ফ্রান্সে সুধী সমাবেশ/ভবিষ্যত প্রজন্মের পরিচয় সংকট এড়াতে হলে সন্তানকে ইসলামি শিক্ষা দিতে হবে
Share on:
ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির ভবিষ্যত প্রজন্মের পরিচয় সংকট এড়াতে হলে সন্তানদেরক অবশ্যই নৈতিক ও ইসলামি শিক্ষা দিতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করছে এমসি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স। আর এ কারণে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এমসি ইনস্টিটিউট ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিভাবকদের আস্থার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ অভিমত ব্যক্ত করেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অভিভাবকগণ। গত রোববার প্যারিসের অদূরে সারসেলে এমসি ইনস্টিটিউটের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সমাবেশ অনুষ্ঠীত হয়। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার প্রিন্সিপাল মাওলানা বদরুল বিন হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান ঈমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,প্যারিস ফালাহ দারাইন মসজিদের সভাপতি চৌধুরী সায়েদ, ফ্রান্সের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর থিসিস ইন ইসলামোলজি এর অধ্যাপক ড. জামিলা ফাইরুজ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স এর প্রধান উপদেস্টা শরীফ আল মোমীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান,সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মামুন, প্রকৌশলী আতাউল হক, সাংবাদিক আব্দুল মান্নান আজাদ, কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মোহাম্মদ নুরুল আবেদীন, সাংবাদিক মোহামদ মাহবুব হোসাইন, এনাম আহমেদ, ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ফেরদৌস আখুন্জী, আমী ভয়াজের স্বত্বাধিকারী ও এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স এর উপদেস্টা তানজিম হায়দার, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সংগঠনের ট্রেজারার হাসান হক, লেখক খালেদ মাহমুদ, কবি এম এ কুদ্দুস আল হাসান, মাসুম রিকাবদার ও তোফায়েল আহমেদ জয়নুল প্রমূখ।
এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি সন্তানদের জন্য আদর্শিক পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ফ্রান্সে বাংলাদেশীদের পূর্ণাঙ্গ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো না। এর আগে স্বল্প পরিসরে দু'একটা প্রতিষ্ঠান শুরু হলেও প্রবাসে ঘৃণ্য রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সেগুলো আস্থা অর্জন করতে পারেনি প্রবাসীদের। সে কারণে প্রবাসীরা তাদের ছেলে-মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠানের অভাব অনুভব করছিলেন।
এমসি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে ইনশাআল্লাহ। তারা আরও বলেন, ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে উন্নয়ন করতে হলে নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করা সময়ের দাবী।আদর্শীক শিক্ষাই পারে সমাজ ও ব্যাক্তিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে। এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য আদর্শীক পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোর ও বয়স্ক নারী-পুরুষদের মাঝে ইসলামের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা জাগ্রত রাখার মহৎ উদ্দেশ্য ̈ সামনে রেখে গত ১০ মার্চ ২০১৬ সালে ফ্রান্সে বসবাসরত একদল নিবেদিত ও সাহসী মানুষের প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এম সি ইনস্টিটিউট ফ্রান্স। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস চালুর লক্ষ্যে নতুন ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি পক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে চলমান রাখতে সবার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে আহ্বান জানানো হয়।