ঐকমত্য কমিশন এবং তার আগে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় মূলনীতির ক্ষেত্রে, ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’র কোনো ধরনের ইশারাই নেই, যা অতীব আশঙ্কার বিষয় এবং যা ক্ষমতার কেন্দ্রে ইসলামের প্রবেশাধিকার হরণ করার কামালবাদী প্রকল্পের অংশ। আরেক দিকে জনগণের সবচেয়ে বড় অংশÑবাংলাদেশি মুসলিমদের পক্ষে রাষ্ট্রের মূলনীতির ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা এবং ঐতিহাসিক আত্মচৈতন্য ও অস্তিত্ব প্রকাশের রাষ্ট্রীয় উপযুক্ত এবং ন্যায্য প্রতীকী রাজনৈতিক উপায় হলো ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে যুক্ত করা। তবে শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের কমিশনই না, দ্বিতীয় স্তরে আমরা দেখি, মাফিয়া খুনি সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু বামপন্থি ও কমিউনিস্ট দলও এই ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়েও স্পষ্ট, প্রত্যক্ষ এবং সরাসরি মুসলিম স্বার্থের অনুকূলে মূলনীতি হোক, তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। মূলত কমিশন এবং এই বামদলগুলো ইসলাম ও সংবিধান প্রসঙ্গে নিছকই পরস্পরের পিঠ চুলকে দিচ্ছে। একে অন্যের সেক্যুলার স্বার্থ হাসিল করছে সমান্তরালে।
শহীদের স্বীকৃতি প্রদানে বৈষম্য কেন?শহীদের স্বীকৃতি প্রদানে বৈষম্য কেন?
মজার বিষয়, এই ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রকট স্ববিরোধিতা দেখা যায় কমিশনের এ বছরে প্রকাশিত রিপোর্টের জরিপ অংশে। জরিপে প্রকাশ, সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ চান ৫৩৪৩ জন, ইসলামি ভাবধারাভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্র চান ৩০৩১ জন, শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি সংবিধান চান ৩৫৬৭ জন, সংবিধানে কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনার বিধান এবং সংবিধানে কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কিছু রাখা যাবে না, এমনটা চান যথাক্রমে ৪২২৩ ও ৫৭৫১ জন। সংবিধান সংস্কার ও নয়া সংবিধানে ইসলামি মূল্যবোধ অনুসৃত হোক, এমন চান ৩৯৮১ জন। পক্ষান্তরে, মুক্তিযুদ্ধকে সর্বোচ্চ স্থান দিতে চান ১৬৬০ জন। সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ চান ৬১৩ জন। সাম্য-মানবিক মর্যাদা-ন্যায়বিচার চান ১৬৩৩ জন। জনগণের ভেতর সেক্যুলার সাম্যভিত্তিক সংবিধানের পরিবর্তে ইসলামভিত্তিক রাজনৈতিকতার এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা কমিশন যে আমলে নেয়নি, তার কারণ তাদের স্মরণশক্তির অভাব নয়, বরং সুনির্দিষ্ট মতাদর্শিক রাজনৈতিক প্রকল্প। এই প্রকল্পের দুদিক হলো, গুড সেক্যুলারিজম (ঐকমত্য ও সংবিধান সংস্কার কমিশন ইত্যাদি) এবং অন্যদিক হলো ব্যাড সেক্যুলারিজম (ফ্যাসিস্টদের দোসর বাম ঘরানা)। অবশ্য এত সুস্পষ্ট দিক নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে যে ইসলামি দলগুলোও ব্যর্থ, সেই দায়ও অবশ্যই তাদের নিতে হবে এবং অবশ্যই মুসলিম জনগোষ্ঠী মূলধারার ইসলামি দলগুলোকেও বিচার করবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ভাবনা-দুর্ভাবনাআগামী নির্বাচন নিয়ে ভাবনা-দুর্ভাবনা
সংবিধান সংস্কার কমিশন, বামদল, নয়াবাম সেক্যুলার সবাই ইসলামি রাজনৈতিকতার বিষয়ে যে নেতিবাচক, তা বলাই বাহুল্য। এর প্রধান কারণ, তাদের ভেতর ইউরোপীয় এনলাইটেনমেন্টভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ও অনুকরণ প্রবণতা। তারা যেমন এনলাইটেনমেন্ট বা ১৭-১৮ শতকের একদেশদর্শী বিশ্লেষণ এবং চিন্তা অতিক্রম করে এগোতে পারেননি, ঠিক তেমনই দেশের অভ্যন্তরের বাস্তবতা বুঝতেও সম্পূর্ণ অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, সংবিধান-সার্বভৌম ক্ষমতা-আইন-রাজনীতি ও রাষ্ট্রের আন্তঃসম্পর্কের বিশেষ দিক তারা, ইউরোপীয় এনলাইটেনমেন্টভিত্তিক পদ্ধতিগত সর্বজনীনতা বা ইউনিভার্সালাইজেশনের কারণে বুঝতে অক্ষম। এই একদেশদর্শিতা বাম আন্দোলনকে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অন্তঃস্থ ধর্মতাত্ত্বিক কাঠামো এবং এর ঐতিহাসিক ধারায় সেইন্ট পলের খ্রিষ্টীয় মতাদর্শ এবং পরে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানতত্ত্ব কত গভীরভাবে সাম্য, ইহজাগতিকতা, সমাজতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ইত্যাদি সেক্যুলার মতাদর্শকে প্রভাবিত করেছেÑতা বর্তমানে সেক্যুলারেরা দেখতে ব্যর্থ।
