বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে অপরাধ। ধর্ম মানুষের আত্মিক সম্পদ, তা দিয়ে ভোটের ব্যবসা চলতে পারে না।

আমাদের সবার পরম শ্রদ্ধেয় দাদা এই কথাটি কি শুধু বাংলাদেশকে টার্গেট করে বলেছেন, নাকি তাতে ইন্ডিয়াকেও সংযুক্ত করেছেন, তা মালুম হচ্ছে না! ধর্মের যেমন অপব্যবহার আছে, তেমনি এর ব্যবহারও রয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ যোগ করেছিলেন। ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস যোগ করেছিলেন। এগুলোও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার, নিঃসন্দেহে ধর্মের অপব্যবহার নয়! কাজেই সাময়িক লাভের জন্য এমন কিছু করা বা বলা ঠিক হবে না, যা দলের মূল পলিটিক্যাল ফিলোসোফিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বিএনপি মূলত কনজারভেটিভ ঘরানার দল। আমি যখন ২০১৬ সালে বিএনপির অ্যাক্টিং চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি, তখন তিনি ওয়ার্ল্ড কনজারভেটিভ দলগুলোর ফোরাম থেকে বিএনপির আমন্ত্রণপত্রটি দেখিয়েছেন। সেই সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদসহ আরো কয়েকজন নেতা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্মেলনে যোগদানের উপলক্ষে বিএনপিকে যোগদানের জন্য যে আমন্ত্রণপত্রটি দেওয়া হয়েছিল, সেটিও আমাকে একটু আগ্রহভরেই দেখিয়েছিলেন। এই কথাটি উল্লেখ করার কারণ, আমি এখনো অনুমান করি যে, বিএনপির টপ নেতৃত্ব দলটিকে একটি কনজারভেটিভ দল বলেই গণ্য করেন। কনজারভেটিভ দলগুলো সাধারণত নিজ নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে একটা রক্ষণশীল মনোভাব ধারণ করেন!

আপনি বিএনপির সবকিছু জেনেই এই দলটিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং দলটির বহুমাত্রিকতা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। এমনকি প্রফেসর গোলাম আযমের জানাজায় যখন অন্য বিএনপি নেতারা যোগ দিতে দ্বিধান্বিত ছিলেন, তখন আপনি বীরের বেশে যোগ দিয়েছিলেন এবং একজন কুশলী রাজনীতিবিদ হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন!

ধর্ম ও রাজনীতি অনেক জায়গায় ওভারল্যাপ করে। বিএনপি নিজেও এই ওভারল্যাপকে অ্যাভোয়েড করতে পারবে না। শেখ হাসিনা অবশ্য এই কাজটি এক ধরনের হিপোক্রেসির আশ্রয় নিয়ে ম্যানেজ করেছেন। তিনি মুখে ‘মদিনার সনদ’, কিন্তু অন্তরে ‘দিল্লির সনদ’ নিয়ে দেশ শাসনের নামে জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে গেছেন।

প্রিয় দাদা, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সবাই করে। বিজেপি ও জামায়াত করে তাদের মতো করে; কংগ্রেস ও আওয়ামী লীগ করে তাদের মতো করে। বিএনপিরও এ ব্যাপারে একটা নিজস্ব স্টাইল বা আদর্শ রয়েছে! কাজেই এ বিষয়ে কথা বলার আগে আরেকটু সতর্ক থাকলে ভালো হয়। তা না হলে বিএনপি সম্পর্কে একটা ভুল ম্যাসেজ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং যাদের লক্ষ করে এই কথাটি বলেছেন—আপনার এই কথাটি তাদেরই রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে ফেলতে পারে।

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির মূল পার্থক্যটি হলো জামায়াত যেখানে শুধু সংখ্যাগুরু মুসলিমদের আবেগটি ধারণ করে, সেখানে বিএনপি সংখ্যাগুরুর রাজনৈতিক আবেগ ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘুর জন্যও একটা কমফোর্টেবল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পেরেছে। বিএনপিতে আপনার ও আপনার পরিবারের বর্তমান অবস্থান তার বড় প্রমাণ। কাজেই দয়া করে এই জায়গা থেকে বিএনপিকে সরাবেন না। জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করতে গিয়ে যেন ইসলামের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে না পড়ে।

