“এনএসআইয়ে ‘র’ নেটওয়ার্ক” (সূত্র আমার দেশ, ১৯ আগস্ট ২০২৫)। এই শিরোনাম আমাকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমি স্তব্ধ হয়ে দেখেছি, কীভাবে ২০০৯ সালের পর থেকে এনএসআইয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থাকে বিদেশি গোয়েন্দারা নিজেদের করায়ত্ত করে নিয়েছিল। দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে, দেশেরই স্পাই মাস্টাররা নিজেদের বিবেক, দায়িত্ব আর দেশপ্রেম বিক্রি করে দিয়েছিল। যাদের কাজ ছিল মাতৃভূমির জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সতর্ক থাকা, তারাই দেশের নিরাপত্তাকে নিলামে তুলেছিল। শোনা যায়, এমনকি ডিজিএফআইয়ের একতলাও বিদেশি গোয়েন্দাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আয়নাঘর ঘিরে যে আতঙ্কের গল্প দেশজুড়ে আলোচিত, সেটি তারই প্রমাণ।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়ে আজ কথা বলা মানেই এক সূক্ষ্ম, কিন্তু জরুরি ঝুঁকি নেওয়া। এসব প্রতিষ্ঠান এমন এক ছায়াজগতের প্রতিনিধি, যাদের কার্যক্রম চোখে দেখা যায় না, কিন্তু রাষ্ট্র, সরকার এমনকি ব্যক্তি জীবনেও তারা গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই এই সংস্থাগুলোর সংস্কার এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং এটি এক মৌলিক জাতীয় নিরাপত্তা প্রয়োজন।

এ কারণেই আমি আজ কলম ধরেছি দেশের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্য। যেহেতু আমি নিজেও প্রায় দুই দশক আগে এ ধরনের সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেছি, তাই অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সত্য উচ্চারণ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।

কেন সংস্কার দরকার?

আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গড়ে উঠেছিল রাষ্ট্রের সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখা, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার স্থায়িত্ব রক্ষা নয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাস্তবে তার অনেকটাই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে; কখনো কখনো এ সংস্থাগুলো দলীয় স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে রাষ্ট্রের প্রকৃত নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আমি নিজেও প্রেষণে থাকাকালে বিদেশি স্পাইমাস্টারদের সঙ্গে সমমর্যাদায় বসে দেশের স্বার্থকে সামনে রেখে আলাপ করেছি, কখনো জাতীয় মর্যাদাকে ছোট হতে দিইনি, কোনো আপস করিনি। তাই আজ যখন দেখি সেই মহান উদ্দেশ্য অনেকাংশেই বিকৃত হয়ে গেছে, তখন আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই গভীর বেদনা ও দায়িত্ববোধ আমাকে নাড়া দেয়।

রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য তাই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার এখন সময়ের দাবি। এগুলো দলীয় নয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের নিরপেক্ষ অভিভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

গোয়েন্দা সংস্থার মূল কাজ : রাষ্ট্র সুরক্ষা

গোয়েন্দা সংস্থার মূল কাজ হলো রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, বিদেশি অনুপ্রবেশ ও শত্রু গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বিদ্রোহী তৎপরতা সম্পর্কে সরকারকে আগাম সতর্ক করা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা এবং সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা।

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্বার্থ রক্ষা কখনোই গোয়েন্দা সংস্থার কাজ নয়। কিন্তু আমাদের দেশে বারবার দেখা গেছে বিরোধী দলের আন্দোলন দমন, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কিংবা ভিন্নমতাবলম্বী ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করাকেই ‘মূল কাজ’ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। এতে সংস্থাগুলোর ওপর জন-আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

রাজনৈতিক ব্যবহার বনাম রাষ্ট্র নিরাপত্তা

বাংলাদেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অতি-রাজনৈতিকীকরণের ফলে দুই ধরনের ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত, রাষ্ট্র নিরাপত্তার ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে; সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আশ্রয়, বিদেশি গোয়েন্দাদের অনুপ্রবেশ ইত্যাদি অব্যাহত রয়েছে। দ্বিতীয়ত, জন-আস্থা নষ্ট হয়েছে; জনগণ গোয়েন্দা সংস্থাকে জনগণের নয়, শুধু সরকারের হাতিয়ার হিসেবে দেখতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি। রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে হলে গোয়েন্দা সংস্কারকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা সংস্কার’ হিসেবে দেখা আবশ্যক।

গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও ইতিহাসের ভয়ংকর শিক্ষা

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সঠিক ও সম্পূর্ণ গোয়েন্দা ব্রিফিং না পাওয়ায় ১৯৭০ সালের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার জারি করেছিলেন, যা পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবুর রহমানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার তথ্যকে উপেক্ষা করেছিল। এই ভয়ংকর গোয়েন্দা ব্যর্থতার ফলে দেশ দ্বিখণ্ডিত হলো এবং স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নিল, যা অবশ্যই আমাদের জাতির জন্য বড় অর্জন। কিন্তু এই ইতিহাস আমাদের জন্য এক মর্মস্পর্শী সতর্কবার্তা : একটি দেশের নিরাপত্তা, সংহতি এবং ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতে গোয়েন্দা সংস্থার পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। একইভাবে, আজকের বাংলাদেশকে এই জাতীয় মারাত্মক গোয়েন্দা ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি কখনোই স্বীকার করতে পারবে না; আমাদের সংস্থা এবং কর্মকর্তাদের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

‘র’-এর অনুপ্রবেশ ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংকট

ভারতের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ দক্ষিণ এশিয়ার শক্তির ভারসাম্যে প্রভাবশালী। বাংলাদেশের ভূরাজনীতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই ভারত বরাবরই বাংলাদেশকে বাফার জোন হিসেবে দেখেছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ‘র’-এর কার্যক্রম ক্রমেই বিস্তৃত হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার নিয়োগ ও নীতিনির্ধারণে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, অনেক সিদ্ধান্ত কার্যত ভারতের আঞ্চলিক কৌশলের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংস্থাগুলো রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।

অবশ্যই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা সহযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু সহযোগিতা ও নির্ভরতার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। যখন একটি দেশের গোপন তথ্য বিদেশি কূটনীতিক বা গোয়েন্দার হাতে পৌঁছে যায়, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তার বদলে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।

আমার নিজের অভিজ্ঞতায় এই সত্য আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষী নিরাপত্তা বৈঠকে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তৎকালীন পরিচালক অজিত ডোভালের সঙ্গে। বৈঠকের সময় উভয় দেশের স্বার্থ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছিলাম। তখনই আমি উপলব্ধি করি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা তখনই ফলপ্রসূ হয়, যখন তা পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে; একতরফা আনুগত্য বা প্রভাবের মাধ্যমে নয়। পরের বছর অজিত ডোভাল অবসর নেন, আর আমি আমার মূল সার্ভিসে ফিরে যাই। এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরো শক্তভাবে শেখায়, প্রকৃত জাতীয় নিরাপত্তা শুধু বিদেশি নির্ভরতার মাধ্যমে গড়ে ওঠে না, বরং তা গড়ে ওঠে দেশের নিজের সক্ষমতা, পেশাদারিত্ব এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার ওপর ভিত্তি করে।

গোয়েন্দা প্রধানরা যখন মায়ের মর্যাদা বিক্রি করলেন

এনএসআইয়ের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হলো যখন এর মহাপরিচালকরা (ডিজি) নিজেরাই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দোসর হয়ে পড়েন। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার শপথ নিয়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অনেকেই বিক্রি হয়ে যান, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শুধু শীর্ষ কর্মকর্তাই নয়, কিছু অধস্তনও প্রলোভন বা পদোন্নতির সুবিধার জন্য ‘র’-এর সঙ্গে আঁতাত করেছে, যা একজন গোয়েন্দার জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।

একটি পেশাদার কাঠামোর জরুরি প্রয়োজন

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সংস্কার করতে হলে প্রয়োজন একটি স্পষ্ট ও দৃঢ় আইনি কাঠামো, যা তাদের কাজের ক্ষেত্র ও দায়িত্ব নির্দিষ্ট করবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদেরও দরকার লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্পষ্টতাকে (mission clarity) সামরিক গোয়েন্দাগিরি করবে, কে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করবে, আর কে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে এসব কাজ একে অন্যের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।

