পরিবেশ ও জলবায়ু
দেড় মাস ধরে বন্যার পানিতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দূর হবে কবে?
দেশের পূর্বাঞ্চল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়। দেড় মাস আগে সেই বন্যায় ফেনী ও কুমিল্লা জেলা নিয়ে দেশজুড়ে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
পলিথিন নিষিদ্ধের আইন বাস্তবায়নে জনগণকেও সচেতন হতে হবে
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর জেনেও আমরা বছরের পর বছর পলিথিন বা পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার করে আসছি।
বজ্রপাতে প্রাণহানি কি কমানো সম্ভব?
দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে বন্যা, খরা বা ঘূর্ণিঝড় নিয়মিত ঘটনা হলেও বজ্রপাতের সংখ্যা অতীতে কম ছিল, এমনটা নয়। যেহেতু ঝড়ঝঞ্ঝার সঙ্গে বজ্রপাত সংঘটনের সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে আর প্রাক-মৌসুমি ও মৌসুমি সময়কালে বাংলাদেশে প্রচুর ঝড়ঝঞ্ঝা হয় সেহেতু বজ্রপাত অতীতেও হয়েছে সেটা নিশ্চিত।
দেশের প্রত্নস্থলগুলো আর কত অবহেলিত থাকবে?
সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় নদ-নদী বঙ্গীয় উপত্যকাকে বহুমাত্রিক করে তুলেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমরা আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষত প্রত্নস্থলগুলোকে পর্যটকের কাছে পরিকল্পিতভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হইনি।
রাজনৈতিক ক্ষমতায় যমুনার বালু লুট, এই দুর্বৃত্তায়ন রুখতে হবে
দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতাচর্চার অন্যতম শিকার নদ-নদী ও খাল। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকদের মিলেমিশে ভাগজোখ করার ঘটনা আমরা দেখতে পাই। যেমন বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর বালু লুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
হাওর এলাকার ‘বাঁধ কাটা’ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন
হাওর এলাকার ফসল রক্ষা বাঁধের বিষয়টি আলোচনায় থাকে সারা বছর। বিশেষ করে ধান কাটার মৌসুমে উদ্বেগ দেখা যায় এই বাঁধ নিয়ে। কারণ, বাঁধের কাজ যেমন ঠিক সময়ে শেষ হয় না, আবার অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে তা যথাযথভাবে শেষও হয় না। বাঁধ দেওয়ার পরও থাকে আরেক আশঙ্কা।
আন্তর্জাতিক আইনে পানি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশের বাধা কোথায়?
দেশের পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে আন্তসীমান্ত নদীতে বাঁধ ও বাংলাদেশ-ভারত পানি-বণ্টন নিয়ে আলোচনাটি আবারও সামনে এসেছে। দাবি উঠেছে, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হতে হবে এবং পানির ওপর ভাটির দেশের অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। অথচ বাংলাদেশ এমন কোনো আন্তর্জাতিক আইনে স্বাক্ষরই করেনি।
সুন্দরবনে বন্য প্রাণী শিকারিদের দৌরাত্ম্য থামান
সুন্দরবনে বন্য প্রাণীর শিকার ও চোরাচালান নতুন কিছু নয়। জেল বা জরিমানা—যতই ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন, শিকারিদের দৌরাত্ম্য কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। তিন জেলাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনে অনেকগুলো শিকারি চক্র তো আছে, এর সঙ্গে যুক্ত আছে চোরাচালানকারী চক্রও।
জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের বিপর্যয়, মারাত্মক ঝুঁকির দিকে দেশ!
পৃথিবীতে বর্তমানে ৮০০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এর অভিঘাতে বিশ্বব্যাপী মরুময়তা, খরার ঊষ্ণতা, দাবদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ধরাবাহিকতায় পৃথিবী ধীরে ধীরে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ক্ষয়, ক্ষরা, মরুময়তার কারণে জীববৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।
সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে প্লাবন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কি দায় এড়াতে পারবে?
উপকূলীয় মানুষের জানমাল রক্ষায় বাঁধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তার যথাযথ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভূমিকাকে কোনোভাবেই যথার্থ বলার কোনো সুযোগ নেই।
তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের উদ্যোগ নিন
অনেক দিন আগে একটি মার্কিন কোম্পানি বাংলাদেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য এসেছিল। তারা উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশে কি পরিমাণ তেল-গ্যাস আছে তার নিরূপন করার জন্য। বিশেষ করে গ্যাসর সম্ভাব্য মজুদ নির্ধারণ করার জন্য তারা চেষ্টা করে।
যশোরের দুঃখ ‘ভবদহের জলাবদ্ধতা’ কবে দূর হবে?
যশোরের ভবদহ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আবারও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এ সমস্যায় বছরের পর বছর ধরে ভুগছে ভবদহের মানুষ। কয়েক দশকে বিভিন্ন সরকার এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
বন্যার্ত এলাকার শিশুরা দিন দিন একা হয়ে যাচ্ছে!
মসজিদের ভেতর থেকে পানি নেমে গেছে। সিঁড়িতেও এখন আর পানি নেই। পেতে দেওয়া ইটের ওপর দিয়ে হেঁটে এলে থেমে থাকা বানের পচা পনিতে পা এখন আর ভেজে না। এক্কাদোক্কা খেলার ঢঙে ইটের ওপর পা ফেলে আট বছরের সুমন এসে বসে মসজিদের সিঁড়িতে।
‘জীবনের জন্য ওজোন: বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ৩৫ বছর’
বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোন স্তর ধ্বংসকারী নানা ধরনের পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয় ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর।
দুর্যোগের ক্ষত এখনো শুকায়নি, মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার শিকার হলো দেশের পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। এখনো সেই দুর্যোগের ঘা শুকায়নি। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা, কক্সবাজার জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজেলা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে।
বন্যাপ্লাবিত মানুষের পাশে ‘এক দল চপার পাইলট’
২৩ আগস্ট, ২০২৪। সকাল ৮টা। বন্যাপ্লাবিত ফেনীর আকাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট ‘আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ’-এর হেলিকপ্টার বেল ৪০৭। ফেনী শহর পেরিয়ে হেলিকপ্টারটি উত্তরদিকে পরশুরাম-ফুলগাজীর দিকে যায়। ফেনীতে এ যেন নুহের প্লাবন।
উজান থেকে নামা বালুতে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ফেনীসহ কয়েকটি জেলায় যে আঘাত হেনেছে, তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। লাখ লাখ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি মারা গেছে। ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনুসন্ধান ও উৎপাদনের বিকল্প নেই
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঙ্গে অর্থনীতির নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। এ খাতকে সেবা খাত হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের সাধারণ মানুষ লাভবান হয়, তাদের জীবনমান বাড়ে, অর্থনীতিও সচল থাকে। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে জনবিমুখ ও আমদানিনির্ভর জ্বালানি নীতির কারণে এখন ঝুঁকিতে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
সাম্প্রতিক বন্যার ধকল ও কিছু অতিরিক্ত ভাবনা
সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বড় বন্যা হয়ে গেল, যার ধকল এখনো পোহাতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর উজানে তাদের ক্যাচমেন্টে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ছিল সাম্প্রতিক এ বন্যার জন্য দায়ী।
বন্যায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানো উচিৎ
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি ক্রমবর্ধমান হারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তনের প্রভাবের তীব্রতা ও ঘনত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে।