বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে চোরাচালানের মাধ্যমে এদেশে মাদক প্রবেশ করে। ভৌগোলিকভাবে গোল্ডেন ট্রায়াংগেল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ওয়েজÑ এ তিন মাদক বলয়ের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সাথে দীর্ঘ সীমান্ত মাদক পাচারের অন্যতম কারণ।
মাদক নিয়ন্ত্রণের নোডাল এজেন্সি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাদক প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাদকদ্রব্যের চাহিদা হ্রাস কল্পে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে উপজেলা, জেলা, বিভাগ, রাজধানী ঢাকাতে ও অন্য জনবহুল স্থানে মাদকবিরোধী বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণায় নতুনত্ব আনয়ন করা হয়ে থাকে। এসব কাজ জনগণের দৃষ্টি কেড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী সভা হচ্ছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ব্যক্তিগতভাবে প্রায়শই এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখতে ও দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যাচ্ছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিসহ যাবতীয় কাজের মূল্যায়ন, পরামর্শ প্রদান, সমন্বয়সাধন ইত্যাদি কাজের জন্য জেলা ও উপজেলা এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মাদক নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটি রয়েছে। আমি জেলা পর্যায়ের কমিটির একজন প্রবীণ সদস্য। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটির সভায় মাদক বিরোধী কথাবার্তা হয়েই থাকে। ফলে মাদকবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ থাকে না। বর্তমানে মাদক সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় এ কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ আলাদাভাবে সময় নিয়ে এ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন মনে করি। কমিটির অন্যতম সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিক্ষা, সমাজসেবা ও তথ্য বিভাগের মাদক বিরোধী প্রচারণা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উক্ত বিভাগগুলোর স্বতঃস্ফূর্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে তুলনামূলক কম।
মানবধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থার দৃষ্টিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন গর্হিত কাজ হিসেবে পরিগণিত হলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে এসব উৎপাদন ও পাচারের মাধ্যমে আয় করছে প্রভূত অর্থ। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে।
মাদক দ্রব্যের ব্যবহার মানব জাতির ইতিহাসের মতই পুরাতন। মানব সভ্যতার ক্রম বিবর্তনের সাথে প্রতিটি মাদকদ্রব্যের আবিষ্কার হয়েছে মানুষের ব্যথাজনিত বিভিন্ন উপসর্গকে কেন্দ্র করে। বস্তুতঃ মাদকদ্রব্যের যথার্থ প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আশীর্বাদস^রূপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, কোন কোন মাদকদ্রব্য সেবনের সাথে সাথে উš§াদনামূলক অনুভূতি, ভালোলাগার আমেজ-উল্লাস, তীব্র উদ্দীপনা, সুখকর শিহরণ ইত্যাদি আবেশজাত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার উদ্রেকের ফলে এর বারংবার ব্যবহার ও মাত্রাবৃদ্ধি ক্রমেই অভ্যাসে পরিণত হয়। এ সাময়িক প্রশান্তভাব ও প্রমোদমূলক কার্যকারিতার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে সেবনকারীকে দৈহিক ও মানসিকভাবে পুরোমাত্রায় মাদক-নির্ভর করে তোলে। মানুষ কখন, কেন এবং কীভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে তা নিরূপণ করা কঠিন। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা মাদকদ্রব্যের ব্যাপক প্রসারের পাঁচটি প্রধান কারণ উদঘাটন করেছেন: ১. মাদকদ্রব্যের উৎপাদক, পাচারকারী ও বিক্রেতারা নিজেদের ভাগ্য গড়ার হীন উদ্দেশ্যে সমাজের যুব-কিশোর ও দুর্বল চেতা মানুষের হাতে তুলে দেয় জীবন-বিধ্বংসী ড্রাগস। ২. সমাজে সমন্বয়ের অভাবে কিংবা জীবন-সংগ্রামে ব্যর্থতার ফলে অনেকেই মাদকদ্রব্যের মাঝে মুক্তি ও প্রশান্তি খুঁজে। ৩. মাদকাসক্তির অভিজ্ঞতালব্ধ আচরণ সমাজে একই মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনা দ্বারা প্রভাবিত মানুষের মাঝে অতি সহজেই সংক্রমিত হয়ে থাকে। ৪. ড্রাগের ক্ষতিকর পরিণতি স¤পর্কে সম্যক ধারণার অভাবে নিছক তামসাচ্ছলে কিংবা কৌতূহলবশতঃ অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। ৫. বেকারত্ব, হতাশাও মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।
বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান বাস্তবতার নিরিখে নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, কেন এবং কীভাবে মাদকে আসক্ত হয় বর্তমান প্রজন্মের কিশোরÑকিশোরীরা। যেমন- সামাজিক বনিবনার অভাব, মূল্যবোধের সংঘাত, পারিবারিক অশান্তি, বিচ্যুত আচরণ, চিকিৎসাজনিত অসাবধানতা, অভিভাবকের অবহেলা, বিরূপ সামাজিকীকরণ, বয়ঃসন্ধির মনস্তাপ, দারিদ্রের কশাঘাত, বেকারত্বের অভিশাপ, জীবন সংগ্রামে পরাজয়, প্রেমে ব্যর্থতা, অসৎ সংসর্গ, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপসংস্কৃতির প্রভাব, দুশ্চিন্তা ও সংঘাত থেকে মুক্তির অপ-প্রয়াস, রোমাঞ্চকর ভাবানুভূতির প্রলোভন, বংশগত বদভ্যাস, শিক্ষাঙ্গণে মাদকাসক্ত সহপাঠীদের সঙ্গদোষ, কর্মস্থলে নেশাগ্রস্ত সহকর্মীদের কুপ্ররোচনা, সমাজে অপরাধীদের সাথে অবাধ মেলামেশা, নির্বিচারে ধূমপান, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ও পাচারকারীদের নিত্য-নতুন কৌশল ইত্যাদি এবং সর্বোপরি সমাজে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ও মাদকবিরোধী আইনের যথার্থ প্রয়োগে শৈথিল্য ইত্যাদি মাদকাসক্তির প্রধান কারণ। উপরন্তু, পাশ্চাত্যের অনুকরণে সৃষ্ট উচ্চ পদমর্যাদা ও আভিজাত্যবোধের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে বিশেষ পরিবেশ ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য সেবনের উৎসাহবোধ করে অনেককেই মাদকাসক্ত হতে দেখা যায়। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার যে কোন দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক হুমকিস^রূপ। বর্তমানে সমস্যাটি বিশ্বের প্রায় সর্বত্র এক অবর্ণনীয় উদ্বেগজনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
মাদকদ্রব্য সেবন শরীরের আপাদমস্তক প্রভাবিত হয়; তবে সর্বাধিক প্রভাব পড়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে তথা মস্তিষ্কে। এতে ন্যায়-অন্যায়বোধ, বিচার-বিবেচনা ক্ষমতা, সুস্থ মূল্যবোধ, হিতাহিত জ্ঞান, ভয়-ভীতি, দ্বিধা-দ্বন্দ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মাদকাসক্ত করে কাউকে দিয়ে হত্যা, ফাঁসি, অগ্নি-সংযোগ ইত্যাদি অমানবিক কাজ ও জঘন্য অপরাধ করানো সম্ভব।
অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, মাদকাসক্তি ও অপরাধ-প্রবণতা সর্বত্র সহঅবস্থান করে। নেশা জš§ দেয় বিবিধ সমাজবিরোধী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা। ব্যয় বহুল মাদকদ্রব্যের অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায় ইত্যাদি নীতিগর্হিত ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। বৃদ্ধি পায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতা, সড়ক দুর্ঘটনা, চাকুরিগত সমস্যা, পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে মাদকাসক্তের সংখ্যা অহরহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিঘিœত হয় কল-কারখানায় উৎপাদন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, সমাজে স^াভাবিক জীবন যাত্রা ও দেশে আইনের শাসন। তবে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন। আফিম জাতীয় মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতাবোধ, পারিবারিক বন্ধনহীনতা, কর্মবিমুখতা, নৈতিকতার অবলুপ্তি নিদ্রালু অবস্থা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
