২০২৫ সালের ৩ আগস্ট প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টে আলোচিত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিচার কার্যক্রম নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। পরবর্তী সময়ে ওই পোস্টটি বাংলায় অনূদিত হয়ে ৫ আগস্ট প্রথম আলোতে পুনঃপ্রকাশিত হয়। বার্গম্যান তার লেখায় বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল প্রসিকিউশনের সেই অবস্থান বিষয়ে, যেখানে প্রসিকিউশন প্রতিবাদী পক্ষকে সাক্ষীর পূর্ববর্তী স্ববিরোধী বক্তব্যগুলোর বিষয়ে জেরার (ক্রস-এক্সামিনেশন) পর্বে প্রশ্ন করতে বাধা দেয়। এ সীমাবদ্ধতা প্রতিবাদী পক্ষের জন্য প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করা কঠিন করে তোলে এবং তাদের মক্কেলদের পক্ষে কার্যকর প্রতিরক্ষা নিশ্চতকরণের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করাও জটিল হয়ে পড়ে।

শুরুতে বলতে হয়, প্রথম আলো যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মামলা প্রসঙ্গে ডেভিড বার্গম্যানের পোস্ট অনুবাদ করে প্রকাশ করছে এতে আমি বিস্মিত নই, তবে খানিকটা মুগ্ধ। বার্গম্যানের বিশ্লেষণে এ মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনি দিক উঠে এসেছে। সেই সাথে এমন বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি জনসমক্ষে আসাটা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। তবে এটিও লক্ষণীয় যে, যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন একই ধরনের প্রশ্ন ও উদ্বেগ একসময় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যুদ্ধাপরাধ বিচারের সময়ও উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু তখন মূলধারার গণমাধ্যমে এমন সমালোচনা খুব কম স্থান করে নিতে পেরেছিল।

উদাহরণস্বরূপ বার্গম্যান তার পোস্টে যে দু’টি বিষয় তুলে ধরেছেন- প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া এবং সাক্ষীদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য- এই একই বিষয়গুলো জামায়াত নেতাদের মামলায়ও প্রতিরক্ষা পক্ষের আইনজীবীরা তুলে ধরেছিলেন। এমনকি বার্গম্যান নিজে ২০১৩ সালে একটি বিশদ প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি আপিল বিভাগের সেই রায়ের সমালোচনা করেন, যেখানে প্রসিকিউশন সাক্ষীদের বক্তব্যে অসামঞ্জস্য থাকা সত্তে¡ও তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। ওই রায়ের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের জন্য সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রসিকিউশন সাক্ষীরা তদন্ত কর্মকর্তাকে একরকম বক্তব্য দিতেন, আর আদালতে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলতেন। কিন্তু প্রতিরক্ষা পক্ষকে এসব অসামঞ্জস্য তুলে ধরার অনুমতি দেয়া হতো না। অথচ তখন প্রথম আলো এসব বিষয়কে সংবাদযোগ্য মনে করেনি, যদিও এ আইনের ভিত্তিতে বহু বিরোধী নেতা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

এবার ডেভিড বার্গম্যান যে মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করি। তিনি উল্লেখ করেছেন, একই আইনজীবী যদি একাধিক অভিযুক্তের পক্ষে সওয়াল করেন, তাহলে স্বার্থের সঙ্ঘাতের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাত্তি¡কভাবে এ ঝুঁকি অবশ্যই রয়েছে। তবে বাস্তবে এর আশঙ্কা খুব কম। বার্গম্যান যে পরিস্থিতির কথা বলছেন, তা ‘কাট-থ্রোট ডিফেন্স’ নামে পরিচিত। এ ধরনের প্রতিরক্ষা তখন দেখা যায়, যখন একজন অভিযুক্ত নিজেকে রক্ষা করতে অন্য অভিযুক্তকে দোষারোপ করেন। এতে এক অভিযুক্তের স্বার্থ সরাসরি অন্য অভিযুক্তের স্বার্থের সাথে সংঘর্ষে চলে যায়। তবে বাংলাদেশে আমি কখনো এমন ঘটনা দেখিনি। কারণ, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যদি আদালত দেখেন যে, অভিযুক্তরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন কিন্তু তার পক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই, তাহলে উল্টো উভয়ের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া, বাংলাদেশে একই মামলায় একাধিক অভিযুক্তের পক্ষে একজন আইনজীবী সওয়াল করা খুব সাধারণ একটি বিষয়।

