২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে যখন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলাহীনতাকে টার্গেট করে ফ্যাসিবাদী মহাজোট, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগী মহল ও ভারতপন্থি সুশীল সমাজের একাংশ মিলেমিশে ১৫ বছরের বয়ানের ধারাবাহিকতায় একটি নতুন বয়ানতন্ত্র তৈরির চেষ্টা করে।
এটি সচেতন মহলের কাছে পরিষ্কার হলেও তা জনগণের কাছে কতখানি স্পষ্ট হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কেননা ২০১৩-১৪-১৫ সালের তুমুল সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বিভিন্ন বিভক্তিমূলক বয়ানের মাধ্যমেই ‘ডিহিউম্যানাইজেশন’ বা ‘বি-মানবিকীকরণ’ করে নৃশংসভাবে দমন করা হয়েছিল।
এই লেখায় বর্তমানে প্রচলিত শক্তিশালী কিছু বয়ান খোঁজার প্রয়াস চালানো হয়েছে। এ সময় তৈরি করা বয়ানগুলোর কয়েকটি হলো— ১. ‘ইনক্লুসিভ নির্বাচন’ বয়ান সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের একাংশ ইন্টারিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় যে, তারা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে।
অথচ বাস্তবে আওয়ামী লীগ তিনবার বিরোধী দলগুলো বাদ দিয়ে গৃহপালিত বিরোধী দল নিয়ে নাটুকে ও প্রহসনের নির্বাচন করেছে। এছাড়া ১৯৭২-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে তিন বছরের মাথায় সব দল ও পত্রপত্রিকাকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করা হয়। যেহেতু আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলের রেজিমকে ফ্যাসিবাদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদে, সে ক্ষেত্রে লীগ এবং রেজিমের সঙ্গে সম্পর্কিত সবাইকে একটি ‘বিচার ও রিকনসিলিয়েশনের’ মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে শুধু দল নয়, বরং মতাদর্শিকভাবে ‘মুজিববাদ’ বা ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’র মতো ‘অপরায়ণকারী, ‘গণহত্যাকারী’ ও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ, সিম্বল, স্লোগান অথবা প্রকাশনীকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিগত বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে চীরতরে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানি ইতালি করেছিল হিটলার ও মুসোলিনির নাৎসি ও ফ্যাসিস্ট সিম্বল, স্লোগান ও মতাদর্শকে। এছাড়া ২০১৪ সালে ইউরোমাইডান বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাত হওয়া ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পার্টি—কমিউনিস্ট পার্টি অব ইউক্রেনের প্রতীক ও আদর্শ নিষিদ্ধ হয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে পার্টি নিষিদ্ধ হয়। একইভাবে ১৯৮৯ সালে রোমানিয়ায় বিলুপ্ত হয় দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছরের স্বৈরশাসক নিকোলাই চাউশেস্কুর দল রোমানিয়ান কমিউনিস্ট পার্টিও।
আন্তর্জাতিক উদাহরণগুলোর মতো পদ্ধতিগত বিচারের দাবি না করে, যারা ইনক্লুসিভ নির্বাচনের দোহাই তুলে আওয়ামী লীগের ‘নরমালাইজেশন’ করছেন, তারা সম্ভবত ফ্যাসিবাদের পক্ষে বয়ান তৈরিতে নিজেদের দায় আড়াল করতেই এই নতুন শব্দবন্ধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ২. ‘মব সন্ত্রাস’ এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকার উত্তেজিত ও সুযোগসন্ধানী জনতার সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ভাঙা, গণপিটুনিতে নিহত হওয়া, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, কবর থেকে লাশ উঠিয়ে হত্যার মতো ঘটনা সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রকাশ। এছাড়া এক বছর পার হলেও প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারা এবং শুদ্ধিকরণ অভিযান না চালাতে পারাও সরকারের ব্যর্থতা।