প্রিয় দাদা, প্রায় চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে শাস্তি দিয়েও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে পারছেন না। এখন মনে হচ্ছে, ঠগ বাছতে গিয়ে গাঁ উজাড় হয়ে পড়বে। কাজেই সমস্যাটি শুধু রাজনৈতিক সমস্যা বা রোগ নয়। ফলে শুধু রাজনীতি দিয়ে এই ব্যারামের সম্যক চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। এখানে অন্য চিকিৎসার দরকার।

কারো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাস, লিঙ্গ, ভাষা বা অন্যান্য কৃত্রিম বিভাজনের মাধ্যমে নয়, মানুষকে ভাগ করতে হবে তার খাসলত অনুযায়ী ‘ভালো মানুষ আর খারাপ মানুষ’—এভাবে। অন্য কথায়, প্রকৃত ধার্মিক ও অধার্মিক এই লাইন বরাবর ভাগ করতে হবে। চোর, বাটপাড়, চাঁদাবাজ, কমিশনখোর, ধর্ষক, ইতর—এরা সব অধার্মিক। গয়েশ্বর দাদার সনাতন ধর্মসহ সব ধর্মই এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করে।

আমাদের দরকার কিছু ভালো মানুষের ফ্যাক্টরি। পৃথিবীর প্রত্যেকটা ধর্মই ভালো মানুষ তৈরির আদি ফ্যাক্টরি। যদিও এখানে কিছু আগাছা জন্মে গেছে। এখন আগাছা সাফ করতে গিয়ে যেন মূল গাছটি কেটে না ফেলি।

সাহিত্য-সংস্কৃতিও এসব ফ্যাক্টরি বানাতে পারে! রবীন্দ্রসংগীত বা অন্য সংগীত যদি এই ভালো মানুষ তৈরি করতে পারে, তবে সেই ভালো মাল (ভালো মানুষ, ভালো নেতা) খরিদ করতে আমার আপত্তি নেই।

তবে এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যে, ঊর্ধ্বতন জবাবদিহি ছাড়া কোনো মানুষ সত্যিকারের সৎ হতে পারে না। আমি আমার সেই বিশ্বাস থেকেই কিছু কাজ করেছি। আমি মনে করি, এই ধর্ম শুধু জামায়াতে ইসলামী বা অন্য ইসলামি দলগুলোরই দরকার নয়, অন্যদেরও দরকার!

এটি করতে গিয়ে কীভাবে ছুপা জামায়াতি হয়ে পড়লাম, সেই করুণ ইতিহাস জানিয়ে লেখার ইতি টানব।

আমার গত সপ্তাহের লেখার মন্তব্য কলামে একজন পাঠকের মন্তব্য দেখে কিছুটা হোঁচট খেয়েছি। আর এই মন্তব্যকারী ছিল আমারই এলাকার ছেলে। তার দাবিমতো সে বিএনপি পরিবারের ছেলে! সে লিখেছে, ‘মাহমুদুর রহমানের মতো আপনিও একজন ছুপা জামায়াতি। বিএনপিকে জামায়াত বানাতে চান! আপনাদের মতো জামায়াতি বুদ্ধিজীবীদের কথায় বিএনপি চলবে না। মোনাফেকদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না।’

পাঠকদের অনেকেই তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গেও একইভাবে ছেলেটি তর্ক চালিয়ে গেছে এবং আমার সম্পর্কে লিখেছে, ‘ত্রিশাল জামায়াতের হেডকোয়ার্টার্স হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান।’

‘তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জামায়াত লিখতে লজ্জা করল, তিনি একজন জামায়াতের ডোনার, ঘনিষ্ঠতা জামায়াতিদের সঙ্গে। বিএনপিকে নসিহত করেন জামায়াতি ভাষায়। জামাত যখনই বিপদে পড়ে, তখনই তিনি ঐক্যের কলাম লেখেন!’

পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে আমি তার লেখার শব্দগুলো ঠিক রেখে দাঁড়ি-কোমা বসিয়ে দিয়েছি! কয়েকটি কারণে এই ছেলেটির ওপর বিরক্ত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছি। বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি, কারণ এলাকার ছেলে হয়েও সে আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। আমি যাদের সঙ্গে নজরুল একাডেমি, ত্রিশাল থেকে পাস করেছি, তাদের অনেকেই ত্রিশালেই আছেন। ছাত্রজীবনে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম কি না, তারাই বড় সাক্ষী।

আর হতাশ হয়েছি এই কারণে যে, আমার সেই স্কুল থেকে পাস করা এই সাবেক ছাত্রটি কয়েকটি লাইন শুদ্ধ করে লিখতে পারে না। মজার বিষয় হলো, আমার যে প্রতিষ্ঠানকে সে ত্রিশাল জামায়াতের হেডকোয়ার্টার্স বলে অভিযোগ করেছে, সেই প্রতিষ্ঠান থেকে সে নিজেও পড়াশোনা করে এসেছে। তার দাবিমতো এই প্রতিষ্ঠান যদি জামায়াতের হেডকোয়ার্টার্স হতো, তাহলে এই ছেলেটির নিজেরও শিবির হয়ে বেরোনোর কথা ছিল। অন্ততপক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের ৫০ ভাগ ছাত্রছাত্রীর তা হওয়ার কথা ছিল!

পরবর্তী সময়ে জামায়াত নেতাদের কারো কারো সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, সেটা এই প্রতিষ্ঠানের কারণেই। এখানে কখনোই আমি রাখঢাক কিছু রাখিনি। এটা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই যে, এ রকম নৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরিতে জামায়াতের লোকজন যেভাবে এগিয়ে এসেছে, অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা সেভাবে এগিয়ে আসেনি। তবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের লোকজনই ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের কারণেই তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রামে কেউ কখনো আমাকে দেখেছেন কি না জানালে খুশি হবো। আমি এই ছেলেটির ওপর এই বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়ে রাখলাম। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান তৈরিতে মরহুম আজিজ মহাজন, মাওলানা নুরুল্লাহ, অ্যাডভোকেট ফজলুল হক—তারা বিএনপি অথবা অ-জামায়াতি ঘরানার লোক ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ার পেছনে তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে।

কেন এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম?

অপরাপর শিক্ষিত ও বিবেকবান মানুষের মতো আমার মনেও এই প্রশ্নটি জেগেছে—আচ্ছা, আমরা সৎ মানুষ বা ধার্মিক মানুষগুলো তৈরি করছি শুধু মসজিদে আজান দেওয়ার জন্য, বিয়ে পড়ানোর জন্য, জানাজার নামাজ পড়ানোর জন্য, মিলাদ পড়ানোর জন্য; অথচ সৎ মানুষ বেশি দরকার ইহকালীন ফাংশনগুলোয়!

তাদের সৎ বানানো দরকার, যারা বিমানবাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমান কিনবে, যারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্নে বড় সিদ্ধান্ত নেবে। যদি তারা সৎ না হয়, তাহলে তারা কমিশনের লোভে এমন বিমান কিনবে, যেগুলো আসল সময় দেশের নিরাপত্তা দেওয়া তো দূরের কথা, ট্রেনিংয়ের সময়েই অনেক বিধবা তৈরি করে ফেলবে (Widow Maker), কিংবা স্কুলের ওপর আছড়ে পড়ে জাতীয় ট্র্যাজেডি তৈরি করবে। গতকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাটি দেখে অনেকের মনেই এই ভাবনার উদয় হচ্ছে।

তাদের সৎ বানানো দরকার, যারা সরকারি খাজাঞ্চিখানার পাহারাদার হবে । না হলে কোটি কোটি টাকা গায়েব হয়ে যাবে চোখের সামনে, আমাদের ফরেন রিজার্ভের ডলার চলে যাবে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে।

তাদের সৎ বানানো দরকার, যারা থানার এএসআই, এসআই বা ওসি হবে; এসপি, ডিআইজি বা আইজিপি হবে। না হলে তারা মাদক ব্যবসায়ীদের আড়াল করবে, নিরীহ মানুষকে জেলে দেবে, আর দুর্বৃত্তকে প্রোটেকশন দেবে।

তাদের সৎ বানানো দরকার, যারা আদালতের বিচারক হবেন। যদি বিচারপতি সৎ না হন, তবে এই দুনিয়ার বুকে নৃশংসতম ঘটনাগুলো ঘটবে, নির্দোষ ব্যক্তি ফাঁসিতে ঝুলবে, অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাবে।

