নাহিদরা আজ গোপালগঞ্জে না গেলেও, একটি পক্ষ বলতো—"তাদের কোনো সাহস বা শক্তি নেই, তাই গোপালগঞ্জে যায়নি!"
এপিসিতে ওঠাকে কেন্দ্র করে নাহিদ, হাসনাত, আখতার, সারজিসদের সমালোচনা করা হচ্ছে! অথচ আপনারাই আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন—কেন তারা নিরাপত্তা দিচ্ছে না বলে। মুজিববাদ মুর্দাবাদের মিছিল শেখ মুজিবের কানের কাছে গিয়ে দিয়ে এসেছে জুলাই বিপ্লবীরা—এখন আপনি বলছেন, "গোপালগঞ্জে যাওয়ার প্রয়োজনই বা কী?"
নাহিদরা আজ গোপালগঞ্জে না গেলেও, একটি পক্ষ বলতো—"তাদের কোনো সাহস বা শক্তি নেই, তাই গোপালগঞ্জে যায়নি!" অন্যদিকে, লীগও উল্লাস করতো—ভাবতো, “আমাদের তীর্থস্থানে কেউ আসতে পারবে না!”
জুলাই যোদ্ধারা আহত হলেও আপনি প্রশ্ন তুলতেন—"প্রশাসন করে কী?" এখন যখন গোপালগঞ্জে বিশেষ অপারেশন হচ্ছে, সেটাও দেখে আপনি বলছেন—"এসব আদৌ দরকার আছে কি?"
আসলে আমরা মূলত যে কোনো আন্দোলন দেখলেই শহীদ হওয়ার দৃশ্য দেখতে অপেক্ষা করি—কিন্তু কেউ গাজী হিসেবে ফিরে আসুক, তা চাই না! আমরা ভাবি, কেউ শহীদ হলে তাকে নিয়ে কয়েকদিন মায়া-কান্না করব, তারপর কবর জিয়ারত করব—এইটুকুই আমাদের দেশপ্রেম! বাস্তবে আমরা রেফারির মতো—সব কিছু দেখতে চাই, কিন্তু কিছু করতে চাই না।
এই গোপালগঞ্জে রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ছাত্রদের ‘আবাবিল পাখিরা’ সফল সমাবেশ করেছে, "মুজিববাদ মুর্দাবাদ" বলে মিছিল করেছে! এটি একটি মহাবিজয়। এই বিজয়ের কৃতিত্ব একমাত্র জুলাই যোদ্ধাদের।
আমি নিশ্চিত, আজকের এই ঘটনাকে অন্য অনেকের পক্ষেই সামাল দেওয়া দূরের কথা—তারা গোপালগঞ্জেই যেত না। সংবাদ সম্মেলন করেই তাদের কাজ শেষ হতো।
আমি আজকের গোপালগঞ্জ বিজয়ের জন্য জুলাই যো*দ্ধাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীসহ সকলের প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।
এই যোদ্ধারা থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।