রাষ্ট্র সংস্কারে শাসন ও শোষণ প্রক্রিয়া যেমন হওয়া উচিৎ
Share on:
এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ছোট্ট পরিসরে। তাছাড়া হাইকোর্টের রায়ের পর পরই ঈদের দীর্ঘ ছুটি পড়ায় অনেকে ভেবেছিল ওটা আর সেভাবে জমবে না।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পরে ক্রমেই তীব্রতা বাড়তে থাকে। তখনো অনেকে ভেবেছিল এটা সরকারেরই পাতানো খেলা। কারণ সাম্প্রতিক ভারত সফরের বড় বিষয়গুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতেই কোটা কার্ড খেলা হয়েছে। যদি তাই হবে তাহলে আন্দোলনকারীদের চাওয়ার বিপরীতে এত ব্যাপকভাবে রিঅ্যাক্ট করা হলো কেন? সেটা কি অনেকটা লঘু পাপে গুরু দণ্ড মনে হচ্ছিল না? নিরীহ ছাত্রদের আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার কারণ অনেকেরই বোধগম্য হচ্ছিল না।
হুজুগে বাঙালি বলে একটা কথা আছে। আমরা যখন যেটা ধরি, পুরো জাতি সেটা নিয়ে মেতে উঠি। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে বিগত কয়েক মাস আকস্মিক সমাজের ক্ষমতাধর একাধিক পক্ষকে দুর্নীতি প্রসঙ্গে ধরা হচ্ছিল। যখন যে টার্গেট হচ্ছিল, তার আজীবনে অর্জিত ধন-মান-নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছিল। প্রক্রিয়াটির সূচনা হয়েছিল সাবেক আইজিপি বেনজীরকে এক্সপোজ করার মাধ্যমে। তার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর ও তার সহযোগীরা ধরা পড়েন। দাপুটে সব পুলিশ কর্তাদের কুকর্ম ও সম্পদের নানা তথ্য উন্মোচিত হতে থাকে। তবে সবচেয়ে প্রভাবশালী ঘটনাটি ছিল পিএসসির প্রশ্নফাঁস চক্র উদ্ঘাটন। এর মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক প্রভাবশালী কর্তার আর্থসামাজিক নিরাপত্তা প্রায় হুমকির মুখে পড়েছিল। তাদের দাপট ও ইমেজ কাচের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছিল। তাই জাতির মনোযোগ ফেরাতে বড় একটা ইস্যু তাদের খুব দরকার ছিল।
ঘটনাক্রমে তখনই গতি বাড়তে থাকে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাতির দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতেই সম্ভবত কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা বাড়াবাড়ি আচরণ করতে থাকেন। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও এমন সব পদক্ষেপ নেয়া হয় যা আগুনে ঘি ঢালার শামিল। ফলস্বরূপ আজ ক্ষমতাসীন সরকারের পতন হলেও আমরা সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কথা বেমালুম ভুলে গেছি। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র কিনে ক্যাডার হওয়া কর্তাদের টেনশন কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। কারণ সামনে আরো কত বড় ইস্যু আসবে। তার ভিড়ে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটার সময় কোথায়, তাই না?
যা হোক, অটোপাস বা ফেসবুক প্রজন্ম বলে অবজ্ঞা করা শিক্ষার্থীরা যে পদ্ধতিতে পুরো আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছে তা ছিল অনন্য। আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতিবিদেরা এখনো ষাট বা আশির দশকের স্টাইলে চিন্তা করেন। গতানুগতিক ও সর্বজনজ্ঞাত কিছু কর্মসূচির বাইরে তারা চিন্তা করতে পারেন না। ফলে তাদের প্রতিপক্ষ জানে কীভাবে সেগুলো মোকাবেলা করতে হয়। হয়তো সে কারণেই গত দেড় দশকে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে আসার পরও সরকারবিরোধীরা নিজ দলের গোঁড়া কর্মীর-সমর্থকদের বাইরে সাধারণ জনগণকে সেভাবে কানেক্ট করতে পারেননি।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই আন্দোলনে তরুণ নেতাদের কর্মসূচিতে ছিল নতুনত্ব এবং সৃজনশীলতা। তাই নতুন ধারার কর্মসূচিকে মোকাবেলার উপায় গৎবাঁধা রাজনীতিবিদেরা রাতারাতি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হননি। ফলে শুধু ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার মাধ্যমে জনমনে কত ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করা যায় তা সেকেলে রাজনীতিবিদেরা কল্পনাও করতে পারেননি। আন্দোলনের পুরো মেয়াদে সমন্বয়কেরা বড় কোনো ভুল করেননি। তাছাড়া তাদের ভেতরে কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও সেটা আমজনতাকে টের পেতে দেননি। ফলে তাদের পারস্পরিক ঐক্য, লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় ও অবিচল থাকা, সাহসী বক্তব্য, আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার, সর্বোপরি ছাত্রদের সঙ্গে সঠিক সময়ে জনতাকে সম্পৃক্ত করতে পারাটা ছিল অত্যন্ত কার্যকর কৌশল। পাশাপাশি এবারের আন্দোলনে ছাত্রীদের এবং পরে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এত সংখ্যক নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ কখনো ঘটেছে বলে অন্তত আমার জানা নেই।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল এ আন্দোলনের শুরু থেকেই কেন যেন বারবার হোঁচট খেতে থাকে। দলীয় সভাপতির ক্যারিশমায় বছরের পর বছর পার পেয়ে যাওয়ায় মনে হচ্ছিল অন্য নেতৃবৃন্দ চিন্তা করার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছেন। না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সূচিত আন্দোলন মোকাবেলায় সেখানকার কালচার ও পলিটিক্স গভীরভাবে বোঝেন এমন লোকদেরই তো সামনে আনার কথা। অথচ যে চারজন মন্ত্রীকে সামনে আনলেন তাদের কেউ জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখাই করেননি! ফলে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি বোঝা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কানেকশন সৃষ্টি হওয়া দুরূহ ব্যাপার ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের পালস না বুঝে ভিনগ্রহের প্রাণীর মতো বিক্ষিপ্ত কথা বলতে থাকেন। পাশাপাশি গত শতাব্দীর মুখস্ত কিছু টার্ম ব্যবহার করে আসল সমস্যাটাকে অবজ্ঞা করতে থাকেন। ফলে উভয় পক্ষের মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
এর আগে এমন নানা সংকটে দলের সভাপতি শেষ পর্যন্ত ম্যানেজ করে ফেলতেন। ফলে এবারো নেতাদের হয়তো তেমনটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ওনার সাম্প্রতিক ভারত ও চীন সফরের ঘটনাপ্রবাহে সম্ভবত তিনি খুব ডিস্টার্বড ছিলেন। ফলে বিষয়টা কম গুরুত্ব দিয়ে এবং চিরায়ত ধারায় (অতিআত্মবিশ্বাসের সঙ্গে) হ্যান্ডেল করতে গিয়ে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলেন। সংকট যখন একেবারেই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পারলেন, তখন রাজনৈতিক ইস্যু হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব দিলেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে! এটা কল্পনাতীত বুমেরাং হয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় সাম্প্রতিক ভিডিও স্ক্যান্ডাল। ফলে ভাতের হোটেলের সেঙ্গ আরেক বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়ে তিনি রীতিমতো জোকারে পরিণত হন।
এমন সমস্যার সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা শুরু থেকে সে পথে হাঁটেননি। বরং বলপ্রয়োগ ও নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে সেটাকে ম্যানেজ করতে সচেষ্ট ছিলেন। এক পর্যায়ে নিরূপায় হয়ে তিন সদস্যের এক কমিটি করলেন। কিন্তু তার নেতৃত্বে দিলেন এমন এক ব্যক্তিকে যার স্ক্যান্ডাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে মাত্র দুই-তিনদিন আগে। ফলে তিনি দলে বা সরকারে যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোন না কেন—তাকে দেখলেই শিক্ষার্থীদের সেই ভিডিওর কথা মনে পড়বে, তাই না? তারপরও তাকেই দায়িত্ব দিতে হলো। এত প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা সেটা অনুভব করতে ব্যর্থ হলেন, বিষয়টা বিস্ময়কর!
এখন কথা হলো, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আপাতদৃষ্টে সফল হয়েছে। তাদের চোখে-মুখে যে ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছিল তা প্রশমনে এটা যথেষ্ট। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তার লক্ষণ এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। ঝানু রাজনীতিবিদদের বিপরীতে আবেগের বশে সাময়িক জয় পাওয়া গেলেও আসল চ্যালেঞ্জ সামনে। পুলিশ নিজেদের জানমাল রক্ষায় সাময়িক নিষ্ক্রিয় থাকবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু অন্যান্য বাহিনী তো মাঠে আছে। তার পরও সরকার পতনের দিন বিকালেই যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তা ছিল বড় ধাক্কা। বাধাহীনভাবে সবাইকে গণভবনে ঢুকতে দেয়া কি অনিবার্য ছিল? তাদের তো সংসদ ভবনের ওপর ক্ষোভ ছিল না। তাহলে সেটা অরক্ষিত রেখে অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ করে দিল কারা? পাশাপাশি বিরোধী নেতাকর্মী ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি বা উপাসনালয়ে হামলা হতে পারে—এমন অনুমান করে প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হলো না কেন?
