আধুনিক বিশ্বে ক্ষমতা শুধু অস্ত্র, অর্থ, কিংবা কূটনৈতিক জোটে সীমাবদ্ধ নয়, বয়ান বা ন্যারেটিভের মধ্যেও নিহিত। যে রাষ্ট্র বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজের গল্পটি সফলভাবে বলতে পারে, তার নীতি-অবস্থান ততই বৈধতা পায়। বয়ান তত্ত্বের মূল বক্তব্য হলো—‘ন্যারেটিভস আর নট মিয়ার স্টোরিজ, দে আর ইনস্ট্রুমেন্টস অব পাওয়ার দ্যাট ডিফাইন লেজিটিমেসি, আইডেন্টিটি, অ্যান্ড অ্যাকশন।’ অর্থাৎ, ‘আজকাল বয়ান কেবল গল্পের কল্পনা নয়; এগুলো ক্ষমতার হাতিয়ার, যা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে বৈধতা, পরিচয় এবং কার্যক্রমে প্রভাবশালী করে তোলে।’
এই বয়ানের রাজনীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ভারতের বাংলাদেশনীতি, যেখানে নয়াদিল্লি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে ‘স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবিরোধী সাফল্যের প্রতীক’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বয়ানের মূল উদ্দেশ্য নৈতিক ছিল না, ছিল কৌশলগত। এর লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাববলয় অটুট রাখা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং চীনের বিকল্প প্রভাব প্রতিরোধ করা।
এই বয়ানের মাধ্যমে ভারত পশ্চিমা দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোর কাছে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় যে, ‘শেখ হাসিনাই বাংলাদেশে শান্তি, উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার একমাত্র নিশ্চয়তা।’ কিন্তু ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে এই দীর্ঘদিনের বয়ান ভেঙে পড়ে। এখন ভারত সেই ভগ্ন কাঠামো পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে নতুন শব্দ, নতুন আবরণ, কিন্তু একই কৌশলগত উদ্দেশ্য নিয়ে।
১. ভারতের ‘হাসিনা ন্যারেটিভ’ তৈরির কাঠামো
বাংলাদেশে দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে ভারত পরিকল্পিতভাবে দেশি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বয়ানের কাঠামো ডিজাইন করেছিল। ভারত তার সফট পাওয়ার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে এই বয়ান প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর কাছে বাংলাদেশ নীতি ও শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থনকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছিল। নিচে ভারতের বয়ানের কিছু মূল উপাদান তুলে ধরা হলো—
ক. নিরাপত্তা ন্যারেটিভ: ‘হাসিনা মানেই সন্ত্রাসবিরোধী মিত্র’
ভারত ২০০৯ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে প্রচার শুরু করে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোয় ভারত এ কথা বলত, ‘ফর ইন্ডিয়া, দ্য আওয়ামী লীগ রিমেইনস আ রিলায়েবল পার্টনার ইন কাউন্টারটেররিজম অ্যান্ড রিজিওনাল স্টেবিলিটি।’ অর্থাৎ, ভারতের জন্য, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার। এই বয়ান পশ্চিমা দেশগুলোকে বিশ্বাস করায়, হাসিনার পতন মানেই দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা সংকটের সম্ভাবনা। ফলে পশ্চিমের কাছে গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের প্রশ্ন ভারতীয় নিরাপত্তা কূটনীতির কাছে গৌণ হয়ে পড়ে।
খ. উন্নয়ন ন্যারেটিভ : ‘হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীল উন্নয়ন’
ভারত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং নীতিনির্ধারকদের বুঝিয়েছিল—‘ইন্ডিয়া হ্যাজ নো অপশন উইদাউট সাপোর্টিং হাসিনা রেজিম ফর স্টেবিলিটি অ্যান্ড কানেক্টিভিটি আর অ্যাট স্টেক।’ অর্থাৎ, ভারতের সামনে স্থিতিশীলতা ও সংযোগের স্বার্থে হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন দেওয়ার বিকল্প নেই।
এই ‘উন্নয়ন ন্যারেটিভ’-এর মাধ্যমে হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি নিরাপদ, পূর্বানুমেয় এবং বিনিয়োগ-সহযোগী নেতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা আইএমএফ, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো সংস্থার নীতি ও সিদ্ধান্তকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো তার একনায়কত্ব বা গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে হাসিনার সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল এবং ভারতের কৌশলগত প্রভাব দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
গ. ভূ-রাজনৈতিক ন্যারেটিভ : ‘চীনা প্রভাব প্রতিরোধে হাসিনা ভারসাম্য রক্ষা করেছেন’
ভারতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি ছিল, হাসিনা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেও তিনি ভারতের কোর ইন্টারেস্টকে কখনো ক্ষুণ্ণ করেননি। ভারতের সফট পাওয়ার বলে বেড়াত—‘শি ব্যালান্সেস বেইজিং ট্যাকটফুলি হোয়াইল মেইনটেইনিং দিল্লি’স প্রাইমেসি।’ ফলে পশ্চিমা দেশগুলোও হাসিনাকে ‘চায়না ব্যাল্যান্সার’ হিসেবে দেখতে থাকে। এটি ভারতের জন্য ছিল দ্বিগুণ লাভ—একদিকে পশ্চিমা সমর্থন পাওয়া, অন্যদিকে বাংলাদেশকে নিজের নিরাপত্তা পরিধির ভেতরে রাখা।
ঘ. মিডিয়া ও কূটনৈতিক প্রচারণায় ইসলামি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ
ভারত তার রাষ্ট্র-সমর্থিত ও বেসরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোয় বারবার রিপোর্ট করেছে যে, হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ইসলামি জঙ্গিবাদ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। এর ধারাবাহিকতা দেখা গেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পর্যন্ত। পাশাপাশি ভারতের দূতাবাসগুলো ওয়াশিংটন, লন্ডন ও ব্রাসেলসের নীতিনির্ধারকদের ব্রিফ করে বলেছে, হাসিনা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের একমাত্র নির্ভরযোগ্য অংশীদার। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো হাসিনার একনায়কত্ব বা গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে তাকে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে, যা ভারতের কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত করতে মিডিয়া ও কূটনৈতিক প্রচারণার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
