রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই- এমন বলা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে তা আশাব্যঞ্জক। দেশের সচেতন মানুষ বিশ্বাস করতে চায়, রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতা ও বাস্তবতার প্রমাণ দেবে। এক্ষেত্রে দেশের গরিষ্ঠ দল বিএনপির বিশেষ দায় ও দায়িত্ব রয়েছে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের বিশ্বাস। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। যে যাই করুক না কেন তা অবশ্যই সাংবিধানিক আবর্তন-বিবর্তন, পরিবর্তন-পরিমার্জন ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় পরিশীলিত হতে হবে।
ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা জুলাই সনদ নিয়ে আপত্তি ও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। স্পষ্টত তিনটি দফায় আপত্তি আছে বিএনপির। এগুলো হচ্ছে- দুই, তিন ও চার নম্বর দফা। সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় বেশ কিছু অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। বিএনপির সর্বশেষ নীতিনির্ধারণী সভায় এসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করে মতামত দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে ঐকমত্য কমিশনকে জানাবে। ইতোমধ্যে এই কমিটির সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে পৌঁছার কথা। এসব বিষয় বাদে বিএনপি বরং এর প্রশংসা করেছে। জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তাদের কোনো সন্দেহ-সংশয় নেই। তারা সতর্ক করছে যে, নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি এটিও জানিয়ে দিয়েছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত। এই ধারাবাহিকতায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর ও একে আইনগত বৈধতা দিতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা একমত।
বিএনপির সবচেয়ে বেশি আপত্তি যে বিষয়টিতে তা হচ্ছে- জুলাই সনদকে সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দেয়া। কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল সংবিধানের উপরে স্থান পেতে পারে কিনা এমন প্রশ্ন তুলে দলটি বলেছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দেয়া হলে খারাপ নজির তৈরি হবে। বিএনপির আরো একটি আপত্তির কারণ হলো- এ সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমন বিধান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির এই অবস্থান ভবিষ্যতে বিতর্ক ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিরও একই অবস্থান। তারা বলছে, বিষয়টি আরো পর্যালোচনার অবকাশ আছে। এ ধরনের অবস্থায় জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে অর্থাৎ বিএনপির আপত্তিতে এখন দৃশ্যত বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে।
নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন। ৫৪ বছর ধরে জমে থাকা নানা ধরনের সমস্যা ও সঙ্কট দূরীকরণের এটি একটি সুযোগ। জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ রাষ্ট্রীয় সংস্কার সাধনকে তাদের মূল অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য আন্দোলনের আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিল। জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবনা প্রকাশ করে। সংস্কার প্রশ্নে এরকম গণদাবির মোকাবেলায় অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে মৌলিক বিবেচনায় ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যেই ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঘোষিত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেটি নিয়ে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় সমন্বিত খসড়া।
এখন এই খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চূড়ান্ত বিবেচনাপর্ব চলছে। প্রথম দফায় খসড়ায় বলা হয়েছিল- আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে রাজনৈতিক দলগুলো। এ বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি একমত হলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরো কিছু দল আপত্তি জানায়। তারা সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জোর দাবি জানায়। সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও তাদের আপত্তি। এসব আপত্তি এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত সমন্বিত খসড়ায় অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে আবারো পরিবর্তন আনা হয়। সর্বশেষ প্রণীত এই অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে এখন বিএনপি আপত্তি তুলেছে।
একটি বিষয় দৃশ্যমান, সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মোটামুটি যে ঐকমত্য হয়েছে তা ইতিবাচক। তবে সংস্কার কিভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা এখনো নির্ধারিত না হওয়ায় বিপত্তি রয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সংস্কার প্রস্তাবনা ও পরিশ্রম পণ্ডশ্রমে পর্যবসিত হবে যদি বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া স্পষ্ট না হয়। অবশ্য ইতিবাচক খবর হলো- আগামী সপ্তাহে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করতে পারে। অবশ্য সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করার এখতিয়ার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আছে কি-না তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, বাস্তবায়নপদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য ঐকমত্য কমিশন ডাকলে তারা সাড়া দেবেন।
জনগণের সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়- এই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তিকরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রশ্ন তুলে বলেন, যেকোনো সমঝোতা দলিল কি Supra Constitutional Instrument? অর্থাৎ- এটি কি সংবিধানের উপরে স্থান পাবে? জুলাই সনদের খসড়ায় উল্লিখিত যে বাক্যটি সংযোজিত হয়েছে তাতে এটিকে সংবিধানেরও উপরে স্থান দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বিএনপি। বিএনপি আরো ব্যাখ্যা করেছে যে, সংবিধানের মধ্যে থেকে আইনিভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় কিভাবে সমঝোতা দলিলটি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যায় সেটি ভাবতে হবে।
অবশ্য সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে- জুলাই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা-সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের উপর ন্যস্ত থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের উপর এভাবে ভার দেয়া যায় কি-না এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেতা বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশনের যেকোনো রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল হয়। তাছাড়া সাংবিধানিক ব্যাখ্যার বিষয় আপিল বিভাগে যায়। কিন্তু এই দলিল কোনো অধ্যাদেশ বা আইন নয় যা আদালতের ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কিসের ভিত্তিতে ব্যাখ্যার জন্য এটি সুপ্রিম কোর্টে যাবে? কারা নেবেন? সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ারইবা কী?
