প্রফেসর ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে একটা ভয়ানক অপপ্রচার চলছে। কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, শাতানিয়াহুর বক্তৃতার সময় প্রফেসর ইউনূস, তাসনীম জারা, আখতার হোসেন ও মির্জা ফখরুল ওয়াকআউট না করে বসে বসে বক্তৃতা শুনেছে। অথচ, ঘটনা পুরোটাই উল্টা। অন্যন্য অনেক দেশের নেতাদের মতো তারাও শাতানিয়াহুর বক্তৃতাকে বয়কট করে walk-out (হেটে বের হয়ে যাওয়া) করেছেন। এই অপবাদ খন্ডনের জন্য, শাতানিয়াহুর বক্তৃতার সময় প্রফেসর ইউনূস ও তার সঙ্গীদের অনুপস্থিত থাকার ভিডিও প্রমাণ দেওয়া হলো।
এমনকি প্রফেসর ইউনূস গাজার গনহত্যার বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন, যা নীচে তুলে ধরা হলো - “মাননীয় সভাপতি, আমি সবসময় মানুষকে আশার বাণী শুনিয়েছি, কখনো ভয় দেখিয়ে কিছু করা আমি সমর্থন করিনি। কিন্তু আজ আমাকে সেখান থেকে সরে এসে ভয়ংকর কিছু কথা বলতে হচ্ছে। আজ আমি সতর্ক করছি—চরম জাতীয়তাবাদ, অন্যের ক্ষতি হয় এমন ভূরাজনীতি, এবং অন্যের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র আমরা দেখছি গাজায়। শিশুরা না খেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সাথে আমরাও একমত যে আমাদের চোখের সামনেই একটি নির্বিচার গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে; আমাদের দূর্ভাগ্য যে মানবজাতির পক্ষ থেকে এর অবসানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বের বিবেকবান নাগরিকদের পক্ষ থেকে আমি আবারও জোরালো দাবী জানাচ্ছি যে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধুমাত্র ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমারেখার ভিত্তিতে, যেখানে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে, তখনই ন্যায়বিচারসম্পূর্ণভাবে কার্যকর হবে।”
- Chief Adviser GOB পুরো বক্তৃতার লিঙ্ক (https://www.facebook.com/ChiefAdviserGOB/posts/pfbid0HDAyshx66HLQ1YfxvE1amrBjx4UYbn9TCuxPXpyBZ6ddbrdwthWTsTSWDAdNnqP3l) পুরো বক্তৃতার ভিডিও লিঙ্ক (https://www.facebook.com/ChiefAdviserGOB/videos/765438806120329)