প্রতিটি দেশ ও জাতি-রাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়। প্রাচীন রাজা, রাজ্য ও রাজধানীতে এরকম কেতাদুরস্ত ভাষায় বিষয়টি আলোচিত ছিল না। কিন্তু সেনা, সামন্ত ও বাহিনী সবকিছুই ছিল। ষোড়শ শতাব্দী থেকে জাতি-রাষ্ট্রের সূচনা পর্ব থেকে নামধাম, প্রথা ও পদ্ধতি পাল্টেছে মাত্র। এই সেদিনও যা অভিহিত হতো জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি বা কৌশল হিসেবে, তা আজকে অবহিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা হিসেবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী কাল থেকে আজকের সময় অবধি জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা বিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত হয়েছে। আজকে যখনই আমরা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করি, তখন একজন নাগরিকের নিরাপত্তা থেকে সেনাসদর পর্যন্ত পৌঁছে যাই। অর্থাৎ ব্যক্তি থেকে সমষ্টি পর্যন্ত প্রসারিত হয় জাতীয় নিরাপত্তার নীতি ও কৌশলগুলো। গতানুগতিক প্রতিরক্ষা বিধিব্যবস্থা থেকে আজকের কথিত জাতীয় নিরাপত্তা বিস্তৃত হয়েছে রাষ্ট্রের সব ধরনের বিষয়-আশয়ে। আজকের জাতীয় নিরাপত্তা মানেই রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, জলবায়ু, জ্বালানি, খাদ্য এমনকি সাইবার সিকিউরিটি পর্যন্ত।

প্রাকৃতিক দুর্যোগও আজকের বিশ্বে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকিরূপে বিবেচিত। একবিংশ শতাব্দীতে এসে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরো নানা ধরনের উৎপাত ও উপদ্রবের উদ্ভব লক্ষণীয়। এগুলো হচ্ছে সন্ত্রাস, মাফিয়া চক্র, বৈশ্বিক দুর্বৃত্তায়ন তথা বহুমাত্রিক অপরাধীচক্র। এদের বলা হয়, Anti State Actors। সবকিছু ছাপিয়ে আজকের বিশ্বে যে বিষয়টি রাষ্ট্র অতিক্রম করে মানবজাতিকে ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন করেছে, তা হচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের ঘোষিত ও অঘোষিত পারমাণবিক বিস্তার। এত কথা বলার পরেও বিদ্বজনেরা মনে করেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি অমীমাংসিত, অনির্ধারিত ও অসমাপ্ত। সেনাবাহিনীর ভীতি থেকে রাজনৈতিক শক্তি মদমত্ততা—সবকিছুই জাতীয় নিরাপত্তা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত।

জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংজ্ঞায়ও রয়েছে নানা ধরনের ভেদ-বিভেদ। ওয়ালটার লিপম্যান (Walter Lippmann, 1943) মনে করেন, একটি জাতি তখনই জাতীয় নিরাপত্তা দাবি করতে পারে, যখন সে জাতি বৈধ অধিকারগুলো ধারণ ও প্রয়োগ করতে সক্ষম। যদি যুদ্ধের ভীতি আসে, তখন সে জাতি যদি যুদ্ধ দিয়ে যুদ্ধ মোকাবিলার সক্ষমতা রাখে, তখনই তা জাতীয় নিরাপত্তার দিক দিয়ে যথার্থ। লিপম্যানের সংজ্ঞায় গতানুগতিক তত্ত্বকথার আভাস পাওয়া যায়। পরিবর্তিত বর্তমান পৃথিবীতে জাতীয় নিরাপত্তার সংজ্ঞা নির্ণয়ে চার্লস মেয়ারের (Charles Maier, 1990) সংজ্ঞাটি সম্ভবত আধুনিক। তিনি বলেন, ‘National security... is best described as a capacity to control those domestic and foreign conditions that the public opinion of a given community believes necessary to enjoy its own self-determination or autonomy, prosperity, and wellbeing.’ দ্রষ্টব্যের বিষয়, জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাটি ক্রমেই জনমুখী হয়েছে। আগেকার দিনে রাজা, রাজ্য ও রাজধানী রক্ষা করাই ছিল জাতীয় নিরাপত্তা।

