স্বাস্থ্য
জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ঘাটতি, সংকট দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিন
জন্মহার কমিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার বিনা মূল্যে মাঠপর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এবং তার সুফলও দেশবাসী পেয়েছে। এই কর্মসূচিসহ নানা সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ দরকার
গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এ বছর বেশি না হলেও মৃত্যুহার বেশি। সুতরাং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কিংবা ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমে আসছে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এ বছর এখন পর্যন্ত একদিকে প্রচণ্ড তাপ, অন্যদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি।
‘নিরাপদ খাদ্য’ উৎপাদনে জোর দিতে হবে
দেশের নাগরিকের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খাদ্য। বিষয়টিকে আমরা দেখি শুধু খাদ্যের অভাব দূর করা ও খাদ্যনিশ্চয়তা পূরণ করার অর্থে। এখানে খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটা গৌণ হয়ে থাকে।
বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কতটুকু সজাগ?
যেকোনো রোগ থেকে মুক্তির উপায় হলো প্রাক্–প্রতিরোধব্যবস্থা ও আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর চিকিৎসা। কিন্তু ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা চিকিৎসার কাজটি মোটামুটি করলেও প্রাক্–প্রতিরোধব্যবস্থাকে বরাবর অগ্রাহ্য করে গেছেন।
চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিতে ‘রাষ্ট্র’ ব্যর্থ, জলজ্যান্ত প্রমাণ দিনমজুর রশিদ
গত ৪ আগস্ট দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা রোকেয়াকে নিয়ে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে চেকআপ করতে গিয়েছিলেন দিনমজুর আবদুর রশিদ। স্ত্রীকে গাইনি ওয়ার্ডে রেখে নিচে টিকিট কেনার সময় হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। একদিকে দারিদ্র্য আরেকদিকে পরিবারপ্রধানের আকস্মিক এ গুরুতর আহতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই দিশেহারা হয়ে পড়েন স্ত্রী।
‘ডেঙ্গু রোধে’ যেসব বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ
গত কয়েক দশক ধরে ঢাকা নগরীতে এডিস মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে নাগরিকদের কল্যাণে কিছু উদ্ভাবনমূলক প্রকল্প নিয়ে অনেক দিন ধরে ভাবছি। আমাদের বিশ্বাস, এগুলো নগরবাসীর রোগব্যাধিমুক্ত সুস্থ ও প্রশান্তিময় জীবনযাপনে সহায়তা করবে।
ফিজিওথেরাপি কলেজ নির্মাণের ‘সকল বাধা’ কেটে যাক
বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের জাতীয় জীবনের জনগুরুত্বপূর্ণ সব খাতেই বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। স্বাস্থ্য খাতে এই বিশৃঙ্খলা এতটাই দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে যে, সামর্থ্যবান মানুষ এখন দেশের চিকিৎসকদের ওপর ভরসাই রাখতে পারছেন না। অগত্যা পাড়ি জমাচ্ছেন উন্নত দেশগুলোতে।
ডেঙ্গুর শঙ্কা ঊর্ধ্বমুখী, মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়া জরুরি
ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী যে চিত্র আমরা দেখছি, তাতে জনমনে নতুন করে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সমকালের প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু আগস্টেই ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি।
বন্যাদুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিন
বন্যা–পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলা। দেশের পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার পর তেমন পরিস্থিতিই আমরা দেখতে পাচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
কোন খুঁটির জোরে ওয়াসার এমডি এখনও বহাল তবিয়তে?
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক-এমডি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার সদ্য সাবেক এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের মধ্যে বেশ মিল। দু’জন দুই ওয়াসাতে একই বছর তথা ২০০৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশ কতটা আতঙ্কিত!
গত ১৪ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে। এবারের ভাইরাসটিও পশুবাহিত বা জুনোটিক। এর বিস্তার শুরু হয়েছে আফ্রিকায়, মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে। ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। কঙ্গোতে প্রায় ১৭ হাজার কেস শনাক্ত হয়েছে; ছড়িয়েছে উগান্ডা, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা ও কেনিয়ায়।
দুর্গত মানুষের কাছেও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে হবে
স্বাস্থ্যসেবাবিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, বন্যাদুর্গত অঞ্চলে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়বে। বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানির অভাবে এসব এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাস্তবেও সেটি ঘটেছে।
জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন
২০২৩ সালে স্বাস্থ্যসেবা সূচকে বাংলাদেশ ৯৪টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে শেষে অবস্থান করলেও স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখ করার মতো কিছু অগ্রগতিও আছে। নিশ্চিত করেই এর মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি সবার আগে উল্লেখ করা যাবে।
চিকিৎসা সেবাও নাগালের বাইরে!
চিকিৎসা সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এ অধিকার সবার ভাগ্যে জুটছে না। যাদের অর্থ বিত্ত আছে তারাই কেবল চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে। আর যাদের অর্থ-কড়ি নেই, তারা হাসপাতাল তো দূরের কথা; বারান্দায়ও ঠাঁই পাচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষ অর্থের অভাবে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারছে না। নিত্যপণের সাথে পাল্লা দিয়ে চিকিৎসা ব্যয়ও বাড়ছে।
আলোচিত তিশা-মুশতাক দম্পতি: গুড প্যারেন্টিং
প্যারেন্টিংয়ের জনপ্রিয় আলোচনা হচ্ছে, বাচ্চাদের শুধু শেখাতে হবে। যা পাও সব মাথায় ঢেলে দাও। নিখিল বঙ্গের অধিবাসী জীবনের মূল্যবান সময়, অর্থ, শ্রম, শরীর, জান, প্রাণ, জ্ঞান, বিদ্যা, অভিজ্ঞতা দিয়ে শুধু ‘মানুষের মতো মানুষ’ বাচ্চাকাচ্চা তৈরির মাধ্যমে ‘সফল’ মা-বাবা হতে চাই। আর এতেই বাচ্চার সঙ্গে বাড়ে দূরত্ব। বেড়ে ওঠে তিশা বা সাবরিনার মতো সন্তান।
স্বাস্থ্যসেবার হাল ধরবে কে?
সারা দেশের জেলা, উপজেলার হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে তাকালেই দেখা যায়, একশ্রেণির ডাক্তার সরকারি দায়িত্ব পালন না করে কীভাবে হাসপাতালের আশপাশে নিজেরাই ব্যক্তিগত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে সেসব স্থানে রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছেন; সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিজেদের হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যেতে কীভাবে দালাল লাগিয়ে রেখেছেন! আর যুগ যুগ ধরে এসব ঘটনা চালু থাকলেও আজ পর্যন্ত সে ক্ষেত্রে লাগাম টানা সম্ভব হয়নি।
চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সর্দি-কাশি হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সরকারকেও এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা : করণীয় কী?
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাপদ্ধতিও এ ক্ষেত্রে সফল প্রমাণিত। ইতালি, স্পেন, কিউবা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে বহু করোনা রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়েছেন।
চিকিৎসাবর্জ্য এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি
চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। দরকার এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনসাধারণের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ক্ষেত্রে সমন্বিত ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
প্রাণ রক্ষার নামে প্রাণহানি বন্ধ হউক
আমরা দেখিতে চাহিব, প্রাণ রক্ষার নামে প্রাণঘাতী চিকিৎসা বাণিজ্য অবিলম্বে বন্ধ হইয়াছে। স্বীকার্য, দেশে এখন বেসরকারি পর্যায়েও যথেষ্ট উন্নতমানের চিকিৎসা সম্ভব হইতেছে।