বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে কথাটা চালু হয়েছে এটা এই কারণেই হয়েছে যে, আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাঠে ছিলাম, এই ছয় সাত মাসের ব্যবধানে বক্তব্যের মধ্যে কিছু ভিন্নতা শোনা যাচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনাটা আমরা হারিয়ে ফেলবো। তিনি বলেন, আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করে, জাতীয় নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত। যার যার আদর্শ আমরা মানুষকে বলবো, যার যার প্রতীকে সে নির্বাচন করবে, জনগণ যাকে ভোট দিবে, সে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু আমরা কেন এমন আচরণ করবো, যাতে ফ্যাসিবাদকে এডজাস্ট করার প্রয়োজন হয়। এই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।
দৈনিক সংগ্রামের সাথে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা, নির্বাচন, সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক দল, জামায়াতের নির্বাচনী ভাবনা, জোটগঠন, জামায়াতের নিবন্ধন, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিসহ নানা বিষয়ে তিনি দলের অবস্থান জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক সংগ্রামের চীফ রিপোর্টার সামছুল আরেফীন।
দৈনিক সংগ্রাম : আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আপনার কী মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই বিপ্লবের চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমার মনে হয় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে কথাটা চালু হয়েছে এটা এই কারণেই হয়েছে যে, আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাঠে ছিলাম এই ছয় সাত মাসের ব্যবধানে বক্তব্যের মধ্যে কিছু ভিন্নতা শোনা যাচ্ছে।
আমরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যখন মঞ্চে কোন বক্তৃতা করি তখন আমরা বলি যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এ কথাটা আমরা বলার সময় বলি কিন্তু যখন দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের কোন কম্প্রমাইজের প্রশ্ন আসে স্যাক্রিফাইসের প্রশ্ন আসে, তখন আমরা ব্যক্তিকে দলকে খাটো করে দেখতে পারি না। তখন আমাদের সব দলের উপরে আমি ডমিনেট করবো- এই যে একটা মানসিকতা তৈরি হয়, তখন আমরা দলের ইন্টারেস্টটা ছাড় দিতে পারি না। সে কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের সাথে যারা ছিলাম তাদের কোন কোন কথায় এই ছয় সাত মাসেই কিছুটা কম্প্রমাইজিং অ্যাটিচিউড রিগার্ডিং আওয়ামী লীগ দেখা যাচ্ছে। একেকজন এক একভাবে কথা বলছেন, সেই কারণে এই পারসেপশনটা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের একটা কথাবার্তা চলছে।
সেজন্য আমি মনে করি, এটা যদি চলতে থাকে তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনাটা আমরা হারিয়ে ফেলবো। কারণ যারা এ কথা বলছে তাদের এটা মনে রাখা উচিত যে, আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে সেটাকে বলা হয় ক্রাইম এগেন্স্ট হিউম্যানিটি। এই ফ্যাসিবাদের যিনি মাস্টারমাইন্ড সেই শেখ হাসিনার নামে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণ হয়েছে বিচার শুরু হয়ে যাচ্ছে অথচ সেই বিচারের পূর্বে যদি তাদের পুনর্বাসনের কোন চিন্তা কোন এডজাস্টমেন্টের অ্যাটিচিউডে কেউ কোন পলিটিক্যাল লিডার কথা বলেন বুঝতে হবে তারা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ভুলে গেছেন।
কর্তৃত্ববাদী শাসন, হাজার হাজার মানুষকে খুন করা, জুডিশিয়ারিতে কোন নিরপেক্ষতা নেই, হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার, তিনটা ভোট আমরা দিতে পারলাম না, আমাদের ভোটের অধিকার, আমাদের গণতন্ত্র ছিনিয়ে নেয়া হলো, এই প্রশ্নে এত চিৎকার আমরা দিলাম, আমাদের ছেলেরা দিল। এখন হঠাৎ করে সাত মাসে সেই চেতনা ভুলে গিয়ে আমার দল আমার লিডারশিপ আমার ডমিনেন্সিটাই আমার কাছে মুখ্য হয়েছে।
এই কারণেই আল্টিমেটলি আমাদের এই জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি কিনা এই প্রশ্নটা আজকে উঠেছে এজন্য এই প্রশ্নটাকে আমি যথার্থ মনে করি।
দৈনিক সংগ্রাম : এটার পরিণতি কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আল্লাহ না করুন বিদেশী চক্র তো একটা আছেই এবং দিল্লির প্রভুরা কিন্তু বসে নেই। এই দেশকে আবার দিল্লির দাসত্বের মধ্যে নেয়ার জন্য কিছু গোয়েন্দা সংস্থা, অনেক এজেন্সি এদেশের রাজনৈতিক দলের উপরে ওয়ার্ক করছে। এটা বুঝা যায় তাদের কথাবার্তার পরিবর্তন থেকে। তাই যদি হয় রাজনৈতিক নেতারা কিছু ভুলে যেতে পারে। কিন্তু নির্যাতিত মজলুম মানুষ এটা ভুলবে না। আওয়ামী লীগকে এদেশের মানুষ রাজনীতিতে আর গ্রহণ করবে না। গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ একসাথে যায় না। এত নিষ্ঠুরতা এত বর্বরতা এই দেশের মানুষ ভুলবে না। কিন্তু দুভাগ্যজনকভাবে দু চারজন রাজনৈতিক নেতা ভুলতে পারে। সেজন্য আমি এই প্রশ্নের উত্তরে বলব যে, যদি এমন কিছু ঘটে তাহলে এই জাতির সামনে একটা মহাবিপর্যয় নেমে আসছে। যে জায়গা থেকে এই জাতিকে উত্তরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
দৈনিক সংগ্রাম : এক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমার পরামর্শ যে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাটাকে দলগুলোর বেশি করে ধারণ করা উচিত। যে কারণে আমরা হাসিনা রিজিমের চেঞ্জ চেয়েছি সেই কারণগুলো মনে রাখা দরকার। আমরা কি তাহলে আরেকটা কর্তৃত্ববাদী, আরেকটা লুটপাট, আরেকটা চাঁদাবাজি, আরেকটা অর্থ পাচারকারী, আরেকটা জুডিশিয়ারির উপরে হস্তক্ষেপকারী, এরকম আরেকটা শাসন আমরা চাচ্ছি কিনা এটা একটু আত্মসমালোচনা করা দরকার।
সেক্ষেত্রে যদি কোন দলকে তার নীতি পরিবর্তন করতে হয়, লিডারশিপদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হয়, কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়, তা করতে হবে। আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে একটা জাতীয় ঐক্য তৈরি করে, জাতীয় নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত। যার যার আদর্শ আমরা মানুষকে বলবো, যার যার প্রতীকে সে নির্বাচন করবে, জনগণ যাকে ভোট দেয় সে ক্ষমতায় যাবে কিন্তু আমরা কেন এমন আচরণ করবো, যাতে ফ্যাসিবাদকে এডজাস্ট করার প্রয়োজন হয়। এই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।
দৈনিক সংগ্রাম : আপনি নির্বাচনের কথা বলছেন, সংস্কারের কথাও বলছেন। কোনটা আগে হওয়া উচিত?