এ ছাড়াও মামলাটি প্রসিকিউশন কিভাবে উপস্থাপন করতে পারে, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিচারে প্রসিকিউশন সম্ভবত ‘ঊর্ধ্বতন দায়িত্ব’ (যেখানে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অধঃস্তনদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী হন) কিংবা ‘যৌথ অপরাধমূলক উদ্যোগ’ (যেখানে একাধিক ব্যক্তি একসাথে অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে বিবেচিত হয়) এ ধরনের আইনি ধারণার ওপর নির্ভর করবে। এমন পরিস্থিতিতে ‘কাট-থ্রোট ডিফেন্স’ পদ্ধতি- যেখানে একজন অভিযুক্ত অপরজনকে দোষারোপ করেন, একেবারে অনুপযুক্ত হবে এবং কোনো আইনজীবী তার মক্কেলকে এমন কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দেবেন না। এ কারণে এখানে প্রকৃত স্বার্থের সঙ্ঘাতের ঝুঁকি অত্যন্ত কম।

দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার মামলায় প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির জন্য যে সময় দেয়া হয়েছে, তা জামায়াত নেতাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে সওয়াল করার সময় আমাদের যে সময় দেয়া হয়েছিল, তার তুলনায় কিছুটা ভালো। বিচার প্রস্তুতির জন্য তখন আমাদের মাত্র তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আইন সংশোধন করে এ ন্যূনতম প্রস্তুতির সময় বাড়িয়ে ছয় সপ্তাহ করা হলেও ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে তা আবার কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে। জানা গেছে, শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে পাঁচ সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। এটি মোটেই পর্যাপ্ত নয়। কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলা চলে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। তবে ট্রাইব্যুনালে আমাদের যেটুকু অল্প সময় দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে আমরা একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। এমন এক ক্লান্তিকর যাত্রা, যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল উদ্বেগের ছায়া। কিন্তু আমাদের কাজ (বিশেষ করে সাক্ষীদের জেরা করা) আন্তর্জাতিক আইনজীবীরা পর্যালোচনা করে প্রশংসা করেছিলেন।

আমি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে চাই, যা আজকের ট্রাইব্যুনালে কাজ করা প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এ ধরনের মামলা সাধারণ আদালতের কাজের সাথে একসাথে পরিচালনা করা যায় না। প্রতিরক্ষা আইনজীবীরা যদি ভাবেন, তারা জেলা আদালত বা সুপ্রিম কোর্টে তাদের নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যেতে পারবেন, আর পাশাপাশি এ ধরনের গুরুতর ও জটিল মামলার সওয়ালও করবেন- তাহলে তা হবে একটি ভুল ধারণা। আমরা যখন ট্রাইব্যুনালে কাজ করেছি, তখন সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত কাজ স্থগিত রেখে সম্পূর্ণ মনোযোগ এই বিচারের দিকে কেন্দ্রীভূত করেছি। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক আইনজীবীও সাধারণত এভাবে কাজ করেন। তারা যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মামলা গ্রহণ করেন, তখন শুধু ওই মামলাতে মনোনিবেশ করেন।

এ বিচারগুলো অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ। পূর্ণ মনোযোগ ও নিষ্ঠা ছাড়া মক্কেলের পক্ষে যথাযথভাবে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। প্রসিকিউশন দল সে কারণে গঠিত হয় পূর্ণকালীন, নিবেদিতপ্রাণ আইনজীবীদের দিয়ে, যারা শুধু এ মামলাগুলো নিয়ে কাজ করেন। প্রতিরক্ষা আইনজীবীদেরও একই ধরনের মনোভাব গ্রহণ করা উচিত, যদি তারা সত্যি তাদের মক্কেলদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চান। আর রাষ্ট্রনিযুক্ত প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের যে পারিশ্রমিক দেয়া হয়, তা নির্ধারণের সময় ট্রাইব্যুনালের উচিত এ বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়া।

শেষত, ডেভিড বার্গম্যান তার পোস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তা হলো- সাক্ষীদের পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে প্রসিকিউশনের উদ্বেগজনক অবস্থান। প্রধান প্রসিকিউটর বলেছেন, ২০১৩ সালে আপিল বিভাগ আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় যে রায় দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা আইনজীবীরা প্রসিকিউশন সাক্ষীদের পূর্ববর্তী বিরোধপূর্ণ বক্তব্য ব্যবহার করে জেরা করতে পারবেন না। প্রসিকিউশন শেখ হাসিনার মামলাতেও এই একই নিয়ম অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছে। এর অর্থ হলো- যদি কোনো সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তাকে বা ট্রাইব্যুনালের বাইরে একরকম কথা বলেন, আবার আদালতে এসে ভিন্ন কথা বলেন, তাহলে প্রতিরক্ষা পক্ষকে সেই অসামঞ্জস্য নিয়ে প্রশ্ন করার অনুমতি নাও দেয়া হতে পারে। এর ফলে প্রতিরক্ষা দলের জন্য সাক্ষীর বক্তব্য অসত্য প্রমাণ করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।