এখন জাতীয় নিরাপত্তা ধারণা জনসম্পৃক্ত। এটি ক্রমেই জন-আকাঙ্ক্ষা ও জনসমৃদ্ধির পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি এখন রাজনৈতিক কার্যক্রম, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক দক্ষতা, শিল্পায়ন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, জাতীয় সম্পদের ব্যবহার এবং অবশেষে সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল বিষয়। এটি অতি অবশ্যই ভূ-রাজনৈতিক (Geo-Political) বিষয়ও বটে। জাতীয় নিরাপত্তার মতো প্রবহমান বিষয় তাত্ত্বিকতার আড়ালে যতই আধুনিকায়ন করা হোক না কেন অবশেষে বিষয়টি অবশ্যই প্রতিরক্ষামূলক। রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গে তত্ত্বকথারও পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন হয়ে থাকে। অতি সম্প্রতি ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ ও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে পূর্ব অবস্থায় অর্থাৎ শুধু প্রতিরক্ষা কৌশলে সীমাবদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি ঠান্ডা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে যে নতুন বৈশ্বিক সমীকরণ ও New World Order সৃষ্টি হয়েছে, তাও একটি কঠিন বাস্তবতা অর্জন করেছে—সেটিও আমলে নিতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অস্বাভাবিক নেতৃত্ব কখনো কখনো জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে ওলটপালট করে দিতে পারে—এটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

আমার পৃথিবীআমার পৃথিবী

এ রকম একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পরে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনার অপেক্ষা রাখে। আমরা জানি, ১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ তৎকালীন আঞ্চলিক সমীকরণকে পাল্টে দেয়; পাক-মার্কিন বলয়ের পরিবর্তে দিল্লি-মস্কো সমীকরণটি অধিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের পরাজয় প্রকারান্তরে এ অঞ্চলে মার্কিন প্রভাববলয়কে সংকুচিত করে। ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টের ঘটনাবলি সেই সমীকরণকে আবারও পাল্টে দেয়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই প্রভাববলয়ের বাস্তবতা বজায় থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতাসীন হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সেই প্রভাববলয়ের রাজনীতি উল্টেপাল্টে দিতে আওয়ামী লীগ সক্ষম ছিল না। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তারা যখন ক্ষমতাসীন হয়, সে সক্ষমতা তারা অর্জন করে। পরবর্তীকালে ১/১১-র ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে ‘প্যাকেজ ডিল’-এর নীলনকশায় দূরের ও পাশের শক্তিনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি, প্রকারান্তরে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের পরিবর্তন ঘটে। বিগত ১৭ বছরে দিল্লির প্রযত্নে পরিচালিত হয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি। ফলে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভিনব রক্তঝরা অভ্যুত্থান ১/১১ প্রতিষ্ঠিত সমীকরণকে পাল্টে দেয়। অনেক বছর পর বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন সত্তায় নিজেদের নীতি-কৌশলকে নির্ণয়ের সক্ষমতা অর্জন করে। বাংলাদেশে অর্জিত হয় এক অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য। এই প্রেক্ষাপটে দেশের সিভিল সোসাইটি নতুন করে দেশের ভূত-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তা ও গবেষণার নতুন সুযোগ লাভ করে।

২০২৫ সালের প্রারম্ভে একদল নবীন-প্রবীণ, সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের কৌশলগত চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে সত্যানুসন্ধান এবং বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন রণকৌশল নির্ণয়ের জন্য একটি ‘থিংক ট্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করে। মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর এর কর্ণধার নির্বাচিত হন। এটির নাম দেওয়া হয় ‘FOUNDATION FOR STRATEGIC AND DEVELOPMENT STUDIES: FSDS’। এই প্রতিষ্ঠানের অব্যাহত গবেষণার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৬ জুলাই রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক বর্ণাঢ্য সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই সংলাপের শিরোনাম দেওয়া হয়—‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য’। সেখানে বাংলাদেশের সব মতের সব পথের এবং প্রায় সব রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলন ঘটে। অভূতপূর্ব এই সংলাপে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য কীভাবে অর্জিত হতে পারে, তার একটি চমৎকার আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপের শুরুতে এফএসডিএসের মূল ব্যক্তিত্ব ফজলে এলাহী আকবর একটি সূচনা বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা—জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির জন্য সবার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা। সংলাপের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যখন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অভ্যন্তরীণ মেরূকরণ, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে নানাভাবে চ্যালেঞ্জ করছে। রাষ্ট্রের শত্রু সব সময় সীমান্তের ওপারে অবস্থান করে না, তা মাঝেমধ্যে সমাজের ভেতরেই বিভাজন, বিভ্রান্তি, গুজব, ঘৃণা আর আত্মঘাতী রাজনীতির মাধ্যমে জন্ম নেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অস্ত্র হতে হবে জাতীয় ঐক্য। ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ...বাংলাদেশ বর্তমানে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিভিন্ন বিপদ, ঝুঁকি, ষড়যন্ত্র, বৈরিতা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পটভূমিতে পরিস্থিতির জটিল মাত্রা ও পর্যায়গুলো বাংলাদেশকে প্রভাবিত করছে—সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইল ও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উদাহরণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।’ অতঃপর জেনারেল আকবর মিয়ানমার তথা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চক্রের গোপন ও সন্দেহজনক তৎপরতা ব্যাখ্যা করেন এবং জ্ঞান, সচেতনতা, সক্ষমতা ও বাস্তবসম্মত প্রস্তুতি দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তার ও জাতীয় ঐক্য নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানান।

