নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের জুনে কিং চার্লস থ্রি হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস লন্ডনে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। শান্তির জন্য, ধরিত্রীর জন্য মমতা এবং মানুষের মধ্যে ঐক্যের জন্য ড. ইউনূসের সারা জীবনের যে কাজ, এই পুরস্কারের মাধ্যমে সেটাকে উদযাপন করা হয়েছে। এটা শুধু একটা ঝকমকে ট্রফি শুধু নয়। বিশ্বকে এটা বার্তা দিয়েছে যে, সমবেদনা, ন্যায্যতা এবং টেকসই ভাবনা দিয়ে পৃথিবীকে এখন এবং আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হবে।
রাজা তৃতীয় চার্লস দীর্ঘদিন ধরে সবুজ পৃথিবীর জন্য লড়েছেন। ড. ইউনূস এমন একটা স্বপ্ন দেখেন, যেখানে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, বেকারত্ব থাকবে না এবং কোনো কার্বন নিঃসরণ থাকবে না। তাদের মিলিত ধারণার মধ্যে পুরোনো প্রজ্ঞার সঙ্গে মানুষকে সাহায্য করার নতুন ধারণার সম্মিলন ঘটেছে। এই পুরস্কার সেই নেতাদের সামনে নিয়ে আসে, যারা নিচের স্তর থেকে পরিবর্তন সূচনা করে উঁচুপর্যায়ে চলে গেছে। আর এই পরিবর্তন আনতে গিয়ে তারা সহমর্মিতা আর অর্থনীতির সঙ্গে ন্যায্যতা আর নীতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।
জন স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন, ‘একটা রাষ্ট্রের মূল্যবোধ দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিটি আলাদা ব্যক্তির মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি, যে ব্যক্তিদের নিয়ে এই রাষ্ট্রটি গড়ে ওঠে।’ এই পুরস্কার এমন একটা ভবিষ্যতের জন্য চাপ দিচ্ছে, যেখানে মানুষ শুধু এককভাবে শক্তিশালী হয়ে গড়ে ওঠে না, বরং সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে গড়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের আগে রাজা তৃতীয় চার্লস ড. ইউনূসকে বাকিংহাম প্রাসাদে এক একান্তে বৈঠকের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাবোধ আর অভিন্ন মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটেছে। ব্রিটিশ রাজ পরিবার প্রকৃতি রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ন্যায়সংগত ব্যবসার মতো ধারণাগুলোকে সমর্থন করে। এই ধারণাগুলো ড. ইউনূসের অন্তরের খুবই কাছাকাছি। রাজা চার্লস এমনকি ড. ইউনূসের একটি বইয়ের মুখবন্ধও লিখে দিয়েছেন। একটা ন্যায্য বিশ্বের জন্য তারা যে অভিন্ন স্বপ্ন লালন করেন, এর মধ্য দিয়ে সেটা বোঝা যায়।
বাংলাদেশের জন্য এটা একটা গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বের জন্য এটা একটা জেগে ওঠার ডাক। যেসব নেতা অন্যের কথা ভাবেন, এই গ্রহের কথা ভাবেন, তাদের অনুসরণ করার ডাক।
হার্মোনি অ্যাওয়ার্ডের উৎস ও উদ্দেশ্য
‘আমাদের সবার যে জিনিসটা অভিন্ন, সেটা হলো পৃথিবী’Ñওয়েন্ডেল বেরি
রাজা চার্লস পরিবেশ রক্ষার, শান্তিকে এগিয়ে নেওয়ার এবং সবার জন্য ন্যায্যতা নিশ্চিত করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটাকে সহায়তা করার জন্যই কিং চার্লস থ্রি হার্মোনি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়েছে। তিনি সেসব মানুষকে সম্মানিত করতে চেয়েছেন, যারা ভারসাম্যের জন্য কাজ করেছেন। যারা শুধু প্রকৃতি নিয়ে পড়ে থাকেননি, বরং সমাজে ও মানুষের মধ্যে যারা কাজ করেছেন। এই গ্রহের সঙ্গে সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করার যে ধারণা, সে বিষয়ে পুরোনো মূল্যবোধের সঙ্গে আধুনিক ধারণার সম্মিলন ঘটিয়েছে এই পুরস্কার। ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে রাজা তৃতীয় চার্লস বিশ্বকে বোঝালেন, ছোট ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রচেষ্টা থেকে বিরাট পরিবর্তন আসতে পারে।
কেন ড. ইউনূস ও বান কি মুনকে বেছে নেওয়া হলো : তৎপরতার মাধ্যমে সম্প্রীতি
‘নেতৃত্ব মানে বস হওয়া নয়। যারা তোমার অধীনে, তাদের যত্ন নেওয়াই হলো নেতৃত্ব’Ñসাইমন সিনেক
২০২৫ সালে দুজন ব্যক্তিত্বকে কিং চার্লস থ্রি হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে অর্থনীতি ও সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তার কাজের জন্য। আর সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার কূটনীতি আর পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টার জন্য।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ও ক্ষুদ্রঋণের প্রসার ঘটানোর কারণে সোশ্যাল হার্মোনি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ড. ইউনূস। সামাজিক ব্যবসার জন্য তিনি যে মডেল দাঁড় করিয়েছেন, সেখানে স্মার্ট অর্থনীতির সঙ্গে ভালো ও মন্দের শক্ত মানদণ্ড যুক্ত করা হয়েছে। শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণÑএই তিন শূন্য নিয়ে তার তত্ত্ব সারা বিশ্বের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। রাজা চার্লস প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপনে বিশ্বাসী এবং ড. ইউনূসের এই কাজ তার বিশ্বাসের সঙ্গে এক হয়ে মিলে গেছে।
বিশ্ব শান্তি ও ঐক্যের জন্য বান কি মুনের যে কাজ, সেটা তাকে এই সম্মান এনে দিয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা চালু করেছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস এবং লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্যও কাজ করেছেন তিনি। রাজা চার্লস যে ধরনের নেতৃত্বকে উদযাপন করতে চান, বান কি মুনের নেতৃত্বের মধ্যে সেই ধরনের যৌথ তৎপরতা এবং নৈতিক শক্তির প্রতিফলন ঘটেছে।
এশিয়ার এই দুই নেতাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ রাজা একটা শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। সেটা হলো : বৈশ্বিক মূল্যবোধ নির্মাণে অপশ্চিমা কণ্ঠস্বরগুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রীতি কোনো নীরব ধারণা হয়। এটা একটা সাহসী লক্ষ্য, যেটা অর্জনের জন্য দৃঢ়তা ও কঠোর পরিশ্রমের দরকার পড়ে।
সামাজিক সম্প্রীতির নিবেদিত ধারক
‘যেকোনো জায়গার অন্যায় সামগ্রিক ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি’Ñমার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
ড. ইউনূসের যাত্রাটা প্রেরণাদায়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার এই ব্যাংক বহু মিলিয়ন মানুষ, বিশেষ করে নারীদের দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। তার স্বপ্ন হলো দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানো। তার এই ভিশন ন্যায়ভিত্তিক পুঁজিবাদ ও নৈতিক ব্যবসার বৈশ্বিক আন্দোলনকে চাঙা করেছে।
হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড ড. ইউনূসের বড় ধারণাগুলো উদযাপন করেছে। তার কাছে সামাজিক সম্প্রীতির অর্থ হলো দরিদ্র মানুষদের অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করা, তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা এবং এমন ব্যবসা তৈরি করা, যেখানে মানুষকে মূল্যায়ন করা হবে। রাজা চার্লস ভারসাম্য ও টেকসই ধারণাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন এবং ড. ইউনূসের তিন শূন্য তত্ত্ব তার সঙ্গে মিলে গেছে।
জাতীয় অহংকার ও বৈশ্বিক মর্যাদা
‘একটি জাতির সংস্কৃতি সেখানকার মানুষের হৃদয়ে ও আত্মায় বাস করে’Ñ মহাত্মা গান্ধি
ড. ইউনূসের পুরস্কার বাংলাদেশকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছে। বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে, বাংলাদেশ শুধু সংগ্রামের জায়গা নয়, বরং এখানে উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্ম নয়। এই মুহূর্তটি নতুন করে ঠিক করে দিয়েছে, মানুষ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখবে। বাংলাদেশের বৈশ্বিক প্রভাব এতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র পুনর্গঠনের জন্য কাজ করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে এই পুরস্কার মনে করিয়ে দিচ্ছে, ন্যায্যতা ও উদ্ভাবনের মতো মূল্যবোধগুলো আসলে গুরুত্বপূর্ণ। ড. ইউনূসের স্বীকৃতি দেখাল যে ন্যায়বিচার ও মানুষের জন্য মমতার ভিত্তিতে যে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে, সেটা আজও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড যে কারণে বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ
‘অন্য কেউ এসে রক্ষা করবেÑএই ধারণাটাই আমাদের গ্রহের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ’Ñরবার্ট সোয়ান