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমরা তো অফকোর্স রিফর্মকে আগে চাই। এই কারণে চাই যেটা আমাদের সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমান প্রথম থেকেই বলছেন আমাদের অবস্থান সেখানেই আছে। উইদাউট এ্যানি রিফর্ম ইলেকশন কখনো ফ্রি ফেয়ার এন্ড ক্রেডিবল হবে না। কারণ আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থা অর্থাৎ ইলেকটরাল প্রসেসের রিফর্ম আমরা চেয়েছি, জুডিশিয়ারির কিছু রিফর্ম চেয়েছি, কনস্টিটিউশনের কিছু রিফর্ম চেয়েছি, সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম চেয়েছি, সেইসব জায়গাগুলো চেয়েছি যাতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়। যেখানে আইন দ্বারা নির্বাচনের সাথে নিযুক্ত এজেন্সিগুলো নিরপেক্ষ থাকতে পারে এ সমস্ত কিছু পরিবর্তন না আসলে তো যারা ক্ষমতায় যাবে তারা ভোট কেটে নেবে। এজন্য আইনি কাঠামোটাকে এমনভাবে পরিবর্তন করা দরকার যেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে বাধ্য হয়।
সেজন্য যদি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হয় তাহলে সেই নির্বাচন আর নিরপেক্ষ হবে না। আবার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর মত ভোট হয়ে যাবে, তাহলে আমাদের এসব রক্তদান বৃথা যাবে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু সংস্কার চায় না এমন কেউ নেই। সবাই চাচ্ছে, কেউ বলছেন, যে হোল ন্যাশনের নানান অর্গানাইজ সংস্কার, কেউ বলছে ইলেকশন সুষ্ঠু করতে যেটুক সেটুক দিলেই হবে। আবার কেউ বলছে যে ঠিক আছে নির্বাচন আর সংস্কার একসাথেই হোক। সব সংস্কার শেষ করে পরে নির্বাচন তাতে নির্বাচন অনেক পিছিয়ে যাবে। কেউ বলছে যে, না অন্তত নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যেটুকু সংস্কার সেটুকু করতে হবে। চার পাঁচ রকম কথা এখন মাঠে চালু আছে। তো আমরা মনে করি যে, নির্বাচনটা নিরপেক্ষ করার জন্য যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন সেটুকু করতে যে রিজনেবল টাইম প্রয়োজন হয়, তাতে যে সময়টুকু লাগে জামায়াতে ইসলামী সেই সময় সরকারকে দিতে প্রস্তুত আছে।
এজন্য আমরা কিন্তু ইলেকশনের কোন তারিখ, মাস, বছর বেঁধে দেইনি। অর্ন্তবর্তী সরকারকে কোন ম্যান্ডেটরি করে দেইনি যে এর মধ্যে দিতে হবে। এই কারণেই অনেকে বলছে আপনারা কোন দিন মাস কেন বলেননি, আমরা মনে করি মাস দিনক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ইলেকশনটা ফ্রি হবে কিনা।
এটাই আমাদের কাছে বড় কথা। ইলেকশন দিয়ে লাভ কী যদি সেই ইলেকশন আবার খারাপ ইলেকশন হয়। এজন্য আমরা কোন ম্যান্ডেটরি করিনি।
দৈনিক সংগ্রাম : জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে আরো কিছু দল আসছে। বিশেষত: জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। আপনারা এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : এটাকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখি এটা একটা বিউটি অফ ডেমোক্রেসি গণতন্ত্রের একটা সৌন্দর্য।
এরা তরুণ, বয়সে এরা ১০০ ভাগ শিক্ষিত মানুষ, ছাত্র তারা। তারা জুলাই অভ্যুত্থানের অসাধারণ ত্যাগ করেছে তারা নির্যাতিত হয়েছে। ফলে আমরা মনে করি এদের মধ্যে দেশপ্রেম জাতির জন্য মানুষের জন্য যে দায়বদ্ধতা, তারা দংশিত পীড়িত সেখান থেকে যদি কোন রাজনৈতিক দল তারা গঠন করে, জাতির জন্য তারা কিছু দিতে পারবে। সেজন্য আমরা রাজনীতিতে তাদেরকে স্বাগত জানাই। এখন কথা হলো যে, বয়সে এরা নবীন। ম্যাচিউরিটি রাজনীতিতে একটু প্রয়োজন হয়। দুর্নীতি, অসততা, অস্বচ্ছতা, কর্তৃত্ববাদী চিন্তা নিয়ে যারা রাজনীতিতে এসেছেন এবং দল করেছেন, তারা মানুষের কাছে নিন্দিত হয়েছেন। ফলে সততা রাজনীতিতে একটা বিরাট জিনিস, এজন্য এইসব ব্যাপারে তারা যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং জাতির আশা আকাক্সক্ষা পূরণে জাতীয় ঐক্যের চেতনায় যদি তারা শাণিত থাকে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সাথে সহমর্মিতা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে, সমঝোতার ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার সম্ভাবনা কাজে লাগায়, এগুলো নিয়ে যদি তারা ওয়ার্ক করে, তাহলে এসব দলকে আমরা রাজনীতিতে স্বাগত জানাই।
