অনুগত আদালতের মতলবি রায় রাজনৈতিক দল ও নেতা-নেত্রীদের ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। আবার অনেক সময় বুমেরাং হয়ে বিপদও ডেকে আনে। জ্বলন্ত প্রমাণ শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠা এবং পালিয়ে যাওয়া। ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পেছনে নিয়ামক শক্তি ছিল অনুগত আদালত। আবার পালানোর ব্যবস্থাও হয়েছে অনুগত আদালতের মতলবি রায়ে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার সময় লক্ষ্য স্থির করেছিলেন ৪০ বছর। তাই ক্ষমতা নিয়েই বিচারব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছিলেন শেখ হাসিনা। সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত তার সেবাদাস হয়ে উঠেছিল। অনুগত আদালতের রায়ে জুডিশিয়াল কিলিং হয়েছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও।

অবশেষে ফরমায়েশি একটি রায়কে কেন্দ্র করেই পতন হয়েছে শেখ হাসিনার। ১ জুলাই (২০২৪) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল রায়কে কেন্দ্র করেই। প্রথমে কেয়ারই করেননি। বরং উল্টো হাইকোর্টের রায়ের দোহাই দিয়ে কামান দাগানো শুরু করেছিলেন তিনি। আদালতের দোহাই দিয়ে সব করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হারানোর দিকে চলে যায়। সামাল দিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করেছিল অনুগত আপিল বিভাগ। তাতেও আর কাজ হয়নি। তারপর কারফিউ। এতেও দমেনি ছাত্র-জনতা। গণবিস্ফোরণ বাড়তেই থাকে। সর্বশেষ উপায় না দেখে ৫ আগস্ট ঘনিষ্ঠ দু-একজনকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সাজানো নির্বাচনের নামে গঠিত সংসদের সব সদস্য পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। এসব পালানোর নেপথ্যে ছিল মোসাহেবি হাইকোর্টের মতলবি রায়।

যে রায় শেখ হাসিনার পতন ডেকে এনেছে

কী ছিল সেই মোসাহেবি রায়, একনজর দেখে নেওয়া যেতে পারে। আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গরম মাথায় (সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাকে রংহেডেট বলা হয়েছিল) চাকরিতে পুরা কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ছাত্ররা তখন চেয়েছিলেন কোটা পদ্ধতির সংস্কার। গরম মাথায় বাতিল করা হয় পুরো কোটা পদ্ধতি। পরে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শেখ হাসিনা মনে করেন বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাবেন। আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে ফিরিয়ে আনবেন কোটা পদ্ধতি। পরিকল্পিত রিট আবেদন করা হলো। চ্যালেঞ্জ করা হলো কোটা পদ্ধতি বাতিলের গেজেট। হাইকোর্ট বিভাগের অনুগত বিচারকরা ফরমায়েশি রায় দিলেন। রায়ে কোটা পদ্ধতি আগের মতোই পুনর্বহাল করা হলো। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো শুরু করলেন। কিন্তু রায়কে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আন্দোলন বুমেরাং হয়ে ফিরল। শেখ হাসিনা উল্টো গণবিস্ফোরণ দেখলেন।

১৯০ ডিগ্রি ইউটার্ন মোসাহেবি বিচারকদের

শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার মোসাহেব বিচারকরা বহাল তবিয়তে আছেন। নিম্ন আদালতে যারা কথায় কথায় চাহিবা মাত্র রিমান্ড দিতেন, ফরমায়েশি রায় দিয়ে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের চরিত্র হনন করতেন, তারাও আছেন স্বপদে। হয়তো স্টেশন বদল হয়েছে মাত্র। এই বিচারকরাই এখন মোসাহেবি শুরু করেছেন উল্টোদিকে। বলা যায়, ১৯০ ডিগ্রি ইউটার্ন নিয়েছেন। এ কথা বলার একটা কারণও আছে। শেখ হাসিনার পতনের পর মতলবি রায় থামেনি। এখনো মোসাহেবি রায়ের দোহাই দিতে দেখা যায় রাজনীতিকদের।

ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নিয়ে বিতর্কিত রায়

ফ্যাসিবাদের পতনের পর চট্টগ্রাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচনী মামলার রায় দিয়েছে জেলা জজ আদালতের ট্রাইব্যুনাল। ফ্যাসিবাদ পতনের বিজয়ের ডামাডোলে চট্টগ্রাম নিয়ে তেমন হইচই হয়নি। যদিও আদালতের রায়টির নির্দেশনা ছিল নির্বাচন কমিশনের প্রতি। তখন কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলতে যা বোঝায়, তা ছিল না। কমিশন হচ্ছে, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একাধিক কমিশনার নিয়ে গঠিত। আউয়াল কমিশন পদত্যাগ করে বিদায় নেওয়ার পর রায় হয়। পরবর্তী কমিশন গঠনের ১৩ দিন আগে কমিশনবিহীন সচিবের এখতিয়ারে গেজেট প্রকাশ করা হয়। আগেই উল্লেখ করেছি, যদিও ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা ছিল কমিশনের প্রতি।

এখানে সচিব সাহেব একটি দোহাই দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে গেজেট করা হয়েছে। কথাটাও সঠিক। আইন মন্ত্রণালয় তখন আপিলের জন্য নির্দেশনা না দিয়ে গেজেট প্রকাশের পক্ষে মতামত দিলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল আপিলের নির্দেশ দেওয়া। কারণ, রায় হয়েছে একতরফা শুনানির ভিত্তিতে। নির্বাচন কমিশনের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট দেখানো হয়েছিল ফলাফলে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থীকে দেখানো হয় ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। এটা আসলেই অস্বাভাবিক ফলাফল। শেখ হাসিনা পতনের পর ফলাফল পাল্টে দিল ট্রাইব্যুনাল। এটাও অস্বাভাবিক। এত বিশাল ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী সরাসরি কীভাবে বিজয়ী হন, সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনে অনিয়ম হলে গেজেট বাতিল করে নতুন নির্বাচন করার নির্দেশনা দেবে, যা মামলার আবেদনেও চাওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ৫ আগস্ট পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা আমলে নির্বাচিত সিটি, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বিতর্ক তৈরির প্রশ্রয় দিয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের মামলায়ও একই কাণ্ড ঘটেছে। নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নির্বাচরি ফলাফলে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে কাস্ট করা হয়েছিল ভোট। মেশিনের গণনা অনুযায়ী ফজলে নূর তাপসকে নৌকা প্রতীকে দেখানো হয় ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের ইশরাক হোসেনের পক্ষে দেখানো হয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট। জয়-পরাজয়ে ব্যবধান প্রায় ২ লাখ ভোট।

মামলার আর্জিতে যা বলা হয়েছিল

ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, জালিয়াতি এবং ভোটারদের ভয়ভীতির অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার মূল আর্জি বা আবেদন ছিল ঘোষিত ফলাফলের গেজেট বাতিল করে নতুন নির্বাচনের নির্দেশনা দেওয়া। শেখ হাসিনার পতন পর্যন্ত মামলাটি এক রকম ডিপ ফ্রিজে ছিল বলা চলে। মামলার পর ইশরাকের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, নির্বাচন বাতিল এবং আবার নির্বাচনের দাবিতে মামলা করা হয়েছে। তখনকার ভিডিও ফুটেজগুলো এখনো ভাসছে। পরিস্থিতি পাল্টে যায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর। অভ্যুত্থানের পর ইশরাক হোসেনের মামলাটি সচল করা হয়।

চার বছর পর আর্জিতে পরিবর্তন

মজার বিষয় হচ্ছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ছয় দিন পর ১১ আগস্ট রাজিব বেপারি নামের এক ব্যক্তি ইশরাককে নির্বাচিত ঘোষণার জন্য আর্জি সংশোধনীর আবেদন করেন ট্রাইব্যুনালে। অর্থাৎ আগের আর্জি (২০২০ সালের) ছিল নির্বাচনের পর প্রকাশিত ফলাফল বাতিল ও আবার নির্বাচনের দাবিতে। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাজিব বেপারি আবেদন করেন আর্জি সংশোধন করে ইশরাককে নির্বাচিত ঘোষণার অনুমতি চেয়ে। বাংলাদেশের বিজ্ঞ আদালতের বিচারক এই আবেদন মঞ্জুর করলেন! অথচ হাইকোর্টের একাধিক মামলার রায়ের নির্দেশনা হচ্ছে মামলার ৩০ দিন পর আর্জি সংশোধনীর সুযোগ নেই।

২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি আসেন আরেকজন আবেদনকারী। মো. মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আবেদন করেন আদালতের বাইরে আইনজীবী সমিতি ভবনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য। এই আবেদনও কথিত বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করে।