২. হাসিনা-পরবর্তী সময়ে ভারতের বয়ানের নতুন রূপ
কিন্তু ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতের দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা হাসিনানির্ভর ন্যারেটিভ ভেঙে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারত তার কৌশলগত স্বার্থ বজায় রাখতে নতুনভাবে বয়ান তৈরি করা শুরু করে, যাকে বলা হয় ‘ন্যারেটিভ রিকন্সট্রাকশন ফর স্ট্র্যাটেজিক কনটিনিউটি,’ যেখানে বলা হচ্ছে, ‘ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশ ও তার জনগণের সঙ্গে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ এর মাধ্যমে মানবিক ও গণতান্ত্রিক ভাষা ব্যবহার করে পুরোনো স্বৈরশাসনকে সমর্থনের দায় কমানো এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো—
ক. ‘গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি’র বয়ান
গত ১৫ বছরে ভারত সরাসরি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে সমর্থন করেছে, যেখানে বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারত তার কূটনৈতিক ভাষা পরিবর্তন করে বলছে, ‘উই উইশ টু সি অ্যান ইনক্লুসিভ অ্যান্ড স্টেবল ডেমোক্র্যাটিক বাংলাদেশ।’ অর্থাৎ, ভারত এখন অংশগ্রহণমূলক ‘গণতন্ত্র’কে নতুন কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে, যাতে একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক রাখা যায় এবং হাসিনার পতনের পরও তার অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে প্রগতিশীল ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়। এটি একধরনের রেট্রোস্পেকটিভ জাস্টিফিকেশন, যা অতীতের একনায়কত্বকে ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক ভাষায় পুনর্লিখন করে ভারতের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করে।
খ. হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ‘আইনি ও মানবিক অবস্থান’-এর বয়ান
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি ভারতীয় ভূখণ্ডে আশ্রয় নিলে ভারত প্রথমে বলেছিল, ‘হাসিনা’স প্রেজেন্স ইন ইন্ডিয়া ইজ এ লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ম্যাটার, রিকোয়ারিং বাইল্যাটারাল এনগেজমেন্ট।’ অর্থাৎ এর মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে চেয়েছিল যে, এটি রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক দায়িত্ব। কিন্তু বাস্তবে হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে নিয়মিত উসকানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন এবং ভারত তাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তাকে প্রত্যর্পণে বাংলাদেশ সরকারের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত তা আমলে নেয়নি, যা ভারতের কৌশলগত স্বার্থ ও বয়ানের রাজনীতির অংশ।
গ. ‘রাষ্ট্রভিত্তিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা’র বয়ান
এক দশক ধরে ভারত তার কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত করতে সবসময় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এই সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক সমর্থনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারত দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাধ্যমে হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে, যেখানে বিদেশি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের নীতিগত গুরুত্ব অবহেলিত হয়েছে এবং দেশের জনগণের মতামত, ভোটাধিকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতের নতুন কূটনৈতিক ভাষা সামনে এসেছে—‘আওয়ার রিলেশনশিপ হ্যাজ অলওয়েজ বিন উইথ দ্য পিপল অ্যান্ড দ্য স্টেট অব বাংলাদেশ, নট উইথ এনি পার্টিকুলার ইন্ডিভিজুয়াল। এই বক্তব্য হাসিনার প্রতি পুরোনো সমর্থনের দায় এড়ানোর কৌশল এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অংশ।
ঘ. বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসত্য বয়ান
ভারত নিয়মিতই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে অসত্য বা অতিরঞ্জিত তথ্য প্রচার করে। এই বয়ানগুলো সাধারণত মিডিয়া ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ছড়ানো হয়, যা ভারত তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভেদ সৃষ্টি বা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করে। এর মাধ্যমে ভারত তার স্বার্থবিরোধী সরকার ও দলকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে হাসিনাকে বৈধ ও প্রগতিশীল নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চায়। ভারত তার সফট পাওয়ার ও কূটনৈতিক প্রচারণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা সংস্থা এবং থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করে, যাতে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে ভারতের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ এখন এক নতুন ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এই সময়ে ভারতের এই কূটনৈতিক আচরণ এক সতর্কবার্তা বহন করে। যে রাষ্ট্র নিজের গল্প বলতে পারে না, অন্য কেউ তার গল্প লিখে দেয়। ১৫ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশের গল্প লিখেছে হাসিনার নামে; এখন তারা নতুন অধ্যায় লিখছে ‘গণতন্ত্র’ ও ‘মানবিকতা’র নামে। তাই বাংলাদেশের নতুন নেতৃত্ব ও বুদ্ধিজীবী সমাজের এখন প্রয়োজন নিজেদের সত্য বয়ান তৈরি করা, যে বয়ানে থাকবে—স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের ইচ্ছাই হবে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচয়ের ভিত্তি। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বাস্তবতা প্রায়ই বয়ান দ্বারা গঠিত হয়। আর বয়ান যাদের হাতে থাকে, ভবিষ্যৎও তাদের হাতেই থাকে।
লেখক : একাডেমিক ডিরেক্টর, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ (সিজিসিএস)