ইসলামি রাজনৈতিকতা, বিশেষ করে ইসলামের আধুনিক ও ঐতিহ্যগত রূপ যে মুসলিমপ্রধান দেশে নানাভাবে মুসলিম আত্মচৈতন্যের দাবি মিটায়ে রিপাবলিকের কাঠামো দিতে পারে, এই প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তারা হয় অজ্ঞ, না হয় অতিমাত্রায় বিদ্বেষী।
কাজেই একদিকে ব্যাড সেক্যুলাররা যেমন ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো ৭২-এর মতো সেক্যুলার সংবিধানের বরাতে নিষিদ্ধ করতে চায়, আরেকদিকে এর সমান্তরালে গুড সেক্যুলাররা নিরন্তর ইসলামি মতাদর্শগত জনপ্রিয়তাকে সংবিধান কমিশনের মতো আড়াল করে, গোপন করে, নিজেদের স্বার্থ ভুলিয়ে মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সাম্যের বরাতে। পরিতাপের কথা, তারা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে যে ইসলামি মতাদর্শিক জনগণের স্পষ্ট শরিকানা আছে, তাও অস্বীকার করে।
৭১-এ মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা বাদ দিয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদার ধারণার ভিত্তিতে স্বাধীনতার ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল সেক্যুলার রিপাবলিকানিজমকে ইসলামের আয়ত্তে রাখার জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত বন্দোবস্ত খারিজ করে, সমগ্র ও পূর্ণমাত্রায় ফরাসি বা ইন্ডিয়ার কায়দায় সেক্যুলারিজমের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামি রাজনৈতিকতাকে উচ্ছেদ করা। অতএব এর অবশ্যম্ভাবী ফলাফল হলো ৭২-এর সংবিধান। এই ক্ষমতার প্রয়োগেই নিষিদ্ধ করা হলো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। ইতিহাসের এই স্পষ্ট সত্য উপেক্ষা বা গোপন রাখার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। অন্যরা চান সরাসরি ‘সেক্যুলার’ শব্দ ব্যবহার ছাড়াই এর উপাদান ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’, ‘সামাজিক ন্যায়বিচার’কে সংবিধানের মূলনীতিতে পরিণত করার মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির আধিপত্য খর্ব ও নিয়ন্ত্রণ করতে। তাদের ভাষায়, ৭১-এর ঘোষণায় সেক্যুলারিজম ছিল না, কিন্তু ৭২-এর সংবিধানে আছে। কাজেই ৭১-এর ঘোষণা অনুযায়ী নয়া সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এভাবে তারা ভাষাগত শঠতার মাধ্যমে ইসলাম ও রাজনীতির কৃত্রিম ফারাক বহাল রাখতে চান। ৭১-এর ঘোষণাই ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিÑএটি অস্বীকার করা ঐতিহাসিক মিথ্যার নামান্তর।
লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক মুসলিম ভূমি ও ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা সত্তাগতভাবেই ইন্ডিয়ার ব্রাহ্মণ্যবাদী রাষ্ট্রচিন্তার বিরোধী। আধিপত্য খর্ব হওয়ার আশঙ্কায় ইন্ডিয়া স্বাভাবিকভাবেই চাইবে না নতুন বাংলাদেশ ১৯৪৭-এর ইসলামি রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তিতে হোক। এরই প্রমাণ ৭১-এর ঘোষণাপত্র, যা পর্যায়ক্রমে রূপ নেয় ৭২-এর সংবিধানে। এটাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মাহেন্দ্রক্ষণে তৈরি হওয়া মৌলিক সংকট, যার ফলাফল ইসলাম বনাম সেক্যুলারিজম দ্বন্দ্ব। ইতিহাসে এই দ্বন্দ্বের স্বতঃস্ফূর্ত জাতীয় মীমাংসা ও ফয়সালার নজির আছে। ৪৭-এর অর্জনকে প্রগতির পরিপন্থী ভেবে নয়া আধুনিক সেক্যুলার মধ্যবিত্ত ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ৭১-এর ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করেছিল। অথচ আবুল মনসুর আহমেদের মতো অনেকেই মনে করতেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা খুবই ন্যায্য কিন্তু এতে লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক ৪৭-এর চেতনার কোনোই হেরফের ঘটেনি। ৭১ কোনো অর্থেই ৪৭-এর এন্টি থিসিস নয়। অবশ্যই বলতে হবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা। যিনি সংবিধানের মূলনীতিতে না রেখেছেন সেক্যুলারিজম, না রেখেছেন সাম্য-মানবিক মর্যাদা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদভিত্তিক সংবিধানের মূলনীতি অংশে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও ঈমান’ স্থাপন করা হয় এবং সেক্যুলারিজম অথবা সেক্যুলারিজম সমার্থক যেকোনো ধারণা মূলনীতি থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে সরকার পরিচালনা এবং নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে আবার সেই ধারণাগুলো যথাযথভাবে সন্নিবেশিতও হয়।