দৈনিক সংগ্রাম : জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি দুটি বিষয় সামনে নিয়ে আসছে। একটি দ্বিতীয় রিপাবলিক অপরটি গণপরিষদ। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : সেকেন্ড রিপাবলিক তারা যে সেন্সে বলেছে, যে ব্যাখ্যাটুকু তাদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি, সেটা হলো যে স্বাধীনতার পরে ৭২ সালে যে সংবিধান এসেছে সেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এটাকে ফাস্ট রিপাবলিক করছে কিন্তু সংবিধানের যে কাঠামো রাষ্ট্র শাসনের যে কাঠামোটা তৈরি হয়েছে, তাদের ব্যাখ্যায় তারা এটা বলতে চেয়েছে যে এই কাঠামোতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্ম হয়। নামে গণতন্ত্র কিন্তু শাসন ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে ডেমোক্রেসি নেই। এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হবে তো হবেই। প্রেসিডেন্ট থাকবে কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি কিছু করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। এই কাঠামোতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার কোন ভারসাম্য নেই। নানান জায়গায় এই তিক্ত অভিজ্ঞতা দেখে তারা চাচ্ছে যে এমন একটা সংবিধান এমন একটা কাঠামো রাষ্ট্রের হওয়া দরকার সেটা খানিকটা নিউলি কনস্টিটিউটেড একটা কনস্টিটিউশন হবে। এই অর্থে তারা এটাকে যদি তারা করতে পারে তখন তারা বলছে এটা একটা সেকেন্ড রিপাবলিক হবে। একটা শাসনতান্ত্রিক গঠনতান্ত্রিক একটা নতুনত্ব। একটা পুনর্বিন্যাস ইন দ্যাট সেন্স তারা এটাকে সেকেন্ড রিপাবলিক বলছে। এটা যদি জাতির জন্য কল্যাণকর হয়, জাতি যদি গ্রহণ করে সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
আর গণপরিষদ যেটাকে বলা হচ্ছে, এটা সাধারণত দুনিয়ার কোন দেশে যখন কোন নতুন সংবিধান তৈরি হয় সে সংবিধান পূরণের জন্য গণপরিষদ প্রয়োজন। যেমন বাংলাদেশে ৭২ এর সংবিধান হয়েছে, গণপরিষদে এর ৭০ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্বে যেতে পারেনি, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে যারা বিজয়ী হলো তাদের কাছে ক্ষমতা তারা হস্তান্তর করেনি, স্বাধীনতা পরবর্তী ওই ৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ীদেরকে নিয়েই কিন্তু গণপরিষদ গঠন করা হয়েছে এবং তারাই প্রথম সংবিধান অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশে সংবিধান আছে, এর যদি সংশোধন প্রয়োজন হয় বা নতুন কিছু বানাতে হয়, একটা নির্বাচিত পার্লামেন্টও কিন্তু সে কাজটা করতে পারে, পার্লামেন্ট ইজ এনাফ। নতুন একটা দল, নতুন দল হলে তারা নতুন পলিসি, নতুন কর্মপদ্ধতি, কর্মসূচি, কর্মপন্থা তো তারা দিতেই পারে। তাদের অধিকার আছে। এটা তাদের দলীয় পলিসি। গণতন্ত্রে ভিন্ন ভিন্নমত থাকবেই। এটার আমরা কোন সমালোচনা করি না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছেন, আমরাও মতামত দিয়েছি। সেই ঐকমত্য কমিশন ওয়ান টু ওয়ান পার্টির সাথে বসছেন, মতামতের ভিত্তিতে যদি জনগণ একমত হয়ে যায়, তো হয়ে যাবে।
