যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক কাটছাঁট করেছে। এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যোগ্য নেতৃত্ব জড়িয়ে আছে। আর বাণিজ্য আলোচনাটাও হয়েছে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। এটাকে ক্ষুদ্র নীতি পরিবর্তন হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বড় অর্জনের মুহূর্ত। এই দেশ তাদের অর্থনৈতিক সাফল্য গড়ে তুলছে। দেশের রপ্তানিশিল্পের আকার বাড়ছে। স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির পর্যায় থেকে দেশ উঠে আসছে।
নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অর্জিত এই সাফল্য শুধু একটা বাণিজ্য চুক্তি নয়। বরং বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে কীভাবে কাজ করে, সেই কৌশলে একটা বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত এটা। ড. ইউনূস আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন, সংস্কার করেছেন এবং ভবিষ্যতে মনোযোগ নিবদ্ধ রেখেছেন। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করেছে।
বিশ্ব এখন মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, সবুজ প্রযুক্তি ও ন্যায্য শ্রমশক্তির ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই চুক্তি প্রমাণ করে, এই ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তিতে আরো প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশ এখন আর এককভাবে পোশাক রপ্তানিনির্ভর দেশ নয়। এই দেশের শক্তিশালী মানবসম্পদ রয়েছে। রয়েছে শক্ত প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি এবং নৈতিক মূল্যবোধ।
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কছাড় দিয়েছে, এই নিবন্ধে সেদিকে গভীরভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই সাফল্যকে বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা হয়েছে। এই নিবন্ধে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক রিজার্ভ বৃদ্ধি, উন্নততর বাণিজ্য প্রতিযোগিতার মতো অর্থনৈতিক সুযোগের দিকগুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ ও ভিয়েতনামের তুলনা করে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশের কৌশল কতটা অনন্য। ড. ইউনূস আর তার টিমের যে মূল্যবোধকেন্দ্রিক নেতৃত্ব, সেটি বাণিজ্য কূটনীতির চেহারা বদলে দিয়েছে। এ লেখায় বৈশ্বিক ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানকে উদযাপন করা হয়েছে। নৈতিক কূটনীতির শক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে দেখানো হয়েছে, স্বপ্নচারী নেতৃত্ব যখন ন্যায়বিচার আর সমতার ভিত্তিতে কাজ করে, তখন তারা বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা বদলে দিতে পারে।
শুল্ক কাটছাঁটের সুযোগ ও গুরুত্ব : কী অর্জিত হয়েছে
বাংলাদেশের যেসব রপ্তানি খাতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক কাটছাঁট করেছে, তার মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক (আরএমজি), টেক্সটাইল, পাটজাত পণ্য, চামড়ার পণ্য এবং কিছু কৃষিজাত পণ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) এখানে তাদের নীতিতে একটা বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন এনেছে। এই চুক্তিতে রয়েছে—
* তিন শতাধিক বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে ৫ থেকে ১৮ শতাংশ শুল্কছাড়।
* জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা আংশিক ফিরিয়ে আনা।
* সবুজ ও নারীদের মালিকানার ব্যবসায়ে বিশেষ সুবিধা লাভ, যেখানে শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা যাবে।
অর্থনৈতিক প্রভাবের হিসাব
* প্রথম তিন বছরে রপ্তানি ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
* প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন সরাসরি এবং ২ মিলিয়ন পরোক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের জন্য সুবিধা হবে বেশি।
* রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে আরো ৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে। এতে টাকার মানে স্থিতিশীলতা আসবে এবং চলতি অ্যাকাউন্ট ভারসাম্যের অবস্থা আরো মজবুত হবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, এই চুক্তি প্রত্যেক বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৪ থেকে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এতে লজিস্টিকস, পরিবহন, আইসিটি সার্ভিস এবং ব্যাংকিংয়ের মতো সংশ্লিষ্ট খাতগুলোও লাভবান হবে।
আঞ্চলিক প্রতিকূলনা : কেন বাংলাদেশ সফল হয়েছে, কিন্তু অন্যরা পারেনি
ভারত : বাণিজ্য কূটনীতিতে কৌশলগত বন্ধ্যত্ব
ভারতের বিশাল অর্থনীতি এবং জটিল কাঠামোর কারণে বাণিজ্য আলোচনা কঠিন হয়ে গেছে। বাজারে প্রবেশাধিকার ও রেগুলেটরি ইস্যুর কারণে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দেয়। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
* ডিজিটাল, কৃষি এবং সোলার পণ্যের ওপর ভারতের উচ্চমাত্রার শুল্ক।
* ফার্মাসিউটিক্যালস স্বত্ব ও ই-কমার্স নিয়মনীতি দিয়ে দুই পক্ষের ভিন্নমত।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের রপ্তানি বেশি শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে পোশাক ও চামড়াশিল্পের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে।
পাকিস্তান : নিরাপত্তায় মনোযোগ, দৃশ্যপটে নেই বাণিজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান বাণিজ্য সুবিধা পেয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে তাদের এই অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে। যে বিষয়গুলো এখানে কাজ করছে, সেগুলো হলো—
* ওয়াশিংটন লবিং করেও শুল্কছাড়ের ব্যাপারে তারা কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।
* আইএমএফের দাবি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস কমে গেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ স্থিতিশীল নেতৃত্ব, সংস্কার এবং বৈশ্বিক সদিচ্ছাকে ব্যবহার করে এই চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
শ্রীলঙ্কা : সংকটের কারণে সুবিধা হারানো
শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ১২০ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা। এই ইস্যুগুলো মিলে তাদের বাণিজ্য পরিস্থিতির ক্ষতি করেছে। তাদের সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
* তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি+বাণিজ্য সুবিধা হারিয়েছে।
* শুল্কছাড় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সক্রিয় কোনো আলোচনা হচ্ছে না।
অন্যদিকে, স্মার্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করে এবং রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফল হয়েছে।