এ কারণেই ইসলামি আত্মচৈতন্যভিত্তিক রাজনীতি আবার বিকশিত হতে পেরেছিল, যা অনিবার্যভাবেই ইন্ডিয়াকে বিব্রত ও বিচলিত করেছিল। যার ফলেই হয়তো প্রাণ দিতে হয়েছিল শহীদ জিয়াকে। এরপর আমরা দেখি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে আবার ৭১-৭২-এর ইসলামি রাজনীতিবিরোধী প্রকল্পে যুক্ত করা হয়। এর স্পষ্ট প্রভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়। আমরা ইন্ডিয়ার প্রভাবের নানা উল্লেখ করলেও সাংবিধানিক ক্ষমতার কেন্দ্রে কীভাবে ইন্ডিয়ার আধিপত্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে, তা লক্ষ করি না।
অধিকাংশ মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রের সংবিধানে ইসলাম এবং মুসলিম স্বার্থের পক্ষে আল্লাহর প্রসঙ্গ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অংশে উল্লেখ করা আছে। মিসরীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় আছে, ‘With belief in God and His messengers…’। মরক্কো, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়ার সংবিধানে স্থান পেয়েছে, ‘With trust in Almighty God…’। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতেও এভাবে যথেষ্ট বাস্তব কারণে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ দলিলে জনগণের সঙ্গে চুক্তির তাৎপর্যপূর্ণ প্রকাশ ছিল ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’।
আবার যদি পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে তাকাই, তবে দেখব মার্কিন স্বাধীনতার ঘোষণায় যেমন ছিল, ‘with a firm reliance on the protection of divine Providence…’। আয়ারল্যান্ড তেমন সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে যুক্ত করেছিল, ‘In the name of the Most Holy Trinity…’। আবার পোল্যান্ডের প্রস্তাবনায় দেখা যায়, ‘We, the Polish Nation… in the name of God or in the name of human values...’। জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সন্নিবেশিত আছে যথাক্রমে, ‘Conscious of their responsibility before God and man… ’ এবং ‘In the name of Almighty God!’ কানাডার চার্টারে যুক্ত আছে, ‘Canada is founded upon principles that recognize the supremacy of God…’। ওপরের একাধিক উদাহরণে যেই রাষ্ট্রগুলোর নাম এলো এবং এর বাইরেও যেই রাষ্ট্রগুলোয় এমন সংবিধান আছে, সেখানে কি ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছিল কোথাও?
মজার বিষয়, ভারতীয় সংবিধানে এমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে কি যেভাবে ইন্দিরা গান্ধীর পক্ষ থেকে ভারতীয় আইনজ্ঞ সুব্রত রায় চৌধুরী ৭১-এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ৭২-এর সংবিধানকে ইসলামমুক্ত রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন, সেভাবে কোনো অদৃশ্য শক্তি এখনো ২০২৫-এ এসে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস বাদ দিয়েই সংবিধানের মূলনীতি চূড়ান্ত করতে প্রভাবিত করছে?
‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষঙ্গ নয়—এটি বাংলাদেশের জাতিসত্তা, ইতিহাস, নৈতিকতা ও জনগণের মানসিক কাঠামোর একটি সুসংহত প্রতিফলন। এটি রাষ্ট্রকে শুধু আইন দ্বারা নয়, বরং নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধের আলোকে পরিচালনার প্রস্তাব করে। তাই এই বাক্যাংশটি অপরিহার্য, ঐতিহাসিকভাবে যৌক্তিক, সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রচিন্তার প্রতীক। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা বা Preamble হলো রাষ্ট্রের আদর্শিক ও নৈতিক ঘোষণা, যা জাতির আত্মপরিচয়, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং রাষ্ট্রচিন্তাকে ধারণ করে। এই প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্যাংশটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ।
অতএব, সংবিধান বা ঐকমত্য কমিশনের সামনে বা জনপরিসরে ইসলামপন্থি এবং মধ্য ডানপন্থি দলগুলো এ বিষয়ে এখনই খুব উচ্চকণ্ঠ হওয়া এবং হীনম্মন্যতা পরিহার করা উচিত। মুসলিমরা সেক্যুলারদের চেয়েও বড় সেক্যুলার এমন ভাব দেখানো আত্মহত্যার শামিল হবে। আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ধারণকারী জনগণ অন্যথা প্রথমেই এই দলগুলোকে পরিত্যাগ করবে। নিজেদের অবস্থা রক্ষা এবং ভোটের নির্বাচনী মাঠে নিজেদের উত্তীর্ণ করতেও তাই মুসলিম স্বার্থের দাবিদার দলগুলোর এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং আপসহীন অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : কনসালটেন্ট, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড থটস
বিষয়: সংবিধান
সূত্র, আমার দেশ