রাজনীতিতে মতদ্বৈধতা, বিরোধ ও বিতর্ক একটি সহজাত বিষয়। সবাই যদি সব বিষয়ে একমত হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান ও মতপার্থক্য অসার হয়ে যায়। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ‘যত মত তত পথ’। বাক্যটি রাজনৈতিক অঙ্গনেও শতভাগ সত্য। আবার মনীষী মাও জেদুং-এর উক্তি ‘শত ফুল ফুটতে দাও’। আসলে রাজনীতির তাৎপর্য এখানেই নিহিত। শত মত শত বিরোধ-বিপত্তির মধ্য দিয়ে প্রয়োজনে একটি সাধারণ সমীকরণে পৌঁছাই হচ্ছে রাজনীতির সার্থকতা। উন্নত জাতিগুলো শত শত বছর ধরে রাজনীতির অনুশীলন করার ফলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ‘জাতীয় ঐকমত্য’ রয়েছে। সেখানে মৌলিক বিষয় কেউ মতভেদ করে না। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে গণতন্ত্র এখনো একটি অনুশীলনের বিষয় বা যেখানে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করেনি, সেখানে জাতীয় ঐকমত্য অর্জন করতে হয়। সেই চেষ্টাটিই চলছে এখন বাংলাদেশে। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন করে স্বাধীনতাকে উপলব্ধির চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা বিবেচনা করে কেউ কেউ এই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে অবহিত করেছেন। বিগত আওয়ামী আমলে নাগরিকদের মৌলিক স্বাধীনতা অস্বীকার করা হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে বিপর্যস্ত হয়েছিল। নিকৃষ্ট শক্তির শাসন কায়েম হয়েছিল সর্বত্র। মতদ্বৈধতার স্বাধীনতা তথা ভিন্নমত পোষণের কোনো দরজাই খোলা রাখা হয়নি। স্বৈরাচারী সরকার অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন, গুম-খুন ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের অনিবার্য স্বাধীনতাকে পদদলিত করেছে। পাপে পাপ আনে, পুণ্যে আনে সুখ। আওয়ামী স্বৈরাচার যে পাপের পাহাড় তৈরি করেছে, তা স্বাভাবিকভাবেই পাপের সমুদ্রে বিলীন হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অনিবার্য বিজয় হিসেবে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। দুই সরকারের মধ্যবর্তী এ সরকার। জুলাই বিপ্লবের আগের সরকার রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত ছিল। আগামী নির্বাচনের পরও আরেকটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। যেকোনো রাজনৈতিক সরকারের সীমাবদ্ধতা হলো এই যে, তারা তাদের রাজনৈতিক সীমা-পরিসীমা অতিক্রম করতে পারেন না। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ ও সবার জন্য সমান হওয়ার কারণে যেমন সাধারণ গণসমর্থনপুষ্ট, তেমনি নেতিবাচক নাগরিকদের কাছে অপরাধ করার অবাধ সুযোগ। এ সময় যেহেতু রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই, সেহেতু দলীয় নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানও সীমিত। এই অবারিত মাঠে-ময়দানে তাই ভালো মানুষের পরিবর্তে খারাপ মানুষের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়। সমাজে পরিদৃশ্যমান মব কালচার দুষ্কৃতকারীদের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। অফিস-আদালত ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে সরকার পরিবর্তনের নেতিবাচক দিকগুলো স্পষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচনের দিকে অগ্রসরমাণ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
জুলাই বিপ্লবের অব্যবহিত পর যে অনিবার্য রাজনৈতিক ঐক্য দৃশ্যমান ছিল, তা আজ আর অবশিষ্ট নেই। সরকার পরিচালনার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন রণকৌশল ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছে। সরকারের প্রাথমিক দিনগুলোয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেভাবে রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করেছে, এখন কার্যত সেটি অপস্রিয়মাণ। ছাত্রদের ন্যায়-অন্যায় দাবির মুখে এখন বরং সরকারকে অনেকটা অসহায় মনে হয়। ছাত্রদের বিষয়টি না হয় আবেগ দিয়ে বিবেচনা করলাম। কিন্তু রাজনীতিবিদরা ক্রমেই যেভাবে বিভেদ-বিতর্ক-বিভাজন আকীর্ণ হয়ে উঠছেন, সেটি সৌজন্যের সীমা-পরিসীমা অতিক্রম করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এমনটি বলছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৫ আগস্ট একই সঙ্গে জুলাই ঘোষণা প্রকাশ এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা স্বাভাবিকভাবেই পুরো জাতিকে