প্রতিবছর কোরবানির ঈদ এলেই কিছু লোক অবরে-সবরে, গোচরে-অগোচরে একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর কোশেশ করে থাকেন যে প্রাণী হত্যা করা ঠিক নয়। আর ইদানীং তো অনেকে ডিজিটাল নেটওয়ার্কিংয়ে এসব নিয়ে ডিসকোর্স দাঁড় করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বুঝে হোক আর না বুঝে হোক। তাই বিষয়টি সম্পর্কে পাঠকদের ভুল ধারণাগুলো দূর করতেই আজকের লেখাটা লিখতে তাগাদা অনুভব করলাম। এখন একটু ইতিহাসের ফ্ল্যাশব্যাক থেকে র্যাম্বেলিং করে আসি, মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন নবী ইবরাহিম (আ.) ইসমাইলকে কোরবানি করতে চেয়ে ছিলেন, কিন্তু ইহুদিরা বিশ্বাস করে তিনি চেয়ে ছিলেন ইসহাককে কোরবানি করতে।
আদতে, মানুষ উৎসর্গ করার ইতিহাস কিন্তু নতুন কিছু নয়, এটা নবী ইবরাহিম থেকে শুরু হয়েছে তাও কিন্তু নয়। এই আর্কিটাইপ রিসুয়াল নবী ইবরাহিমের জন্মেরও হাজার হাজার বছর আগ থেকে পৃথিবীতে চলে আসছে। আর প্রাচীন ধর্ম এবং ধর্মীয় রীতিনীতির ওপর গবেষণা করে একটি বই লিখেছেন বিখ্যাত স্কটিশ নৃবিজ্ঞানী স্যার জেমস জর্জ ফ্রেজার। তার বইয়ের নাম হলো-‘The Golden Bough : A study in Magic and Religio’ তিনি বইটিতে দেখিয়েছেন, প্রাচীনকাল থেকে নরবলি দেওয়ার বা মানুষকে স্রষ্টার জন্য উৎসর্গ করার একটা রেওয়াজ ছিল, বর্তমানে যা মার্ডার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এলো উৎসর্গকরণ কিন্তু বন্ধ হয়নি, এখন নরবলির জায়গায় পশু বলি দেওয়া হচ্ছে। মানুষ উৎসর্গ করাকে বলা হয় Dying God আর পশু উৎসর্গ করাকে বলা হয় Scapegoat। কারণ আর্কিটাইপাল সোসাইটির মানুষ মনে করত দেবতা আমাদের সামনে রয়েছে, তাই দেবতাকে আমাদের সামনে থেকে বেহেশতে বা অন্য কোথাও পাঠাতে হলে দেবতাকে নরবলি দিয়ে খুশি করতে হবে। তাই মানুষ দুঃখ ভরা হৃদয়ে নরবলি দিত। এমনকি কখনো কখনো রাজ কর্মচারীদেরও বলি দেওয়া হতো, যেন তারা পরবর্তী জন্মে রাজার হয়ে সেবা করতে পারে, যা আমরা ইনকা, মায়া, মিসরীয়, গ্রিক-এমনকি ইন্ডিয়ান সভ্যতায়ও দেখতে পাই, বিশেষ করে আর্যদের সময়ে ঢের বেশি নরবলি দেওয়া হতো। আর সে জন্যই গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, ‘জীবে দয়া কর’। পাঠক এখানে একটা বিষয় স্মরণ করে দিতে চাই যে, অনেকে না জেনে আর্যসভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। আসলে এটা একেবারেই সত্য নয়, বৈদিক সভ্যতা বা বৈদিক ধর্ম বা বৈদিক ভাষাটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। আর্যদের ভাষা ছিল সংস্কৃত। সংস্কৃত নাম এ জন্যই হয়েছে যে বৈদিক ভাষাটাকে সংস্কার করে সংস্কৃত ভাষা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেকে হিন্দু ধর্মকে সনাতনী ধর্ম বলে অভিহিত করে থাকেন এবং বৈদিক ধর্মকে ওতপ্রোতভাবে কানেক্ট করার কোশেশ করে থাকেন, এটাও বিলকুল সত্য নয়। বৈদিক সম্পূর্ণ আলাদা একটি ধর্ম ছিল যে ধর্মের অনুসারীরা গরুর গোশত খেত এবং হিন্দুদের মতো দেবদেবীর তারা পূজা করত না; বরং যজ্ঞ করত।
