সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন, কার্যকর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান এবং নাগরিকদের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনায় পার্লামেন্টের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন দেশের সাংবিধানিক কাঠামো ও রাজনৈতিক বাস্তবতা অনুসারে তাদের পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছে এককক্ষ (unicameral) অথবা দ্বিকক্ষ (bicameral) হিসেবে। এ দুটি পদ্ধতির লক্ষ্যই জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং আইন প্রণয়ন ও শাসনব্যবস্থায় ভারসাম্য রক্ষা করা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ১৯০টি দেশের সংসদের মধ্যে ১১১টি অর্থাৎ প্রায় ৫৮ শতাংশ এককক্ষবিশিষ্ট। বাংলাদেশ বর্তমানে এককক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা ১৯৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়। যদিও বিভিন্ন সময় কিছু মহলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা উঠেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি এখনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের জন্য প্রস্তুত? দেশের বর্তমান বাস্তবতায় এ ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ও ভালো-মন্দ নানা দিক নিয়েই এই লেখা।
এককক্ষবিশিষ্ট সংসদের ধারণা ও কার্যকারিতা : এককক্ষবিশিষ্ট সংসদে আইন প্রণয়নের সব দায়িত্ব একটি মাত্র কক্ষ বা পরিষদের হাতে ন্যস্ত থাকে। এই কাঠামো সাধারণত অপেক্ষাকৃত ছোট এবং ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রগুলোয় দেখা যায়, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারই মূল প্রশাসনিক কর্তৃত্ব ধারণ করে। এতে সর্বোচ্চ কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা থাকার সম্ভাবনা থাকে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দ্রুততা বজায় থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও বর্তমানে ডেনমার্ক, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রিস, ইসরাইল ও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশগুলোয় এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ আছে।
এককক্ষবিশিষ্ট সংসদে আইন প্রণয়নের কার্যকারিতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গতি থাকে, বিশেষত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে দ্রুত আইন পাসের প্রয়োজনে এটি কার্যকর হতে পারে। সঙ্গে প্রশাসনিক খরচের সাশ্রয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতা ও দ্বন্দ্ব কম হয়। নিউজিল্যান্ড ১৯৫১ সালে উচ্চকক্ষ বাতিল করে এককক্ষ সংসদ চালু করে। দেশটি বর্তমানে ওয়ার্ল্ড গুড গভর্ন্যান্স ইনডেক্সে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে, যা এককক্ষবিশিষ্ট সংসদের কার্যকারিতা ও দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করে। সে দেশের নাগরিকদের প্রশাসনিক পরিষেবায় আস্থা ৬৮ শতাংশ। ডেনমার্ক ১৯৫৩ সালে এবং সুইডেন ১৯৭১ সালে দ্বিকক্ষ কাঠামো ছেড়ে এককক্ষ পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। এর ফলে সরকার পরিচালনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা বেড়েছে। নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে এককক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশও এককক্ষবিশিষ্ট ব্যবস্থায় ৫২ বছরেরও বেশি সময় পার করেছে।
তবে এককক্ষবিশিষ্ট ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তরের পর্যালোচনার ঘাটতি থাকতে পারে। একক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে দ্রুত আইন পাসের নামে এককেন্দ্রিকতা বা একনায়কতান্ত্রিক প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যেমনটি কিছু সময় বাংলাদেশে দেখা গেছে। এ ছাড়া গবেষণা দেখায়, এককক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার দেশগুলোয় নারীর প্রতিনিধিত্ব কিছুটা কম। তবে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেনসহ এককক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার কিছু দেশে এই হার দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের দেশগুলোর সমতুল্য বা বেশি।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ধারণা ও কার্যকারিতা : দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থায় সাধারণত একটি হয় নিম্নকক্ষ, যা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় এবং অপরটি হয় উচ্চকক্ষ, যা নিয়োগকৃত, পরোক্ষভাবে নির্বাচিত বা বিভিন্ন উপরাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস (সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস), যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট (হাউস অব কমন্স ও হাউস অব লর্ডস), ভারতের সংসদ (লোকসভা ও রাজ্যসভা) এবং অস্ট্রেলিয়ার সংসদ (সেনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের দৃষ্টান্ত। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে আইন প্রণয়নে দ্বিতীয় স্তরের যাচাই-বাছাই ও ভারসাম্য এবং আইন ও নীতির আরো গভীর বিশ্লেষণ করে। তবে এতে প্রক্রিয়ার ধীরগতি লক্ষ করা যায়। এটি একাধারে আইনগত ভারসাম্য এবং সরকারে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ রক্ষার একটি উপায়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মত ফেডারেল কাঠামোতে যেখানে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, সেখানে উচ্চকক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ রাজনৈতিক পক্ষপাত ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অকার্যকারিতা তৈরি করে। যেমন ভারতীয় রাজ্যসভা প্রায়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে দিয়ে লোকসভাকে জটিলতায় ফেলে। উদাহরণস্বরূপ ভারতের কৃষি বিল পাস নিয়ে রাজ্যসভায় দীর্ঘ বিতর্ক ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা সরকারের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। আবার যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা অনির্বাচিত হওয়ায় তাদের গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাজ্যে হাউস অব লর্ডস অনির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে গঠিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মাধ্যমে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক ভারসাম্য বজায় রাখে। যুক্তরাজ্যে ‘হাউস অব লর্ডস’ অনির্বাচিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক সমস্যার আশঙ্কা তৈরি করে। যদিও তৃতীয় কক্ষ চেক-ব্যালেন্সের ভূমিকা রাখে, তবে এটি কার্যকর নয় ফেডারেল কাঠামো ছাড়া। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিকক্ষ সংবিধানের ক্লাসিক উদাহরণ, যেখানে নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ কঠোর পর্যালোচনাসহ বিল নিতে পারে। এসব কাঠামো তীব্র জট, বিলম্ব ও অনির্বাচিত উচ্চকক্ষের কারণে গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতায় সংশয় সৃষ্টি করেছে। তবে দ্বিকক্ষ দেশগুলোর ক্ষেত্রে নারীর প্রতিনিধিত্ব কিছুটা বেশি; উদাহরণস্বরূপ মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪৪-৫০ শতাংশ, যেখানে কিছু এককক্ষবিশিষ্ট সংসদের দেশেও (নিউজিল্যান্ড, সুইডেন) এই হার সমতুল্য বা তার বেশি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও দ্বিকক্ষের যৌক্তিকতা আলোচনা করার ক্ষেত্রে বলতে হয়, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের সংবিধানের আলোকে একটি এককক্ষ সংসদ চালু করে। বর্তমানে ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন এবং আরো ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এমপিরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না। ফলে সংসদীয় স্বাধীনতার ঘাটতি থেকে যায়। অর্থাৎ সংসদীয় কার্যকারিতা ও পর্যালোচনায় বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশে একটি একক প্রশাসনিক কাঠামো, যেখানে এখনো স্থানীয় সরকার কাঠামো, সুশাসন, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা পর্যাপ্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সেখানে একটি উচ্চকক্ষ তৈরি করলে তা কাঙ্ক্ষিত ফল দেবে কি না। তা ছাড়া উচ্চকক্ষ গঠনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ, নতুন ভবন নির্মাণ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়ও আছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো ফেডারেল রাষ্ট্রে উচ্চকক্ষের প্রয়োজন থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন কোনো অঙ্গরাজ্য বা প্রাদেশিক সরকার নেই, যাদের প্রতিনিধিত্ব উচ্চকক্ষে প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এমন বাজেট বরাদ্দ দেওয়া অর্থনৈতিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
দ্বিকক্ষীয় সংসদ চালুর পক্ষে যে যুক্তিগুলো মাঝে মাঝে ওঠে, তার মধ্যে আছে নির্বাচিত সংসদের একচ্ছত্র আধিপত্য কমানো, সংসদে পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘু ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। তবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান উচ্চকক্ষ ছাড়া এককক্ষীয় সংসদেও সম্ভব, যদি সংবিধানে কোটা, সংরক্ষিত আসন, পেশাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব ও সুশাসনের নিশ্চয়তা দেওয়া যায়। বহু সংসদীয় দেশ গঠনতন্ত্রের কাঠামোয় দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আগে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর এককক্ষ সংসদ প্রতিষ্ঠা করেছে।
বর্তমানে সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব কিছুটা হলেও আছে। আরো কার্যকর রাজনৈতিক সংস্কার, দলীয় গণতন্ত্র, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার এবং সংসদীয় কমিটির কার্যকারিতা বাড়ানোর মাধ্যমে এককক্ষীয় ব্যবস্থাকেই আরো কার্যকর করে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশে এখনো দলীয় একচ্ছত্র আধিপত্য, সংসদে বিরোধী দলের সুশৃঙ্খল ভূমিকার অভাব, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অকার্যকারিতা এবং আইন পাসে সাধারণত বিতর্কের ঘাটতি লক্ষ করা যায়। এই পরিস্থিতিতে দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থা কেবল প্রশাসনিক জটিলতা ও ব্যয় বাড়াবে, কার্যকারিতা নয়।
দ্বিকক্ষীয় সংসদ চালু করতে নতুন কক্ষ গঠনের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। সংশ্লিষ্ট ভবন, প্রশাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেতন-ভাতা, নিরাপত্তা, নির্বাচন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রকে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। দ্বিকক্ষীয় সংসদ চালু করতে কেবল প্রাথমিক খরচ বেশিরভাগ প্রজেক্টেই প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অনুমান করা হয়েছে। এটি বর্তমান জাতীয় বাজেটের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্ক।
বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট আট লাখ কোটি টাকার কম, যেখানে উন্নয়ন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। দেশের বাজেট ঘাটতি এবং সামাজিক খাতগুলোয় (স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান) অপ্রতুল ব্যয় বিবেচনায় এ ধরনের ব্যয়বহুল পদক্ষেপ সময়োপযোগী নয় বলেই প্রতীয়মান হয়। এছাড়া দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, নতুন আসন পুনর্বিন্যাস, সাংবিধানিক সংশোধনী, প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার, অধিক জনবল ও বাজেটের প্রয়োজন পড়বে, যা এখনকার অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দ্বিকক্ষীয় সংসদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা এখনো সময়োপযোগী নয়। অতএব দ্বিকক্ষীয় সংসদের চিন্তা আপাতত বিলম্বিত রেখে বিদ্যমান কাঠামোকে আরো শক্তিশালী, প্রশাসনিকভাবে দক্ষ, আইন প্রণয়নে স্বচ্ছ, প্রতিনিধিত্বশীলতা বাড়ানো ও গণমুখী করাই বাঞ্ছনীয়।
যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার কাঠামো আরো বিকশিত হয়, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা পায় বা সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব অধিক প্রয়োজনীয় হয়, সেক্ষেত্রে উচ্চকক্ষ বিবেচনা উপযুক্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির শক্তিশালীকরণ, দলীয় হুইপ সংস্কার, বিরোধী দলের কার্যকর উপস্থিতি ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এই এককক্ষীয় ব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করা সময়ের দাবি।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট