বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াতে প্রস্তুত, এমনকি যখন অন্যরা তা করতে অস্বীকার করে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বেশ কিছু ইউরোপীয় মিত্র দেশ আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার প্রতি আগ্রহী নয়। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র বারবার তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মানবিক সহায়তায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৪ জুন, গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবিসংবলিত একটি প্রস্তাবে তারা ভেটো দেয়। একই সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে না পারে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে এক উদ্বেগজনক সত্য উঠে এসেছে- পশ্চিমা বিশ্ব শুধু তখনই ন্যায়বিচারের প্রশ্ন উপস্থাপন করে, যখন তা তাদের স্বার্থের অনুকূলে থাকে এবং তাদের মিত্রদের অপরাধের ক্ষেত্রে তারা দৃশ্যত চোখে ঠুলি পরে থাকে। সে কারণে আইসিসি বা পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় থাকলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর উচিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা। এ নিবন্ধে সে বিষয়ে সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। Traditional print newspaper
ইসরাইল ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়েছে- এ বিষয়ে এখন জোরালো প্রমাণ রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত ও বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং দেশটির সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে- বেসামরিক মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ধ্বংসসাধন এবং ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা।
পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে শক্তিশালী পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ইসরাইলকে যেসব অস্ত্র সরবরাহ করেছে, সেগুলো ইসরাইলের সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারী বোমা যা গাজায় স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক বাসস্থানে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। এসব দেশের কর্মকর্তারা আইনতভাবে কতটুকু দায়বদ্ধ হতে পারেন, তা নির্ভর করে তারা অস্ত্র সরবরাহের সময় কতটুকু অবগত ছিলেন। সেই সাথে কী উদ্দেশ্যে তা পাঠিয়েছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে তারা সরাসরি এসব অপরাধ সংঘটন বা এতে সহায়তার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত মন্তব্য, সেই মন্তব্যে তিনি গাজাকে দখল করে সেখানে পর্যটন স্পট গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাই এ বক্তব্যের পরপরই ইসরাইলকে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা সরবরাহের ঘটনার সাথে সেখানে যৌথভাবে গণহত্যার ইচ্ছা বা মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এমনকি যদি পশ্চিমা নেতাদের অপরাধের সরাসরি ইচ্ছা প্রমাণ করা না যায়, তবু তারা ওই অপরাধে সহায়তা দেয়ার দায়ে দায়ী হতে পারেন। এ ধরনের দায়বদ্ধতার আইনি মানদণ্ড অপেক্ষাকৃত কম। তথাপি অপরাধে সহায়তা ও প্ররোচনা দেয়ায় কেবল এটি প্রমাণ করাই যথেষ্ট যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধ সংঘটনে সাহায্য বা সুবিধা দিয়েছেন, এমনকি যদি অপরাধটি তাদের মূল উদ্দেশ্য না-ও হয়।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরোয়ানা জারি করার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তদন্ত বাতিলে আদালতের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করে। আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ডেভিড ক্যামেরন ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানকে হুমকি দিয়েছিলেন। ক্যামেরন সতর্ক করেছিলেন, যদি খান গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তে অগ্রসর হন, তবে যুক্তরাজ্য আইসিসির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেবে। এটি একটি স্বাধীন বিচারিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের স্পষ্ট অপচেষ্টা ছিল। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরো এক কাঠি সরেস। আইসিসির পদক্ষেপের জবাবে মার্কিন-প্রশাসন প্রসিকিউটর খানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারে এমন সব সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি তাকে সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ কর্মকাণ্ড আইসিসির স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণের শামিল বলে গণ্য হয়।
এ দিকে আইসিসির সদস্য হওয়া সত্তে¡ও ফ্রান্স ঘোষণা করেছে, নেতানিয়াহু ফ্রান্স সফর করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না। ফ্রান্সের দাবি, যেহেতু ইসরাইল আইসিসির সদস্য নয়, তাই নেতানিয়াহু গ্রেফতার থেকে অব্যাহতি পাবেন। তবে ইসরাইল প্রসঙ্গে ফ্রান্সের এ অবস্থান রাশিয়ার ক্ষেত্রে তার অবস্থানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আইসিসির সদস্য না হওয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষেত্রেও একই আইনি ব্যবস্থা প্রযোজ্য। তা সত্তে¡ও পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করতে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এমন কোনো প্রত্যাখ্যানমূলক বিবৃতি আসেনি।
এ ঘটনাগুলো প্রকাশ করে, শক্তিশালী পশ্চিমা সরকারগুলো শুধু ইসরাইলি কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার থেকে রক্ষা করছে না; বরং আইসিসিকেও দুর্বল করছে, যে আদালত তারা নিজেরাই মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গঠন করেছিল। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগে পশ্চিমাদের এই দ্বিমুখী নীতি ও কপটতা এখন স্পষ্ট। ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব এখন অন্যান্য দেশের ওপর বর্তেছে, বিশেষ করে দক্ষিণের দেশগুলোর (গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো) ওপর। এ দেশগুলোর অনেকের এমন আইন ও বিচারব্যবস্থা রয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের সুযোগ রয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি যুদ্ধাপরাধীদের অবাধে ভ্রমণের সক্ষমতা সীমিত করবে। যদি তারা আরো বেশি দেশে গ্রেফতার ও বিচারের আশঙ্কায় আতঙ্কিত থাকেন, তবে তাদের পক্ষে আর নির্দ্বিধায় বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব হবে না। তাদের ফেরারি হিসেবে দেখা উচিত, রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে নয়।