দৈনিক সংগ্রাম : নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতের প্রস্তুতি কী? বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থী মনোনয়নের কথা শুনা যাচ্ছে। বিষয়টি কী?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনমুখী দল। সবসময় আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু গত তিনটা টার্মে কোন ফেয়ার ইলেকশন হয়নি বলে আমরা ইলেকশন করতে পারিনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন যদি ফ্রি ও ফেয়ার হয়, আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে অংশ নিবো। সেক্ষেত্রে ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রস্তুতি দুই রকম, একটা হচ্ছে সেখানে প্রার্থী তৈরি করা প্রার্থী নমিনেট করা। আরেকটা হচ্ছে মাঠে জনগণের কাছে আমাদের প্রার্থীদেরকে নিয়ে যাওয়া। দুইটা কাজই আমরা শুরু করেছি।
অন্যান্য দলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বাছাই করার প্রক্রিয়া ভিন্ন। ৩০০ আসনের প্রার্থী নিয়ে অন্যান্য দল সেন্ট্রালি একটা ডিক্লারেশন দিয়ে দেয়। আমরা তা করি না। আমরা একেবারে তৃণমূল থেকে মতামত নেই। একেবারে ইউনিয়ন উপজেলা জেলা সংগঠনের নানান টায়ার থেকে আমরা গোপন একটা মতামত নিয়ে প্রার্থীদের একটা প্রাথমিক তালিকা তৈরি করি, তারপরে সেটা সেন্ট্রালে আসে।
আমরা ৩০০ আসনে একটা সেন্ট্রাল ডিক্লারেশন সেটি আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত ঘোষিত তালিকা, সেই কাজটা আমাদের এখনো হয়নি। যেটা আসছে, সেটা হলো লোকালি মতামত নেয়ার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে একটা তালিকা তৈরি হচ্ছে, সেই জেলা-সেই সেই শাখা সেই তালিকাটা তারা গণমাধ্যমে দিয়ে দিচ্ছে মিডিয়ার আগ্রহের কারণে। ইতোমধ্যে আমীরে জামায়াত বলেছেন, যে আমরা অবজার্ভ করবো। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে। ইসলামী দলগুলোর সাথে জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তো জোট হতে গেলে তো আমরা সব আসনে বসে থাকলে তো জোট হবে না, ১০ টা ২০ টা ৫০ টা আমাদের ছাড়তে হতে পারে তো জোটের প্রয়োজনে আমরা যে আসনগুলো ছাড়বো, ৩০০ থেকে সেগুলো কমে যাবে। এজন্য যা এখন প্রকাশ হচ্ছে এটাই চূড়ান্ত নয়। ইলেকশনের শিডিউলের সময় এগিয়ে এলে আরো অনেক পোলারাইজেশন হবে, অনেক সমীকরণ হবে। তখন আমরা একটা সেন্ট্রাল ডিক্লারেশন দেবো সেটি হবে আমাদের চূড়ান্তভাবে কেন্দ্রীয় তালিকা।
দৈনিক সংগ্রাম : জোটবদ্ধ নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতের ভাবনা কী? কাদের নিয়ে জোট হতে পারে?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমরা সব দলের সাথেই কথাবার্তা বলছি। ইসলামী দল, ইসলামী ব্যক্তিত্ব তারাও কথা বলছেন। আমরা পরস্পর মুসলিম উম্মাহ এবং দেশের কমন ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করছি। ন্যাশনাল উম্মাহ কনসেপ্টে কিছু কমন ইস্যুতে আমরা একমত হতে পারি কিনা এই আলোচনা চলেছে। ইসলামী দল ছাড়াও যে সমস্ত রাজনৈতিক দল আছে, ছোট বড় তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। দেখা যাক, নির্বাচন আসলে তো সব দলের মধ্যে দিক টানাটানি হবে। এ ওদিকে যাবে, ও কোন দিকে যাবে, আসলে এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
