সাম্প্রতিক দশকে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও ভর্তির হার বেড়েছে। তবে এখনো এই শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মান থেকে অনেক পিছিয়ে। পুরোনো পাঠ্যক্রম, গবেষণার সুযোগের অভাব ও শিল্প-শিক্ষা সহযোগিতার ঘাটতির কারণে উন্নত দেশগুলোর মতো মান অর্জন সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এখনো মুখস্থনির্ভর ও তাত্ত্বিক পড়াশোনার প্রাধান্য বেশি, যেখানে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সৃজনশীলতা, যৌক্তিক চিন্তা ও ব্যবহারিক দক্ষতার ওপর জোর দেয়। এর কারণ আধুনিক ল্যাব, হালনাগাদ শিক্ষা উপকরণ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব। তা ছাড়া উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, যা বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা চাকরি বা পেশাগত জীবনের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত হতে পারে না। সবশেষে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অভাবও বড় একটি সমস্যা। উন্নত অনেক দেশে উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে, কিন্তু বাংলাদেশে এখনো তেমন মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই। এর ফলে আমাদের স্নাতকরা আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ে।

তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মাঝেও সম্ভাবনা রয়েছে। পাঠ্যক্রমে যুগোপযোগী পরিবর্তন, গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিল্প-শিক্ষা সহযোগিতা উন্নত করে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব। এ ধরনের উদ্যোগ দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করতে সাহায্য করবে, যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বৈশ্বিক শ্রমবাজারেও প্রতিযোগিতা করতে পারবে।

বৈশ্বিক মডেল থেকে শিক্ষা নেওয়া

উন্নত দেশগুলোর ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থা অনেক দিক থেকে উন্নত ও বাস্তবমুখী। উত্তর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামগুলো ABET-এর মানদণ্ড অনুসরণ করে চলে। এসব প্রোগ্রামে নমনীয় পাঠ্যক্রম, ব্যবহারিক শিক্ষা ও শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন এমআইটি বা ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা কো-অপ (বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের সহযোগিতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুগল বা টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারে। এতে তারা বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়।

ইউরোপের দেশগুলোয় ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ‘বোলোগনা প্রক্রিয়া’ (ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি যেন একে অপরের দেশে স্বীকৃতি পায়, শিক্ষার্থীরা সহজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পড়তে যেতে পারে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরো শক্তিশালী হয়—এই লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৯ সালে এটি চালু করা হয়) অনুসরণ করে, যেখানে তিন বছর স্নাতক, দুই বছর মাস্টার্স এবং পরে পিএইচডি পর্যন্ত করা যায়। EUR-ACE (ইউরোপীয় প্রকৌশল কর্মসূচির স্বীকৃতি) স্বীকৃত এসব প্রোগ্রামে শিল্প ও শিক্ষার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। যেমন জার্মানির দ্বৈত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। সুইডেন বা যুক্তরাজ্যে, যেমন ইমপেরিয়াল কলেজে, স্নাতক পর্যায়েই গবেষণার সুযোগ থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ‘ইঞ্জিনিয়ারস অস্ট্রেলিয়া’র তত্ত্বাবধানে চলে এবং এটি ব্যবহারিক শিক্ষা ও প্রকল্পভিত্তিক শেখার ওপর জোর দেয়। যেমন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় বা মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দলগত প্রকল্পে কাজ করতে হয় এবং বাধ্যতামূলকভাবে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে হয়। এই ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তাই সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা যুক্তরাজ্যে সমানভাবে মূল্যায়িত হয়।

পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা, যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুর প্রযুক্তি, গবেষণা ও শিল্প সহযোগিতায় খুবই শক্তিশালী। জাপানে শিক্ষাব্যবস্থা কাঠামোবদ্ধ এবং বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। দক্ষিণ কোরিয়ায় শিক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর। চীন সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বড় বিনিয়োগ করেছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতীয় লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখছে। আর সিঙ্গাপুরে বিশ্বমানের ডিগ্রির পাশাপাশি আজীবন শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।

এসব মডেল থেকে বোঝা যায়, ব্যবহারিক শিক্ষা, গবেষণাভিত্তিক পাঠ্যক্রম এবং শিল্পের সঙ্গে সহযোগিতা উচ্চশিক্ষাকে আরো কার্যকর করে তোলে।

বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার বর্তমান অবস্থা ও উত্তরণের উপায়

বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা এখনো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পুরোনো পাঠ্যক্রম অনুসরণ করছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, ইন্টারনেট অব থিংস, ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বা উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির মতো আধুনিক ও চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি নেই। শিক্ষাদানের পদ্ধতিও মূলত মুখস্থনির্ভর ও তাত্ত্বিক, যার ফলে ব্যবহারিক দক্ষতা গড়ে ওঠে না। ল্যাব, ইন্টার্নশিপ ও প্রকল্পভিত্তিক শেখার সুযোগ সীমিত। গবেষণার মানও নিচু, কারণ পর্যাপ্ত অর্থায়ন নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা গড়ে ওঠেনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কঠোর ও সীমাবদ্ধ পাঠ্যক্রম কাঠামো আন্তঃবিষয়ক পড়াশোনার সুযোগ কমিয়ে দেয় এবং আধুনিক বিশেষায়নের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। এসব কারণে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে ব্যর্থ হয়, ফলে স্নাতকরা বৈশ্বিক চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশকে শিক্ষাব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনতে হবে। বিশ্বমানের সঙ্গে মিল রেখে ২০-৩০ শতাংশ কোর্সকে ঐচ্ছিক রাখতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক বিষয়ে দক্ষতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ দিতে হবে, যেমন ছয় থেকে ১২ মাসের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ, যা কানাডার কো-অপ প্রোগ্রাম বা জার্মানির দ্বৈত শিক্ষাব্যবস্থার অনুকরণে চালু করা যেতে পারে। পাঠ্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সাজানো হলে তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, তাহলে তা শুধু দক্ষতা উন্নয়নে নয়, উদ্ভাবনেও ভূমিকা রাখবে এবং শিক্ষার্থীদের স্থানীয় শিল্প ও আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

একটি আদর্শ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম তিনটি ভাগে গঠিত হওয়া উচিত—সাধারণ বিষয়, মূল কারিগরি শিক্ষা ও ঐচ্ছিক বিশেষায়ন। সাধারণ বিষয় যেমন যোগাযোগ, অর্থনীতি, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নীতিশাস্ত্র ও বিদেশি ভাষা, মোট ক্রেডিটের ১৫-২০ শতাংশ হওয়া উচিত। মূল কারিগরি বিষয় যেমন গণিত, পদার্থবিদ্যা, প্রোগ্রামিং ও বিভাগীয় প্রধান কোর্সগুলো হওয়া উচিত ৫০-৬০ শতাংশ। বাকি ২০-৩০ শতাংশ হওয়া উচিত ঐচ্ছিক ও বিশেষায়িত কোর্স, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের আধুনিক ক্ষেত্র বেছে নিতে পারে। পাঠ্যক্রমের শুরুতে মূল বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে এবং ধাপে ধাপে সাধারণ ও ঐচ্ছিক বিষয়ের অনুপাত বাড়ানো যেতে পারে। শেষ বছরে শিক্ষার্থীদের একটি বড় প্রকল্প (ক্যাপেস্টন প্রোজেক্ট) বা থিসিস সম্পন্ন করতে দেওয়া উচিত, যা মূলত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা গবেষণা সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। একাধিক সার্টিফিকেশন আন্তঃবিষয়ক প্রোগ্রামগুলোকে উন্নত করতে পারে।

প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারের লক্ষ্য একরকম হয় না। কেউ চাকরি করতে চায়, কেউ গবেষণা বা শিক্ষকতায় যেতে চায়, আবার কেউ নিজের স্টার্টআপ গড়তে চায়। তাই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বছর থেকে শিক্ষার্থীরা যেন তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট ট্র্যাক বেছে নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা থাকা দরকার। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য হাতে-কলমে কাজ, ইন্টার্নশিপ ও সার্টিফিকেশন থাকা উচিত। গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য মৌলিক ও উন্নত বিষয় পড়ার সুযোগ এবং গবেষণা করার সুযোগ থাকা উচিত। উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজন স্টার্টআপ পরিচালনা, পেটেন্ট, পণ্য উদ্ভাবন ও উৎপাদন শেখানো এবং ইনোভেশন সেন্টার ও মেন্টরশিপের সহায়তা। অনেক শিক্ষার্থী শুরুতে জানে না কোন ক্ষেত্র তাদের জন্য উপযুক্ত। প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে বিভিন্ন বিষয়ে পরিচিতিমূলক কোর্স, কাউন্সেলিং, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তাদের আগ্রহ ও সক্ষমতা নির্ধারণে সাহায্য করা যেতে পারে।

এভাবে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, আধুনিক ও নমনীয় শিক্ষাকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব, যা শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক নয়, বরং বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করবে এবং বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে।

ভবিষ্যতের রূপরেখা

বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার সফলভাবে আধুনিকায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি, সরকার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে, শিল্পের চাহিদা পূরণ করে এবং নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা। পাশাপাশি উন্নত ল্যাব, প্রকল্প ও শিল্পভিত্তিক কোর্স চালু করে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ বাড়াতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করা এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। ইউজিসিকে পাঠ্যক্রম আরো নমনীয় করতে হবে, যেমন ঐচ্ছিক কোর্স বাড়ানো, শিল্পের দেওয়া সার্টিফিকেশনকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি অর্জনে সহায়তা করা। পাশাপাশি গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নে তহবিল দেওয়া এবং ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করাও জরুরি।

সরকারকে জাতীয় লক্ষ্য অনুযায়ী নীতিমালা তৈরি করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে গবেষণা ও বৃত্তির জন্য অর্থায়ন বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রযুক্তি পার্কের সঙ্গে যুক্ত করলে ইন্টার্নশিপ, স্টার্টআপ ও গবেষণার বাস্তব প্রয়োগ উৎসাহিত হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। তারা যেন শিক্ষাক্রম উন্নয়নে মতামত দেয়, ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিংয়ের সুযোগ দেয় এবং গবেষণায় সহায়তা করে। শুধু গ্রেড নয়, ব্যবহারিক দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দিকেও নজর দেওয়া দরকার।

এই সমন্বিত উদ্যোগের প্রথম ধাপে কিছু শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন পাঠ্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা যেতে পারে। সেখান থেকে শিখে ধাপে ধাপে দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা হবে একটি কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের তত্ত্বাবধানে। সংক্ষেপে সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশ একটি নমনীয়, ব্যবহারিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবে, যা দক্ষ উদ্ভাবক তৈরি করবে এবং অর্থনীতি ও প্রযুক্তির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

লেখক : ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও অধ্যাপক

সূত্র, আমার দেশ