ভিয়েতনাম : একই ধারার একটি রোল মডেল
ভিয়েতনামের রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধি এবং সিপিটিপিপি এবং আরসিইপির মতো একাধিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) রয়েছে। এগুলোর কারণে গার্মেন্ট ও ইলেকট্রনিক খাতে তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। তাদের ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে—
* ভিয়েতনাম-মার্কিন বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২৩ সালে ১২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
* ভিয়েতনাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ১৫টি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করেছে।
* ভিয়েতনাম খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল, সরবরাহ চেইন লিংক গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার মাধ্যমে শুল্ক কাটছাঁটের সুবিধা নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্য নিরসন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সবুজ কারখানা খাতে সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা অর্জন করেছে।
নেতৃত্বের গুরুত্ব : ড. ইউনূস এবং উন্নয়ন কূটনীতির শিল্প
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্জন, সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। একটা টেকনিক্যাল বাণিজ্য আলোচনাকে তিনি নৈতিক ও কৌশলগত আলোচনায় পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। তার কৌশলের কারণে চুক্তিটা সম্ভব হয়েছে।
দর-কষাকষির কৌশলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো—
* বাণিজ্যকে মানব উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। বিশেষ করে গ্রামীণ নারী ও অনানুষ্ঠানিক কর্মীদের সামনে নিয়ে আসা।
* নোবেল বিজয়ী স্ট্যাটাসকে ব্যবহার করে মার্কিন সিনেটর, কংগ্রেসের বিভিন্ন গ্রুপ, ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা।
* রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর থেকে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার এবং কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেগুলো তুলে ধরা।
* সবুজ সত্যায়িত পোশাক কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেটিকে সামনে নিয়ে আসা।
* সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) ও কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের (সিএফআর) মতো মার্কিন থিংক ট্যাংকের সঙ্গে কাজ করা এবং বাংলাদেশের গল্পটা সেখানে তুলে ধরা।
টিম কৌশল ও কাঠামো
ড. ইউনূস শিল্প নেতা, বাণিজ্য আইনজীবী, ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং অর্থনীতিবিদদের একটি টিমকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটা সম্মিলিত জাতীয় এজেন্ডা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তারা একসঙ্গে মিলে কাজ করেছেন। শুধু আমলাদের ঠিক করা দাবিগুলো নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকেননি। বলা যায়, এটি ছিল নৈতিক কূটনীতির সবচেয়ে ভালো উদাহরণ, যেখানে মনোযোগ ছিল কৌশলগত অর্জন, ন্যায্য এবং জনগণের কল্যাণের দিকে।
বাংলাদেশের আরো বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সুবিধা
রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও মূল্য সংযোজন
* এই চুক্তিতে নিম্নমূল্য থেকে উচ্চমূল্যের আরএমজি পণ্যকে বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে।
* এই চুক্তি কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ, হালকা প্রকৌশল, চামড়া, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো নতুন শিল্পগুলোর প্রবৃদ্ধিকেও সহায়তা দেবে।
* এই চুক্তির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পগুলো (এসএমই) আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নিম্ন শুল্কহার থেকে উপকৃত হতে পারবে।
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)
* মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন যৌথ বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল (ইপিজেড) এবং হাই-টেক পার্কগুলোয় সাব-কন্ট্রাক্টের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
* শুল্ক কাটছাঁটের কারণে বাণিজ্য স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত মিলেছে। এতে সরবরাহ চেইন চীন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় কিছুটা হলেও সরে আসতে পারে।
শ্রমবাজার ও গ্রামীণ প্রভাব
* এই চুক্তি পোশাককর্মীদের কর্মসংস্থানের মান ও বেতনের মান বাড়াতে সাহায্য করবে।
* এই চুক্তি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ সমবায় এবং নারী উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা
* রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে মুদ্রার স্থিতিশীলতা আরো বাড়বে।
* বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার কারণে জ্বালানি আমদানি ও ঋণ পরিশোধের পরও চাপ অনেকটাই কমে আসছে।
* এই চুক্তি রেমিট্যান্স এবং স্বল্পসুদের ঋণের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়েছে। বৈদেশিক লেনদেনে আরো ভারসাম্য এসেছে।
শেষ কথা : স্মার্ট সার্বভৌমত্বের নতুন যুগ
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কছাড় শুধু বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের চেয়েও অনেক বড় কিছু। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রতীকী ও কৌশলগত একটি বিজয়। এতে বোঝা গেছে, একটা সুশাসিত, উন্নয়নে মনোযোগী দেশ বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারে, বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন রূপ দিতে পারে, সমৃদ্ধি নিয়ে আসতে পারে। এই সাফল্য বাংলাদেশকে শুধু বাজার সুবিধাই এনে দেয়নি, বরং মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও বৈশ্বিক আস্থাও নিয়ে এসেছে।
ড. ইউনূসের দর-কষাকষিতে বোঝা গেছে নৈতিক বিশ্বায়ন কীভাবে কাজ করে। বাণিজ্য এখানে মানুষের জন্য করা হয়, শুধু মুনাফার জন্য নয়। বাংলাদেশ যখন অনিশ্চয়তা থেকে বেরিয়ে এসে স্মার্ট কূটনীতি ও প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তখন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের কথাগুলো মনে পড়বে। তিনি বলেছেন, ‘একটা ন্যায্য ও সুষ্ঠু পৃথিবী শুধু সম্ভবই নয়, এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি’। শক্তিশালী নেতৃত্ব ও টিমওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই স্বপ্নের বিশ্বের আরো কাছাকাছি চলে গেছে।
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রের সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক