সম্পাদকীয়
বিবিএসের কাঠামোগত সংস্কার আবশ্যক
জাতীয় পরিসংখ্যান প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রতিষ্ঠানটি সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকের অবস্থান প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু তাদের প্রকাশিত পরিসংখ্যান নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা সংশয়, অবিশ্বাস।
ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে পুরো সমাজকে অবরুদ্ধ করে রাখে
সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরের কথা আমরা জানি। পাণ্ডবদের ভেতর জ্যেষ্ঠ এই যম-তনয় ছিলেন সত্য ও ন্যায়বিচারের ধারক। শকুনির আয়োজনে পাশা খেলতে এসে যখন সব কিছু পণ রাখেন যুধিষ্ঠির, এমনকি শেষদানে দ্রৌপদিকে পর্যন্ত, তখন তাঁর সততার দায় দ্রৌপদিকে বস্ত্রহরণের অপমানের দিকে ঠেলে দেয়।
বাংলাদেশের সাথে ভূরাজনীতির ‘নতুন উদীয়মান’ বন্ধুত্ব ও শত্রুতা
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৫৭ সদস্যের দলসহ যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
সমাজে কোলাহল তৈরির ‘প্ল্যান বি’ কী ‘রোখা’ সম্ভব?
রাজনীতি তাঁদের পেশা নয়। তাই স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-জনতা সেপ্টেম্বর থেকেই লেখাপড়ায়, নিজ পেশায় ফিরতে চাইছেন। আগস্টে থেমে যাওয়া নিত্যদিনের রুটিনে আবার সচল হতে চাইছে সমাজ। মন বসাতে চাইছে যার যার জীবনধারায়।
জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও কূটনীতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন
এবার জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৫৭ সদস্যের একটি বৃহৎ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। তিনি এই ভ্রমণ শুরু করেন নিউইয়র্ক থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর।
গণপিটুনির মতো ‘ভয়ংকর বর্বরতায়’ জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুন
বিদেশি ভাষা থেকে ধার করে যাকে ‘মব ট্রায়াল’ বলছি, তাকে বাংলায় বোধ হয় ‘উত্তেজিত জনতার বিচার’ বলা যায়, যদিও এটাকে পত্রপত্রিকা বা পুলিশি ভাষায় ‘গণপিটুনি’ বলেই উল্লেখ করা হতো।
রাষ্ট্র বদলায়, ক্ষমতা বদলায় কিন্তু সমাজ বদলায় না!
প্রভুর ইচ্ছা নানাভাবে কাজ করে– কখনও সরাসরি, অনেক সময় গোপনে। আধিপত্যের একটা সংস্কৃতিই গড়ে ওঠে। প্রভুভক্তদের পক্ষে তো অবশ্যই; এমনকি যারা বিদ্রোহ করে, তাদের অনেকের পক্ষেও বৃত্তটা ভেঙে বের হয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না, যদি না খুব বড় কিছু ঘটে কিংবা ঘটানো সম্ভব হয়।
আওয়ামী লীগের বিচার না করে কি রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব?
আসি আসি করে জেনারেল এরশাদ সামরিক আইন নিয়ে এসেই গেলেন ১৯৮২ সালের মার্চে। খাঁটি গণতন্ত্র ও সংস্কারের মাধ্যমে সমাজ বিশুদ্ধকরণের ১৮ দফার ফুলঝুরি পেল বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে সাপ্তাহিক বিচিত্রাকে বলা হলো প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর প্রতিবেদন লিখতে।
দেশে ‘এই ভাঙনের’ খেলা কবে শেষ হবে?
