একসময় রাজার রাজত্ব ছিল। প্রজাসাধারণের কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের ধারণা থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি কীভাবে আরো উত্তম হতে পারে, সেটি নিয়ে ভেবেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থার উৎকর্ষ লাভের শেষ পর্যায়ে উন্নত বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা। এখন এই উত্তম ব্যবস্থাটি তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে। গবেষণাপত্রে দেখা যায়, বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে কোনো না কোনোভাবে এই নির্বাচন ব্যবস্থাটি গৃহীত হয়েছে। এ হিসেবে বিশ্বের ৫৪ শতাংশ মানুষ এই ব্যবস্থার অধীনে প্রতিনিধিত্বকে নিশ্চিত করছে। এটা স্বীকার্য, গ্রেট ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশেষত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোয় এলাকাভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমান আছে।
তবে প্রবণতাটি আনুপাতিক ব্যবস্থামুখী। কমনওয়েলথের বাইরে ৩৬টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশ আনুপাতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করছে। নব্বইয়ের দশকে পূর্ব ইউরোপের সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর ১৮টির মধ্যে ১৫টিতে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। নিউজিল্যান্ড ইতোমধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক নির্বাচন পরিত্যাগ করে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা অনুসরণ করছে। গ্রেট ব্রিটেনের লিবারেল পার্টি আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক নির্বাচনে আনুপাতিক পদ্ধতির ঝোঁক পরিলক্ষিত হচ্ছে। কানাডাতেও আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মতামত জোরদার হয়ে উঠছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব তথা আন্দোলন বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে যারা যুক্তি দেখাচ্ছেন তারা বলছেন, আনুপাতিক ব্যবস্থায়—১. রাজনীতি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক; ২. এতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে; ৩. রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থান ও সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে; ৪. নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ কমে আসবে; ৫. নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রণোদনা হ্রাস পাবে; ৬. সংসদ সদস্যদের গুণ ও মান বৃদ্ধি পাবে; ৭. নির্বাচনি প্রচারাভিযানের মান বৃদ্ধি ঘটবে; ৮. প্রাক-নির্বাচনি জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাবে; ৯. রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে; ১০. স্থানীয় সরকার বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে; ১১. ছোট ছোট দলের সংসদ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে; ১২. উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার অবসান ঘটবে; ১৩. বৈষম্যহীন প্রতিনিধিত্বের পরিবেশ নিশ্চিত হবে; ১৪. নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে; ১৫. আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থায় সুশাসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে।
এ রকম উত্তম ব্যবস্থাটির বিপরীতে কী কথা আছে, এখন সেটিই দেখা যাক। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার নেতিবাচক দিকগুলো এরকম—ক. এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের অবসান; খ. জোটবদ্ধ দুর্বল সরকার; গ. ঘনঘন সরকার পরিবর্তন বা অস্থিতিশীলতা; ঘ. ছোট দলগুলোর কাছে বড় দলগুলোর জিম্মি হয়ে পড়া; ঙ. দলের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ সৃষ্টি; চ. মনোনয়নে পার্টি নেতৃত্বের ভূমিকা বৃদ্ধি।
আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘকাল ধরে বিষয়টির ওপর ভালো গবেষণা করছেন। তিনি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিকটিই বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আনুপাতিক নির্বাচনের একটি নেতিবাচক দিক হলো ভৌগোলিক প্রতিনিধিত্বের অনিশ্চয়তা। যেহেতু এই নির্বাচন আসনভিত্তিক নয়, সেহেতু এই নির্বাচন দ্বারা গঠিত সংসদে দেশের সব ভৌগোলিক অংশের সমহারে প্রতিনিধিত্বের নিশ্চয়তা থাকে না। আরো একটি সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক হলো জোটবদ্ধ সরকার ও ঘনঘন সরকার পরিবর্তন। আনুপাতিক নির্বাচনের আরেকটি সম্ভাব্য নেতিবাচক ফলাফল হলো জোটবদ্ধ সরকার গঠন ও ঘনঘন সরকার পরিবর্তন। আনুপাতিক নির্বাচন বহু ছোট দলকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব অর্জনের সুযোগ করে দেয়। ফলে বড় দলগুলোর প্রভুত্ব খর্বিত হয় এবং তারা সরকার গঠনের জন্য ছোট দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ সরকার গঠন অপরিহার্য হয়ে পরে।
যেহেতু এসব ছোট দল তাদের আনুগত্যের পরিবর্তন করতে পারে, সেহেতু ঘনঘন সরকার পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। আনুপাতিক নির্বাচনের আরেকটি নেতিবাচক দিক হলো দলের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, অর্থাৎ দলকে অপব্যবহার করে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এরকম যে, ছোট হোক বড় হোক দলটি ব্যক্তিনির্ভর। সেক্ষেত্রে একেকজন প্রার্থী দলীয় কর্তৃত্বের অপব্যবহার করে কোনোরকম জবাবদিহিতা ব্যতীত নির্বাচিত হয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো নমিনেশন বোর্ড গঠন করে। এই বোর্ডের স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সবসময়ই মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। এই নমিনেশন বোর্ড প্রথা একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এর ফলে কখনো কখনো বিদ্রোহী প্রার্থীর আবির্ভাব ঘটে। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দলের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পায়। সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আরেকটি বড় অভিযোগ হলো, প্রণীত জাতীয় তালিকার গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রমাণ করে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ন্যায্যতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবে কি না। সেখানে কতটা স্বচ্ছতা থাকবে, সেটা একটি বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নির্বাচন ব্যবস্থা বিতর্কে আলোড়িত। রাজনৈতিক দলসমূহ, পেশাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সিভিল সোসাইটি বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। এ সময়ে বিষয়টি ব্যাপকতা লাভ করলেও সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি নতুন নয়। দ্বিতীয়ত, তিন দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। বাম ধারার রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা অনেক আগে থেকেই সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে লেখালেখি ও গবেষণা করছেন। জামায়াত নেতা কামরুজ্জামান ও ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী এই ব্যবস্থার পক্ষে কলম ধরেছিলেন। দেশের একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন। অবস্থায় পিআর পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার চেয়ে অচলাবস্থা ও স্বার্থকেন্দ্রিক ছোট দলের ক্ষমতার দৌরাত্ম্য বাড়াতে পারে। এমনকি তাদের ২০-২৫ শতাংশ সমর্থন এবং মিত্র দলগুলোর সহযোগিতায় ফ্যাসিবাদের আবার ফিরে আসার সুযোগও তৈরি হতে পারে।
এদিকে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কি না, তা রাজনৈতিক দলগুলোকে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি তুলেছে। বিশ্বের কোনো কোনো দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এবং ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য এ ব্যবস্থাটি কতটা উপযোগী, তা ভেবে দেখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রাখব।’ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জাতীয় সংসদে সমানুপাতিক ব্যবস্থার নির্বাচন নাকোচ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। সর্বশেষ সংবাদ অবধি বিএনপি উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের কোনোটিতেই সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব মেনে না নেওয়ার কঠিন অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে অন্যান্য বড় দল জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন চরমোনাই ও এনসিপির সবাই নিম্নকক্ষে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, তার দল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) দাবি আদায় করেই নির্বাচনে যাবে। তিনি পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনেরও দাবি জানান।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) ছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে একদলীয় আধিপত্যের সৃষ্টি হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নে উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চাই না—এমন বক্তব্য যারা দেন, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন।’
সমানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে ও বিপক্ষের যুক্তি-তর্ক ও অবস্থান নির্ণয়পূর্বক এ মন্তব্য করা যায়, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিমত না থাকলেও পদ্ধতিগত বিষয়টি নিয়ে গুরুতর সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি না চাইলে কোনো কিছুই পরিবর্তন সম্ভব নয়। ধারণা করা হয়, তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপির রাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি না হলেও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে নিঃসন্দেহে। এক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। পক্ষ-বিপক্ষ, সুবিধা-অসুবিধা ও যাবতীয় বিবেচনা ব্যতিরেকেও অবশেষে আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো অনিবার্য।
আশার কথা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন উচ্চ পরিষদে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের কথা বলেছে। দিনে দিনে যেভাবে সমানুপাতিক ব্যবস্থার পক্ষে জনমত সৃষ্টি হচ্ছে তা অস্বীকার করা, অবজ্ঞা করা ও অবহেলা করা কোনোভাবেই রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়। সুতরাং একটি সমঝোতা কৌশলে অবশ্যই একমত হতে হবে। আমরা এই কলামে মধ্যস্থতা প্রস্তাব দিয়েছিলাম এভাবে যে—ক. বিএনপি উচ্চকক্ষে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবি মেনে নিক। খ. নীতিগতভাবে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিটির স্বীকৃতি দিক। গ. ক্রমেই কীভাবে সমানুপাতিক ব্যবস্থা কার্যকর অথবা অকার্যকর হতে পারে, তা নিয়ে মতামত যাচাই করা হোক। ঘ. এ নিয়ে বাস্তবধর্মী গবেষণা পরিচালিত হোক। ঙ. নিম্নকক্ষ তথা জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে ১০০ আসন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া।
নির্বাচন যে পন্থায়ই হোক না কেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসাবে আশা করা যায়, তারা সরকার গঠন করবে। সুতরাং তাদের দায় ও দায়িত্ব সে অনুপাতেই বিবেচনা করতে হবে। অপরদিকে যেসব রাজনৈতিক দল সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের কথা বলছেন, তাদের শক্তি-সামর্থ্য ও জনপ্রিয়তা একত্র করলে তারাও একটি বড় শক্তি। তারা যদি অনড় থাকে তাহলে অভ্যন্তরীণ ও বহিস্থ বিপদ-আপদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে পারে। সমানুপাতিক নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটি উত্তম ব্যবস্থা। কিন্তু উত্তম ব্যবস্থাটি ধারণের জন্য যে পরিবেশ ও পরিস্থিতি প্রয়োজন তা যদি হয় অধম, তাহলে উত্তম ব্যবস্থাটির কোনো প্রায়োগিক মূল্য থাকে না। সুতরাং সমঝোতা অনিবার্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিরোধী দু-পক্ষ যত শিগগিরই সমঝোতায় পৌঁছাবেন ততই জাতির জন্য মঙ্গল। ‘শুভস্য শীঘ্রম’।