দীর্ঘ দেড় দশক নানাভাবে অত্যাচারিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন অনেকের ওপর রাগ-ক্ষোভ থাকবে এবং সুযোগ পেলে তাদের ঘরবাড়িতে আক্রমণ হবে সেটা অনুমান করা মোটেই কঠিন কাজ ছিল না। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে বিষয়গুলো দেখার কেউ নেই। সরকার গঠন যত বিলম্বিত হবে এই সমস্যাগুলো প্রকট হবে সাধারণ মানুষ সেটা বুঝলেও নীতিনির্ধারকগণ কেন সেটা বুঝতে পারলেন না এমন অনেক প্রশ্ন সামনে আসা শুরু হয়েছে। তাছাড়া ছাত্র-জনতাকে নেতৃত্ব দেয়া আর ঝানু রাজনীতিক ও আমলাদের কৌশলকে পাশ কাটিয়ে সঠিক পথে থাকা মোটেই সহজ নয়। এক্ষেত্রে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে সমন্বয়কদের মধ্যে মতৈক্য ধরে রাখা। সেটা ব্যর্থ হলে বিপ্লব বেহাত হতে বেশি সময় লাগবে না। আর সেটা একবার হলে চড়া দামে কেনা এ অর্জন হবে প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচিত। তাই সামনের পথ অতিবন্ধুর। স্বল্পমেয়াদি আন্দোলন সফল করার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া অনেক জটিল ও সমস্যাসংকুল।
তবে আশার দিক হলো দেশের অধিকাংশ মানুষ ভালোর সমর্থক। তারা ভালো কোনো উদ্যোগে সহযোগিতা করতে কার্পণ্য করবে না। যদিও বড় অসুবিধা হলো তারা সংগঠিত নয়। অন্যদিকে অসৎ আমলা-ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ সবাই নিজ নিজ স্বার্থে সংঘবদ্ধ। তারা গোষ্ঠীস্বার্থ সিদ্ধিতে দেশ বা জনগণের কল্যাণকে সহজেই জলাঞ্জলি দিতে পারে। তারা দীর্ঘ কুচর্চার মাধ্যমে নানা সুবিধা পেতে অভ্যস্ত। তাই রাতারাতি ভালো কিছু করার উদ্যোগ নিলে তারা সেটাকে অকার্যকর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, প্রত্যেক ধাপে প্যাঁচ লাগাবে। ফলে পরিকল্পিতভাবে ও ধীরে-সুস্থে রাষ্ট্র সংস্কারে উদ্যোগী হওয়া জরুরি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে জরুরি।
তাছাড়া এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো দেশের অর্থনীতি। বেশ কিছুদিন ধরে কোনো রকমে গোঁজামিল দিয়ে চালানো হচ্ছিল। কিন্তু এই খাতে দ্রুত দৃশ্যমান উন্নতি করতে হলে স্টেকহোল্ডারদের আস্থায় নিতে হবে। দেশের পুঁজিবাজার, ব্যাংক ব্যবস্থা, আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে হবে। একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অন্যদিকে যাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার সামর্থ্য রয়েছে তাদের ইনভলভ করতে হবে। যেমন এ আন্দোলনে প্রবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ছিল। সেটাকে দেশ গঠনে কাজে লাগাতে হবে। আগামী এক সপ্তাহে বিপুলসংখ্যক রেমিট্যান্স পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক করে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো যেতে পারে। প্রবাসীরা চাইলে ডুবন্ত অর্থনীতিকে টেনে ধরা সম্ভব। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গবেষণা ও কাজ করছেন—এমন বাংলাদেশী গুণীজনকে দেশ গঠনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুণগত ও সংখ্যাগত উন্নয়ন দ্রুত হওয়া সম্ভব।
দ্বিতীয়ত, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে হ-য-ব-র-ল অবস্থা তা থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার জন্য আশু উদ্যোগ নেয়া দরকার। শিক্ষা বিষয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি হুমকিতে ফেলা হয়েছে। তাদের বাঁচাতে টেকসই, কার্যকর ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে। পাঠ্যক্রম ও বিষয়বস্তু নির্ধারণে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী শিক্ষাবিদদের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত একটি পরিবর্তন আনতে হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে সেটা বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা দরকার। আমরা সবসময় মেধা পাচার নিয়ে কথা বলি। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত মেধাবীদের দেশের কাজে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবি না। তাদের উদাত্ত আহ্বান জানালে তারা স্বেচ্ছায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এতে আমরা সমৃদ্ধ হব। জাতি মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিশাপ থেকে।
আসলে পরিস্থিতি এমন যে সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা? কিন্তু শুরু তো করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতির সঙ্গে সবচেয়ে বড় যে ওয়াদা করা হয়েছে সেটা হলো রাষ্ট্রকে সংস্কার করা হবে। সত্যিকার সংস্কার করতে হলে দুর্নীতির মূলে আঘাত হানতে হবে, যোগ্যদের মূল্যায়ন এবং সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে এগোতে হবে। জনগণকে বিভক্ত রেখে শাসন ও শোষণ প্রক্রিয়ার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সেটা সম্ভব হলে তবেই বহুকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা যাবে ২০২৪ সালের গণআন্দোলনকে।