সাধারণ ফৌজদারি মামলায়, প্রতিরক্ষা আইনজীবীরা সাক্ষীর আদালতের বাইরের পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরে তার বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কিন্তু আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় আপিল বিভাগ এ নিয়ম পরিবর্তন করেন, শুধু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার উদ্দেশ্যে। মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের ভিত্তি ছিল মোমেনা বেগমের সাক্ষ্য, যিনি ট্রাইব্যুনালে তার জবানবন্দীতে মোল্লাকে অভিযুক্ত করেন। অথচ তিনি এর আগে একটি জাদুঘরে এবং ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত বক্তব্যের কোথাও মোল্লার নাম উল্লেখ করেননি। এ পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য প্রসিকিউশনের মামলাকে দুর্বল করে তোলে। এ দুর্বলতা মোকাবেলায় আপিল বিভাগ নিয়ম পরিবর্তন করেন। আপিল বিভাগ ঘোষণা করেছিলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ত সরাসরি সাক্ষ্যের (এক্সামিনেশন-ইন-চিফ) ভিত্তিতে কেবল জেরা সীমিত থাকবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা পক্ষ মোমেনার পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্য বক্তব্যকে ব্যবহার করতে পারেনি। এভাবে প্রতিরক্ষার জেরা সীমিত করে আপিল বিভাগ মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের পথ সুগম করে দেন। এ ধরনের জেরা নিষেধাজ্ঞা ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের রায়ের আগে বাংলাদেশের আইনে ছিল না এবং ট্রাইব্যুনালের প্রচলিত আইন বা বিধিমালায় এর কোনো ভিত্তিও ছিল না। এটি একান্তভাবে আব্দুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

বর্তমান অনেক জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর অতীতে জামায়াত নেতাদের প্রতিরক্ষা দলের সদস্য ছিলেন। তারা নিজেরা প্রত্যক্ষ করেছেন, কিভাবে জেরা সীমিত করার বিধান প্রতিরক্ষা পক্ষের জন্য প্রসিকিউশন সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা চ্যালেঞ্জ করা এবং একটি ন্যায়সঙ্গত বিচার নিশ্চিত করাকে সীমাবদ্ধ করে তোলে। সুতরাং, এটি অত্যন্ত হতাশাজনক এ জন্য যে, ওই ব্যক্তিরা এখন সেই একই বিধিনিষেধকে সমর্থন করছেন, যেগুলোর বিরোধিতা তারা একসময় করেছিলেন। আরো উদ্বেগজনক হলো- ২০২৫ সালের জুলাই মাসে মোবারক হোসেনের আপিল শুনানিতে যা ঘটেছে। সেখানে একজন প্রসিকিউটর আপিল বিভাগে যুক্তি উপস্থাপন করেন, পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে জেরা নিষিদ্ধ করার যে নিয়ম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চালু হয়েছিল, তা অপরিবর্তিত রাখা উচিত।

২০২৫ সালের ২৭ মে, এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলায় আপিল বিভাগ নিজেদের পূর্ববর্তী একটি রায়ের (যেটি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেয়া হয়েছিল) তীব্রভাবে সমালোচনা করেন। আপিল বিভাগ সে রায়কে ‘ন্যায়বিচারের পরিহাস’ বলে অভিহিত করেন। সাক্ষীদের পূর্ববর্তী অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য নিয়ে জেরা নিষিদ্ধ করার মতো বিধিনিষেধ সেসব বিচার ও আপিলকে অন্যায্য করে তুলেছিল। এ প্রেক্ষাপটে, প্রসিকিউশনের উচিত আগের সরকারের বিতর্কিত রায়গুলোর ওপর নির্ভর না করা।

যদিও প্রসিকিউশন দল আইনগতভাবে আগের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্যের ভিত্তিতে জেরা করতে বাধা দেয়ার নিয়মটি ব্যবহার করার অধিকারী। কিন্তু এমনটি করা নৈতিকভাবে ও নীতিগতভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত ও ফাঁসি দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে যে বিতর্কিত আইনি নজির তৈরি করা হয়েছিল, তা রক্ষা করা একটি দুর্বল বিচারবোধের পরিচয়। যদি বর্তমান প্রসিকিউশন দল চলমান বিচারগুলোতে সেই একই ত্রুটিপূর্ণ নিয়ম প্রয়োগে অনড় থাকে, তাহলে তারা পূর্ববর্তী অন্যায়গুলো পুনরাবৃত্তির ঝুঁকিতে পড়বে।

লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি

সূত্র, নয়া দিগন্ত