মাদকাসক্ত ব্যক্তির শারীরিক কর্ম-প্রক্রিয়াও মানসিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেকাংশে মাদকনির্ভর হয়ে পড়ায় ঐ পর্যায় থেকে তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। তার মধ্যে অন্যদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও অনুক¤পার পাত্র হওয়ার মতো হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়। ফলে সে অপরাধপ্রবণ ও বিকৃত মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। মাত্রাতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে মানসিক অস্থিরতা অবচেতনতা, বিষন্নতা, ভীতকর ভাবানুভূতি, তীব্র নিঃসঙ্গতা, অহেতুক উৎকন্ঠা ও দুঃখবোধ, শারীরিক দুর্বলতা, বমনেচ্ছা, নিদ্রাহীনতা, হƒদপিন্ডের ছন্দবৈষম্য, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, দৃষ্টি অস্পষ্টতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে তার স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে, মনন-শক্তি ভোঁতা ও অসাড় হয়ে আসে, হাসি-কান্নাবোধ তিরোহিত হয়, জীবনীশক্তি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ক্রমে সে এক অস^াভাবিক জীবš§ৃত অবস্থায় উপনীত হয়। নেশা গ্রহণে বিরত থাকলে চোখ-মুখ আরক্ত হয়ে উঠে, হাত-পায়ে কাঁপুনি সৃষ্টি হয়; দেখা দেয় অরুচি, বমিবমি ভাব, খিচুনি, অনিদ্রা, কথা-বার্তা ও চাল-চলনে অসঙ্গতি, চোখের তারার প্রসারণ, অস^াভাবিক ক্রোধ, মিথ্যা অনুভূতি, অমনোযোগ, পরিবেশের প্রতি অনাগ্রহ, খুটি-নাটি বিষয়ে দিকবিভ্রম, বিস্মৃতি, অহেতুক ভীতি, অবসাদ ও বিরক্তি, সব মনোবৈকল্য। এসব বিড়ম্বনা থেকে বাঁচার একটি সঠিক পন্থা বের করা অপরিহার্য। যথাসময়ে ও সঠিকভাবে চিকিৎসা করা না হলে মৃত্যুই হয় দুর্নিবার পরিণতি।
মাদকাসক্তদের সুস্থ ও স^াভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য শারীরিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনস^ীকার্য। তবে সমস্যার কার্যকর ও স্থায়ী সমাধানের জন্য পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক চিকিৎসারও। কেবল শারীরিক চিকিৎসার সর্ববিধ উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে আসল সমস্যাকে ধামাচাপা দেয়ারই নামান্তর। মাদকাসক্তির প্রতিকারের নিমিত্তে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রথমত, মাদকের করাল গ্রাস ও মরণ ছোবল থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সর্বাগ্রে রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচারাভিযান চালিয়ে এর কুফল স¤পর্কে ব্যাপক গণসচেতনা সৃষ্টি এবং সভা-সমিতি, সেমিনার-সি¤েপাজিয়ামের মাধ্যমে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজকে সুসংগঠিত করে মাদকবিরোধী কার্যকর জনমত গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, মদের প্রতিটি বোতলের গায়ে মদ্যপান স^াস্থ্য ও সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কথাগুলো স্পষ্টাক্ষরে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, মাদকদ্রব্য থেকে আবগারি আয়ের আশা পরিত্যাগ এবং এর উৎপাদন ক্রমান্বয়ে স¤পূর্ণ বন্ধের উদ্দেশ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। চতুর্থত, মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, পাচার, বিক্রয় ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং যে কোন উপায়ে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা রোধ করতে হবে। পঞ্চমত, মাদকের অভয়ারণ্য নামে খ্যাত দেশের শহরাঞ্চলের বস্তিসমূহে ব্যাপক অভিযানের মাধ্যমে মাদক দ্রব্য সেবনকারী ও ক্রয়/বিক্রয় কেন্দ্রের উচ্ছেদের পর জড়িতদের সুন্দর জীবন যাপনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। ষষ্ঠত, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাদকদ্রব্য উৎপাদন, পাচার ও অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার সাথে সময়োপযোগী ও সমন্বিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সপ্তমত, নৈতিক চরিত্রের উন্নয়নে ধর্মীয় শিক্ষা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার ব্যবস্থা করতে হবে। অভিভাবক, সমাজ নেতৃত্ব এবং মসজিদের ইমাম সাহেবদের ও ব্যাপারে সক্রিয় হতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট। সদস্য, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটি, সিলেট।