সৎ বানাতে হবে তাদের, যারা নির্বাচন কমিশনার হবেন, যারা জনগণের ভোটের পাহারাদার হবেন। না হলে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি হবে, আর জনগণের আশা ভেঙে যাবে।

সৎ বানাতে হবে তাদের, যারা টেন্ডার বোর্ডে বসবে, যারা ব্রিজ, রাস্তা ও হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে। না হলে জনগণের কোটি কোটি টাকা যাবে ঠিকাদারের পকেটে, আর নির্মাণের আগেই ধসে পড়বে সেতু। রডের বদলে বাঁশ দিয়ে জাতির কপালেও বাঁশ দেবে।

সৎ বানাতে হবে সাংবাদিকদের, যারা সত্য প্রকাশ করবে, যারা খবর বিক্রি না করে জনগণের মুখপাত্র হবে। সত্যি বলতে, সৎ বানাতে হবে রাষ্ট্রযন্ত্রের চালকদের, কারণ রাষ্ট্র একটা জটিল ইহকালীন কাঠামো, যার প্রতিটি স্তরেই থাকতে হবে সৎ মানুষ।

এখন আপনাদের কাছে একটাই প্রশ্ন—এই ভালো মানুষগুলো কি শুধু জামায়াতেরই দরকার? আমার এই ভাবনা বা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কি জামায়াতি বা ছুপা জামায়াতি হওয়া ছাড়া আমার গত্যন্তর নেই?

তবে সান্ত্বনার কথা হলো, একটা ফ্যাক্টরির সব মালই একই মানের হয় না। ওই ছেলের কথায় হতাশ হলেও মন ভালো করে দিয়েছে একই প্রতিষ্ঠানের অন্য এক রত্ন। ছেলেটির নাম কৃষিবিদ মো. তাজাম্মুল হক, ভেটেরিনারিয়ান ও অ্যাগ্রিটেক উদ্যোক্তা। লাইভস্টক বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স নিয়ে তার ভাবনা এক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য সাপোর্ট পেলে এরা অনেক অসাধ্য সাধন করে ফেলতে পারে। এই ছেলেরা যখন বলে, ‘স্যার, আপনি আমাদের মেন্টর,’ তখন ছুপা জামায়াতি কিসিমের গালি ভুলে যাই।

সে ম্যাসেজে লিখেছে, ‘স্যার, ইসলামী একাডেমি ত্রিশালের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পেশায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯৯৮ ব্যাচের কৃষিবিদ জহিরুল ইসলাম (জেনারেল ম্যানেজার, জনতা ব্যাংক) ও ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব (বুয়েট গ্র্যাজুয়েট, প্রকৌশলী), ডা. মজহারুল ইসলাম মনির (ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ), ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন ফাহিম (প্রিন্সিপাল অফিসার, আইবিবিএল), ডা. আফসারি জাহান (দন্ত চিকিৎসক ও পিএইচডি ধারী), তানিয়া সুলতানা (বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার), রেজাউল করিম রেজা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়াল স্পেশালিস্ট, জার্মানি), ইঞ্জিনিয়ার জিকরা আমিন (সিনিয়র অফিসার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়), দিদারুল ইসলাম মাসুদ (বিসিএস পুলিশ ক্যাডার), সহকারী অধ্যাপক হাবিবা সুলতানা (সিএসই বিভাগ, জাককানইবি), ডা. শাম্মি (এমবিবিএস, বিসিএস স্বাস্থ্য) ও ডা. শান্তা মারিয়া শিথিল (পিএইচডি, সিএসই, স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র) হচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের গর্ব। ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী কৃষি, চিকিৎসা, প্রকৌশল, শিক্ষা, ব্যাংকিং, আর্মি অফিসার, তথ্যপ্রযুক্তি ও সিভিল সার্ভিসে দেশ-বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত।

আমাদের মতো ছোটখাটো মানুষের প্রচেষ্টায় এত কিছু হলে, পুরো সমাজের মনোযোগ এদিকে পড়লে জাতির কপাল এভাবে পুড়ত না। আজ মাইলস্টোনের হতভাগ্য বাচ্চাদের নিয়ে জাতির যে বুকফাটা কান্না, তাও হয়তোবা কাঁদতে হতো না।

সূত্র, আমার দেশ