চাঞ্চল্য প্রদান করেছে। কিন্তু যেটি অস্বাভাবিক সেটি হচ্ছে, নানা বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেন সীমালঙ্ঘন করছে। এর স্বীকারোক্তি মেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনার তর্ক-বিতর্ক মাঝেমধ্যে হতাশায় চলে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনের জন্য যখন সংস্কার শুরু হলো, তখনই বিবাদ দেখা দিল। গণতন্ত্রে তর্ক-বিতর্ক হবেই, কিন্তু মাঝেমধ্যে তা এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে, তাতে হতাশা এসে যাচ্ছে। এই দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করেন এভাবেÑআমি যখন একটি প্রগতিশীল সমাজ দেখতে চাই, আমি যখন একটা মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা চাই, আমি যখন আপনার জনগণের বৈষম্য কমিয়ে আনতে চাই, তখন যদি আমি দেখি যে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা করা হচ্ছে এবং সেটিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনাগুলো এবং একটা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন তো হতাশা আসবেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেছিল, জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষিত হলে রাজনৈতিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, বিতর্ক-বিভাজন কমে আসবে। কিন্তু এখন ফল হয়েছে উল্টোটি।
এখন পুরো রাজনৈতিক আন্দোলন দুটো বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। প্রথমটি হলো পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ। দ্বিতীয়ত, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি। পিআর বা আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে সুধীমহলে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। খুব মজার বিষয় এই যে, ডান ও বামের রাজনৈতিক নেতারা আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে সুমেরু-কুমেরু বিতর্ক করলেও তারা সবাই পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে এক ও অভিন্ন। ভাবা যায়, কমিউনিস্ট পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী একই ভাষায় পিআর পদ্ধতিকে সমর্থন করছে। পিআর পদ্ধতিটি সাম্প্রতিককালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও বিষয়টি কিন্তু নতুন নয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা লক্ষ করে থাকবেন, গত ৩-৪ দশক আগে থেকেই উভয় গ্রুপ আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে গ্রন্থনা, গবেষণা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করে আসছে। আনুপাতিক এই পদ্ধতির পক্ষে ও বিপক্ষে ব্যাপক যুক্তি-তর্ক রয়েছে। যারা আনুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে বলতে চান, তারা একে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরশাসন তথা একাধিপত্বের বিপরীতে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে দেখেন। আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের ব্যালটে প্রার্থী থাকবে না। বরং দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। ফলে ছোট দলগুলো জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব পাবে। এই প্রতিনিধিত্বই আবার সুফলের পরিবর্তে কুফলদায়ী হতে পারে। অনেকেই যুক্তি দেখান যে, বাংলাদেশের মতো অস্থির এবং বিভক্ত সমাজে আনুপাতিক ব্যবস্থা অস্থিতিশীলতা আনয়ন করবে। সত্যিকথা বলতে কি, পাকিস্তান আমল থেকে এ পর্যন্ত পার্লামেন্টারি পলিটিকস পর্যবেক্ষণ করলে হতাশ হতে হয়! পাকিস্তানে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই অস্থিরতার প্রমাণ মেলে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত যুক্তফ্রন্ট-পরবর্তী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সরকার অদল-বদলের যে ইতিহাস ঘটে, তা সুখকর নয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ থেকে এ পর্যন্ত বড় দলকেও দেখা যায়, ছোট দল থেকে লোকজন ভাগিয়ে নিত। আনুপাতিক পদ্ধতিতে বেশি দল হলে বেশি বেশি সরকার বদল হবে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করেন। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় নির্বাচনব্যবস্থাও সংস্কার হয়েছে। আনুপাতিক ব্যবস্থাটি পৃথিবীর ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে বহাল আছে। এটি সর্বশেষ উন্নততম নির্বাচন পদ্ধতি বলে গণ্য হচ্ছে। আমাদের দেশের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠছে, উন্নত দেশের উন্নত পদ্ধতি আমাদের দেশের জন্য কতটা সামঞ্জস্যশীল হবে! এছাড়া যুক্তি দেওয়া হয়, স্থানীয় নেতৃত্ব বা স্থানীয় সমস্যাকে নির্দিষ্ট না করতে পারলে গণতন্ত্রের ঘাটতি ঘটবে। যারা এর বিপরীতে যুক্তি দেন, তারা বলেনÑস্থানীয় নেতৃত্বভিত্তিক নির্বাচন হলে তা থ্রি এমÑমাসল, মানি ও মিডিয়া এর পরিপূরক হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনে মাস্তানির আবির্ভাব ঘটে। কালো টাকার ছড়াছড়ি দেখা যায়। মিডিয়া বা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য করা হয়।
এ ধরনের একাডেমিক যুক্তিতর্কের পর আমাদের দেশের পরিবেশ, পরিস্থিতি, জনমনস্তত্ত্ব এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। প্রতিটি জিনিসেরই যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। পরীক্ষামূলকভাবে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন হতে পারে। যেমন : প্রস্তাবিত উচ্চ পরিষদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আনুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে। বিএনপি বাদে প্রায় সব রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের পক্ষে আছে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন চরমোনাইÑএই গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থাকে তাদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে। যেভাবে তারা আন্দোলন ও আবেদন করছে, তাদের আত্মস্থ করা কঠিন। বিএনপি যেহেতু সবচেয়ে জনপ্রিয় দল, সম্ভাব্য সরকার গঠনের প্রত্যাশীÑতাই তাদের দায়িত্বও বেশি। এ আন্দোলন ও বিরোধের সূত্র ধরে নির্বাচন পেছানো বা অনিশ্চিতকরণের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই জনগণের দাবি। সুতরাং নির্বাচন সব সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে গ্রহণ করলে বর্তমান বিভেদ-বিতর্ক থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
এছাড়া বর্তমান বিরোধীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি কাঠামোর ভিত্তি। জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়াদি এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এটিকে রাষ্ট্রিক ঘোষণার নৈতিক বাধ্যবাধকতা দিয়ে মেনে নিতে চায়। অন্যদিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদকে এখনই আইনগত মর্যাদায় দেখতে চায়। বিষয়টি সমাধানের জন্য চারটি উপায়ের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো হলোÑক. গণভোট, খ. অধ্যাদেশ জারি, গ. অস্থায়ী আইনি কাঠামো বা লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ওয়ার্ডার, ঘ. সুপ্রিম কোটের পরামর্শের আলোকে সাংবিধানিক বিতর্ক্যের অবসান। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে অধ্যাদেশ জারি। রাজনৈতিক অর্জিত হলে জাতীয় সরকার এই অধ্যাদেশকে আইনি রূপ দিতে পারে। আর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত যদি না হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের আলোকে সাংবিধানিক সংযোজন গড়তে পারে।
এসব সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক আলোচনা এবং সমালোচনা স্বাভাবিক সীমা-পরিসীমাকে অতিক্রম করেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দলগুলোর নেতা, পাতি নেতারা এমনসব কথাবার্তা বলছেন, যা সীমালঙ্ঘন করেছে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সমঝোতার সম্পর্ক বজায় থাকার কথা, রাজনৈতিক কারণে তারা পারস্পরিক বাগ্যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন। এসব বাগ্যুদ্ধের ভাষা কখনো কখনো ব্যক্তিক ও আপত্তিকর মনে হয়েছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য পতিত স্বৈরাচারের ভাষা ও ভাবধারা আনয়ন করে নিজেদের বৈধতা অর্জনের প্রবণতা সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বারবার রাজনৈতিক শালীনতা ও শিষ্টাচারের কথা বলছেন। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় এমন আচরণ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এদেশের সচেতন নাগরিকরাও চান, রাজনৈতিক এলিটরা তাদের আচরণের ও বক্তব্যের সীমা-পরিসীমা সম্পর্কে অবহিত থাকুন এবং সেভাবেই রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে লালন-পালন ও ধারণ করুন।