পরিসংখ্যান বিভ্রান্তির বাংলাদেশে বোরো ধানের আবাদ, গড় ফলন ও মোট উৎপাদন নিয়ে বিভ্রান্তি ও অসংগতি আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গঠিত শ্বেতপত্র কমিটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সেখানেও পরিসংখ্যান কারসাজির মাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী ও ভক্ষণকারী দেশ। ভেতো বাংলাদেশীর চালের নিরাপত্তা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই চালের উৎপাদন নিয়ে স্ট্যাটিসটিক্যাল ‘চালবাজি’ ও ‘তথ্য সন্ত্রাস’ দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে যেকোনো সময় নাজুক অবস্থায় ফেলতে পারে।

এ বছর প্রায় ৫০ দশমিক ৪৫ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ৪ দশমিক ৪৬ টন/হেক্টর প্রাক্কলিত গড় ফলন ধরে ২২৫ লাখ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। ২০০৫ সালে বোরো ধান আবাদের আওতায় জমি ছিল ৪০ দশমিক ৬৪ লাখ হেক্টর। রবি মৌসুমে অন্যান্য শীতকালীন ফসলের পাশাপাশি বোরো ধানের আবাদও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিলে। পরিসংখ্যানগত অসংগতি, উন্নয়নের রাজনৈতিক বয়ান ও দুর্বল ‘ডাটা ইন্টিগ্রিটি’র বাংলাদেশে বোরো ধান আবাদের আওতায় জমির পরিমাণ ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধির এ তথ্য নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। চালের বাজারের অস্থির সময়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিবিএস, ডিএইএর মধ্যে তথ্য বিতর্ক পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে বোরো ধান আবাদের আওতায় জমির পরিমাণকে তথ্য-উপাত্ত ও বাস্তবতার নিরিখে চ্যালেঞ্জ করে আজকের নিবন্ধ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশে আবাদি জমি ছিল ৮১ লাখ হেক্টর। ২০২৫ সালে এসে এ পরিমাণ জমি নিশ্চয় নেই। বছরে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হারে (কোনো কোনো গবেষকের মতে ১ শতাংশ) আবাদি জমি কমলে গত ২০ বছরে কমেছে ১২ শতাংশ। সেই হিসাবে বর্তমানের নিট ফসলি জমি হওয়ার কথা প্রায় ৭১ লাখ হেক্টর। বোরো ধানের আওতায় ৫০ লাখ হেক্টর বাদ দিলে অন্যান্য ফসলের আওতায় জমি অবশিষ্ট থাকে মাত্র ২১ লাখ হেক্টর। ওভারলেপিং ক্রপ যেমন সরিষা ও আলু বিবেচনায় নিলেও বাকি ২১ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, গম, সবজি, ফুল, ফল, ডাল, তেলসহ অনেকগুলো ফসলের হিসাব মিলানো কঠিন। বোরো ধানের আওতায় জমির পরিমাণের হিসাবের গরমিল ‘রাইস পলিসি’তে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভেতো বাংলাদেশীর ভাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচনির্ভর উচ্চফলনশীল বোরো ধান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এখন বোরো দেশের প্রধান ধানের মৌসুম। এ বোরো মৌসুমে মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬০ শতাংশ উৎপাদন হয়। যদিও ব্যাপক ভিত্তিতে বোরো ধানের আবাদ বেশি দিনের নয়। সেচপ্রযুক্তি সম্প্রসারণের আগের জামানায় ধানের প্রধান মৌসুম ছিল আমন ও আউশ। উন্নত সেচ ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে আউশ ধানের আবাদ কমতে থাকে এবং অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে সেচনির্ভর বোরো ধানের। কিন্তু যৌক্তিক কারণেই বোরো ধানের আওতায় জমির পরিমাণ বাড়ার সুযোগ সীমিত হয়ে এসেছে। ২০১০ সালের পর থেকে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির তথ্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।

বোরো মৌসুমে মাঠভরা বোরো ধান দেখা গেলেও জলবায়ু পরিবর্তন, সেচের পানির সংকট ও আন্তঃফসল প্রতিযোগিতার ফলে ধীরে ধীরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বোরো চাষ। এছাড়া তুলনামূলক লাভ-ক্ষতির হিসাব ও বিকল্প ফসলের সম্ভাবনা বিবেচনা করে কৃষক অতিরিক্ত সেচনির্ভর বোরো ধান চাষ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যাওয়ার তথ্য গবেষণা প্রবন্ধ ও গণমাধ্যমে আছে। তাই বোরো ধানের আবাদ অব্যাহতভাবে বাড়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে রবি মৌসুমে বাংলাদেশে ফসলের বৈচিত্র্য বেড়েই চলেছে। কৃষক নানা রকম উচ্চমূল্য ফসলের দিকে ঝুঁকবে এটাই স্বাভাবিক। ধান চাষ করে অব্যাহত লোকসানের কবলে পড়ে কৃষকরা শুধুই বিকল্প আবাদ খুঁজছে। বোরো ফলন বেশি হলেও উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে সেচ বাবদ ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। হেক্টরপ্রতি নিট মুনাফা শীতকালীন অন্যান্য ফসলের চেয়ে অনেক কম। কৃষক বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকবে এটাই স্বাভাবিক।

মনে হতে পারে বোরো ধানের আওতায় জমির হিসাব একটু গরমিল হলে কৃষি অর্থনীতির, খাদ্যনিরাপত্তার কী এমন ক্ষতি হবে। না ভাই, বৈশ্বিক ‘রাইস ইকোনমিতে’ বাংলাদেশের সঠিক তথ্যটাও খুব প্রয়োজন বৈশ্বিক বাজার পরিকল্পনায়। বাংলাদেশ ‘গ্লোবাল রাইস ইকোনমি’র প্রধান অভিনেতা-পার্শ্বঅভিনেতা বা খলনায়ক নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী ও চাল ভক্ষণকারী দেশ। চালের সংকীর্ণ আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ২০-৩০ লাখ পরিসংখ্যান বিভ্রাট বৈশ্বিক রাইস পলিসিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। উৎপাদন তথ্যের গরমিল আন্তর্জাতিক বাজারে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ২০২১ সালে বাংলাদেশ হঠাৎ ২৬ লাখ টন চাল আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করেছিল যেটা বৈশ্বিক আমদানি-রফতানি পরিকল্পনায় ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক চালের বাজারে বাংলাদেশের পরিচিতি আমদানিকারক হিসেবে নয়।

বাংলাদেশে চালের বার্ষিক উৎপাদন, চালের মোট চাহিদা ও আমদানির তথ্যও খুব অসংগতিপূর্ণ যা পরিসংখ্যান বিভ্রাটের সন্দেহকে আরো জোরালো করে। Household Income and Expenditure survey 2022 এর তথ্য অনুযায়ী একজন মানুষের বার্ষিক চালের চাহিদা ১১৯ কেজি (প্রতিদিন ৩২৮ গ্রাম)। ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ার তথ্য বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য। এ হিসাবে বার্ষিক চালের চাহিদা ২০ মিলিয়ন টন। এ বছর বোরো চালের উৎপাদন প্রাক্কলন করা হয়েছে ২২৫ মিলিয়ন টন। আউশ ও আমন মিলিয়ে গত পাঁচ বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে চালের জোগান ৩৫ মিলিয়ন টনের ওপরে। চাহিদা ও উৎপাদনের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ চাল রফতানি করার কথা। কোথায় যেন হিসাবে বড় গরমিল আছে। জনসংখ্যার হিসাব, মাথাপিছু চাল ভক্ষণের পরিমাণ এবং উৎপাদনের পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অসংগতি আছে। এসব মৌলিক বিষয়ে এত বড় অসংগতি বাংলাদেশের পরিসংখ্যানগত বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ বেড়েছে।

ভুট্টার ব্যাপক আবাদ বোরো ধানের আওতায় ক্রমবর্ধমান জমির পরিমাণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এ বছর শীতকালীন ভুট্টার আবাদ হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ লাখ হেক্টর, যা ২০০৫ সালের তুলনায় প্রায় চার লাখ হেক্টর বেশি। সাধারণত গম ও বোরো ধানের জমি প্রতিস্থাপিত হয়েছে ভুট্টা দিয়ে। গমের আওতায় জমি কমেছে প্রায় এক লাখ হেক্টর। কাজেই যৌক্তিক কারণে অন্তত তিন লাখ হেক্টর বোরো ধানের জমি চলে গেছে ভুট্টা আবাদে।

সারা দেশে গত ২৫ বছর স্থায়ী ফলবাগান যেমন আম, লিচু, পেয়ারা, ড্রাগন ফল ও কুল চাষ বেড়েছে অব্যাহতভাবে। শীতকালীন ডাল ফসলের আবাদ বেড়েছে, শীতকালীন সবজির আবাদ বেড়েছে। মসলার আবাদ বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিকে ফুলের আবাদও বেড়েছে। এসব শস্য বহুমুখীকরণের প্রভাব অবধারিতভাবে পড়ার কথা বোরো আবাদে। তাহলে রবি মৌসুমে বোরোর আবাদ অব্যাহতভাবে বাড়ার গাণিতিক যুক্তিটা কী?

সাম্প্রতিককালে ফসলি জমিতে পশুখাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব ও প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে অন্তত দেড় থেকে দুই লাখ হেক্টর জমিতে পশুখাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। গরুর মাংসের বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় দেশে প্রতি বছর প্রায় এক কোটি গরু মোটাতাজাকরণ হচ্ছে। সবুজ ঘাসের অব্যাহত জোগান দিতে গিয়ে ফসলি জমিতে ঘাসের চাষ বাড়ছে, যা বোরোর আওতায় জমির পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনাকেই সুসংহত করে।

তিন ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনো আইন না থাকায় প্রতি বছর নতুন পুকুর করতে ধানের জমি হারিয়ে যাচ্ছে। ধান চাষের চেয়ে মাছচাষ লাভজনক হওয়ায় এবং ঝুঁকি কম হওয়ায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ধানের জমি। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম অভিঘাত নদীভাঙন। পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা অববাহিকায় প্রতি বছর ৮-১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি বিলীন হয়। নতুন চর জেগে উঠলেও সেখানে মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী কিছু ফসল (সরিষা, গম, ভুট্টা, সবজি) হলেও বোরোর আবাদ কমই হয়।

জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ফসলের আওতায় আবাদি জমির পরিমাণ জরিপ নিয়ে কাজ করেছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, স্পারসো, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। ফ্রি ভার্সনের যে স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করা হয় সেটাতে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল পাওয়া যায় না। কিছু গবেষক তাদের গবেষণা পেপারে ধান চাষের আওতায় জমির পরিমাণ নির্ণয় করেছেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সীমাবদ্ধতা আছে। রবি মৌসুমে শস্যবৈচিত্র্য এত বেশি যে স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা যায় না। খণ্ড খণ্ড জমিতে কোনটাতে বোরো ধান, কোনটাতে রসুন, গম, যব অথবা ভুট্টা। কাজেই জরিপের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কৃষি বিভাগ ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাঠকর্মীরা নিয়মিত ফসল আবাদের তথ্য দেন কিন্তু সেখানেই বড় ত্রুটি রয়ে যায়।

গবেষণা প্রবন্ধ ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে ছয়টি জলবায়ু হটস্পটে বোরো ধানের আবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। হাওরাঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চল বোরো চাষের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। লবণাক্ততার অব্যাহত বৃদ্ধি ও স্বাদু পানি সংকটে এখানে বোরোর আবাদ সংকটের মুখে। পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্ত পানি সংকটে বোরো চাষ বিঘ্নিত হওয়ার খবর। খরাপ্রবণ উত্তরাঞ্চল পানি সাশ্রয়ী নন-রাইস ফসলের দিকে ঝুঁকছে। এতো গবেষণা, পরিসংখ্যান, যুক্তি ও বাস্তবতার পরও বোরো ধান আবাদের আওতায় জমি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

উন্নয়নের অতিরঞ্জিত বয়ান শুনে আত্মতৃপ্ত হওয়ার এক সর্বনাশা নেশায় পেয়ে বসেছিল এ জাতিকে। জিআইএস, রিমোট সেন্সিং ও এআইয়ের যুগেও তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বাহাস সত্যিই হাস্যকর। সবকিছুতেই চ্যাম্পিয়ন হতে হবে, পদক পেতে হবে কেন? কেনই বা বাম্পার ফলন আর রেকর্ড উৎপাদন সেলিব্রেশন করতে হবে প্রতি বছর? ট্রেড ও ট্যারিফ যুদ্ধের বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে ডাটা ইন্টিগ্রিটি খুব দরকার। চাল উৎপাদনের ভুল তথ্য দিয়ে শক্তিশালী ‘রাইস পলিসি’ প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন হবে। ‘হালের গরু গোয়ালে না থাকলেও কেতাবে থাকতে হবে’ এ দিন তো আর নেই। ইউএসডিএ অথবা এফএওর রিপোর্টের সঙ্গে আমাদের রিপোর্ট মেলে না। বাম্পার উৎপাদনও হবে আবার বিশ্ববাজারে আমদানির ঝুলি নিয়ে যেতে হবে—এ কেমন কথা?

আগামীর ‘রাইস সিকিউরিটি’ পরিকল্পনা প্রণয়নে ধান চাষের আওতায় জমির সঠিক পরিমাণ জানা খুব জরুরি। ধানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু, তেলজাতীয় ফসল, ভুট্টা, পশুখাদ্য ফসল সত্যিকারের কত হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যান থাকা অত্যাবশ্যক। জরিপ, হাই রেজল্যুশন স্যাটেলাইট ইমেজ, জিআইএস, ক্রপিং সিস্টেম ও ভূমি ব্যবহার ধারা বিবেচনায় নিয়ে ধান চাষের আওতায় জমির নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক ‘রাইস পলিসি’ প্রণয়নের সময় এখনই।

ড. মো. রওশন জামাল: কৃষিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তা

সূত্র, বণিক বার্তা