এ অবস্থান অর্জনে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হলো ‘সর্বজনীন এখতিয়ার’ (ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন)। সর্বজনীন এখতিয়ার হলো একটি আইনি নীতি, যা কোনো দেশকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে, এমনকি যদি সেই অপরাধ অন্য দেশে সংঘটিত হয়ে থাকে এবং তা তাদের নিজস্ব নাগরিকদের সাথে সংশ্লিষ্টতা নাও হয়। অন্য কথায়, একটি দেশ আইনিব্যবস্থা নিতে পারে এমনকি যদি অপরাধটি সরাসরি তাদের সাথে কোনো সংযোগ না থাকে।
তবে সাধারণত একটি শর্ত থাকে- যে ব্যক্তিকে অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাকে অবশ্যই সেই দেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে, যেখানে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। খুব কম দেশ অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচার (ট্রায়াল ইন অ্যাবসেনটিয়া) পরিচালনার অনুমতি দেয়। সেই সাথে এমন বিচারগুলোও অত্যন্ত বিরল।
সর্বজনীন এখতিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণের একটি হলো ১৯৬১ সালে নাজি কর্মকর্তা অ্যাডলফ আইখম্যানের বিচার। আইখম্যানকে আর্জেন্টিনায় ইসরাইলি এজেন্টদের দ্বারা গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য ইসরাইলে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। যদিও অপরাধগুলো ইউরোপে সংঘটিত হয়েছিল। সেগুলো সংঘটনের সময় ইসরাইল রাষ্ট্রই অস্তিত্বে ছিল না, তবু ইসরাইল যুক্তি দিয়েছিল যে, তারা সর্বজনীন এখতিয়ারের নীতির অধীনে আইখম্যানের বিচার করতে পারে। অন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ১৯৯৮ সালে, যখন সাবেক চিলির একনায়ক জেনারেল অগাস্টো পিনোশেকে যুক্তরাজ্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্পেন তাকে গণহত্যা, সন্ত্রাস ও হত্যার মতো অপরাধে বিচারের জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছিল। যদিও পিনোশে কখনো বিচারের মুখোমুখি হননি। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি পেয়েছিলেন। তবু মামলাটি এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছিল যে, ক্ষমতাধর নেতারাও বিদেশে দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে পারেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশ আইএসআইএসের সাথে জড়িতদেরসহ সিরিয়ায় সংঘটিত অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারে সর্বজনীন বিচার নীতির ব্যবহার করেছে। এ মামলাগুলো প্রমাণ করে, সর্বজনীন এখতিয়ার বৈশ্বিক ন্যায়বিচারে একটি ক্রমবর্ধমান ও শক্তিশালী হাতিয়ার।
আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক বিচার পরিচালনায় বাংলাদেশের ইতোমধ্যে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সর্বজনীন এখতিয়ার প্রয়োগে দেশটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের অধীনে একাধিক বিচারকাজ পরিচালিত হয়েছে। যদিও এসব বিচারকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছেন, তবু এগুলো বাংলাদেশের আইনজীবী, বিচারক ও প্রসিকিউটরদের জন্য জটিল আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা এনে দিয়েছে। প্রসিকিউটর দল ও বিচারকরা পূর্ববর্তী ত্রুটিগুলো থেকে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইনি সংস্কার করা হয়েছে। আইনে বর্ণিত আন্তর্জাতিক অপরাধের সংজ্ঞাগুলো এখন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) ব্যবহৃত সংজ্ঞার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। তবে বর্তমান আইনে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বর্তমানে এ আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল কেবল বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধের জন্য বিদেশী নাগরিকদের বিচার করতে পারে। একটি সহজ সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটিকে সম্প্রসারিত করা উচিত, যাতে বিশ্বের যেকোনো স্থানে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার ট্রাইব্যুনাল করতে পারেন।Traditional print newspaper
এটির সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকবে। এটি একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে যে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে দাঁড়াতে প্রস্তুত, এমনকি যখন অন্যরা তা করতে অস্বীকার করে। এটি আরো নিশ্চিত করবে যে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত, ফিলিস্তিন, সিরিয়া বা অন্য যেকোনো জায়গায়, তারা যদি কখনো বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এর সাথে শুধু সরাসরি অপরাধ সংঘটনকারীরাই নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো দেশের সরকারি কর্মকর্তারাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, যারা এসব অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন।
যদি আরো বেশি দেশ এ পথ ও পন্থা অনুসরণ করে সর্বজনীন বিচারের নীতি প্রয়োগ শুরু করে, তাহলে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ীদের জন্য অবাধে চলাচল করা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠবে। তাদের আর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হবে না; বরং তাদের দেখা হবে ন্যায়বিচার থেকে পালিয়ে বেড়ানো ফেরারি আসামি হিসেবে। এ ধরনের বৈশ্বিক চাপ শেষ পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বকে আরো দায়িত্বশীল, আরো ন্যায়সঙ্গত ও আইনের শাসনের প্রকৃত সম্মানবোধে কাজ করতে বাধ্য করতে পারে।Traditional print newspaper
লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিবন্ধিত কৌঁসুলি