দেশে এখন চলছে ‘ভাঙনের উৎসব’। যে যা পারে তাই যেন ভেঙে ফেলছে। কেউ বুঝে ভাঙছে, কেউবা না বুঝে। কেউ আক্রোশে ভাঙছে; কেউ আবার ভাঙার জন্যই ভাঙছে। যেমন শিশুরা ভাঙে খেলার ছলে। স্থাপনা থেকে ঐতিহ্য– বাদ যাচ্ছে না কিছুই।
আন্দোলনের ‘ফসল’ যেন মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে চলে না যায়
আপাত ‘অরাজনৈতিক’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের চারাটি যে মহিরুহ হয়ে উঠবে, তা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, সরকার এবং দেশবাসীও সম্ভবত ধারণা করতে পারেনি। বস্তুত অহিংস আন্দোলন দমনে সরকার পূর্ববর্তী কৌশল প্রয়োগ করার ফলেই আন্দোলন ক্ষিপ্র ও তীব্র হয়ে ওঠে। আন্দোলনকে কার্যত সরকারই তুঙ্গে তোলে; নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে।
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার দায় কার?
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি এত ব্যাপকভাবে আলোচিত ছিল যে সাধারণ মানুষের কাছে এখন এটি আর অজানা নেই। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে, কেবল সরকারের কাছেই জানা ছিল না ব্যাপারটা।
সংবিধান সংস্কার; ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি নিয়ে কী করব?
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান এবং আরও কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনগুলোর নেতৃত্বে আছেন দেশের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। সংবিধান সংস্কার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হবে এখানে।
পুরোনো প্রজন্ম কি এই ‘বিপ্লবের গভীরতা’ বুঝতে পারছে!
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা একটি স্বৈরাচারী ও নিষ্ঠুর সরকারকে পরিবর্তন করতে রক্তাক্ত বিপ্লব করেছে। এই বিপ্লব ছিল বৃদ্ধ, শিশু, যুবক, ধনী, দরিদ্র, রিকশাচালক, কারখানার শ্রমিক—সবার।
‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’ ইতিহাসের দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করুন
জাতি হিসেবে আমাদের পুরনো ইতিহাস স্মরণে রাখার মানসিকতা কম। আমরা সারাদিনই ইস্যুর সাগরে ডুবে থাকি। তাই গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু চলমান ইস্যুর চাপে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে, রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা বা সামাজিক অনেক কার্যক্রমে আমরা বেশিরভাগই খুব হালকা ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
কী কী সংস্কার করলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ হবে?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ট্রেন গত ১৫ বছর ধরেই লাইনচ্যুত হয়ে চলছিল। কিন্তু সর্বশেষ এক দশকে লাইনচ্যুত হয়ে যতদূর গিয়েছে, শুধু ধ্বংসই করেছে। ট্রেনটা থামানো দরকার ছিল। সেই কাজে সব বগির যাত্রীই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাত লাগিয়েছিল।
আমরা কি এমন পরিবর্তন চেয়েছিলাম?
ক্রিকেটীয় স্কোরের মতো বললে বলতে হয়, স্বৈরশাসন অবসানের পর আজ প্রথম অর্ধশত দিন পার হচ্ছে। তবে এই দিনগুলো এতটাই ঘটনাবহুল ও ঝড়ঝাপটার মধ্য দিয়ে গেছে যে আমাদের অনেকেরই স্মৃতি ঝাপসা হতে শুরু করেছে।
‘অশান্ত পাহাড়’ আর কতদিন ‘পাহারা’ দিতে হবে?
খুবই মর্মাহত, ব্যথিত। এই পাহাড়কে আমি চিনি না। একটি বাইক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি পর্যন্ত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ল। অথচ আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়া দুই বাঙালি ছেলের লাশ নিজ হাতে দাফন করে এলাকাকে শান্তিপূর্ণ রাখতে পেরেছিলাম।
জাতীয় পার্টি যেভাবে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হয়ে উঠেছিল!
যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সে দেশেই বারবার গণ–অভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয়। স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থান হয় ১৯৬৯ সালে। স্বাধীনতার পর প্রথম গণ–অভ্যুত্থান হয় ১৯৯০ সালে।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য করণীয়
বর্তমানে বাংলাদেশ একটা অভাবনীয় রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। প্রলম্বিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পরিবর্তনের জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আগ্রহ, উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস অন্য যে কোনো পরিবর্তনের চেয়ে একেবারেই আলাদা।
ক্ষমতার অন্ধ চর্চা যেভাবে অপশক্তিতে পরিণত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ছাত্ররাই অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগকর্তা। বক্তব্যের যথার্থতা নিয়ে তর্ক আছে।