যাই হোক, প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক গরুর গোশত রপ্তানিকারক দেশগুলোর পরিসংখ্যান, গরুর মাংস রপ্তানি করে এ রকম ১০টি দেশ হলো ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া আমেরিকা, আর্জেন্টিনা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, উরুগুয়ে, পেরাগুয়ে ও আয়ারল্যান্ড। তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছে ভারতের নাম। এমনকি তালিকায় প্রথম যে তিনটি দেশ আছে, এরা কেউ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ নয়। তালিকার প্রথম ১০টি দেশ মিলিয়ে শুধু ২০২৩-২৪ সালেই ৪২-৫০ বিলিয়ন ডলার মতো মাংস রপ্তানি করেছে পুরো বিশ্বে। ভারত এখানে কন্ট্রিবিউট করেছে শতকরা ৮- ১২ ভাগ। আনুমানিক ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের গরুর গোশত রপ্তানি করে ভারত। তালিকার প্রথম ১০টি দেশের মধ্য কোনো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ নেই। একদম ২৩ নম্বর অবস্থানে আছে পাকিস্তানের নাম, ২৭ নম্বরে আছে তারকিয়ে, ৩২ নম্বরে সোমালিয়া, ৩৬ নম্বরে সুদান ও ৪১ নম্বরে ইন্দোনেশিয়া।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচারের দেওয়া তথ্যমতে জাপানে শুধু ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই ১০৫০টি গরু জবাই করা হয়েছে।
তালিকাটি যদি একটু বড় করি তাহলে দেখাতে পারব, শুধু শূকরের মাংসের জন্যই একই বছরের জানুয়ারি মাসে প্রায় ১৬ হাজার ৫৭০টি শূকর জবাই করা হয়েছে। বাদ রইল ঘোড়া। জাপানের মানুষ সেটাও বাদ দেয় না। কানাডা থেকে ঘোড়া আমদানি করা হয় জাপানিদের জন্য। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, প্রতিবছর প্রায় ১৯ বিলিয়ন মুরগি, দেড় বিলিয়ন গরু, এক বিলিয়ন ভেড়া এবং সমপরিমাণ শূকর জবাই করা হয়ে থাকে। বিগত ৫০ বছরে গোশতের চাহিদা বেড়েছে তিন গুণ। এর বেশির ভাগটাই চীন এবং ইউরোপিয়ানদের পেটে যায়। শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৮০০টির ওপরে স্লটার হাউস আছে, যেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড মাংস প্রক্রিয়াজাত হয় (নিউ ইয়র্ক টাইমস, এপ্রিল ১৮, ২০২০)
এসব তো গেল গরুর গোশত নিয়ে ব্যবসায়ের কথা। এবার আসুন একটু দেখে আসি কোন কোন দেশ সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত ভক্ষণ করছে। যেমন : আমেরিকা, চীন, ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্ডিয়া, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পাকিস্তান, রাশিয়া ও জাপান।
তালিকার প্রথম ১০টি দেশের মধ্য মুসলিম অধ্যুষিত একমাত্র দেশ হলো পাকিস্তান। এবার দেখা যাক মাথাপিছু আয় অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি গরুর গোশত ভক্ষণ করা দেশগুলো। যেমন : আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, আমেরিকা, ব্রাজিল, চিলি, কাজাখস্তান, ইসরাইল, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড। এদিক দিয়ে ও মুসলমানরা অনেক পিছিয়ে, যা তালিকা দেখলেই সহজে বোঝা যায়। তালিকার প্রথম ১০টি দেশের মধ্য মুসলিম অধ্যুষিত একমাত্র দেশ কাজাখস্তানের অবস্থান হলো ৬ নম্বরে। আর ১৬ নম্বরে তুরস্কের নাম আছে, পাকিস্তান ৬০, মালয়েশিয়া ৯০, সউদি আরব ১০০ ও ইন্দোনেশিয়া ১৪০ আর বাংলাদেশ ১৬০।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এই রিপোর্টের (ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম) তথ্য বলছে, আমেরিকার একজন মানুষ বছরে প্রায় ৯৯ কেজি বা ২১৯ পাউন্ড গোশত খান। আমেরিকানরা তাই সবার ওপরে।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। ২০৩ পাউন্ড করে খান বছরপ্রতি, তৃতীয় অবস্থানে আছে আর্জেন্টিনা। মাথাপিছু ১৯৮ পাউন্ড গোশত খায় প্রতিবছর, চতুর্থ অবস্থানে আছে ইসরাইল। মাথাপিছু ১৯৫ পাউন্ড গোশত। পরের অবস্থানে যারা আছেন, তারা কেউ মুসলিম দেশ না। ব্রাজিল, কানাডা, নিউজিল্যান্ড আর চিলির মানুষ গোশতই বেশি খেতে পছন্দ করেন।
যাই হোক, কোরবানি ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কীভাবে প্রাণসংহার করার সিলসিলা জারি রয়েছে, তার একটা বিবরণ দিচ্ছি। তোরজা উপজাতির মধ্যে একটা অনুষ্ঠান প্রচলিত আছে। তারা মৃত মানুষের সম্মানার্থে অনুষ্ঠানটা করে। সেই অনুষ্ঠানে জীবন্ত মহিষের গলায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যন্ত্রণা দেওয়া হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘রক্তাক্ত উৎসব’ হিসেবে পরিচিত নেপালের গাধিমাই। আড়াই শ বছর ধরে সংঘটিত হওয়া প্রাণী বলিদানের এই উৎসবে নেপালের হিন্দুরা তাদের দেবী গাধিমাইয়ের উদ্দেশে লাখ লাখ প্রাণী হত্যা করে থাকে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর তাদের এই উৎসব হয়। ২০০৯ সালের উৎসবে পাঁচ লাখ গরু, ইঁদুর, ছাগল, কবুতর এবং আরো বিভিন্ন প্রাণী হত্যা করা হয়, ২০১৪ সালে ২ লাখ প্রাণী হত্যা করা হয়েছিল এবং ২০১৯ সালের উৎসবেও অসংখ্য গরু, ছাগল, ইঁদুর, শূকর, মুরগি এবং কবুতর হত্যা করা হয়। তাদের এই উৎসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তারা এটা বন্ধ করেনি।
চীনে কুকুরের গোশত খাওয়ার বার্ষিক উৎসবে (ডগ মিট ফেস্টিভ্যাল) প্রতিবছর তারা ১০ মিলিয়ন কুকুরকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। প্রথানুযায়ী, তারা লিচুর সঙ্গে কুকুরের গোশত মিশিয়ে খায়, তাদের বিশ্বাস কুকুরের গোশত খেলে রোগব্যাধি মুক্ত এবং সুস্থ থাকা সম্ভব। করোনাকালে কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তাদের উৎসব অব্যাহত রয়েছে। মেক্সিকোর বুল ফেস্টিভ্যালে ষাঁড়দের জোর-পূর্বক অ্যালকোহল খাওয়ানো হয় এবং এরপর নদীতে নৌকায় করে নিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। ব্রাজিলের ‘Farra do Boi’ উৎসবে গরুদের ধাওয়া করে লাঠি, ছুরি, চাবুক এবং পাথর দিয়ে মারা হয়। তাদের চোখে শুকনো মরিচ ঘষে দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলা হয়। ভিয়েতনামের পিগ স্লাটার উৎসবে শূকরদের চার পা বেঁধে বিশাল তরবারি দিয়ে হত্যা করা হয়। সাউথ আফ্রিকায় পুরুষদের ‘পৌরুষত্ব’ পরীক্ষা করতে যুবকরা ষাঁড়ের সঙ্গে কুস্তি করে, ষাঁড়ের ঘাড় ভেঙে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্পেনের Toro Jublio উৎসবে ষাঁড়দের শিংয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং অসহায় ষাঁড়দের মুখ, চোখ ও শরীর ঝলসে যায়। ম্রো আদিবাসীরা তাদের গো উৎসবে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে খঁচিয়ে গরুকে আঘাত করে এবং গরু যখন মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে, তখন তার জিভ খুঁচিয়ে বের করে আনা হয়।
পাশ্চাত্যে পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সিপিবি অনুসরণ করা হয়, যার দ্বারা পশুকে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে অচেতন করে হত্যা করা হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এতে পশু তীব্র কষ্ট পায়। পুরো দুনিয়ায় নৃশংসভাবে কারণে-অকারণে পশু হত্যা আর মুসলিমদের পশু কোরবানির মধ্যে আসল তফাতটা হলো মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে খোদার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে কোনো প্রাণী হত্যা করতে হলে উত্তমরূপে অনুগ্রহ ও কোমল হৃদয়ের সঙ্গে হত্যা করতে হবে, যেন জবেহ করার সময় জন্তুর অধিক কষ্ট না হয় এবং জবাই করার জন্য পশুদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না, পরিপূর্ণ নিস্তেজ হওয়ার আগে ছুরিকাঘাত কিংবা চামড়া সরানো যাবে না। তা ছাড়া নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা প্রতিটি বস্তুর সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটাও বলেছেন, জীবিত অবস্থায় যে প্রাণীর কোনো অংশ কাটা হয়, সেটা মৃত তথা হারাম হয়ে যাবে।
পরিশেষে বলি, স্পেনের বুল ফাইট দেখে আপনাদের কাছে অস্বস্তি লাগে না? বিয়ার গ্রিলসকে দেখে আপনাদের মধ্যে অনুশোচনাবোধ কাজ করে না? বিফ বার্গার খেতে গিয়ে কোনো দিন মনে হয়নি ভেতরের বিফটা কোথা থেকে এলো ? অমলেট খেতে গিয়ে মনে আসছে না একটা প্রাণ গিলে নিচ্ছেন? বারবিকিউ করতে গিয়ে ঝলসানো মুরগির মাংস দেখে কখনো মনে প্রশ্ন আসেনি যে আপনি বা আপনারা প্রাণী হন্তারক? গাছেরও তো প্রাণ আছে। তাহলে ঘাস মাড়িয়ে চলেন কেন? কাঠ দিয়ে ফার্নিচার বানাচ্ছেন কেন? প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ খাচ্ছেন কেন? অথবা ভিটামিনের উৎস হিসেবে শাকসবজি খাচ্ছেন কেন?
এরপরও যদি আপনার মনে হয় শুধু মুসলিম বলেই একজন মানুষকে কোরবানির সময় সমালোচনা করা উচিত, এরপরও যদি আপনার মনে হয় কোরবানির মৌসুম এলেই পশুপ্রেম নিয়ে আপনার কথা বলা উচিত, তাহলে আমি বলব, আপনি সমালোচক নন, আপনি একজন সুযোগসন্ধানী নিন্দুক, সবই জানেন, বোঝেন কিন্তু মানতে চান না। আদতে বিষয়টি ধর্মীয় স্পিরিট ও নর্ম বৈ কিছুই নয়। আর দুনিয়া সৃষ্টি ও টিকে থাকার মেথোডলজিক্যাল প্রসেসটাই এ রকম যে, এখানে বেঁচে থাকতে হলে কিছু না কিছু খেতে হবেÑসেটা উদ্ভিদ, পশু, পাখি, প্রাণী যাই হোক না কেন। তাই এক জীবকে অন্য জীবের জন্য বেঁচে থাকার অবলম্বন করে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধর্মই ফুটবল নয়, তাই ধর্মকে ফুটবলের মতো ব্যবহার না করে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং পারসোনার যবনিকা টানুন, কারণ পারসোনা এক ধরনের পাইপোক্রেসি।
লেখক : সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক ফ্রাই ইউনিভার্সিটি বার্লিন, জার্মানি