প্রণীত খসড়া জুলাই সনদে আরো বলা হয়েছে, জুলাই সনদের প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। স্মরণ করা যেতে পারে, জামায়াত ও এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে আরো বলেছে, নির্বাচনও জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি বাদে আর সব রাজনৈতিক দল যে আপত্তি উত্থাপন করেছিল, সংযোজিত এই বিধি-বিধানে তার একটি নিষ্পত্তি আছে। ঘোষিত জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি যদি অর্জিত হয় তাহলে জামায়াত, এনসিপিসহ আর সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো আপত্তি থাকবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ তথা বিএনপির উত্থাপিত এ ধরনের প্রশ্ন নতুন করে বিপত্তি সৃষ্টি করছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। জামায়াত, এনসিপিসহ অন্যান্য দল ইতোমধ্যে তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উত্থিত বিতর্ক সম্পর্কে কঠিন মনোভাব প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছেন, এই সনদের ব্যাখ্যা আপিল বিভাগের এখতিয়ারে পড়ে কি-না, এই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে কি-না, এসব নিয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া যেতে পারে। তিনি জুলাই সনদের মাধ্যমে অর্জিত বিষয়াবলিকে পূর্ণাঙ্গ আইনি মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি প্রস্তাব দেন, যেভাবে করলে আইনসম্মত হয় সেভাবেই গ্রহণ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, সংস্কারের প্রতি আমরা আন্তরিক কি-না সেটি প্রমাণ করতে হবে। যদি আমরা আন্তরিক হই, তাহলে এটিকে বাধাগ্রস্ত করা বিবেচনাপ্রসূত কাজ হবে না। সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নিয়ে এনসিপিও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে প্রতিনিধিত্বকারী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেছেন, বিএনপির অবস্থান জুলাই সনদ নিয়ে ভবিষ্যতে বিতর্ক সৃষ্টি করবে। সনদের মাধ্যমে আসা প্রস্তাবগুলোকে বিতর্কের মধ্যে নিয়ে আসা এবং সেগুলোকে বাস্তবায়ন না করার একটি প্রক্রিয়া হতে পারে এটি। এভাবে তিনি বিএনপিকে দোষারোপ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হচ্ছে, আমি আমার অঙ্গীকারকেই যদি আবার ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করি, বিষয়টি কেমন হয়? জুলাই সনদকে চ্যালেঞ্জের একটি জায়গায় রেখে দিলে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তিও একে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পেয়ে যাবে।
জুলাই সনদ নিয়ে চূড়ান্ত মতামত দেয়ার নির্ধারিত সময়সীমা গত বুধবার পেরিয়ে গেছে। ধারণা করি, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত মতামত পেশ করেছে। রাজনৈতিক মহল আশাবাদ ব্যক্ত করছে, উত্থিত বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো উদার মনোভাব দেখাবে। দলগুলোর আপত্তি নিয়ে যে বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দূরীভূত হবে। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, যাতে ঐকমত্য নিয়ে বড় রকমের অচলাবস্থা তৈরি না হয়, সে জন্য সতর্ক রয়েছে সরকার তথা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রফেসর ইউনূসের সরকার সতর্ক রয়েছে, যাতে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিয়ে কোনো অচলাবস্থা বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি না হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সংলাপ অব্যাহত ছিল।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই- এমন বলা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে তা আশাব্যঞ্জক। দেশের সচেতন মানুষ বিশ্বাস করতে চায়, রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতা ও বাস্তবতার প্রমাণ দেবে। এক্ষেত্রে দেশের গরিষ্ঠ দল বিএনপির বিশেষ দায় ও দায়িত্ব রয়েছে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের বিশ্বাস। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়, সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। যে যাই করুক না কেন তা অবশ্যই সাংবিধানিক আবর্তন-বিবর্তন, পরিবর্তন-পরিমার্জন ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় পরিশীলিত হতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়