গত ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে ইশরাক নিজে আর্জি সংশোধন করে বিজয়ী ঘোষণার জন্য রায় চান। ফলাফল বাতিল এবং আবার নির্বাচনের জন্য আগের আর্জি থেকে তিনি সরে আসেন। ইশরাকের পক্ষে দেওয়া সাক্ষীরাও কেউ দাবি করেননি ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাপসের চেয়ে ভোট বেশি পেয়েছিলেন। তারপরও ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলামের বিবেচনায় ইশরাক বিজয়ী হয়েছেন। ভোট পুনর্গণনা বা অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিলের প্রয়োজন মনে করেননি।

এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের

একতরফা শুনানির এই রায় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন আপিল করার তাগিদ অনুভব করেনি। বরং উল্টো গেজেট জারির মাধ্যমে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো। বিষয়টি হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগেও গড়িয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগ রায়ে বলেছে, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগের পিটিশনের সংশ্লিষ্ট নন। তাই জনস্বার্থে তৃতীয় পক্ষের দায়ের করা রিট গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যায় আপিল বিভাগে। এখানেও পাস কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখা গেছে। আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বলে অভিমত দিয়ে নিষ্পত্তি করে দেয়। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগের রায়ে এমন কোনো নির্দেশনা নেই যে, ইশরাককে শপথ পাঠ করাতেই হবে। তাকে শপথ পড়ানো যাবে না, এমন নির্দেশনাও নেই।

কী করতে পারতেন ইশরাক

ইশরাক দাবি করছেন আদালতের রায় অমান্য করা হয়েছে। তার দল এবং অনুসারীরাও আদালতের রায়ের দোহাই দিচ্ছেন। ঢালাও দোষারোপ না করে তাদের উচিত সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা। আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে গায়ের জোরে জবর-দখল নয়। সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হচ্ছে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ। অথচ আদালত অবমাননার মামলা না করে, রায়ের দোহাই দিয়ে নগর ভবনের দরজায় দরজায় ৮২টি তালা দেওয়া, মেয়রের অফিস দখল করে নিজেকে মাননীয় মেয়র ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টানিয়ে মতবিনিময় সভা সমাধানের পথ নয়। রায় অমান্য করার পথ হচ্ছে আদালত অবমাননার মামলা। জনসেবা বন্ধ রেখে নিজেকে মেয়র ঘোষণা করার সুষ্ঠু রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। সরকার আদালতের আদেশ অমান্য করলে আদালত অবমাননার আইন রয়েছে।

উসকানি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন আপিল না করে রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দেওয়ার ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাইব্যুনালের এই অস্বাভাবিক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করাই ছিল নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কমিশনের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেলও রয়েছে। ধরে নিলাম, হাজারো ইউপি, চার শতাধিক উপজেলা এবং পৌরসভায় নির্বাচনী মামলায় আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু হাতে গোনা ১২/১৩টি সিটি করপোরেশনে তো সম্ভব। তার মধ্যে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে কমিশনের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব নয়, এটা কোনো যুক্তিতেই বিচার্য নয়। নিজেদের আইনজীবী প্যানেল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন এখানে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

নির্বাচন বাতিল করাই হতো উত্তম রায়

সর্বশেষ একটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই। লন্ডনে টাওয়ার হেমলেট্স কাউন্সিলে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচনের পর গেজেট প্রকাশ হয়ে মেয়র দায়িত্ব পালনও করেছেন। মেয়র দায়িত্ব পালন শুরু করার এক বছরেরও বেশি সময় পর ট্রাইব্যুনালে রায় হয়। ২০১৫ সালে রায়ে শুধু মেয়রকে অবৈধ এবং পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের কারণে বিজয়ী প্রার্থীর ফলাফল বাতিল করে আবার নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাকি সময়ের জন্য আবার শুধু মেয়র পদে নির্বাচন হয়েছিল। যদিও পরে লুৎফর রহমান আপিলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এ রায় প্রমাণ করে আদালত নিজে যতক্ষণ তোষামোদি থেকে বের হয়ে না আসবে, ততদিন রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ দেশ থেকে দূর হবে না। আদালতের উচিত আইনের তোষামোদি করা। ফ্যাসিবাদ তৈরি নয়, আদালতের দায়িত্ব কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে চাইলে তার টুঁটি চেপে ধরা।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, আমার দেশ

সূত্র, আমার দেশ