শেখ হাসিনার ভেতরের গিলা-কলিজা ঠিকঠাক জায়গায় থাকলে তিনি নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুশোচনায় ভুগতেন। অনুশোচনার কলকবজাগুলো ঠিকঠাক থাকলে আজ গণভবনের সেসব তৈলবাজ সাংবাদিক ধরে আক্ষরিক অর্থেই জুতাপেটা করতেন। বিশেষ করে যে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রছাত্রীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়েছিলেন! মূলত সেখান থেকেই সৃষ্ট অগ্নিস্ফুলিঙ্গটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। অতএব আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা বিরোধীরা নয়, করেছে সংবাদমাধ্যমের তেলবাজ অংশ, যারা ক্ষমতাসীনদের চোখে বালি দিয়ে, মিথ্যা প্রশংসা শুনিয়ে বাস্তবতা আড়াল করেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অদ্ভুত সত্য বারবার ফিরে আসে—ক্ষমতাসীনদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে তাদের নিজের অনুচর এবং তেলবাজ সাংবাদিকরা। আজ সেই একই দৃশ্যপট (আলামত বা ভবিষ্যৎ নমুনা) আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির চারপাশে। এরা আওয়ামী লীগের কিছু বয়ান বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে অত্যন্ত উপাদেয় করে পরিবেশন করছে বিএনপির সম্মুখে!

যারা এতদিন তারেক রহমানকে ‘মেধাবী জিয়ার গবেট সন্তান’ বলে সকাল-বিকাল গালি দিত, তারাই আজ তারেক রহমানের সবচেয়ে বড় হিতাকাঙ্ক্ষী সেজে উঠেছে। তাদের মুখে এখন বিএনপি আর তারেক রহমানের গুণকীর্তন।

উত্তর সহজ—ক্ষমতার ঘ্রাণ পেয়েছে।

এখানেই শুরু হচ্ছে সমস্যার মূল। বিএনপি আজ নতুন করে যাত্রা শুরু করছে—ছাত্র আন্দোলনের শক্তি, জনগণের প্রত্যাশা এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রামের ওপর ভর করে। কিন্তু যদি চারপাশ ভরে ওঠে চাটুকার, সুবিধাবাদী এবং রঙ বদলানো সাংবাদিক- বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে, তবে এই যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ইতিহাস সাক্ষী, আওয়ামী লীগের পতনের নেপথ্যে যেমন তাদের তেলবাজ অনুসারীরা ছিল, তেমনি বিএনপিরও সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে এই নতুন প্রজাতির সুবিধাবাদী ‘সমর্থকরা’।

বিএনপির সমালোচনা শুরু করেছি ভালোবাসা নিঃসৃত একটা ভয় থেকে, ঘৃণা থেকে নয়। সমালোচনার উদ্দেশ্য ধ্বংস করা নয়, উদ্দেশ্য সংশোধন।

আমরা চাই না বিএনপিও সেই একই ফাঁদে পা দিক, যেটি আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছে। গণমানুষের দল যদি গণমানুষের কথাই না শোনে, বরং চারপাশ ভরে তোলে কৃত্রিম প্রশংসার আওয়াজে অথবা চেতনার আওয়াজে, তবে জনগণ আবার হতাশ হবে, আবার মুখ ফিরিয়ে নেবে।

তারেক রহমান এবং বিএনপির এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সত্যিকারের সমালোচনা, খোলামেলা মতবিনিময় এবং জনগণের বাস্তব সমস্যা নিয়ে কাজ করার মানসিকতা। প্রশংসার নেশা নয়, সমালোচনার সঠিক গ্রহণক্ষমতা-ই তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে।

আমরা বিএনপির সমালোচনা করছি, কারণ আমরা চাই— এই দেশ যেন আরেকটি স্বৈরতন্ত্র, আরেকটি বিভ্রান্ত নেতৃত্বের শিকার না হয়। আমরা চাই—বিএনপি সত্যিকারের গণমানুষের দল হয়ে উঠুক, যাদের চারপাশে থাকবে যোগ্য মেধাবী, সাহসী কর্মী আর জনগণের আস্থা।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস হলো—তেলবাজ আমলা, মতলববাজ বুদ্ধিজীবী ও খয়ের খাঁ সাংবাদিক গোষ্ঠী। এরা কখনোই সত্য কথা বলে না, বরং ক্ষমতার কাছাকাছি গিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। এ ভাইরাসই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ ডেকে এনেছিল আর আজ একই ভাইরাস বিএনপির চারপাশে ঘিরে ধরতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো—ক্ষমতার চারপাশে জন্ম নেওয়া তেলবাজ, সুবিধাবাদী আর রঙ বদলানো বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক গোষ্ঠী। এরা না আওয়ামী লীগের, না বিএনপির, না জনগণের—এরা শুধু নিজেদের। যেদিকে ক্ষমতার বাতাস বইবে, সেদিকেই পাল তুলে দেবে।

বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগৎ থেকে বিএনপিকে সহায়তার জন্য যারা এগিয়ে আসছেন, এদের সবার একটা কমন অ্যালার্জি (ইসলামোফোবিক) আছে। আবার বিএনপিতে চাঁদাবাজি যে গ্রুপটা আছে (ক্ষুদ্র অংশ) এরাও নাস্তিক্যবাদী এই গ্রুপটাকে সাদরে বরণ করে নিচ্ছে। কারণ এরা সবাই পেট ও স্বার্থের পূজারি। এদের কাছে আদর্শ-টাদর্শ, ধর্ম-টর্ম বলে কিছু নেই! খাও-দাও ফুর্তি করো এদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য! এরা বাকিতে নয়, নগদে বিশ্বাসী। এরা ইন্দ্রিয়পরায়ণ, ঘরে পরমাসুন্দরী স্ত্রী রেখেও বাইরে ঢু মারে। ফলে সহজেই হানি-ট্র্যাপের শিকার হয়। দুনিয়াটা এদের জন্য বেহেশতখানা। ইসলামি জীবনব্যবস্থা এসব কারণেই এদের চক্ষুশূল। এরা মন থেকেই ঘৃণা করে তাদের, যারা এক অদ্ভুত অন্ধবিশ্বাসে আটকে গেছে। যারা নিজের স্বামী বা স্ত্রীর চোখের আড়াল হলেও অন্য এক মহাশক্তির ভয়ে তটস্থ থাকে। সেই মহাশক্তির কোইন্টিলিয়ন ডলারের আশ্বাসে দুনিয়ার এক-দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরেও থুতু নিক্ষেপ করতে পারে! দেশের শত্রুদের চোখে এরা ভয়ংকর, আনম্যানেজেবল। কারণ হানিট্র্যাপ, মানিট্র্যাপ কোনো কিছুর দ্বারাই এদের বাগ মানানো যায় না। এদের আবার জামায়াতও বলা যায় না। কাজেই ‘গুপ্ত জামায়াত’ নামটিই এদের জন্য অ্যাপ্রোপ্রিয়েট, সোজা বাংলায় খাপে খাপ!

বিএনপি এবং জামায়াত দুটি আলাদা দল। লক্ষ্য ও আদর্শে বিরাট ফারাক! আমরা কখনোই বলিনি এই দুটি দল এক হয়ে যাক। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দুটি রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে মিনিমাম বোঝাপড়া দরকার। একই রূপ বোঝাপড়া গণতান্ত্রিক দুনিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও রয়েছে।

আসলে রাজনীতিতে একটি প্রায়োরিটি লিস্ট থাকে। ৫ আগস্টের পর সেই প্রায়োরিটি লিস্টটি ঠিকভাবে তৈরি করতে বিএনপি এবং জামায়াত উভয়েই শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

এর ফলে বিলিয়ন ডলারের চুরি বাদ দিয়ে টেম্পো স্ট্যান্ডের কয়েকশ টাকার চাঁদাবাজির ওপর আমাদের সব ফোকাস পড়ে গেছে। আরেক পীর সাহেব বিরাট এক ছন্দ বানিয়ে ফেললেন, চাঁদা উঠে পল্টনে, চলে যায় লন্ডনে! এসব কাদা ছোড়াছুড়ির ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে ক্রমাগত লিখতে থাকি। অনেকেই এটিকে বিএনপির প্রতি আমাদের অন্ধ সমর্থন বলে ভাবতে থাকে। কেউ কেউ এটিকে আমার নৈতিকতার সংকট বলেও সন্দেহ প্রকাশ করলেন। একজন নৈতিক মানুষ হিসেবে যারা আমাকে শ্রদ্ধা করতেন, তাদের অনেকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সেই শ্রদ্ধাবোধ উঠিয়ে নিলেন!

যে দেশে চার কোটি কর্মক্ষম মানুষ বেকার, সে দেশ থেকে টেম্পো স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি রাতারাতি বন্ধ করা যাবে না। এই বেকার যুবকদের মোটামুটি একটি বৈধ আয়ের সংস্থান করে দেন। গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, টেম্পো স্যান্ডে চাঁদাবাজির জন্য একটি যুবককেও পাবেন না।

৫ আগস্টের পরপরই জামায়াতের আমিরের মুখ থেকে এক বুলেট বের হয়ে গেল। তিনি বললেন, এক জালিমকে সরিয়ে আমরা অন্য জালিমকে বসাতে চাই না। জামায়াতের পক্ষ থেকে ডাবল মিনিংসম্পন্ন এই বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হলো!

কিন্তু ড্যামেজ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নিজের নেতাকর্মীদের এসব অনৈতিক কাজ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যে বিএনপি করেনি, তা ঠিক নয়। এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একসময়কার রাজনৈতিক সহযাত্রীদের প্রতি যে দরদ দিয়ে পুরো বিষয়টি দেখার কথা ছিল, জামায়াতের নেতাকর্মীরা তা দেখাতে পারেননি। ‘বিএনপির ক্ষতি মানেই জামায়াতের লাভ’—এমন একটি সহজ হিসাব তাদের বিএনপিবিরোধী এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করেছে।

সম্ভবত এরপর থেকেই শুরু হলো একজনের নরম জায়গায় অন্যজনের আঘাতের পালা! ইত্যবসরে জামায়াতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিএনপি আওয়ামী লীগের বয়ানগুলো লুফে নিল। বিএনপির বাতায়ন খোলা পেয়ে হুড় হুড় করে সব আওয়ামী চেতনার বাতাস ঢুকে পড়ল।

সম্পর্কের এতটুকুই অবনতি হয়েছে যে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন জাপাকে বিরোধী দল বানানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জোর প্রতীয়মান হচ্ছে । অর্থাৎ বিএনপি এখন নিজের নাক কেটে হলেও জামায়াতের যাত্রা ভঙ্গ করবে! বিষয়টি জাপার এক নেতা আরেকটু খোলাসা করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগারদের জাপা মনোনয়ন দেবে। বাদবাকি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। আমাদের রাজনীতির সামনের রাস্তা অত্যন্ত ফকফকা।

এভাবে বিএনপি এবং জামায়াতকে মুখোমুখি করিয়ে প্রথম আলোগং আগের ‘খেইল’ শুরু করেছে। উপজেলা ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটিতে বিএনপি নেতারা ছিলেন, সে কথাটি প্রথম আলো ঈমানদারির সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নুরাল পাগলার দরবারে প্রাথমিক তদন্তে যে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, তা জানায়নি। এটি জানিয়েছে কবি আব্দুল হাই শিকদার সম্পাদিত দৈনিক যুগান্তর! আবার দেখেন প্রথম আলোর বিশেষ কলামটি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর কাগজটিতে জনৈক আসিফ বিন আলীর—‘নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, সরকারের দুর্বলতা ও দায়মুক্তি’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে! সেখানের চৌম্বক অংশটি নিম্নরূপ—

‘আদর্শগত অপরাধ সমাজে নতুন নয়; বরং এ ধরনের অপরাধ সমাজে ঘটে। প্রশ্ন হলো—এ অপরাধকে মোকাবিলা করতে রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে? আসুন, আমরা দেখি ২০২০ সালের ঘটনায় রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী ছিল। লালমনিরহাট হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্র দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল। ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান আসামিসহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ফুটেজ ধরে আসামিদের শনাক্ত করা হয়, পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের নাম তখন প্রকাশ করা হয়নি, অর্থাৎ রাষ্ট্র প্রসিডিউরাল ও আইনি ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছিল।

এখন দেখি ২০২৪-২৫ সালে আদর্শগত অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী ছিল। আমরা কি আদর্শগত অপরাধ মোকাবিলায় রাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্ন চিত্র দেখতে পাচ্ছি? প্রথম আলোর (১৮ জানুয়ারি ২০২৫) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সাড়ে ৫ মাসে ৪০টি মাজার, সুফি সমাধি ও দরগাহে ৪৪টি হামলা হয়েছে। এসব হামলায় ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, এতগুলো ঘটনায় অসংখ্য ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও মাত্র ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে রাষ্ট্র নীরব কেন?’

এখন ভাবুন, প্রথম আলোর টার্গেট। ‘আমরা আগেই ভালো ছিলাম’, ‘মুক্ত পৃথিবী শেখ হাসিনার সময়েই নিরাপদ ছিল’—এই বয়ানটি কেমন মুনশিয়ানার সঙ্গে ছড়ানো হচ্ছে!

ড. ইউনূসের সরকারকে নিয়ে প্রথম আলোগং এ ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতরামো শুরু করলে তারেক রহমানের সরকারকে নিয়ে এরা কী করবে, তা সহজেই অনুমেয়!

আপনাদের হয়তো স্পষ্ট স্মরণ আছে যে হিরো আলম যখন রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া শুরু করলেন, তখন দেশের সুশীলসমাজের হৃৎকম্প বেড়ে গেল। তারা চিৎকার করে বললেন, ‘রবীন্দ্রসংগীত বিকৃত করা হচ্ছে,!’ তাদের এই ক্ষোভ একদম স্বাভাবিক। কারো প্রিয় বিষয় বিকৃত হলে কষ্ট লাগবেই।

একইভাবে কথিত এই মাজার ও দরগাহতে এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মকে চরমভাবে বিকৃত করা হচ্ছে! ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের জীবনে সর্বোচ্চ আবেগ ও শ্রদ্ধার জায়গা। অথচ নুরাল পাগলার মতো অনেক পাগলারা যখন সেই পবিত্র ধর্মকে বিকৃত করে, তখন প্রথম আলোগংয়ের নেতৃত্বাধীন এই সুশীল সমাজ তাদের পক্ষে চলে যায়। তারা এসব বিকৃতির প্রতিবাদ করে না। বরং ধর্মীয় আবেগে মানুষ ক্ষুব্ধ হলে তাদের ‘অসহিষ্ণুতা’ বলে প্রচার করে।

কাজেই হে সাথিরা! বিপদের ছায়া ঘনাচ্ছে—জেগে উঠুন এখনই। জনগণের রক্তে লেখা অর্জন ভ্রান্তির কারণে ধ্বংস হতে পারে না!

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

সূত্র, আমার দেশ