আজ ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ডিবিÑসবাই যেন এক অলিখিত প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত : কে আগে বিরোধী মতের ফোন রেকর্ড করবে, কে আগে গোপন ‘ফিড’ পাঠাবে। অথচ কোনো সংস্থা অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, বৈশ্বিক বিনিয়োগ বিশ্লেষণ বা সাইবার হুমকি প্রতিরোধে গভীর গবেষণা করছে না।

এখনই সময় এমন একটি পেশাদার কাঠামো গড়ে তোলার, যেখানে ডিজিএফআই থাকবে সামরিক ও কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রমে, এনএসআই অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত হুমকি বিশ্লেষণে নিবেদিত আর সিটিটিসি ও বিশেষায়িত বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে দায়িত্ব নেবে।

গোয়েন্দা সংস্কার কেন শীর্ষ অগ্রাধিকার

বর্তমান সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিটির মধ্যে গোয়েন্দা সংস্কার না থাকা গভীর দুর্ভাবনার বিষয়। কারণ যেকোনো নির্বাচনি, প্রশাসনিক বা বিচারিক সংস্কার ব্যর্থ, হবে যদি তার পেছনে তথ্য সরবরাহ করা সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতা না থাকে। গোয়েন্দা ছাড়া প্রশাসন অন্ধ; কিন্তু রাজনৈতিক এজেন্ডা-বোঝাই গোয়েন্দা রাষ্ট্রের জন্য বিপদ। আজ যদি গোয়েন্দা বিভাগ ঠিক না হয়, তবে আগামীকাল নির্বাচিত সরকারও এই ব্যবস্থাকে ব্যবহার করতে চাইবে, তফাত শুধু ‘আয়নাঘর’ ও ‘চিরুনিঘর’-এর নাম থাকবে, নীতিনৈতিকতার মধ্যে হবে না।

গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কারের জন্য প্রয়োজন আলোচনাভিত্তিক আইনপ্রণয়ন, যেখানে সংস্থা ও নাগরিক উভয়ের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে। পেশাদার নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে পদোন্নতি ও দায়িত্ব দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে হয়। সাংবিধানিক তত্ত্বাবধান থাকতে হবে, যেন নির্বিচার গোপন নজরদারি বন্ধ হয়। সংস্থাগুলোর দৃষ্টি ফেরাতে হবে রাষ্ট্রবিরোধী, জঙ্গি, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত হুমকি শনাক্তকরণের দিকে। বিদেশি সংস্থার অনুপ্রবেশ ও প্রভাব প্রতিরোধে নীতিগত অবস্থান নেওয়া জরুরি। ডেটা ও সাইবার সক্ষমতা উন্নয়ন করে ভবিষ্যতের যুদ্ধে প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো ব্যক্তিকে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না, এই নীতি স্পষ্টভাবে আইনে প্রতিফলিত হতে হবে।

গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক; যদি তা মেরুদণ্ডহীন হয় বা বিদেশি বা দলীয় প্রভাবের অধীনে চলে যায়, তবে সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রের স্বার্থের বিপরীতে যাবে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে এনএসআই ও ডিজিএফআইকে শুধু রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌম স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, স্বচ্ছতা, পেশাদার নিয়োগ ও পদোন্নতি, শক্তিশালী কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স, আধুনিক প্রযুক্তি ও মাল্টি-লেয়ার্ড সিকিউরিটি কাঠামো। রাজনৈতিক প্রভাব ও বিদেশি গোয়েন্দা হস্তক্ষেপ এড়িয়ে শুধু দেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। শক্তিশালী, নিরপেক্ষ ও আধুনিক গোয়েন্দা ব্যবস্থা হলো জাতির নিরাপত্তার মূল প্রহরী এবং ভবিষ্যৎ সংরক্ষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

লেখক : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান ও উপ-উপাচার্য বিইউপি

সূত্র, আমার দেশ