আগেই বলা হয়েছে, এই সংলাপে বাংলাদেশের সব মতের ও সব পথের প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীদের সম্মিলন ঘটে। তাদের মেধাবী ও সৃজনশীল আলোচনা থেকে জাতীয় ঐক্যের বিবিধ আবশ্যকীয় বিষয় ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়। আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য ছিল। সংগতভাবেই জাতির মূল নীতিনির্ধারক হিসেবে তাদের সৃজনশীল বক্তব্য আসে। পরিপূরক বক্তব্য হিসেবে অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন অতীতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট বড় বড় ব্যক্তি। তারা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত উপলব্ধি দ্বারা সংলাপকে সমৃদ্ধ করেন। এ ছাড়া ছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় বিশেষজ্ঞরা। আইনজীবী, এনজিও ব্যক্তি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কূটনীতিক—কোনো পেশারই অনুপস্থিতি ছিল না এখানে। এসব ব্যক্তি যেসব প্রস্তাবনা ও পরামর্শ প্রদান করেন, তা এক বিপুল বিষয়। সংগতভাবেই সেখানে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিরোনামটুকু তুলে ধরছি মাত্র। সেখানে সবচেয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে। প্রায় সব বক্তাই তাদের বিভিন্ন পরামর্শ উপস্থাপনার জন্য অবশেষে বাহিনীগুলোর শক্তি অর্জনের যথার্থতা তুলে ধরেন। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী ও পারঙ্গম করে তোলার জন্য প্রস্তাব করা হয় গণপ্রতিরক্ষা তথা নাগরিক সেনাবাহিনীর। অধিকাংশ বক্তাই দেশের অভ্যন্তরীণ শক্তি—রাজনৈতিক ঐক্য ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনেকে বিরাজমান শোষক-শোষিতের বৈষম্য নিরসনের কথা বলেন। কেউ কেউ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের কথা বলেন। উপস্থিত কূটনীতিকরা External Defense-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কোনো কোনো ব্যক্তি জাতীয় আদর্শ হিসেবে ইসলামি মূল্যবোধের লালনপালন ও ধারণকে রাষ্ট্রিক নীতি হিসেবে গ্রহণের সুপারিশ করেন। তারা বলেন, জনসংখ্যার ঐক্যের চেয়েও রাষ্ট্রের আদর্শিক ভিত্তি হিসেবে ইসলামি মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ একই বিষয় হিসেবে National Identity Crisis দূরীকরণের পরামর্শ দেন। সবমিলিয়ে National Reconciliation-এর কথাও বলা হয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে জাতীয় নিরাপত্তার পরিপূরক মনে করেন। একাডেমিক ব্যক্তিরা একটি স্থায়ী ও টেকসই জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানান। রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে একমুখে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে অতি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করে টেকসই গণতন্ত্রে উত্তরণের কথা বলেন। সবার মুখে আরেকটি সাধারণ দাবি ছিল, দেশ যেন আর আগের মতো স্বৈরাচারে ফিরে না যায়। এতসব ব্যক্তি এতসব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন যে, প্রতিটি বিষয় পৃথক পৃথকভাবে আলোচনার আবশ্যকতা রাখে, যা এই পরিসরে সম্ভব নয়, কাম্যও নয়।

এককথায় এই সংলাপে বিবিধের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জাতীয় ঐক্যের প্রতিষ্ঠা ও প্রদর্শন ঘটেছে। এফএসডিএস এর মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতি। তাই যদি হয়, তাহলে এই জাতীয় সংলাপের পরে তাদের উচিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য’ নিশ্চিত করার জন্য একাডেমিক ও প্রায়োগিক গবেষণা ও অনুকূল কার্যক্রম পরিচালনা করা। জাতীয় স্বার্থে সচেতন নাগরিকরা সংগতভাবেই তাদের সঙ্গে থাকবেন।

সূত্র, আমার দেশ