এসবের সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের ধ্বংসযজ্ঞ, হামলা, মামলা, গণহত্যা, গুমের নিপীড়নের পিষ্ট জনতার মুক্তির জনরোষের ফলে জাতির প্রভু বনে যাওয়া ফ্যাসিবাদী আইকন শেখ মুজিবের মূর্তি বা বাড়ি ভাঙচুর কিংবা আওয়ামী ও ভারতপন্থি বাম নেক্সাসের সহযোগী রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা, সাংবাদিক কিংবা নিষিদ্ধ লীগের নেতাকর্মীদের জনতার হাতে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে যখন সংঘবদ্ধভাবে ‘মব সন্ত্রাস’ বলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির রব তোলা হয়, তা নিঃসন্দেহে ইন্টারিম সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা তথা গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটকে হেয় করার বয়ান, তা বোঝার বাকি থাকে না। অথচ বেশ কয়েকটি বেসরকারি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি বিগত বছরগুলোতেই বরং অনেক বেশি উদ্বেগজনক ছিল। একই সঙ্গে গত দেড় দশকের সব ধরনের জিঘাংসু নিপীড়ন; যেখানে মাত্র একজন সামরিক কর্মকর্তা হাজারেরও বেশি মানুষকে গুম করে খুন করেছেন; সেসব অগণিত গুম, মৃত্যু, পঙ্গুত্ব, গ্রেপ্তারি, অতঃপর জুলাইয়ে দুই সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু ও ৩০ হাজার মানুষের আহত হওয়া পরবর্তী জনরোষ, উত্তেজনা ও সহিংসতাও এসব সমীক্ষায় এসেছে। অথচ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের শঙ্কায় বলেছিলেন—এতে ৫-১০ লাখ লোকের জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য না হলেও শঙ্কা ও ৪৭-৭১-পরবর্তী ইতিহাসের তুলনায় বলা চলে, দেশের মানুষ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। ৩. ‘ইউনূস সরকার ব্যর্থ’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে গঠিত হওয়া ইন্টারিম সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলমান। বিভিন্ন সংবাদপত্র, প্রিডেটরি রিপোর্ট এবং ইউকে, ইউএসএ-অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্ডিয়ার মতো দেশে পাচারকৃত হাজার কোটি টাকায় বিদেশি লবি নানাভাবে প্রচার করে, ইউনূস ‘ব্যর্থ হচ্ছেন’ কিংবা দেশে ‘মৌলবাদের উত্থান’ হয়েছে, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা’ চালানো হয়েছে। এসব অপপ্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত পালিয়ে যাওয়া হাসিনার চৌদ্দদলীয় ফ্যাসিবাদ ও তাদের প্রধান সহযোগী রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার আধিপত্ববাদী অংশ। যদিও এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্ট চেকিংয়ের ফলে ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে চলা গুজবগুলো বিশ্বের দরবারে সফল হয়নি। তবে এভাবে মূলত তাকে নৈতিকভাবে দুর্বল করে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, যাতে ইন্টারিম সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এবং মানুষ নতুন নতুন আন্দোলনে নামে। একই সঙ্গে দেশের যেকোনো সংকটের মূল কারণ ধামাচাপা দিয়ে মুখস্থ দায় চাপানো হয়। যেমন : ব্যবসায়িক সংকট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিংবা প্রশাসনিক যেকোনো ব্যর্থতার জন্য এককভাবে ইন্টারিম সরকারকে দায়ী করা হয় অথচ এগুলোর শেকড় তৈরি হয়েছিল গত দেড় দশকের অব্যবস্থাপনা থেকে। ৪. ‘দক্ষিণপন্থার উত্থান’ মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের একাংশ পুরোনো সময়ের ‘মৌলবাদী’ জুজুর মতো আবার ‘দক্ষিণপন্থা’র ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যেহেতু প্রো-সেক্যুলার ও লেফট হিসেবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল বিগত রেজিম, সেহেতু আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া এবং ১৫ বছর নানা নিপীড়নের শিকার হওয়া জামায়াত অন্যতম প্রধান বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছে ও বাকি ইসলামপন্থি দলগুলোর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বাড়ছে। এছাড়া ডাকসু ও জাকসুতে শিবিরের চৌকস রাজনীতিতেও তারা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। তাই সবখানে বলা হচ্ছে, দেশে দক্ষিণপন্থার উত্থান ঘটেছে। অথচ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ডান, মধ্যম কিংবা বাম সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের দায়িত্ব, যদিও জামায়াত বা কোনো ইসলামপন্থি দল কখনোই কোনো নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দেশে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সময়ে বামপন্থিদের বড় অংশের হাত ধরে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের মতো রাষ্ট্রদ্রোহমূলক উত্থান