এক বছর আগে এই সময়ে দেশের অবস্থা আন্দোলনে উত্তাল ছিল। রাস্তায় বের হলেই দেখা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মিছিল, স্লোগান চলছে; এদের মধ্যে নারীদের দেখেছি নানাভাবে। মেয়েরা রাস্তায় মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে, কেউ রাস্তায় বসে পোস্টার লিখছে, স্কুলপড়ুয়া মেয়ের মা নিজেও এসেছেন মেয়েকে ঘরে ধরে রাখতে পারছেন না বলে; কেউ বা নিজেই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের খাবার দিচ্ছেন, পানি দিচ্ছেন। আমরা অনেকেই যারা আগেও নানা আন্দোলনে ছিলাম, আমরা যখনই বের হয়েছি, তখন এদের দেখেছি। তাদের নেতৃত্বে মিছিল হচ্ছে, আমরা সেখানে কণ্ঠ মিলিয়েছি। নেতৃত্ব ছিল সামগ্রিক, একা কারো নামের পেছনে ছুটতে দেখিনি এবং সেটাই ছিল জুলাই আন্দোলনের শক্তি। সালাম জানাই সেই যোদ্ধাদের।

এখনো ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাওয়া যাবে, যেখানে দেখা যায় মেয়েরা জমায়েত হয়ে স্লোগান দিচ্ছে; ‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই জবাব চাই’ আবু সাঈদসহ যারা তখন শহীদ হয়েছে, মেয়েরা আরো অশান্ত হয়ে গেছে। এই হত্যাকাণ্ড তারা মেনে নেয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের মেয়েরা সাহস করে ছাত্রলীগের মেয়েদের হল থেকে বের করে দিতে পেরেছিল। এ কাজটা ছাত্ররাও করে দেখাতে পারেনি। মেয়েরা পেরেছিল। ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ বা ‘চেয়েছিলাম অধিকার বা হয়ে গেলাম রাজাকার’, ঐতিহাসিক এই কাজটি করে মেয়েরাই ঝাঁকে ঝাঁকে রাতে বের হয়ে ফ্যাসিবাদকে শেষ বার্তা দিতে পেরেছিল। ইডেন গার্লস কলেজের মেয়েদের বীরত্ব দেখেছি। বদরুন্নেসা কলেজের মেয়েরাও ছিল সবখানে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তারা সাধারণত আন্দোলনে থাকে না। কিন্তু চব্বিশের জুলাইয়ে তারা ক্লাসে বসে থাকেনি। তাদের বীরত্বের গাথাও এখন অনেক শোনা যাচ্ছে।

এ মেয়েরাই বলেছে—‘পেছনে পুলিশ আর সামনে স্বাধীনতা’। কী অপূর্ব সাহসী ভাষা এবং তার প্রকাশ! এই মেয়েটি এখন কোথায়? কেন তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না? তারা মিছিলের সামনের সারিতে থেকেছে, সেটাও একটা কৌশল ছিল। এর মাধ্যমে তারা আশা করেছিল মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি করবে না। তারা ঢাল হয়ে ছিল। ঠিক একইভাবে ১৯৫২ সালেও মেয়েরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে গিয়ে সামনের সারিতে ছিল। তখন মেয়েদের সংখ্যা কম ছিল, কিন্তু এখন তা হাজারে হাজারে হয়েছে। চিন্তা একই। এদের মধ্যে বেশ কিছু জুলাইযোদ্ধা মেয়েদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। শুধু ঢাকায় নয়, আমি যখন ঢাকার বাইরে যাই, যেমন : বরিশাল, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, তারা অনেকে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। কথা বলেছে। তাদের সংগ্রামের কথা শুনি। কিন্তু হতাশাও শুনি।

আমরা যখন জুলাইযোদ্ধা বলি, তখন শুধু ছাত্রীদের কথা বোঝায় না। আমরা নিজেরা দেখেছি, সাধারণ নারীরা নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় এসে ছেলেদের খাইয়ে দিয়েছেন। হয়তো এই ছেলেগুলো দুদিন কিছু খায়নি। আন্দোলনের কারণে ক্ষুধা ভুলে গেছে। কিন্তু এই নারীরা মা হয়ে তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ খুঁজতে গিয়ে গ্রামে এবং শহরে অনেক নারীর খোঁজ পেয়েছিল, যারা নিজেদের উদ্যোগে মুক্তিবাহিনীর ছেলেদের সাহায্য করেছে। পাক-সেনাদের সঙ্গে গেরিলাযুদ্ধ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রামে এসে পড়েছিল। তাদের কোনো খাবার ছিল না। গ্রামের এই নারীরা তাদের জন্য খাবার রান্না করে লুকিয়ে নিয়ে যেত। তেমনি এক নারীর কথা একটু বলি। তিনি খাবার নিয়ে বের হওয়ার সময় একজন পাক-সেনা তার বাড়িতে ঢুকে মেঝেতে শুয়ে থাকা তার দুধের শিশুকে বুটের আঘাতে মেরে ফেলে। কিন্তু এই নারী পেছন না ফিরে দৌড়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার পৌঁছে দেন এবং দ্রুত তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে বলে আসেন। ফিরে এসে তার সন্তানের থেঁতলানো লাশ পেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাস যারা লিখেছেন, তারা বেমালুম এই নারীদের অবদানের কথা ভুলে গেছেন। কোনো উল্লেখ কোথাও নেই। একই পরিণতি কি জুলাই নারী যোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও হবে? পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। যেন তাদের বলা হচ্ছে, ‘তোমরা যা করেছো ভালো করেছো, এখন লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে ঘরে ফিরে যাও’। কিন্তু এই ২০২৫ সালে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। এখন মেয়েরা প্রথম অবস্থায় কিছু না বললেও ইতিহাসের এই পরিহাস তারা আর মেনে নিচ্ছে না। তারা পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনার পতনশেখ হাসিনার পতন

আমরা শহীদ ও আহতদের কথা বলি কিন্তু ধরেই নেওয়া হয় এরা সব ছাত্র বা সাধারণ পুরুষ। অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই শহীদ হিসেবে ৮৪৪ জনের নাম গেজেটভুক্ত করেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন নারীর নাম আছে। শিশু শহীদ দু-একজন ছাড়া বাকিরা আন্দোলনে অংশ নিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। নারী আহতদের হাসপাতালে গিয়ে এখন পাওয়া যায় না, কিন্তু প্রচুর নারী আহত হয়েছিল। নারী শহীদদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয়, না হলে তারাও হারিয়ে যাচ্ছে। তারা ভাইদের হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেও রক্ত দিতে কুণ্ঠা করেনি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর আমরা গেয়েছি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। তখন ভাইয়েরাই শহীদ হয়েছিল—বরকত, সালামসহ অনেকে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও দু-একজন নারী শহীদের নাম পাওয়া যায়, যেমন কবি মেহেরুন্নেসা, ক্যাপ্টেন সেতারা; বাকি আর কেউ শহীদ হয়েছেন কি না সেই খোঁজ নেওয়া হয়েছে কি না জানি না। আমরা সবাই জানি, পাক-সেনাদের দ্বারা যারা নির্যাতিত হয়েছিলেন, তাদের সবাই জীবিত ফেরেননি। তারা কি শহীদ নন? যারা জীবিত ফিরেছিলেন, তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘সম্ভ্রমহারা নারী’ বলে এবং একটি গালভরা নাম বীরাঙ্গনা দিয়ে। আমরা প্রতিটি রাষ্ট্রীয় আয়োজনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সম্ভ্রমহারা নারীদের প্রতি সম্মান জানাই, কিন্তু সমাজে তাদের ঠাঁই দিইনি। আফসোস। চব্বিশের আন্দোলনের শহীদ নারীরা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এক বছর পার না হতেই প্রশ্ন উঠছে, জুলাই নারী যোদ্ধারা কোথায়? তারা কি হারিয়ে যাচ্ছে? তাদের কোথাও দেখা যায় না কেন? আসলে ২০২৪-এর আগস্টের ৫ তারিখের পর থেকে যখনই জুলাইযোদ্ধাদের পরিচয় করানো হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে সেখানে মেয়েরা অনুপস্থিত। তারা হারিয়ে গেছে। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি বিষয় অনুমান করাই যায় যে, আন্দোলনের পর যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার অনুপ্রেরণায় মেয়েরা পরিবারকে জানিয়ে বা না জানিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছিল, আন্দোলনের পর পরিবার তাদের সামাজিক অনুশাসনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তারা ‘মেয়ে’, এই উপলব্ধি তাদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু ধর্মীয় কারণেই হয়নি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখ রাঙানি তাদের ওপর এসে পড়েছে। আন্দোলনের সময় কে হিজাব পরেছে, কে সালোয়ার-কামিজ, জিনস পরেছে বা শাড়ি, তার কোনো পার্থক্য ছিল না, কিন্তু আন্দোলনের পর এই বিভাজন দৃশ্যমান হয়েছে।

আন্দোলনের পর মেয়েদের ওপর নানাভাবে সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে। যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আন্দোলনের সময় সবার জন্য সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল, সেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মেয়েরা হয়রানির শিকার হয়েছে এবং হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা হয়েছে। এতে বেশ কিছু মেয়েকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে। অনেকেই ট্রমাটাইজড হয়ে আছে। তারা আর সামনে আসতে চাচ্ছে না।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে মেয়েরা অংশগ্রহণ করার তাৎপর্য অনেক। মেয়েদের জন্য কোটা ছিল, এটা তাদের জন্য একটা সুবিধাই দেওয়া ছিল। কিন্তু তারা মেধার ভিত্তিতেই সরকারি চাকরি পেতে চেয়েছে। কোটাকে তারা সম্মানজনক নয় বলেই আখ্যায়িত করেছে। এটা আমরাও সমর্থন করি। যদিও আমরা খুব ভালো করেই জানি এখনো একটি অসম সমাজে মেয়েরা অসম প্রতিযোগিতার শিকার হচ্ছে পদে পদে। বৈষম্য হচ্ছে নানাভাবে। এর বিরুদ্ধে নারীদের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে কিছুটা টেনে তোলার মতো বিষয় আছে, যাকে ইংরেজিতে affirmative action বলা হয়। সেটা ঠিক কোটা নয়; কিন্তু যখন দেখা যাবে কোনো মেয়েই সুযোগ পাচ্ছে না, তখন তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতেই পারে। আসলে কোটার পুরো বিষয়টি বিগত সরকার দলীয় স্বার্থে এত ন্যক্কারজনকভাবে ব্যবহার করেছিল যে, সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষ এর সুবিধাটুকু গ্রহণ করতে পারেনি। তাই কোটাকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখা হয়েছে। কোটা আন্দোলন খুব দ্রুত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিল এবং আন্দোলন বেগবান হলো। স্বৈরাচারের পতন হলো। কিন্তু বৈষম্য গেল না।

যারা এরপর সামনে নেতৃত্বে এলো, দুঃখজনকভাবে সত্যি যে, তাদের মধ্যে নারী নেই বা থাকলেও খুবই নগণ্য। হাতে গোনা। অন্তর্বর্তী সরকারেও নারীর সংখ্যা কম। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা যখন হয়, তখন মনে হয় এই দেশে কোনো নারী নেই। পুরুষরাই বসে নারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন। সর্বশেষ যে বিষয়টি দেশের নারী সমাজকে হতবাক করেছে, তা হচ্ছে—ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে বিদ্যমান ৫০টির পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। অর্থাৎ সাধারণ আসনের বাইরে আরো ১০০টি নারী আসন উন্নীত করা হবে এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক পুরুষদের মতৈক্য হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু আসল জায়গায় কোনো ঐকমত্য হয়নি। সেটি হচ্ছে, এই ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন হওয়ার পক্ষে কোনো ঐকমত্য হয়নি। অথচ এই আসনে নারী আন্দোলন দীর্ঘদিন সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে ১৯৮৭ সাল থেকে দাবি করে আসছে। ঐকমত্য কমিশন আরো সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখার পাশাপাশি জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩০০ সংসদীয় আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। অথচ নারী আন্দোলনের দাবি হচ্ছে, সাধারণ আসনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মনোনয়ন দেওয়ার। ঐকমত্য কমিশন নারী কমিশনের প্রতিবেদন থেকেও এ-সংক্রান্ত কোনো সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করেনি। জুলাই নারী যোদ্ধারা এই প্রজন্মের মেয়ে। তারা কি চায় এ বিষয়টি জানারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি ঐকমত্য কমিশন। শেম।

দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অনুপস্থিতি নারীদের নিরাপত্তাহীনতা বোধ বাড়িয়ে দিচ্ছে। সমাজে নারী নির্যাতনের ঘটনা আগের তুলনায় বেড়েছে কী কমেছে, সেটা দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় হচ্ছে—ধর্ষণ, বিশেষ করে শিশু ধর্ষণের ঘটনা একের পর এক কেন ঘটে যাচ্ছে? মাগুরার আছিয়ার পর আরো কয়েকটি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুধু ধর্ষণ নয়, এরপর নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। আর ঘটছে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির ঘটনা। আমি পরিসংখ্যান দিচ্ছি না এই কারণে যে, একটি ঘটনাও তো আমাদের কাম্য নয়।

তাহলে কি এমন একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকেও মেয়েরা আবার হারিয়ে যাবে? এটা হতে পারে না। আমি এটাও দেখছি, মেয়েরা এই প্রশ্ন নিজেরাই তুলছে এবং নিজেরাই পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। প্রশ্নটা যে উঠেছে, এটাই তাদের বাঁচিয়ে দেবে। তারা হারাবে না।

এটাও ঠিক, লড়াই এখনো অনেক বাকি। একদিকে দেশ গড়ার কাজ, অন্যদিকে নারী-পুরুষ বৈষম্য, ধনী-দরিদ্রবৈষম্য, জাতিভেদ এমনকি মেধা বনাম সাধারণ ভেদাভেদ দূর করার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

লেখক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সূত্র, আমার দেশ