কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক সংহতি এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল ভিত্তি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশের বাস্তবতায় দেখা যায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং সামাজিক বিভাজনের পুনরাবৃত্তি দেশটিকে বারবার সংকটে ফেলে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপরিহার্যতা নতুন করে সামনে এসেছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘিরে রাজনৈতিক পরি-লে তীব্র বিতর্ক লক্ষণীয়। নির্বাচন কেবল প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নয়; বরং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সংস্কারের গতি বাড়ানো, সামাজিক সংহতির ভিত শক্ত করা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রেও এটি মুখ্য ভূমিকা রাখে। নির্বাচনের অনুপস্থিতিতে রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে ব্যাপক সংকট দেখা দেয় এবং অনির্বাচিত সরকারের উপস্থিতিতে সেই সংকট আরও ঘনীভূত হয়।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনির্বাচিত হিসেবে চিহ্নিত। ফলে এর নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও কিছু পক্ষের দাবি, এ সরকার একটি জনবিপ্লবের ফল এবং সে কারণেই তাদের একটি বিশেষ ম্যান্ডেট রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ বিশ্লেষক মনে করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত জনইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এবং সেখান থেকেই বৈধতা সঞ্চারিত হয়। সুতরাং, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।

দেশে নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতি কার্যত গণতান্ত্রিক ঘাটতি তৈরি করেছে। এর ফলে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ক্রমশ নি¤œমুখী হয়েছে এবং রাজনৈতিক বিভাজনও দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। বৈধতার সংকট শুধু ক্ষমতার কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ নেই; এটি সমাজের গভীরে প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর পথ হতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান দলসমূহ, বিশেষত বিএনপি ও অন্যান্য দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে, যা প্রায়ই অচলাবস্থার জন্ম দেয়। এই অচলাবস্থার ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, অপরাধ, মবোক্র্যাসি, বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সাধারণ মানুষের ওপর দমন-পীড়ন বেড়ে যায়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষমতার প্রতিযোগিতা ও অভিযোগ নি®পত্তির জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় সরবরাহ করে এবং কর্তৃত্ববাদ ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখে। নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক চুক্তিকে দৃঢ় করে এবং অংশগ্রহণমূলক শাসন ও জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তোলে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসইত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই অংশগ্রহণমূলক নীতি অপরিহার্য।

বাংলাদেশে নির্বাচনী জবাবদিহির অভাব সরাসরি দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার বিস্তারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, অনির্বাচিত সরকারগুলো সাধারণত জনসমর্থন হারানোর ফলে কাক্সিক্ষত নীতিগত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এসব উদ্যোগ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত টেকসই হবে না। উল্লেখ্য, বিএনপি ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার আছে, যা কেবল সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হতে পারে। সেজন্য নতুন সংসদ গঠন অপরিহার্য। এজন্য অতিশীঘ্রই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।

মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীল; নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এমন এক পরিবেশে যেখানে জনসাধারণের বা সংসদের যথাযথ তদারকি অনুপস্থিত, সেখানে নীতি ও আইনি কাঠামোর আকস্মিক পরিবর্তনের আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে। সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া একটি অপরিহার্য অনুঘটক। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যারা জনস্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি ও সংস্কার বাস্তবায়নে বেশি আগ্রহী থাকে। এই প্রক্রিয়াই দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নের পথ সুগম করে।

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দুর্নীতি মোকাবেলা, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক কর্মকা-কে গতিশীল করে এমন নীতিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, কারণ রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য তাদের জনসমর্থনের উপর নির্ভরতা বেশি। তাছাড়া, উন্নয়ন অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, নির্বাচিত সরকারগুলির সাথে জড়িত থাকার জন্য ধারাবাহিকভাবে অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ তাদের কাছে নির্বাচিত সরকার আরও স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী হিসাবে গণ্য। এর ফলে নির্বাচনী বৈধতার প্রতিশ্রুতি বিদেশি বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে, যা বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান যে ঐক্য তৈরি করেছিল, রাজনৈতিক দলসমূহের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে পার¯পরিক বিরোধিতা সেই ঐক্যকে ভয়ঙ্করভাবে দুর্বল করেছে। রাজনৈতিক ঐক্য টিকিয়ে রাখতে হলে, বৈধ সরকারের সঙ্গে জনগণের স¤পর্ক পুনর্গঠন ও সুসংহত করা জরুরি। ইতোমধ্যে অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং বিশৃঙ্খলার ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলাবাহুল্য, গত ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা, সামাজিক বিভাজন এবং সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় বাংলাদেশে সমাজ সংগতি ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা, উত্তেজনা এবং লক্ষ্যভিত্তিক দমন-পীড়নের ঘটনা নাগরিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর জনসাধারণের আস্থা এখনো দৃঢ় হতে পারেনি। এই সকল কারণ মিলেই সামগ্রিকভাবে সমাজে অস্থিরতা ও অনিরাপত্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচন যদি যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হয়; জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠিত হয় তাহলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অপরিহার্য। এসব প্রাতিষ্ঠানিক নিশ্চয়তা শুধু নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখে না; বরং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও আশ্বস্ত হয় যে তাদের মতামত গুরুত্ব পাবে।

