙ্খল নয়, চরম সঙ্কটে।

আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষদের প্রতি যে বেটার চয়েজের কথা হয়েছে, তার সার কথা হয়তো এমনই। তাদের প্রথম কাজ হবে দলকে গোছানো। যাতে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়। জনগণের প্রতিপক্ষ দলের চেয়ে যে তারা কেন বেটার, সে বিষয়ে জনসম্মুখে বুদ্ধিবৃত্তিক যুক্তি তুলে ধরা, দেশে যে বেশুমার লুটপাট অর্থপাচার, হাজারো খুন খারাবি হয়েছে তার একটা দলিল দ্রুত প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। শুধু সেটাই নয়, সেজন্য তাদের দফায় দফায় কথা বলতে হবে। লীগের দুষ্কর্মের নির্ভরযোগ্য তথ্য যত বেরিয়ে আসবে, সেটাই হবে প্রতিপক্ষের পুঁজি। লীগের সাঙ্গ-পাঙ্গদের যাতে সত্যিকার অর্থে আইনের আওতায় আনা যায়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার। একটি ভালো একটি নির্বাচনের জন্য অবশ্যই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রথম কাজ। সেজন্য ভূমিকা রাখা জরুরি। দেশের সংবিধানসহ যাবতীয় আইন, কানুন যেগুলো দেশের মানুষের স্বার্থের প্রতিকূলে, যেসব লীগ সরকার ব্যবহার করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করেছিল, সেগুলো সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও সমর্থন দিতে হবে। রাষ্ট্রের থ্রি প্লাস ওয়ান যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সবই এখন প্রায় অকার্যকর এবং দলান্ধ হয়ে আছে। সেগুলোকে রাইট ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থ-বাণিজ্য শিল্প ধ্বংসের মুখে। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। তাকে দ্রুত ইউটার্ন করাতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশে থাকতে হবে প্রতিপক্ষ দলগুলোর।

এ কথা সবারই জানা, লীগ সরকার পরশিদের পরামর্শে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লক্ষ্য জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া। জাতিসত্তাকে মুছে ফেলা, জাতিকে ‘রুটলেস’ করে দেয়া। এসব পাল্টাতে হবে, পাঠ্যপুস্তক রি-রাইট করতে হবে। আর একটা কথা খুব অপ্রাসঙ্গিক হবে না মনে হয়। সেটি হলো, লীগের সীমান্তের ওপারের সুহৃদরা প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশ নিয়ে অকথা বলছে। কিন্তু ঢাকা থেকে কেউ কি তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সেসব বক্তব্যের অসারতা প্রমাণের চেষ্টা করেছে! দেশে মিডিয়ার এখন ধরি মাছ, না ছুঁই পানি এমন ভাব। এগুলোর প্রতিবিধান কোথায়। শুধু সরকার নয় এজন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

আমরা বছরকে বছর দেখে আসছি, সীমান্তে পাখির মতো মানুষ মারছে আমাদের তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীরা। আমাদের সেই কথিত বন্ধুরাষ্ট্র আমাদের দুর্বল ভেবে মানুষ মারে, চোখ রাঙায়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, শক্তি দিয়েই শক্তির মোকাবেলা করতে হয়, অন্য কোনোভাবে নয়। দেশের শুধু সার্বভৌমের প্রতীক নয়, আমাদের গর্বের ধন হচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী। তাদের শুধু পরিচর্যা করাই শেষ কথা নয়। তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের বিকাশ-প্রসার-সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। পুলিশ, আনসার বাহিনীও আমাদের অমূল্য সম্পদ। তাদের জনসেবক ও জনগণের বন্ধু হিসেবে গড়ে ওঠার পরিবেশ ও প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। তাদের যেমন অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তেমনি তাদের ভাবমর্যাদাও অনেক নিচে।

আমাদের বিদেশনীতিতে আছে, আমরা সবার বন্ধু কারো অবন্ধু নই। এটিও হয়তো ধারণা নয়। একতরফা প্রেম কখনো স্থায়ী হয় না। সময়ই প্রাধান্য দিতে হবে, কে বন্ধু আর কে নয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারসহ সবাইকে তথা সব দলকে এসব বিষয় মনে রেখে এগোতে হবে।

নির্বাচনের দাবি নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরে এই দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক মিছিল, সভা-সমাবেশ, আন্দোলন করেছে। কিন্তু চিঁড়া ভেজাতে পারেনি। কিন্তু ছাত্র-জনতা কাক্সিক্ষত গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে পেরেছে। তাদের বাদ দিয়ে অগ্রপশ্চাৎ কিছু ভাবা ঠিক হবে না। মনে রাখা দরকার, মাঠপর্যায়ে যে প্রশাসন, সেটা লীগ সরকার সাজিয়ে গেছে। নানাভাবে উপঢৌকন পাওয়া এই প্রশাসন এখনই অকৃতজ্ঞ হবে না। সেজন্য একটু রয়েসয়েই এগোতে হবে। এজন্য ঠিক যতটুকু সময় দিতে হবে, যতটা দরকার। প্রয়োজনীয় সময়টুকু পেতেই পারে সরকার।

নির্বাচনের জন্য বড় দল বিএনপি ও তাদের সহযোগী এবং জামায়াতকে তৈরি হতে হবে। রাষ্ট্র চালাতে যোগ্য-দক্ষদের বেশি প্রয়োজন হয়। তাদের বেছে বের করে দলভুক্ত করতে হবে। এ নিয়ে একটু পেছনে তাকানো যেতে পারে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার কথা একটু স্মরণ করি। তিনি সমাজের ক্লিন ক্রিমদের মন্ত্রিপরিষদে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরের বিএনপি যেসব লোককে নিয়ে ক্যাবিনেট গঠন করেছিল তাতে কয়েকজনকে মাত্র মাইনাস ‘এ’ গ্রেড নম্বর দেয়া যেতে পারে। বাকিদের ‘বি’ মাইনাস ক্যাটাগরিতে ফেলাও কষ্টকর। আর সেজন্যই বড় খেসারত দিতে হয়েছে। এখন ২০২৪ সাল, বিশ্বটা চলছে কেবল মেধা-বুদ্ধি আর যোগ্যতার দৌড়ে। বিএনপিসহ আর সব বড়-ছোট দলকে বিষয়টি মনে রাখতে হবে। তাদের দ্রুত সেই মানের লোক রিক্রুট করা জরুরি, যারা মেধা-বুদ্ধি দিয়ে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের দলে নেয়ার পরিণতি কী হয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ সদ্যপতিত আওয়ামী লীগ সরকার। তারা তাদের নানান দলিল-দস্তাবেজে জনগণকে আকাশচুম্বী সব আশ্বাস দিয়েছে। প্রকৃত অর্থে সব ছিল লবডঙ্কা। সবই ছিল সেই সরকারের প্রতারণা। কিছু করতে না পেরে, দিতে না পেরে কেবল অত্যাচার-অবিচার করেছে অহরহ। তার ফল ষোলো আনাই তারা পেল। অনেকেই রাজনীতির মাঠে দৌড়ে হয়তো পারেন। কিন্তু চিন্তার দৌড়ে কেবলই পিছিয়ে পড়বেন। সে জন্য যথেষ্ট সক্ষম চিন্তকদের কাছে টেনে নেয়া বেটার। তারা ভাবনাচিন্তা করে একটি প্রেসক্রিপশন মাঠের রাজনীতিকদের হাতে তুলে দেবেন। সেভাবেই মাঠের নায়কদের যুদ্ধে যোগ দিতে হবে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকানো দরকার। তাদের রাজনীতিকরা মাপে ঝোপে আমাদের রাজনীতিকদের চেয়ে হাজারোগুণ উঁচুতে। তাদের কিন্তু বহু থিংকট্যাংক সক্রিয়। মুহূর্তে মুহূর্তে তারা মাঠের রাজনীতিকদের চিন্তা দিয়ে সমৃদ্ধ করেন। বিএনপি অনেক আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সংবলিত চমৎকার একটি দলিল জাতিকে উপহার দিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেটি পাঠ করে তুলে রাখার জন্য তো নয়। প্রশ্ন এ জন্যই, সেই রাষ্ট্র মেরামতের ওয়ার্কিং প্ল্যান কোথায়। কর্মীদের স্মৃতিতেই শুধু ৩১ দফার কথা থাকতে পারে। বাস্তবে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ যেমন প্রথমে বলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। কেউ কি বলতে পারবে, ওটা কোন বস্তু। পরে বলেছে, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ সেটিও যে ‘মাকাল’ ফল, কে না জানে! অনুরোধ করছি, ৩১ দফা নিয়ে যেনতেন করা নয়; এর মর্মটা বুঝুন, অনুশীলনের প্রস্তুতি নিন।

শেষ কথা হচ্ছে, ছাত্র-জনতা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে, এই পরিণতিতে পৌঁছতে বহু ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরেছে। আমরা কেউ যেন এ নিয়ে হেলাফেলা না করি। যে যেখানে থাকি না কেন, তাকে অর্থপূর্ণ করতে যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু পারা যায়- অবদান রাখতে হবে। সবিনয় অনুরোধ, এবার ট্রেন মিস করবেন না। ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যাবে। কোটা সংস্কার থেকে এক দফার যারা মহানায়ক তাদের সালাম জানাই। আমাদের নতুন উপদেষ্টাদের স্বাগত জানাই। তাদের দফতর যথাযথ বণ্টন হয়েছে কি না জানি না। যদি প্রয়োজন হয় তবে বিষয়টি দেখা জরুরি। সর্বোপরি, সেনাপ্রধান, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। সোনার তরীকে তীরে ভেড়াতে গিয়ে তারা যে জীবনবাজি ধরেছিলেন, সেটি জাতির ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

দৈনিক সংগ্রাম