দৈনিক সংগ্রাম : আমরা গণমাধ্যমে দেখছি, জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটছে। এর সাথে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর নামও আসছে গণমাধ্যমে। এ ঘটনাগুলোকে আপনারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমরা এটাকে খুব দুর্ভাগ্যজনক মনে করি, আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলেছি কোন কোন জায়গায় এই হামলা হওয়ার পরে। আমাদের যেমন পটুয়াখালীতে আইনজীবীদের ইলেকশনের সময় হামলা হয়েছে, মহিলাদের সভায়ও এরকম হয়েছে। নানান জায়গায় এসব ঘটনা ঘটেছে। সেসব জায়গাতে আমরা তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। আসলে আমরা তো সবাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে একসাথে ছিলাম। কোন কোন জায়গায় এটা আমরা মনে করি, বিএনপির কোন সেন্ট্রাল গাইডেন্সে এটা হচ্ছে না। লোকাল লিডারদের অসহিষ্ণুতা, ব্যক্তিগত দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে তারা এগুলো করছে। আমরা এগুলো এড়াতে বলেছি। চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে বলেছি। আশা করি, সবার মধ্যেই রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় থাকবে।
দৈনিক সংগ্রাম : জুলাই বিপ্লবের অনেকদিন হয়ে গেল। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : এটা তো সাবজুডিস ম্যাটার আদালতে আছে। হাইকোর্ট রমযান ও ঈদের ভ্যাকেশন চলছে। ১৯ তারিখের দিকে কোর্ট খুলবে। নিবন্ধনের কয়েক দফা শুনানী হয়ে গেছে আর একটা দুইটা শুনানী হবে। আমরা আদালতের কাছে আমাদের নিবন্ধন পাওয়ার পক্ষে যে সমস্ত এভিডেন্স যুক্তি আর্গুমেন্ট আছে তা আমরা করেছি। আমাদের আইনজীবীরা দক্ষতার সাথে এসে শুনানি করে যাচ্ছেন। আমরা আদালতে সুবিচার পাবো বলে আশা করছি। আমাদের উপরে জুলুম করা হয়েছে, একটা গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ ধারায় জনমত দল গঠন, সভা সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত কোন অধিকার কোন আদেশ দিয়ে পলিটিক্যাল ইন্টেনশনে করা যায় না। ফ্যাসিবাদী সরকার এটাও করে গেছে। যাই হোক আমরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছি, আমরা সুবিচার পাবো আশা করছি।
দৈনিক সংগ্রাম : জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক নেতাকর্মী সবাই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে এবং অনেকে সকল মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েও স্থগিত করা হয়েছে। তার মুক্তির বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : এটাও দুর্ভাগ্যজনক আজহার ভাই মজলুম, আজ প্রায় ১৪ বছরের মত হয়ে গেল। কারাগারে আমিও তার সঙ্গে কাছাকাছি এক বছর ছিলাম। যে সমস্ত বানোয়াট অভিযোগে দন্ড দেয়া হয়েছে, ওই ঘটনার সাথে তার দূরতম কোন সম্পর্ক নাই। সাক্ষীরা বলেছে, ছয় মাইল দূর থেকে দেখেছেন। কেউ বলেছে তিন মাইল দূর থেকে দেখেছেন, শুনেছেন। এগুলো মিথ্যা, মিথ্যা মামলা, সাজানো সাক্ষী এবং সবকিছুই সাজানো। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এগুলো করা হয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তাকে দেয়া ফাঁসির দন্ডের বিরুদ্ধে আমরা রিভিউ করেছি। সেই রিভিউর শুনানী শুরু হয়েছে। দুই দিনের শুনানী শেষ এটাও কোর্ট ভ্যাকেশনের পরে আমাদের আইনজীবীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। আমরা রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচিতে আমরা সরকারের কাছে আমাদের বক্তব্যটা তুলে ধরতে চেয়েছি।
সরকারকে আমরা এটা বুঝাতে চেয়েছি যে, এটা পলিটিক্যালি মামলা হয়েছিল। অন্যান্য দলের ব্যক্তিরা এসব পলিটিক্যাল মামলায় খালাস পেয়ে গেল, মুক্তি পেয়ে গেল, বড় বড় সাজা থেকে। এই একজন ব্যক্তি কেন বাকি থাকলো?