গত ১১ মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদার ও বিভিন্ন বহুপাক্ষিক সংস্থা নিয়মিতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার এবং সংবিধান মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। যদি একটি সরকার যথাযথভাবে নির্বাচিত না হয়, তাহলে তা কূটনৈতিক টানাপোড়েন, আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক অবস্থানের অবনতি ঘটাতে পারে। বিদেশি চাপ, যা নীতি ও কৌশলগত দুই দিক থেকেই আসতে পারে দেশের নেতৃত্বকে আবারও নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করে, কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকেই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল মনে করে। নির্বাচন ও সংবিধান মেনে চলা কেবল জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের জন্য নয়; বরং অনির্বাচিত শক্তির প্রভাব প্রতিহত করার জন্যও অপরিহার্য। সংবিধান অনুসরণ করলেই বাংলাদেশ তার নাগরিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র দু’জায়গাতেই বৈধতা ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য নির্বাচনী নিয়ম, সময়সীমা এবং বিরোধ নিপত্তির প্রক্রিয়া সপর্কে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য সমস্ত প্রধান দলকে অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন যাতে গণতন্ত্রসম্মত, প্রতিযোগিতামূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পার¯পরিকভাবে সম্মত নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, সংস্কার ও বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দীর্ঘসূত্রিতার অজুহাতে এগুলো কখনই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থগিত করার যুক্তি হতে পারে না। ১১ মাস বা তার বেশি সময়েও যদি দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখা যায়, তবে তা প্রশ্নের জন্ম দেয় যে বিচার ও সংস্কারের নামে শুধু সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতিতে নির্বাচন একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকে। অন্যদিকে দীর্ঘসময় ধরে সংস্কারের অনিশ্চয়তা সমাজে অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক পোলারাইজেশন বাড়ায়। জনগণের ধৈর্যের সীমা ও অর্থনৈতিক চাপ (যেমন: মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব) বাড়লে সংস্কারের নামে দেরী গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রস্তাবিত সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারেরই হওয়া উচিত, যাদের জনগণের ম্যান্ডেট থাকে। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সংস্কার বা বিচারের কাজ নির্বাচনের সমান্তরালে পরিচালিত হয়। যেমন: আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নির্বাচিত সরকারই বাস্তবায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই সংস্কার ও বিচারের দায়িত্ব নেবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

বস্তুত রাজনৈতিক বৈধতা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা, সামাজিক বিরোধ এবং আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার আন্তঃসংযুক্ত সংকট দ্বারা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচনের অপরিহার্যতা ¯পষ্ট হয়ে ওঠে। নির্বাচন কেবল পদ্ধতিগত আচার-অনুষ্ঠান নয় বরং গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, সুশাসনের প্রচার, সামাজিক শান্তির নিশ্চয়তা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভিত্তি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার উত্থান এবং রাজনৈতিক সহিংসতার বিস্তার নিয়ে চলমান বিতর্ক সম্মিলিতভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জরুরি প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। রাজনৈতিক দলগুলিকে গঠনমূলক সংলাপ এবং ঐকমত্য গঠনে জড়িত হওয়ার জন্য দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আসতে হবে, অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলিকে নির্বাচন কমিশন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির স্বাধীনতা এবং অখ-তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারে প্রহরী এবং অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন কেবল একটি রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তাই নয় বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিস্থাপকতার জন্য একটি নৈতিক ও কৌশলগত অপরিহার্যতা। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রশ্নেই নির্বাচন জরুরি।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সূত্র, ইনকিলাব