ড. ইউনূসের পুরস্কার বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এই পুরস্কার জানিয়ে দিচ্ছে, শান্তি এবং টেকসই কৌশল হাত ধরাধরি করে চলে। যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অসমতাকে অগ্রাহ্য করে বা পরিবেশের ক্ষতি করে, সেই ব্যবস্থা ভঙ্গুর। হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড নতুন ধরনের নেতৃত্বের ডাক দিচ্ছে। যে নেতৃত্ব অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজ ও এই গ্রহের জন্য চিন্তা করবে। এই পুরস্কার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করছে, সৃজনশীল সমাধানকে উদ্বুদ্ধ করছে এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে সবার সঙ্গে মিলে যৌথ কর্মপ্রচেষ্টার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
জাতীয়তাবাদ, বৈষম্য এবং জলবায়ু বিপর্যয় আমাদের বিভক্ত করে ফেলছে। এর মধ্যে হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমরা এক ও অভিন্ন গ্রহে বাস করি। একবিংশ শতকে আমাদের অবশ্যই মর্যাদা, সংলাপ এবং টেকসই কৌশলের ভিত্তিতে পথ চলতে হবে।
খামেনির ইরানের যুদ্ধগাথাখামেনির ইরানের যুদ্ধগাথা
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক
‘কূটনীতি হলো উত্তল জলরাশির ওপর সেতু নির্মাণের শিল্প’Ñম্যাডেলিন অলব্রাইট
রাজা তৃতীয় চার্লস ও ড. ইউনূসের মধ্যে যে বৈঠক হয়েছে, সেটা বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করেছে। তাদের আলোচনার মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, সবুজ অর্থায়ন এবং জলবায়ুকেন্দ্রিক পদক্ষেপের মতো অভিন্ন লক্ষ্যগুলো উঠে এসেছে। বৈশ্বিক দূত হিসেবে ড. ইউনূস এই অংশীদারত্বে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তার কণ্ঠস্বর বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আরো জোরালোভাবে কথা বলতে সাহায্য করেছে এবং ন্যায়বিচার, উদ্ভাবন ও টেকসই কৌশলের ভিত্তিতে সম্পর্ক নির্মাণে সহায়তা করেছে।
ন্যায্য ও সমন্বিত ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা
‘সমন্বয় ছোট জিনিসকে বাড়তে সাহায্য করে, সমন্বয়হীনতা বড় জিনিসকেও দুর্বল করে দেয়’Ñস্যালাস্ট
কিং চার্লস থ্রি হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড একটা পুরস্কারের চেয়ে অনেক বড় কিছু। মমতা, টেকসই কৌশল ও সাহসী নেতৃত্বের মতো যেসব মূল্যবোধ আজ আমাদের দরকার, এই পুরস্কার তার প্রতীক। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান জানানোর মাধ্যমে এই পুরস্কার দেখাল যে সংবেদনশীলতা নীতি, ব্যবসা, এমনকি কূটনীতিকে পর্যন্ত বদলে দিতে পারে।
এই পুরস্কার প্রমাণ করেছে, ন্যায্যতা ও মানুষের জন্য মমতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা নেতৃত্ব বিশ্বকে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে। এটা আমাদের মনে করিয়ে দিল, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলো শুধু টেকনিক্যাল উপায়ে সমাধান হবে না। এ জন্য লাগবে নৈতিক ভিশন। হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করল, সম্প্রীতি কোনো স্বাপ্নিক ধারণা শুধু নয়, বরং অগ্রগতি ও শান্তির জন্য এটা একটা সত্যিকারের শক্তি।
বাংলাদেশের জন্য এটা সাহস ও সৃজনশীলতার মডেল হিসেবে জ্বলে ওঠার একটা সুযোগ নিয়ে এসেছে। বিশ্ব এই দেশকে সংকটের দেশ হিসেবে দেখত। এখন তারা দেখবে বিবেকের দেশ হিসেবে।
বিশ্বের জন্য এটা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, জনমানুষের ক্ষমতায়ন এবং ক্ষত সারিয়ে তোলার আহ্বান। লন্ডনের পুরস্কার অনুষ্ঠানে যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল, তখন সেই মানুষের হৃদয়ে আশার আলো জ্বলে উঠছিল, যারা একটা বৈষম্যহীন বিশ্বের স্বপ্নে বিশ্বাস করে। হার্মোনি অ্যাওয়ার্ড শুধু একটা শ্রদ্ধাঞ্জলি নয়, এটা আমাদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার আশার আলোকবর্তিকা।
‘একটা সম্প্রদায় যখন তার সত্যিকার আগ্রহের বিষয়গুলো আবিষ্কার করে, তখন পরিবর্তনের জন্য আর কোনো বড় শক্তি হতে পারে না’Ñমার্গারেট জে হুইটলি
লেখক : গবেষক, বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, নরওয়ে
বিষয়: ড. ইউনূস