editorialbd-logo

মতামত

বিএনপির জন্য পরীক্ষাটা কি কঠিন হয়ে যাচ্ছে

সেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন বিষয়ে মোট কতগুলো সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেছে এবং তার মধ্যে বিএনপি কতটি সুপারিশের বিষয়ে সম্পূর্ণ এবং আংশিক ঐকমত্য পোষণ করেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বিএনপি অধিকাংশ সুপারিশের সঙ্গেই একমত এবং আরও অনেকগুলোর বিষয়ে আংশিকভাবে একমত পোষণ করেছে।

রাষ্ট্রচিন্তা সাংবিধানিক সংস্কার এবং গণতন্ত্রের ভবিষ‍্যৎ

তবে নির্বাহী বিভাগকে সংসদে জবাবদিহি করার প্রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে সাংবিধানিক পরিষদের এখতিয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার কারণ বোধগম‍্য নয়। তাহলে এই গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদটি কি আগের মতোই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন? উল্লেখ‍্য, অডিটর জেনারেলের দপ্তর নির্বাহী বিভাগের প্রতিষ্ঠান নয়; এটি সংসদীয় প্রতিষ্ঠান। এই ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের কাছে রাখার যৌক্তিকতা নেই। বরং তা প্রস্তাবিত সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটিতে অর্পণই যুক্তিসংগত।

মব, ক্ষোভ ও জাস্টিস

মব জাস্টিসকে জঘন্য অপরাধ জেনেও মানুষ মব জাস্টিস কেন করতে যায়? এই প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর হচ্ছে, মানুষ যখন অপরাধীর বিচার হতে দেখে না, উল্টো অপরাধীকে বিভিন্নভাবে বাঁচানোর চেষ্টা দেখে, অপরাধীরা যখন আইন, প্রশাসন ও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ তৈরি হয়, সেই ক্ষোভ থেকেই কেউ কেউ মব জাস্টিসের শিকার হন।

জুলাইয়ের ৩৬ দিন : শিক্ষা ও সতর্কবার্তা

ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানো এই আন্দোলনের এক বছর পর নিরাশা কিংবা হতাশার নানা কথা বলা যাবে। কিন্তু এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া। প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণদান, হাজারো মানুষের অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্বের বিনিময়ে আমরা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পোশাক পরা ও হেলমেট বাহিনীর হাতে খুন হওয়ার শঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছি। আর কোনো আয়না ঘর কিংবা ডিবি অফিসের গোপন কক্ষে কাউকে আটকে থাকতে হচ্ছে না। আমরা তো এই স্বাধীনতাই চেয়েছিলাম।

চেইন অব এরর : বিভ্রান্তি, বিভাজন ও অদৃশ্য চাপ

জুলাই বিপ্লব ছিল একটি যুগান্তকারী রাজনৈতিক মুহূর্ত যেখানে সাধারণ মানুষ, তরুণ প্রজন্ম এবং পেশাজীবীরা রাস্তায় নেমে একটি দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এই গণঅভ্যুত্থানে বহু মানুষ শহীদ হয়, শত শত মানুষ আহত হয়, যাদের কেউ কেউ চিরতরে পঙ্গু হয়ে পড়ে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মতো মৌলিক দায়িত্ব পালনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শহীদদের পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ বা সম্মানজনক সহায়তা, আহত ও পঙ্গু বিপ্লবীদের সঠিক চিকিৎসার সুযোগ, পুনর্বাসন বা কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক বিষয়গুলো অবহেলার শিকার হয়েছে। অনেকেই নিজের খরচে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে, অনেকে পরিবারসহ অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: স্বপ্নগুলো বুকপকেটে লুকিয়ে ফেলেছি

সে রকম কিছু হয়নি। লক্ষণও নেই। বরং বাড়তি প্রতিক্রিয়াশীল ভবিষ্যৎ যেন কড়া নাড়ছে। মুরাদনগর দুঃস্বপ্ন ঘুমাতে দেয় না। বাতাসে ভাসে প্রতিশোধের নষ্ট ঘ্রাণ। পথে-প্রান্তরে হাঁটলে সেসব টের পাওয়া যায়।

কেন অনেক ইহুদি ইসরাইল ও জায়নবাদ ঘৃণা করে

ইসরাইল, জায়নবাদ ও ইহুদি ধর্মকে আমরা অনেক সময় এক করে ফেলি। সব ইহুদিই ইসরাইল ও জায়নবাদকে সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, বিখ্যাত দার্শনিক নোয়াম চমস্কিসহ অনেক খ্যাতনামা ইহুদি ব্যক্তিত্ব জায়নবাদ সমর্থন করেন না। এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বব্যাপী যে সংহতি আন্দোলন তাতে বহু সংখ্যক ইহুদি অংশগ্রহণ এমনকি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ট্রাম্পের ‘গ্রেট’ আমেরিকা কি ‘চীনপন্থী’ হয়ে যাচ্ছে

প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তো একবার বলেই ফেলেছিলেন—চীন হয়তো একদিন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে উঠবে। তাঁর মতো অনেক মার্কিনের কাছে মনে হচ্ছিল, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ‘নিওলিবারেল’ ব্যবস্থার চূড়ান্ত বিজয় আর দূরে নয়।