এটা একটা পলিটিক্যাল ব্যাড ইন্টেনশন। এজন্য আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছিলাম। পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম দেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরাও চিন্তা করলাম যে, এটা তো ফ্যাসিবাদী সরকারের দায়ের করা একটা মামলা। উনারা বলেছেন, উনারা আদালতের উপরে ইন্টারাপ্ট করবেন না, আদালত স্বাধীন গতিতে এই মামলা পরিচালনা করবে। সরকারের এই মনোভাবের কারণে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আদালত শুনানী শুরু করেছে। সে শুনানী আমাদের আইনজীবীরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে শুরু করেছেন। আগামী ২২শে এপ্রিল ডেট আছে এবং একটা দুইটা শুনানীর পরে আমারও সেটা মনে হয়, আমরা আজহার ভাইয়ের মামলায় সুবিচার পাবো। বেকসুর খালাস করেই আদালত তাকে মুক্তি দিবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
দৈনিক সংগ্রাম : ইদানীং জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে। জামায়াত কি পলিসিতে পরিবর্তন আনছে?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : এটা পলিসির পরিবর্তন না। এটা হচ্ছে সময়ের দাবি। রাজনীতিতে মাঠ ময়দান পলিটিক্যাল পার্টির কাছে অনেক কিছু ডিমান্ড করে। আমাদের বোনেরা একটা হিউম্যান চেইন করেছেন, তারা তো শরীয়তের সীমার মধ্যেই করেছেন। আমাদের নারীরা অফিসে আদালতে তাদের অধিকারের জন্য যাচ্ছেন, কথা বলছেন। সমাজের অর্ধেক হচ্ছে নারী। আসিয়া ধর্ষিতা হলো, বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের মধ্য দিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। ফলে আমাদের মায়েরা বোনেরা ঘরে থাকতে পারেনি। তাদের এই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা সীমার মধ্যে থেকে কথা বলেছেন। বক্তব্য রেখেছেন, মানে কথা বলেছেন।
এটা পলিসির পরিবর্তন নয়, রাজনীতির ময়দানে অনেক সময়ের চাহিদা পূরণ করতে হবে, আমাদের মহিলা বিভাগ সেই চাহিদা পূরণ করেছে।
দৈনিক সংগ্রাম : জনগণ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আপনারা কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিবেন?
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : আমাদের সম্মানিত আমীরে জামায়াত এটা বলেছেন যে, জনগণ আল্লাহর রহমতে যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন, আমরা শাসক হবো না, আমরা সেবক হবো। আমাদের প্রথম কাজ হবে, দেশের শিক্ষানীতিকে পরিবর্তন করে জাতি গঠনে দেশ গঠন যারা কাজ করবে, সেই নিউ জেনারেশনকে সততা, নৈতিকতা এবং আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির শিক্ষা দিয়ে একটা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার জন্য তাদের যেভাবে গড়ে তোলা দরকার সেই শিক্ষাটাকে আমরা নতুন করে তৈরি করতে চাই। সেকেন্ড প্রায়োরিটি থাকবে, আমাদের অর্থনীতির যে লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, তারপরে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি তৈরি করে, ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রব্যমূল্য এই জায়গাটায় হাত দিয়ে আমরা একটা যাকাত ভিত্তিক ইনসাফপূর্ণ বৈষম্যহীন অর্থ ব্যবস্থা দাঁড় করাবো। আমরা অর্থনীতিকে এমনভাবে ঢেলে সাজাবো, যেখানে দারিদ্র্য দুর্ভিক্ষ অন্নহীন বস্ত্রহীন মানুষের কান্না থাকবে না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ওয়েলফেয়ার স্টেটের ধারণা দিয়েছেন যে, শাসকের দায়িত্ব হলো সেই দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক সমস্যার সমাধান করা। তার ভাত কাপড় শিক্ষার নিশ্চয়তা সরকারকেই করতে হবে। হয় তাকে কাজ দিয়ে, তার আর্থিক জীবন জীবিকার ব্যবস্থা দিতে হবে, যদি কাজ দিতে না পারে, বেকারদেরকে মাসিক বেকার ভাতা দিয়ে হলেও তাকে জীবন জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে হবে। যদি আমরা সুযোগ পাই, তাহলে অর্থনীতিতে সেই সংস্কার সাধন করবো।
লেখাপড়া শেষ করে ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি নিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে বের হবে ওই সার্টিফিকেট দিয়ে তার চাকরি হবে। জুডিশিয়ারি সংস্কারে হাত দেবো, আমরা শিল্পনীতিতে হাত দেবো। আমরা দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবো ইনশাল্লাহ।
দৈনিক সংগ্রাম: আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার : এই সময়ের কিছু কথা দেশবাসীকে জানাতে পারলাম বলে আমিও দৈনিক সংগ্রামকে ধন্যবাদ জানাই।