২০২৪ সালের গণতান্ত্রিক বিপ্লব বিচার আর ন্যায্যতার দরজা খুলে দিয়েছে। এমন একটা সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে বিপ্লব, যে সরকার জনগণের কথা শোনে। তারপরও একটা জোরালো কণ্ঠস্বর সেখানে অনুপস্থিত। ১৩ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশি প্রবাসে বাস করছেন। প্রতি বছর তারা দেশে বহু বিলিয়ন ডলার পাঠান। ২০২৩ সালে তারা ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন। এই ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত রাখেন। দেশের ভবিষ্যতের ব্যাপারে তারা আশাবাদী, কিন্তু ভোট দিতে পারেন না। এটার অবশ্যই পরিবর্তন হতে হবে।

এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুধু শ্রমিক নন, তারা নাগরিক। তাদের অধিকার রয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের মত দেওয়ার অধিকার আছে। ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতন্ত্রকে পুনর্নির্মাণ করছে। প্রবাসী জনগোষ্ঠীকে এই ভোটার তালিকায় যুক্ত করার এখনই সময়। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা কোনো করুণা নয়। এটা একটা প্রয়োজন। সত্যিকারের গণতন্ত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আব্রাহাম লিঙ্কন এ কারণেই বলেছিলেন, ‘ব্যালট বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী।’

বাংলাদেশি প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় কঠিন পরিবেশে তারা শ্রম দিচ্ছেন। তাদের অর্থ পরিবারের পাশাপাশি এই দেশকেও সহায়তা করছে। এই অর্থ সংকটের সময় দেশকে স্থিতিশীল রাখে। তারপরও প্রবাসী জনগোষ্ঠী নির্বাচনের আওতার বাইরে পড়ে আছে। এটা অন্যায়। তারা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন, কিন্তু রাজনীতিতে তাদের কণ্ঠস্বর নেই। এই বৈপরীত্যের অবশ্যই ইতি টানতে হবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ওভারসিজ ভোটিং (OCV) ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরি, যা নাগরিকদের জন্য ভোটাধিকারে প্রবেশযোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। প্রবাসে বসবাসরত নাগরিকদের বাস্তবতা বিবেচনায় ভোটার নিবন্ধন ও ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানো উচিত, বিশেষত যারা দূরবর্তী কর্মস্থলে বা যেসব দেশে সীমিত কনস্যুলার সেবা রয়েছে সেখানে কর্মরত রয়েছেন।

প্রক্রিয়া সহজীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ডাক ভোটের মতো নমনীয় ও সহজলভ্য পদ্ধতি চালু করা, যেখানে পরিষ্কার নির্দেশনা ও নির্ধারিত সহায়তা কেন্দ্র থাকবে।

প্রবাসীরা যাতে স্থায়ী ঠিকানার বাইরে অন্য আসন থেকেও ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে, বিশেষ করে যাদের পরিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়েছে বা দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন।

সব বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটে সরাসরি ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যেখানে নিরাপদ ব্যালট বাক্স, প্রশিক্ষিত কর্মী ও বহুভাষিক সহায়তা থাকবে। সরকারকে দেশব্যাপী ও আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারাভিযান পরিচালনা করতে হবে, যার মাধ্যমে স্যাটেলাইট টিভি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং প্রবাসী নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নাগরিকদের ভোটাধিকার, সময়সীমা ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হবে।

এ ছাড়া প্রক্সি ভোটিং চালুর বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিবেচনা তাদের জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে, যারা সরাসরি ভোট দিতে অপারগ। তবে এই পদ্ধতি যেন অপব্যবহার না হয়, সেজন্য প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত। যদিও অতীতে প্রবাসীদের মধ্যে ডাক ভোটের আগ্রহ সীমিত ছিল, তবে ডিজিটালভাবে উন্নত দেশগুলোয় একটি নিরাপদ অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে, যা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে চালু করা যেতে পারে। একটি বহুমুখী অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল শুধু প্রবাসীদের ক্ষমতায়নই করবে না, বরং ২০২৪-পরবর্তী গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মূল চেতনা—অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রকে বাস্তবে পরিণত করবে।Top of Form

১. অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডের রাজনৈতিক স্বীকৃতি

প্রবাসী বাংলাদেশিরা অর্থনৈতিক বীর। তাদের ২১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশের প্রাণসঞ্জীবনীর কাজ করে। কোভিড-১৯ মহামারির মতো কঠিন সময়ে এই রেমিট্যান্স অর্থনীতিকে রক্ষা করেছে। এই অর্থ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী অবস্থায় ধরে রাখে। কিন্তু তাদের অর্থ কীভাবে ব্যয় হবে, সে বিষয়ে তাদের মত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা নেতা বা নীতি নির্ধারণের জন্য ভোট দিতে পারেন না। এটা অন্যায়। যে মানুষগুলো অর্থনীতিকে রক্ষা করছেন, সেই অর্থনীতি কোন দিকে যাবে, সে বিষয়েও তাদের ভূমিকা থাকা দরকার।

২. গণতান্ত্রিক অন্তর্ভুক্তি

বাংলাদেশের সংবিধানে ন্যায়সংগত গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ১১নং অনুচ্ছেদে অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। বহু মিলিয়ন নাগরিককে ভোট থেকে বাদ দেওয়ার অর্থ হলো সংবিধানের এই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করা। অন্য অনেক দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের ভোটের ব্যবস্থা রেখেছে। ফিলিপাইনস, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো ডাক ব্যালট এবং দূতাবাসে ভোটের ব্যবস্থা রেখেছে। জাতিসংঘ ও আইওএমের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এটাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশকে অবশ্যই বৈশ্বিক এই স্ট্যান্ডার্ড মেটাতে হবে। প্রবাসী কমিউনিটি থেকে তারা যদি উপকার পেয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের মত প্রকাশের অধিকার দিতে হবে।

৩. বিপ্লবের বার্তা

২০২৪ সালের বিপ্লব ছিল ন্যায্যতা আর অন্তর্ভুক্তির বিপ্লব। এর মাধ্যমে বহু বছরের অন্যায় শাসনের অবসান ঘটেছে। ড. ইউনূসের সরকারকে অবশ্যই এই চেতনাকে সম্মান করতে হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিলে সত্যিকারের গণতন্ত্রের দিকে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। তাদের বাদ দেওয়া হলে পুরোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে। বিপ্লব হয়েছে সব বাংলাদেশির জন্য, শুধু দেশে অবস্থানরত মানুষের জন্য নয়। তাদের ভোট জাতির ভবিষ্যৎ আরো শক্তিশালী করবে।

৪.

প্রবাসীদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন

প্রবাসী বাংলাদেশিরা শ্রমিকের চেয়েও বেশি কিছু। তারা অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাদের রেমিট্যান্স সংকটের সময় বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তারা নীরব হয়ে আছেন। এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা। তাদের ত্যাগকে এখানে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। তারা ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন। দূতাবাস, ডাক ব্যালট এবং নিরাপদ অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে এটা বাস্তবায়ন করা যায়। এই সব উপায়গুলো বাস্তবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে শুধু দরকার হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

বৈশ্বিক প্রতিতুলনা : আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সতীর্থদের থেকে শেখা

বহু দেশ তাদের প্রবাসী জনগোষ্ঠীকে ভোট দিতে দেয়। ফিলিপাইনস সেই ২০০৪ সাল থেকে প্রবাসী নাগরিকদের ভোট নিয়ে আসছে। তারা দূতাবাস ও মেইলের মাধ্যমে এই ভোট সংগ্রহ করে। ইন্দোনেশিয়া মোবাইল ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে। পাকিস্তান ২০১৮ সালে তাদের অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছে। ভারতও তাদের প্রবাসীদের জন্য ডাক ব্যালট ব্যবহারের বিষয়টি বিচার বিবেচনা করছে। শ্রীলঙ্কা আর নেপালও এ ধরনের ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে। কিন্তু বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে আছে। অথচ বাংলাদেশের প্রবাসী জনগোষ্ঠী বিশাল, এবং তাদের জন্যও এই একই অধিকার নিশ্চিত করা উচিত।

কৌশলগত কাঠামো

প্রবাসী নাগরিকদের ভোটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দরকার। এটা অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরাপদ ও বাস্তবসম্মত হতে হবে। পদক্ষেপগুলো এ রকম হতে পারে—

