পারভেজ নামের এই ছেলেটি তার নিজের ক্যাম্পাসে খুন হয়েছে গতকাল
ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজ তাঁর দুই বন্ধুকে নিয়ে শিঙাড়া খাচ্ছিল। সেখানে দুই নারী শিক্ষার্থীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা মনে করে ওরা তাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।
তাই তারা কাউকে খবর দেয়। খুব সম্ভবত বয়ফ্রেন্ড হবে। ক্যাম্পাসের বাইরের তিনটা ছেলে এসে পারভেজদের কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। কিন্তু ঐ তিন যুবক আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে পারভেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই তাঁকে ছুড়িকাঘাত করে।
একটা ছুড়ির আঘাত ঠিক হৃদপিণ্ডের উপর পড়ে। এক ইঞ্চির একটা ক্ষত! মারা যায় পারভেজ। একেবারে তুচ্ছ একটা ঘটনায় খুন হয় ছেলেটা। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত সে।
পারভেজ যখন ইন্টারে পড়ত, ময়মনসিংহের টাউন হলের পাশেই একটা মেসে থাকত সে। রয়েল মিডিয়া কলেজের ছাত্র ছিল। কী হাসিখুশি নির্মল একটা ছেলে। সালাম দিয়েই যেন হেসে নুয়ে যেত! এই হাসিই তার জন্য কাল হলো!
এই হত্যা ক্ষমতা প্রদর্শনের হত্যা, দর্প প্রদর্শনের হত্যা। এই জঘন্যতম হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন। ভিডিও ফুটেজ আছে, অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে সে খুন হয়েছে। এখনও খুনী কেন গ্রেফতার হয় নি?
সে ঢাবি, বুয়েটের ছাত্র না, তাই চুপ থাকবেন, এমন যেন না হয়। তার খুনের বিচারের দাবি তুলুন। আওয়াজ না তুললে বিচার হয় না এদেশে।
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ, বাচ্চা একটা ছেলে! মানুষের জীবন, হত্যা এত সহজ ব্যাপার হয়ে গেল!

-আরজু আহমেদ

সূত্র, সারজিস আলম