ও পরিণামে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হলেও তখন বামপন্থার উত্থান কিংবা কমিউনিজমের উত্থানের কথা বলা হয়নি। এছাড়া একইভাবে ‘স্বাধীনতাবিরোধী’, ‘মৌলবাদ’র ভয় দেখিয়ে ২০১৪, ২০১৮ কিংবা ২০২৩-এর ভোটার ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচন এবং একের পর এক গণহত্যার বৈধতা দিয়েছে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া, সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, সারা বিশ্বেই রাজনৈতিক জোটগুলো ডান ও লিবারেল ধারায় বিভক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিংবা ইতালি, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, সুইডেনের ক্ষমতাসীন দলগুলো মূলত খ্রিষ্টান কনজারভেটিভ ধারার দল তথা ডানপন্থি দল। ইংল্যান্ডেও সাম্প্রতিক সময়ে লেবার পার্টির জয়ের আগে বেশ অনেক টার্ম ধরে কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাসীন ছিল। এছাড়া সম্প্রতি নেপালে জেনজদের অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি শর্মা ছিলেন বাম মতাদর্শের। এ ক্ষেত্রে এসব দেশের রাজনৈতিক কালচার ও কিছু পলিসির বাইরে রাষ্ট্রীয় এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার খুব বেশি হেরফের হয়েছে, তা বলা যায় না। ৫. ‘ছায়া সরকার’ সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক দশক ধরে সুশীল সমাজের প্রভাবশালী থাকা একটা অংশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ইন্টারিম সরকারের মধ্যে আরেকটি ‘ছায়া সরকার’ রয়েছে। সাধারণত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিটি সরকারের মধ্যেই একটা অংশ বেশ শক্তিশালী থাকে প্রকৃতিগতভাবেই। অথবা দু-তিনটি ভিন্ন অংশ থাকে, যারা সরকারের বিভিন্ন পলিসি নেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন মতামত দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। এগুলো সেভাবে জনপরিসরে না এলেও সাধারণত ওপেন সিক্রেটের মতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু কোনো দলীয় সরকার নয় বরং অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার, সেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বেশ কিছুটা রশি টানাটানি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী ও চৌদ্দদলীয় ফ্যাসিবাদের প্রত্যক্ষ সহযোগী ছাড়া সব দল এবং মতের মানুষদের দ্বারাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারিয়েট, বিভিন্ন কমিশন, চুক্তিভিত্তিক পজিশন কিংবা সারা দেশের প্রশাসন পুনর্গঠন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, জনসমর্থন অথবা প্রভাবের ভিত্তিতেই সরকারের বিভিন্ন অবস্থানের বিতরণ হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য, সুতরাং সরকারকে কোনো নির্দিষ্টপন্থি সরকার বলা কিংবা ছায়া সরকারের আলাপ তোলা নিঃসন্দেহে গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেটের প্রতি অশ্রদ্ধার শামিল। এছাড়া যারা এসব প্রশ্ন তুলছেন, তারাও নানাভাবে এ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে সেই দায়ভার তাদের ঘাড়েও চাপে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হওয়া সরকারের নানা বিষয়ে দুর্বলতা ও দীর্ঘ সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রসংস্কারে তার ব্যর্থতা, ফ্যাসিবাদের সহযোগী প্রশাসনের অসহযোগিতা, ১৫ বছরের সুপ্ত জনরোষকে ঘিরে যে নয়া বয়ানতন্ত্র গড়ে তোলা হচ্ছে, তা মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগ ও ভারতপন্থি বাম নেক্সাসের দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দেওয়া বয়ান তৈরির ধারাবাহিকতার মতোই। সুতরাং সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার উচিত ‘ভাষা ও বয়ান’ তৈরির এই রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন থেকেই সরকারের সমালোচনা জারি রাখা। এছাড়া দেশ-বিদেশের যেকোনো গুজব বা অপপ্রচারের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশের দূতাবাসগুলোকে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় থাকতে সরকারের জোর তদারকি থাকা প্রয়োজন। লেখক : মুহাম্মাদ তালহা, রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