১. আইনি সংস্কার ও নীতিনির্দেশনা

সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনী আইন হালনাগাদ করতে হবে। রেপ্রেজেন্টেশান অব দ্য পিপল অর্ডারে (১৯৭২) নতুন নিয়ম যোগ করা দরকার। এখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। আইনে দূতাবাস, মেইল এবং অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে ভোটের অনুমোদন থাকতে হবে। ‘ওভারসিজ ইলেক্টরাল কোঅর্ডিনেশন সেল’ নামের বিশেষ ইউনিট থাকতে হবে, যারা এটা তত্ত্বাবধান করবে। ভারত ও ফিলিপাইনসের মতো অন্য দেশগুলোয় এ ধরনের আইন রয়েছে। বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে শিখতে পারে।

২. ভোটার নিবন্ধন প্রচারণা

সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটের জন্য নিবন্ধিত হতে পারে। ‘আমার ভোট, আমার অধিকার’—এ ধরনের স্লোগান নিয়ে প্রচারণা চালালে সবার কাছে বার্তাটা পৌঁছানো সম্ভব। প্রচারের জন্য টেলিভিশন, রেডিও ও সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে হবে। দূতাবাস ও কমিউনিটি গ্রুপগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে। একটা অনলাইন ব্যবস্থা থাকা দরকার, যাতে মানুষ সহজে নিবন্ধিত হতে পারে। তারা পাসপোর্ট বা ওয়ার্ক পারমিটের মতো কাগজপত্র সেখানে আপলোড করতে পারে। এই ব্যবস্থাটাকে অবশ্যই নিরাপদ ও সহজ হতে হবে।

৩. কূটনৈতিক মিশনে অবকাঠামো গড়ে তোলা

দূতাবাসগুলোকে অবশ্যই ভোটকেন্দ্র হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। সেখানে নিরাপদ ব্যালট বাক্স এবং প্রাইভেট বুথ থাকতে হবে। প্রশিক্ষিত স্টাফদের দিয়ে প্রক্রিয়াটা চালাতে হবে। ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট নিরাপদে বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব। মোবাইল ভোটিং টিম শ্রমিক ক্যাম্পের মতো প্রত্যন্ত এলাকার শ্রমিকদের কাছে যেতে পারে। ভোটারদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিটি দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক চালু করা উচিত।

৪. পর্যবেক্ষণ, তথ্যের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক নজরদারি

ভোট ব্যবস্থাকে অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এটা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এনক্রিপশনের মতো নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোটের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। হটলাইন ও অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে অভিযোগ শোনা ও নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এতে করে ভোটিং প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা তৈরি হবে।

এই পরিকল্পনা একটা ঐতিহাসিক ভুলকে শোধরাতে পারে। এটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের অর্থ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে। তাদের ভোট ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। আইনি পরিবর্তন, নিবন্ধন কর্মসূচি ও নিরাপদ সিস্টেমের মাধ্যমে এটা কার্যকর করা সম্ভব।

অন্তর্ভুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র হয় না

বাংলাদেশ একটা নতুন গণতন্ত্র নির্মাণ করছে। তাদের অবশ্যই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই জাতিকে বহু বছর ধরে সহায়তা করে আসছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশকে শক্তিশালী করে রেখেছে। শুধু ধন্যবাদের চেয়ে তাদের আরো বেশি কিছু পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। তাদের এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হলে তাদের মর্যাদাকে অস্বীকার করা হবে। তাদের হৃদয় বাংলাদেশে পড়ে থাকে। তাদের কণ্ঠস্বরও তাই শোনা উচিত।

অন্য দেশগুলো দেখিয়েছে—এটা সম্ভব। দূতাবাস, মেইল ও অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ এসেছে। এই সরকার এমন একটা গণতন্ত্র তৈরি করতে পারে, যেটা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবে। লিন্ডন বি জনসন একবার বলেছিলেন, ‘অন্যায়কে ভেঙে ফেলার জন্য মানুষের তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হলো ভোট।’

এজন্য তৎপর হওয়ার সময় এখনই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দিতে দিন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে রূপ দিতে তাদের কণ্ঠস্বরকে ব্যবহার করুন। যে জাতি একসঙ্গে ভোট দেবে, সেই জাতি গড়েও উঠবে একই সঙ্গে।

সূত্র, আমার দেশ